All language subtitles for Hanuman (2024) Telugu HQ HDRip.Bangla Subtitle by Akash Basak

Bangla Subtitle Created By
:.:.: AKASH BASAK :.:.:

হচ্ছে না কেন?

আবার করে দেখি।

আরে!

ধুর!

আদরে বাঁদড় হয়েছিস তুই।

সুপারহিরোদের খেলনাগুলো
কিনে দিয়েই ভুল করেছি।

আর যদি এমন মূর্খের মতো কাজ করিস,
আমি নিজেই তোর পা দু'টুকরো করে রেখে দেবো।

হাতে কী রেখেছিস ওটা? দে!

বোর্ডিং স্কুলে পাঠালে
তবেই তুই শায়েস্তা হবি।

সুপারহিরো হতে চায়।

যাদের তুই আদর্শ মনে করিস,
তারা শুধুমাত্র গল্পেই হয় রে, বাবু।

বাস্তবে কেউ অমন হতে পারবে না।

আমি হতে পারবো, মা।

শোন, বাবু। সুপারহিরো হওয়ার জন্য
বিশেষ কোনো ক্ষমতার প্রয়োজন পড়ে না।

সুপারহিরো তাকেই বলে যে নিজের ক্ষমতার
ঊর্ধ্বে গিয়ে অধর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়।

আমায় কেন ডাকলে?

আচ্ছা সিরি, স্পাইডারম্যান তো অনাথ, তাই না?

না।

ব্যাটম্যান ওর বাবা-মা মরার পরই
সুপারহিরো হয়েছিল, তাই তো?

হ্যাঁ।

তার মানে, ওদের বাবা-মা বেঁচে থাকলে...

তারা কখনো ওদের
সুপারহিরো হতে দিতো না।

না।

মাইকেল!

মাইকেল!

দরজা খোল, মাইকেল!

প্লিজ! মাইকেল, দরজা খোল।

দরজা খোল, মাইকেল।

জলদি। জলদি কর।

কে রে তুই?

ওকে সুপারহিরো বলা হয়,
আজকাল প্রচারে আছে বেশ।

তাই নাকি?

তো, চল ওকে মেরে আমরা প্রচারে আসি।

মার শালাকে!

ওই!

এই...

সুপার... হিরো।

তুই কীকরে সুপারহিরো
হবি রে, অপদার্থ।

হাহ?

টাকাগুলো তুই রাখ আর
আমাকে ছেড়ে দে।

প্লিজ ছেড়ে দে আমায়।

কিন্তু সুপারহিরো তো
খুন করে না, তাই না?

তাই বুঝি?

থামো!

নড়বে না।

সাধারণ মানুষের টাকা উদ্ধার করে এই রহস্যময়
ব্যক্তিটি পুনরায় প্রচারের আলো কেড়েছে।

আর এইবার সে...

নগদ এক কোটি ব্যাঙ্ক ডাকাতি
হওয়া থেকে আটকেছে।

কিন্তু কোন মূল্যে?

কী হলো, রোজি?
জেদ কেন করছো?

কাল রাতে তো মজা এসেছিল!

এখন এত জেদ কেন করছো?

কাছে এসো, সোনা... হুম?

ইঁদুরের এত অভিমান মানায় না।

ধরেছি!

যা আমাদের কখনো সম্মুখীন হতে হয়নি।

তাদের বর্ণনা অনুযায়ী, এক ধোঁয়া বোমার
মাধ্যমে সে ঘটনাস্থলে তাদের...

প্রায় দশ মিনিট মতো স্থির করে রেখেছিল।

ধোঁয়াটা ভেতরে যেতেই তাদের মস্তিষ্ক
খানিক্ষণের জন্য স্থির হয়ে পড়ে...

এবং স্নায়ুতন্ত্রে অসহ্য যন্ত্রণা
অনুভব করতে থাকে।

শ্যাজাম! কাজ হচ্ছে!

কে এই রহস্যময় ব্যক্তিটি?

হাই, চীফ।

হেই, সিরি।

হ্যালো।

তোমাকে নয়।
সে আমাকে বলেছে।

কী ব্যাপার, চীফ?

ওহ! শ্যাজাম। রক্ত।

আমি সেলাই করে দিচ্ছি।
একটু চেপে ধরে রাখো।

তবে, মুম্বাইকে রক্ষার জন্য এখন
একজন সুপারহিরো আছে।

যুব সমাজের মধ্যে তার
জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে।

পুলিশের চোখে সে একজন ভিজিল্যান্টি।

কিন্তু মানুষ তাকে তাদের
রক্ষাকর্তা হিসেবে জপ করছে।

সবাই তোমাকে কত্ত ভালোবাসে, চীফ।

একটু সবুর করো।

শুধু বুলেট নয়, মিশাইল ঠেকানোর
মতো স্যুট বানিয়ে দেবো তোমাকে।

ওটা হবে সবচেয়ে দুর্ভেদ্য স্যুট।

MFG ৪২ ড্রাগের পরিমাণ বাড়িয়েছিলাম।

পরীক্ষা ব্যর্থ গেলো, চীফ।

শুধু দুর্ভেদ্য স্যুটে চলবে না, সিরি।

শক্তিটা আমার ভিতরে থাকতে হবে।

প্রত্যেকটা শিরা-উপশিরায় বিরাজমান হবে।

অমন ক্ষমতা কোথায় বিদ্যমান?

“অঞ্জনাদ্রিতে, সন্তান ধারণে
একজন কঠোর ব্রত রেখেছিল।”

“সর্বশ্রেষ্ঠ বনমানুষের দ্বারাই, কেসারি'র স্ত্রী, অঞ্জনা
আর তার গর্ভ আশীর্বাদপ্রাপ্ত হয়েছিল।”

“অতুলনীয় শক্তি সমেত এক সন্তান জন্ম নিলো।”

“অঞ্জনার ছেলে আর আশীর্বাদ দিলো বায়ু।”

“সকালের সূর্যকে সে পাকা আম মনে করলো।”

“হনুমানের আকাঙক্ষা জাগলো সেটাকে খাওয়ার।”

“সূর্য তার শরীরে ঢেকে গেল
আর গোটা ব্রহ্মাণ্ড অন্ধকারে নিমজ্জিত হলো।”

“তা দেখে, ইন্দ্রদেব তার
ঐরাবতে চেপে আসলেন।”

“অঞ্জনায়াতে এসে তিনি তার বজ্র ছুড়ে মারলেন।”

“সেটা হনুমানের চোয়ালে আঘাত করব,
এক ফোটা রক্ত বের করে...”

“আলোর গতিতে সেটা সমুদ্রের তলদেশে...”

“একটা ঝিনুকের ভেতরে পতিত হয়।”

“সময়ের সাথে সাথে সেটা শক্ত হয়ে প্রভু
হনুমানের রুদ্র মনিতে পরিণত হয়।”

“একজন পুণ্যবান মানুষের আশায় সেটা নিরবে,”

“হাজারো বছর ধরে অপেক্ষা করছে।”

“নীরবে স্থিরচিত্রে হাজারো বছরে ধরে এক অনন্ত অপেক্ষা।”

আরে, কী মজা! কী মজা!
কী মিষ্টি আম!

কে পেলো? আমি, কোটি।

পেয়েছি!

ধুর! কে রে?

হতচ্ছাড়াটা আবার এসেছে!

গ্রামে কি আর কিছু চুরি করা বাকি নেই?

যে এখন আমার আমের পেছনে পড়লি!

এমন কুচুটে বুদ্ধি না খাটিয়ে...

দম থাকলে খুল্লাম-খুল্লা করে দেখাস।

ধ্যাত!

আজ এর একটা হেস্তনেস্ত হয়েই যাক,
আজ তোর একদিন কী আমার একদিন।

পেয়েছি! ওই!

বাঁদড়ের থেকে কে চুরি করে, হতচ্ছাড়া!

থাম বলছি!

এটা কোটি নেবেই।

সব কুত্তার দিন আসে,
আমারো আসবে।

তখন দেখে নিস।

এই!

আমাকে আগে দাও।

এই নে!

- কী মজা!
- কী মজা!

এই, হনুমান্তু!

কাশি'কে গজপতি'র
চেলা-চামুন্ডারা মারধোর করছে।

- ওহ, মা গো! দয়া আমায় ক্ষমা করে দাও।
- এই অপদার্থের দল।

তোরা অকালে মরবি রে।

নরকেও ঠাই হবে না তোদের।

তুই তো মহিষ কিনেছিলি।
দুধ বিক্রি করিস।

হতভাগা টাকার বস্তা লুকিয়ে রেখেছিস।

খাজনা দেবে কে শুনি?

আপনাকে কীসের জন্য খাজনা দেবো?

ওদের খাবার খাইয়েছিলেন?
দুধ দোয়ানোর কাজ করেছিলেন?

ওদের খড় খাইয়েছিলেন?
নাকি গোবর পরিষ্কার করেছিলেন?

তোমার মতো নির্লজ্জ অপহর্তা...

খাজনা শীঘ্রই পেয়ে
যাবেন, পুলিরাজু বাবু।

আমি পাঁচটা মহিষ কিনেছিলাম।
কিন্তু তার মধ্যে শুধুমাত্র দুটোই বাচ্চা দিতে পেরেছে।

আপনি যদি একটু দয়া দেখান...

হাহ? কী বললি?

ওরা বাচ্চা দিতে অক্ষম
হলে আমি কী করবো?

ও সেয়ানা সাজছে বড়ো।

- চোবা ওকে। ডুবিয়ে মার হতচ্ছাড়াকে।
- না, বাবু। না।

চোবা।

আমার নাতিটাকে কি
বাঁচানোর কেউই নেই?

আমি আছি, ঠাকুমা।

কারো জবাইয়ের আগে, তাকে রক্ষার
জন্য কে আছে তার খোঁজ রাখিস না?

এই, এই। ছেড়ে দে, ভাই।
ওদের সাথে লাগিস না।

ছেড়ে দে, ভাই।

ওদের জানে মারবো না।

চিন্তা করিস না।

এই...

আরে!

তোর মতো একটা ছিঁচকে চোরের পায়তারা
আমার মতো ডাকুর সামনে খাটবে না, হনুমান্তু।

কী মুশকিলেই না ফেলে দিলো!

তোকে বলেছিলাম!

সবুর কর! এখন ওদের
শক্তিমত্তা সম্পর্কে জানি।

এবার দেখ কত ধানে কত চাল।

না, না। আরে!

পুরো সর্বনাশ করে রেখে দিলো রে!

- ওই, বাছুরটা নিয়ে চল। চল! চল!
- কর্তা, কর্তা, একটু রহম করুন! এমন করবেন না দয়া করে।

- কর্তা, আমি টাকা দিয়ে দেবো।
- হাত সরা।

- টাকা পরিশোধ করে নিয়ে যাস।
- কর্তা!

- চল। চল।
- কর্তা! দয়া করে ছেড়ে দিন, কর্তা।

ওকে ওর মায়ের থেকে দূরে সরাবেন না।
ও খেতে পারবে না।

হাহ! তুই না বললি,
"আমি আছি তোমার পাশে, ঠাকুমা?"

বাহ! বাবু এসবের বেলায় ওস্তাদ।

তোকে পই-পই করে থামতে বললাম।
দেখলি এর ফল কী হলো!

এখন খাজনা দেবো না
বাড়ির চিলেকোঠা সারাবো?

সব জিনিসে নাক গলিয়ে
ঝামেলা আরো বাড়িয়ে দিস।

আমি মারপিট করতে না পারলেও...

- চুরি করতে ওস্তাদ।
- ওস্তাদ না ছাই।

- আহ?
- হাহ...

এটা পুলিরাজুর থেকে চুরি করেছিস?

এটা বিক্রি করে বাছুরটাকে ফিরিয়ে আন।

- চরণধূলি দাও, ওস্তাদ। চরণধূলি দাও।
- এই, এই...

আচ্ছা, চল।

হেডমাস্টারের পরিবারকে
এক লিটার দুধ বেশি দিতে হবে।

তুই গিয়ে দিয়ে আয়।
আমি কেন যাবো?

হুম... কী বললাম বুঝলি না, তাই না?

গ্রীষ্ম এসে গেছে।

গ্রামে ইংরেজি পত্রিকা এসেছে।

তারা এক লিটার দুধ বেশি চেয়েছে।

- মিনাক্ষী আসছে?
- আহ!

- চল, তাহলে!
- চল।

ও ফুলওয়ালি! আমার প্রিয় ফুলওয়ালি!
আমার অনুভূতি দিয়েও বানাও মালা!

ও ফুলওয়ালি রে!

ও ফুলওয়ালি! আমার প্রিয় ফুলওয়ালি!
কীভাবে সাজাবো আমার সখির বেণী?

ও ফুলওয়ালি রে!

একটা ফুলের তোড়া সাজাও,

আমার রাণীর জন্যে।

ওর সুন্দর গাল,

হবে সূর্যের মতো রক্তিম লাল।

ওর নরম নরম গাল,

হয়ে উঠবে উজ্জ্বল লাল।

ওর কাটার মতো ধারালো চাহনি,
ফেলে বিড়ম্বনায় যেন মাছে গেঁথেছে বরশি।

এখনি চাইলে ওর সুবর্ণ হাতে
তুলে দেবো আমার জীবন রে!

প্রজাপতির ডানা খোলার মতো
ওর হাসি করে আমার জীবন রঙিন,

জুঁই... সবচেয়ে সুন্দর জুঁই
তোমার গন্ধে করো আমায় মুখরিত।

হৃদয় আমার তোমার তরে
হাজির হয়েছি সকল ভালোবাসা নিয়ে,

একটা ফুলের তোড়া
সাজাও আমার রাণীর জন্যে।

ওর সুন্দর গাল হবে সূর্যের মতো রক্তিম লাল,

ওর নরম নরম গাল হয়ে উঠবে উজ্জ্বল লাল।

মেয়ে তোমায় না পাওয়ার কষ্টে,
পুরো শরীরই চাইছে তোমায় ছুঁতে।

নেই কোনো আর শক্তি আমার হৃদয়ে
ভালোবাসা লিখো দিনে তিনবেলা করে।

রাস্তা দিয়ে তোমার চলন দেখে
আমার শরীর করে দোল-দোলানি,

ও সাদা... সাদা কোটের মেয়ে
পকেটে করে নিয়ে চলো আমাকে।

শহরে বড়ো হওয়া সুন্দরী,
আমি শুধু তোমাকেই ভালোবাসি।

ও ফুলওয়ালি! আমার প্রিয় ফুলওয়ালি!
কীভাবে সাজাবো আমার সখির বেণী?

ও ফুলওয়ালি রে!

একটা ফুলের তোড়া
সাজাও আমার রাণীর জন্যে।

ওর সুন্দর গাল হবে সূর্যের মতো রক্তিম লাল।

ওর নরম নরম গাল হয়ে উঠবে উজ্জ্বল লাল।

বাহ, কী সম্বন্ধই না
দেখতে এলাম! চলো!

আবার এমন কেন করতে গেলি?

এত জেদী কেন রে তুই?

দেখো! আমি এমনই।

আর যদি বিয়ের সম্বন্ধ নিয়ে আসো,
আগে তাদের আমার সম্পর্কে জানাবে।

কী আশ্চর্য!

ওহ!

কী? পাত্র-পক্ষের আবারো
পছন্দ হয়নি তোকে?

আমার মতো বাকিরা কেন ওর
চ্যাটাং-চ্যাটাং কথা সহ্য করে থাকতে যাবে?

তোর মতো অশিক্ষিতদের মুখ থেকে
খালি নালিশেরই ফুলঝুরি বেরায়।

ভূতের মুখে রাম-নাম!

সবাই সুশীল পাত্রী চায়,
উদ্ধত নয়, বুঝলি?

আর ও যদি একটা কথা বলে, ঘাড় ধাক্কা
দিয়ে বের করে দেবো। বলে দাও ওকে।

ফ্রি'তে খাবার পেয়ে
ওর জ্ঞান-বুদ্ধি লোপ পাচ্ছে।

পটলের তরকারি আর
তেঁতুলের রাসাম...

তুই এর দেমাগ দেখাচ্ছিস? হুহ!

এটাই তোর জন্য অনেক।
মুখ বন্ধ করে খেয়ে নে।

তোরা আবার ঝগড়া শুরু করলি?

বলি শোনো! ওকে বিয়ে দেয়ার
শুধুমাত্র দুটোই উপায় আছে।

প্রথমটা হলো, পাত্রকে বলো
ও বোবা আর বিয়ে দিয়ে দাও।

দ্বিতীয়টা হলো, কোনো কানে কালা পাত্র
খু্ঁজে তার ঘাড়ে ঝুলিয়ে দাও ওকে।

চুপ কর তো! তুই'ই সব নষ্টের মূল।

তোর মধ্যে যদি একটু
দায়িত্ববোধ থাকতো...

- ওর কী দোষ এতে?
- অ্যাঁ?

কাজ হয়ে গেছে তো?
এবার, যাও।

ওহ!

নিজে এতকিছু বললে ঠিক আছে।

কিন্তু আমি কিছু বললেই
পুরো বাড়ি মাথায় তুলে নিস।

যা পারিস কর গে!

ওই!

মেলায় ভেঙ্কটলক্ষীর ঘড়ি হারিয়ে গেছে।

তুই চুরি করেছিস?

এই! ও ঢপ মারছে।
আমাদের গ্রামে ঘড়ি কেনার সাধ্য কার আছে?

যত দোষ নন্দ ঘোষ!

এই... এই!

ইয়ে মানে... ঘড়িটা ঠিকঠাক চলে না।

এই অকেজো ঘড়ি
নিয়ে কী'ই বা করবে ও?

তাই, আমি নিয়ে নিয়েছি।

- গর্দোভ! হতচ্ছাড়া! আমার মুখে চুনকালি লেপে দিয়েছিস।
- আরে! লাগছে তো।

তোকে পই-পই করে এসব
করা ছেড়ে দিতে বলেছি!

- কবে যে সুবুদ্ধি হবে তোর!
- ধুর!

কাশি অন্তত দুধের ব্যবসা করে।

তুই কবে কাজের-কাজ কিছু করবি?

এই, হনুমান্তু! তুই আমার
ফল চুরি করেছিলি, তাই না?

এবার দেখ তোর নিজের
বাড়িতেই কেমন হাত সাফাই করি।

কী করছে হতচ্ছাড়াটা?

এই, এত কষ্ট কীজন্য করছিস?

ছোট্ট একটা ঢাকনা
খুলতে কোঁকাচ্ছে কেন?

কিছু চুরি হলেই লোকে আমার
কাছে এসে লাইন লাগায়।

লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যায় পুরো।

কবে যে বদলাবি তুই?

আমি এত্ত দুর্বল?

উরি শালা!

নিজের বাড়িটাও বাকি
রাখলি না আর, তাই না?

তুই আমার সর্দারের নামে কলঙ্ক।

চোর, চোর, চোর।
এই, অঞ্জম্মা।

এই! টাকাগুলো দিয়ে
খাজনা পরিশোধ করে দিস।

কীসের টাকা?

যেটা মশলার বাক্স থেকে চুরি করেছিস।

আমি? তুই বলতে চাইছিস...
আমি টাকা চুরি করেছি?

যদি কেউ শোনে, আমার
নিজের দিদিই দোষারোপ করছে...

কারো কপালে শনি নাচছে।

এই, কী বললাম শুনিসনি?

আহ, দিয়ে দেবো ক্ষণ!

আমাদের গ্রামের প্রাচীন প্রথা অনুযায়ী...

একপাশে আছে, পলিগারকে
চ্যালেঞ্জ করা, মাল্লা সিমাদ্রি।

অপরপাশে আছে অঞ্জনাদ্রির সর্বেসর্বা,
বীর পালোয়ান, সিঙ্গারায়াকোন্ডা গজা!

দুঃখের বিষয় হলো, ওর বাবা দশ বছর আগে
গজপতি বাবুর সাথে লড়ে মারা গিয়েছিল।

তাও শিক্ষা হয়নি শালার?

ওহ, সিমাদ্রি!

দয়া করে আমার ছেলেটাকে ছেড়ে দিন।

ওগো!

দয়া করে, আমার ছেলেটাকে রহম করুন।

আমাদের কখনো আর
এখানে দেখতে পাবেন না।

আমরা এই গ্রাম ছেড়ে চলে যাবো।

সিমাদ্রি...

হে, ভগবান!

তার অভ্যন্তরীণ আঘাত লেগেছে।

তাকে শহরের হাসপাতালে নিয়ে
যেতে হবে। গরুর গাড়ি নিয়ে এসো।

- গজপতি বাবু!
- জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ!

- কার নাম জপ করছো?
- জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ!

যার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে,

তাকে কুস্তি লড়ার নামে মেরে ফেলে, তার?

কোন সাহসে আমাদের
পলিগারের নামে এসব বলছো?
[Poligar - সামন্ততান্ত্রিক প্রভু।]

এই গ্রামের নিয়ম-নীতি
আগে ভালো করে জেনে আসো।

পলিগার?

কীসের পলিগার?

শতাব্দী পূর্বে, পলিগাররা ডাকাতদের
হাত থেকে আমাদের রক্ষা করতো।

এখন কি কেউ গ্রামে
ডাকাত পড়তে দেখেছেন?

আপনারা দেখেছেন?

আপনারা?

তো, আমাদের সুরক্ষার জন্য আমরা তাকে খাজনা
দিই, কিন্তু সুরক্ষা প্রয়োজন কার হাত থেকে?

মিনাক্ষী আমাদের গ্রামের
কথা কত্ত ভাবে।

ও খাঁটি সোনা রে, ভাই।

- তোর চোখে-মুখেই সেটা ফুটে উঠছে।
- হুম?

বাপ-দাদাদের বানানো
নিয়মে প্রশ্ন করতে নেই।

তুমি এখানে ছুটি কাটাতে এসেছো।

তাজা বাতাস খাও আর চলে যাও।

সময়ের সাথে-সাথে নিয়ম
বদলানো দরকার।

আমাদের এখন আর কোনো পলিগারের নয়...

বরং সমস্যার সুরাহাকারী
একজন নেতার প্রয়োজন।

চলো, চলো। তাকে শিগগিরি
হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

বীরাস্বামী!

মালিক?

গ্রামে বিদ্রোহের আভাস পাচ্ছি।

ওদের উপড়ে ফেলতে হবে, মালিক।

এই! সর!

- বাবু!
- সর!

হে, ভগবান।

খাজনা দেয়ার বেলায় অষ্টরম্ভা,
কিন্তু হাসপাতাল চাই।

মালিক, মালিক!

গ্রামবাসীরা এই অর্থগুলো গ্রামে
একটা হাসপাতাল বানাবে বলে জমিয়েছিল।

মালিক...

যদি কেউ খাজনা ফাঁকি বা পলিগারের
নিয়মের ওপর আঙুল তোলার দুঃসাহস দেখায়...

তাহলে তার পরিবারকে
জ্যান্ত পুতে ফেলা হবে।

প্রভু শ্রী রামচন্দ্র!

ভগবানের কৃপায়, সিমাদ্রি এখন বিপদমুক্ত।

হ্যাঁ, মেমসাহেব।

হুম?

আপনি কিছুই খান না আর
আমার খাওয়াই বন্ধ হয় না।

বাহ্যিকভাবে তুই রূপো হলেও...

মিনাক্ষীর ছোঁয়ায় তুই সোনার
চেয়েও মূল্যবান হয়ে যাবি।

চোর! চোর! চোর!
চোর! চোর!

- ভুল ভাবছেন। আমায় বোঝাতে..
- এই, থাম।

মেমসাহেব, দেখে নিন চেইন
আর ঘড়ি আছে কিনা।

এই ছেলের চুরি করার স্বভাব আছে।
ছ্যাঁচড়া কোথাকার!

- ও হানুমান্তু না?
- হ্যাঁ, মেমসাহেব।

ভেবেছিলাম শুধু গ্রামেই কোনো পরিবর্তন আসেনি।
এখন দেখছি লোকগুলোরও স্বভাব পাল্টায়নি।

এই, কন্ডাক্টার! বাস থামাও।

কী ব্যাপার? কী হয়েছে?

এই, কন্ডাক্টার! যাকে-তাকে
কেন বাসে উঠতে দাও?

- এই, ছোকরা। বাস থেকে নাম। বাস থামাও!
- ওকে নামাও।

- নাম, ছোকরা।
- নেমে যা।

নাম রে, শালা! নাম।
বেশ, বেশ।

যাতায়াতের সময় চোখ-কান
খোলা রাখা উচিত, মেমসাহেব।

ওর মতো এমন অনেক
ছিঁচকে চোর আছে।

- ডাকাত! ডাকাত!
- ডাকাত?

ডাকাত? মেমসাহেব, চলুন।

প্লিজ, আসুন!

সর্বনাশ!

- হে, ভগবান।
- ওঠো।

মেমসাহেব।

ওঠো!

মিনাক্ষী!

"The eternal, wise and divine”

“Discerner of all Time sequences"

মিনাক্ষী!

পালাও।

সে আশেপাশেই কোথাও রয়েছে।

মিনাক্ষী! মেমসাহেব!

- মা! মিনাক্ষী!
- কোথায় আপনি, মেমসাহেব?

- পালাও।
- মা! মিনাক্ষী!

- মিনাক্ষী মেমসাহেব!
- আপনি ঠিক আছেন তো?

ওরা ওকে মেরে ফেলছে।

চল, মা! চল।

- মেমসাহেব।
- মিনাক্ষী!

"With such fatal wounds"

"With such severe loss of blood"

“Despite fading strength and tapering breath”

"Ram...."

“As the long wait for eons in stillness
has finally borne fruit”

“Is Lord Hanuman’s Rudhiramani
about to leave the bed of the ocean?”

“With its magnificent and resplendent rays
effulgent with brilliance”

“Is it gravitating him to itself?”

মিনাক্ষী মেমসাহেব।

পঞ্চায়েত থেকে আপনাকে ডেকেছে।

তো, আপনাকে যে বাঁচিয়েছিল সে...?

হুমম।

এইবার সে সামনে এসেছে?

পালাও!

হনুমান্তু!

কী হয়েছে ওর?

ও তীরে ভেসে এসেছে।

আমার দ্বারা যতটুকু কুলোয় করে দিলাম।

এখন সবকিছু প্রভু হনুমানের হাতে।

আমার ভয় করছে।

ডাকাত হানা না দেয়ার মন্তব্য ফেরত নাও,

আর পুরো গ্রামের সামনে
গজপতি বাবুর কাছে ক্ষমা চাও।

আমার নাতনীর হয়ে
আমি ক্ষমা চাইছি, গজপতি বাবু।

দাদু!

হুমম!

অন্যকে বাঁচানোর আগে কি
নিজের বেঁচে থাকা জরুরি নয়?

ডাক্তার! প্রতিবার কিন্তু
ভাগ্য তোমার সহায় থাকবে না।

ডাক্তার! ডাক্তার!
দয়া করে জলদি চলো।

হনুমান্তু ক্ষত-বিক্ষত
অবস্থায় তীরে ভেসে এসেছে।

ওকে বাঁচাও।

একটু চলো তুমি।

এত লাল কেন আমার চোখ?

মিনাক্ষী যদি আমাকে
এই অবস্থায় দেখে নেয়?

আমার শরীর অভেদ্য!

অ্যাঁ?

গ্রামের বৈদ্য মশাই বললো ওর
সেরে উঠতে এক মাস মতো লাগবে।

কিছু একটা করে ওকে বাঁচাও।

ওর জ্ঞান ফেরেনি।

সারা শরীরে ছুরির আঘাত।

দেখলে গায়ে কাটা দিয়ে উঠছে।

দয়া করে এসো।
আহ!

আমার বাড়িতে কী মনে করে?

আমার ঠাকুমার দিব্যি বলছি।

কিছুক্ষণ আগেই ও ক্ষত-বিক্ষত
অবস্থায় পড়ে ছিল। কীরে, ব্যাপারটা কী বল তো?

- ক্ষতস্থান দেখতে চাও?
- হ্যাঁ!

মিনাক্ষী এখানে কেন এলো?

তোকে চড়ই বা কেন মারলো?

আর এসে চলেই বা যাচ্ছে কেন?

গতকাল কেউ নিজের জীবনের
ঝুঁকি নিয়ে ওকে বাঁচিয়েছে।

- ও ভেবেছিল সেটা তুই।
- অ্যাঁ? আমিই তো!

তাহলে ক্ষতগুলো কই গেলো?

উধাও হয়ে গেছে।

পকেট থেকে টাকা হোক বা শরীর থেকে ক্ষত...
তুই দেখি সবই হাপিশ করে দিস!

- এই, আমাকে বিশ্বাস করিস না...
- ভাগ শালা!

ঢপ মারা বন্ধ কর। প্রমাণ কই?

- আরে, শোন! ক্ষতগুলো মিটে গেছে।
- ভাগ!

ওই, দেখ আমি নাচ করছি।

ভাগ শালা।
যত্ত্বসব ফাজলামো।

ঢপের গল্প শোনানোর লোক পায় না আর।

মিনাক্ষী'কে কীভাবে বোঝাই?

চেনটা...

হাহ! পেয়েছি!

এটাই যত নষ্টের মূল।

এটা...

“Ram…”

তোর ক্ষত দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করে
পলিরাম্মা দেবীকে শাড়ি দিয়ে এসেছি...

মা! মা পলিরাম্মা!
মা গো! তুমি জাগ্রত দেবী মা।

আমার ভাইকে মন্দিরে জ্বলন্ত কয়লার
ওপর দিয়ে হাঁটিয়ে আমার মানদ পূরণ করবো, মা গো।

কই গেলো?

এসব কী, শেখর?

আমার কথা কানেই নিস না, তাই না?

তোকে চিকেন কারি আনতে বলেছিলাম...

কী নিয়ে এসেছিস এটা?

আজ আসলে শনিবার, কর্তা।

আজ বাড়িতে মাংস রান্না হয় না।

শনিবার বলে কি বাঘ
মাংস ছেড়ে ভাত খাবে?

হতচ্ছাড়া!

পিঠের চামড়া গুটিয়ে নেবো তোর।

এদিকে আয়, পুল্লায়া!
এখানে দে ওটা।

সামুদ্রিক মাছ এনেছিস।

আহা! কী খেতে!

কী ব্যাপার, মামুণি?
তাকিয়ে আছো কেন?

এক কামড় খাবে?

বাচ্চাদের থেকে টিফিন
কেড়ে নিতে লজ্জা লাগে না?

আমার তো আর বিয়ে-শাদী হয়নি।

তুমি রান্না করে খাওয়াবে?
তাহলে আর ওদের টিফিন খাবো না।

- এই!
- মিনাক্ষী!

- হুহ!
- আহা।

এই নাও তোমার চেন।
আমিই তোমাকে বাঁচিয়েছি।

Here is your chain!
I have been in love with you

This is enough.

কর্তা!

কী রে, ছোকরা! এটা তো
আমার চেনের মতো লাগছে!

না, এটা তোমার নয়।
তোমারটা তো কবেই বিক্রি করে দিয়েছি।

অ্যাঁ? কী?

এটা তোমার নয়, কর্তা!
এটা আমার প্রেমিকার।

ওহ! তোর প্রেমিকার?

ভালোবাসার চক্কর বুঝি?

তেমনই কিছু।

এক রত্তি মাংস শরীরে,
কিন্তু গুণধর প্রেম করছে।

- বেশ, দিয়ে দিচ্ছি।
- প্লিজ, দিন।

কিন্তু একটা খেলা খেলতে হবে।

তুই জিতলে, দিয়ে দেবো এটা।

কী খেলা, কর্তা?

কর্তা আস্তে! প্লিজ। থামুন।

এটা আবার কেমন খেলা...

এসব আর কতদিন চলবে, দাদু?

গ্রামে এসব হওয়া সত্ত্বেও
আমরা চোখ বুজে থাকবো?

প্রতিবাদ করে কী'ই বা পাবি?

তুই নিজের জীবন বিপদে ফেলছিস।

ওদের সাহসই ওদের শক্তি।

এই সাহসই ওদের উদ্ধত করে তুলেছে।

আরে... আরে...

না!

ওকে তো পুরো কোণঠাসা করে দিয়েছে।

ওদের সবকিছু সুদে-আসলে
ফেরত দিতে হবে।

- প্রেম-টেম করে কী হবে, হনুমান্তু?
- আহ, লাগছে।

পাণ্ডবদের জন্য ভীম আর
যাদবদের জন্য বলরামের মতোই...

আমাদের এই অঞ্জনাদ্রির
জন্য হনুমানকে প্রয়োজন!

- অ্যাঁ...
- হাহ?

হেই!

- কী মজা!
- কী মজা!

অ্যাঁ…

কী খেয়ে এসেছিস রে?

এই!

মার! মার শালাকে!
ওকে আচ্ছা মতো শায়েস্তা কর, হতভাগা!

লজ্জা থাকা দরকার, পুলিরাজা।

ছুয়ে ফেলেছি!

এ কী? এটা কীভাবে হলো?

আমি... সোজা করে দিচ্ছি।

হয়নি?

- না, না, না!
- এবার সোজা হবে।

কর্তা, পুলিরাজু বাবু।
পুলিরাজু বাবু।

আমি সোজা করে দিতে পারবো।

আমার কথা শুনছে না কেন?

এর আবার কী হলো?
ধিনুক ধরছে বোধহয়।

কী হয়েছে?

ওদের মেরে পুরো তক্তা
বানিয়ে দিয়েছো, দাদা।

- আমি ওদের মেরেছি?
- হ্যাঁ।

এই, এই! ও টের পাওয়ার
আগেই সজোরে মার।

আহ?

রডটা ব্যাকা হলো কীকরে?

“Arrives a new super hero”

“Turning all others into a zero”

আরে! শোন, মনে হচ্ছে ওকে ভূতে
ধরেছে। বাঁচতে চাইলে পালা।

“Turning all others into a zero”

চেনটা ফেরত না দিয়ে কই
চললেন, পুলিরাজি বাবু?

হাহ?

আহ…

কই গেলো?

ওদের কে মারলো?

হাই!

ওকে... ও... ওটাকে!

প্রত্যেককে... আমি পিটিয়েছি।

- তুমি?
- হ্যাঁ।

আরেকটা চমক দেবো?

অ্যাঁ… কই গেলো?

এই, আমার হাতে একটা জিনিস ছিল।

কোথায় ফেলে দিলাম?

কই ফেললাম?

বদলা!

এই, বাঁদড়টা ওটা
নিয়ে পালাচ্ছে। ঐযে!

মিথ্যে বললে অন্তত
সেটা ভালো করে বলো।

মায়ের দিব্যি বলছি।

আমিই ওদের পিটিয়েছি।
বিশ্বাস করো।

- এই! তোরা বল না?
- হ্যাঁ, দিদি।

- দেখো।
- ছিঃ!

একা বলে মন ভরছে না?
এখন বাচ্চাদের দিয়েও মিথ্যা বলাচ্ছো?

আমার কথা বিশ্বাস
হচ্ছে না, তাই না?

দেখতে থাকো।

গাছে না উঠে ফল পাড়বো দেখবে?

এই, হতচ্ছাড়া! সামলে।
আমি গাছে বসে আছি।

হাহ? মনে হচ্ছে ভূতটা
এবার চলে গেছে।

শোনো না!

শোনো না!

হাহ…

কোথায় হতে পারে?

আশেপাশেই কোথাও হবে।

দিদি! চকচকে আর লাল রঙের
কোনো জিনিস পেয়েছিস।

উনুনে দিয়েছি। নিয়ে আসবো?

না, থাক!

কই গেলো?

পেয়েছি!

আবরা কা ডাবরা।

জয়, বজরংবলি।
জয়, মাহেস্মতি।

জয়, জানকি নায়কা!

মা! দেবী পোচাম্মা!
দেবী জেলাম্মা!

মা মহাকালী!
মা অঙ্কলাম্মা।

আমি জানি এটা তোমার শক্তি।

দয়া করে, তোমার শক্তি
প্রকট করো! এসে গেছে!

অ্যাঁ?

এটা?

ভেবেছিলাম পোলারাম্মা'র আশীর্বাদে
তোর ক্ষতগুলো সেরে গেছে।

তুই যাদু-টোনা করছিস? হতচ্ছাড়া!

- আরে! এই!
- তুই আর শুধরাবি না।

- থাম বলছি।
- এই, মারিস না।

দরজা আর দেয়ালে ফাটল
দেখেই আমার সন্দেহ হয়েছিল।

থাম বলছি। হতচ্ছাড়া।

এই বাড়িতে যদি আর পা মারাস,
পিঠের ছাল গুটিয়ে রেখে দেবো।

এই, মণিবাবু।

হ্যাঁ।

আজ থেকে, তোর নাম মণিবাবু।

আমাকে শক্তি দিয়ে কেড়েও নিলি।

মিনাক্ষীর সামনে আমার
মাথা হেঁট করে দিলি।

আগে তাও ও আমাকে চোর ভাবতো।

কিন্তু এখন ওর চোখে আমি ঠগবাজ।

আমার জীবনটাই ঝালাপালা
করে দিলি রে, মণিবাবু।

মণিবাবু! মণিবাবু...

এখন কেন জ্বলজ্বল করছে?

এই, ভাই!

- এই!
- চলে এসেছে ঝাট জ্বালাতে।

এটা... যে-সে মুক্ত নয়, ভাই।

ইনফিনিটি স্টোন নাকি?

জুতোর বারি মারবো,
যেটা বলছি শোন।

এর মধ্যে শক্তি আছে।

এটার জন্যই আমি সেরে উঠেছি।

গায়ে জোরও চলে এসেছে।

শক্তিমান... সুপারম্যান...

এই! আমায় বোকা পেয়েছিস নাকি?

আমার বুদ্ধি কম হতে
পারে তবে মাথামোটা নই।

- এই! আমার কথা বিশ্বাস হচ্ছে না, তাই না?
- কীসব মণি-মুক্তোর কথা বকে চলেছে।

দেখলি?

এটা এমন কী বড়ো ব্যাপার?

আমাদের হিরো শিবলিঙ্গ চাগিয়েছিল।

তুই কীভাবে সেরা হলি?

এসব কীর্তি আমাদের এক বড়ো
সুপারস্টার অনেক আগেই দেখিয়ে ফেলেছে।

- তুই কীভাবে সেরা হলি?
- দেখাচ্ছি।

এটাও বহুবার দেখে ফেলেছি।

তুই কীভাবে সেরা হলি? হুম?

আরে, ভাই, এটাই তো সুপারহিরোরা করে।

আমাদের হিরোরা এসব
তুড়ি বাজিয়েই করে ফেলে।

যদি আমাকে বিশ্বাস করাতে চাস যে, তোর কাছে
সুপারম্যান আর শক্তিমানের মতো বিশেষ ক্ষমতা আছে...

তাহলে এসব না করে,
আরো বড়ো কিছু কর।

বল রাজি?

আরো বড়ো কিছু?

একমাত্র রত্ন, আমাদের লেজেন্ড...

বালাইয়া বাবু'র মতো কীর্তি করে দেখা।
[তেলেগু সুপারস্টার নন্দমুরি বালাকৃষ্ণ'র রেফারেন্স...😂]

তাহলেই তোকে সেরা মানবো।

এই, হনুমান্তু। ছেড়ে দে, ভাই!
চল এখান থেকে।

তুই তার মতো কীর্তি
কীভাবে দেখাতে পারবি?

তোর কিছু হয়ে গেলে তোর
দিদি আমাকে জ্যান্ত গিলে খাবে।

আরে, চল।

এই, ট্রেনটা কাছাকাছি এসে পড়ছে।

জয়, চিন্নাকেশবা!
জয়, চিন্নাকেশবা!
[এই সিনেমাতেই লর্ড বালাকৃষ্ণের
সেই বিখ্যাত ট্রেন সিনটা ছিল...😂]

- ট্রেনটা আসছে।
- হ্যাঁ।

এই, হনুমান্তু! সরে আয়!
ট্রেনটা কাছাকাছি এসে পড়ছে।

- এই! হনুমান্তু! সরে আয়!
- সর্বনাশ! ট্রেনটা তো একটুও থামছে না।

সর্বনাশ! হনুমান্তু! হনুমান্তু!

এ কী হয়ে গেলো! হনুমান্তু!

হনুমান্তু! হনুমান্তু!

এ কী করলি রে, হনুমান্তু?

হাহ?

- হনুমান্তু!
- হাহ?

ট্রেনের ধাক্কা খেয়ে একটা আঁচড়ও লাগলো না!

কী বলেছিলাম?

তুই আসলেই সেরা রে, ভাই!

আচ্ছা, ট্রেনটা ধাক্কা লেগে
পেছনে কেন গেলো না?

বালাইয়া বাবু'র তুলনা কারো সাথে হয় না।

- জয়, বালাইয়া!
- জয়, জয় বালাইয়া!

আরে, ধুর! আরে, ভাগ তো।

কতবার বলবো এটা তোর
বাসা নয়... এটা আমার চুল।

এর আগে দু-দু'বার হেগে পালিয়েছিস।।

যা রোজগার করি তা শ্যাম্পু
কিনতেই খরচ হয়ে যায়।

এই, হাতির বাচ্চা!
হ্যাঁ, তোকেই বলছি।

একটা কলা ছোড়।

ভাগ শালা!

হতভাগা!

কীভাবে আদায় করতে হবে তা
ভালোভাবেই জানা আছে আমার।

ও এদিকে দেখছে। একদম।

সোনার চেন!

মনে হয় কারো থেকে ছো মেরে পালিয়েছে।

ওটা ওর থেকে কোনোভাবে নিতে হবে।

এই নে।

উল্লুক!

ইশ!

হাতির বাচ্চাটা আমায়
বোকা বানিয়ে দিলো।

এই, এই, এই। থাম!

স্কুলের পর যাই?

- ঠিক আছে, দিদি।
- ঠিক আছে, দিদি।

যেটা খুশি কেন।

ওটা দাও আমায়।

আরে, আরে। দিচ্ছি রে। দাঁড়া।

- নে!
- এই, ওটা আমি নেবো!

- ওটা আমায় দেবে?
- নে!

আমি ললিপপ নেবো।

- ললিপপ নেই।
- কিন্তু আমি ললিপপই নেবো শুধু।

- আমাকেও দাও, ভাইয়া।
- নে!

এই চেন... এই চেনটা
তোমার কাছে কী করছে?

চেনটা ওর নাকি?

একটু বাইরে আসবে?

হুম।

আসলে, কিছু মনে না করলে...

আমার জামা কেন খুলছো?

এটা আমার প্রথমবার, ম্যাডাম।
লজ্জা করছে আমার।

এই, তোদের এসব দেখা
উচিত নয়। চোখ বন্ধ কর!

এই ক্ষতটা?

আসলে, একটা মটনের পিস কুকুরের
মুখ থেকে কাড়তে গিয়ে কামড় খেয়েছি।

- মিথ্যা কেন বলছো?
- মিথ্যা?

আর কতদিন আমার
থেকে লুকিয়ে বেড়াবে?

লুকাচ্ছি কই? দোকান তো
রোজই খোলা থাকে।

আমি এখানেই থাকি।

কিছু না জানার ভান করো না।

আমার জীবন বাঁচানো সত্ত্বেও আমার
সামনে আসতে দ্বিধাবোধ কেন করছো?

মনে হয় কেউ একজন
ওর জীবন বাঁচিয়েছে।

আমি এর কৃতিত্ব নিয়ে নিই।

কীভাবে আসবো?

মন্দিরে গিয়ে আমি ঠাকুরের
কাছে পূজো দিতে পারবো।

কাজ করে তার মজুরী চাইতে পারবো।

কিন্তু যাকে বাঁচিয়েছি পরিবর্তে তার
কাছে ভালোবাসা কীভাবে চাইবো?

আরে!

আমি মুদিখানার ব্যবসা করি।

মানুষের আবেগের নয়।

ও বিশ্বাস করে নিয়েছে।

এই নাও তোমার চেন।
প্লিজ, নিয়ে নাও।

- ধন্যবাদ।
- ব্যাপার নয়।

সন্ধ্যে হওয়ার আগে,

মিনাক্ষীকে সবকিছু বুঝিয়ে বলতে হবে।

- সন্ধ্যের আগে?
- মনিবাবু সূর্য ডোবার পর আর কাজ করে না।

ওহ, এই ব্যাপার!

মিনু!

আরে, আরে!

সমস্যা নেই, মিনু।
আমি অতটাও দুর্বল নই।

ইশ! কী বিচ্ছিরি লাগছে ওকে।
মিনাক্ষীর পাশে ওকে সহ্য করতে পারছি না।

ওই, আমি জেনে গেছি,
সেদিন আমায় যে বাঁচিয়েছিল।

ও জেনে গেছে বলছে।

এই সেই ব্যক্তি।
গুণেশ্বর রাও!

- এ?
- হ্যাঁ। আমিই।

কেন? আমার কথা বিশ্বাস হচ্ছে না?

আমি দেখাচ্ছি।

আমি দেখাই।

- দেখো... দেখো... দেখো।
- ওরে, খচ্চর।

অন্ধকারের মধ্যেও একদম
নিশানায় টিপ করেছিল।

গুণেশ্বর রাও-র টিপ থেকে
কোনো পাখি রক্ষে পায় না।

কী বলো, মিনু?

টিপ লাগা তাহলে। দেখাই যাক।

কিন্তু আমি তো গুলতি নিয়ে আসিনি।

- আমি এনেছি তো।
- হাহ!

মার।

- হুম?
- মারো।

- গুণ্ণু।
- হুম।

এই দুই হতচ্ছাড়াকে তোমার
ভেলকি দেখিয়ে দাও। মারো।

কী মারবো?

এই, ঐ ভাঁড়ে মার।

ওটা তো অনেক দূরে।

- এখানে নিয়ে আসবো নাকি?
- থাক।

- মার তাহলে।
- মারছি।

গুলতি মারা মুদিখানায় ঠোঙা
মোড়ার মতো ডালভাত নয়।

দেখতে থাক!

এই নে!

রঙ্গয়া দাদু।

কীটনাশক!

এটা কী, দাদু?

আর কী করবো বল, মা?

ওরা আমার চাষ করা ফসলের পুরোটাই
খাজনা হিসেবে নিয়ে গেছে।

আমাদের সামান্য জমানো
সম্বলটুকুও ছাড়েনি।

ডাকাতদের ভয়কে কাজে লাগিয়ে,
ওরা আমাদের গোলাম বানিয়ে রেখেছে।

প্রতিবাদ করতে গেলে,
কুস্তি লড়ার নাম করে মেরে ফেলে।

ওদের অমান্য করার সাহস আমার মধ্যে নেই,
সেজন্য মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছি রে, মা।

গজপতি বাবু।

ডাকত হানা দিলে,
শুধুমাত্র সোনা লুট করে।

কিন্তু আপনি মানুষের পাত
থেকে অন্ন কেড়ে নিচ্ছেন।

আপনি তো ডাকাতদের চেয়েও অধম।

শোনো!

অঞ্জনাদ্রির রীতি-রেওয়াজ অখণ্ডনীয়।

কোনো সমস্যা থাকলে, শিঙা
বাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও।

আমার সাথে কুস্তি লড়ো।

কী ব্যাপার?

মুখের বুলি চলে গেছে বুঝি?

হাহ?

দাঁড়াও, মেমসাহেব।
তুমি কেন যাচ্ছো?

তোমার হয়ে জেতার লোক তো আছে।

মৃত্যু তোমার দরজায় কড়া নাড়লে,
ও ঢাল হয়ে তোমাকে আগলে রাখবে।

আর ও... ও হচ্ছে... গুণেশ্বর রাও!

আমি? আমি কেন যাবো?

তুই না বলেছিলি ভালোবাসার
জন্য নিজের জীবন দিয়ে দিবি। তো, দে এবার।

- ঘন্টা।
- এই!

পেশীর সাথে চর্বির তুলনা করে ভুল করছো।
অকালে মারা পড়বে।

আমি অত অবুঝ নই।

আরে, দেখিয়ে দে এগুলো সব
পেশী, চর্বি নয়। আখড়ায় নেমে পড়।

এটা চর্বিই! সত্যিকারের চর্বি!

এটা কোনো খাওয়ার প্রতিযোগীতা
নয় যে নেমে পড়বো! এটা কুস্তি।

দেখ তাকে! সে একটা আস্ত ষাঁড়।

কর্তা!

দেখ তাকে! সে আমার শরীরের
একটাও হাড্ডি আস্ত রাখবে না।

ওই, আমিই যে তোমাকে বাঁচিয়েছি,
তা কীকরে মেনে নিলে?

চেনটা দামী লাগায় আর তুমি
সেক্সি বলে আমি নাটক করছিলাম।

এবার বুঝতে পারছি।
কিছু ভেঙে গেলে, শব্দ হয়।

কিন্তু মন ভাঙলে,
চারিদিকে শুধু নীরাবতাই ছেয়ে যায়।

এই ক্ষতটা তাহলে কীসের?

খোলো। খোলো।
পুরোটাই খুলে ফেলো।

আর কতবার দেখতে চাও?
কতবার?

এটা ছুরির নয়,
কুকুরের কামড়ের আঘাত।

গজপতি বাবু। এই অধমের
দেখা আর কখনো পাবেন না।

- দয়া করে ক্ষমা দিন। আসছি, কর্তা।
- এই, এই!

- গুণেশ্বর রাও। থাম।
- আমায় যেতে দে।

তো? শুরু করা যাক?

তোমার মতো সুন্দরীর সাথে কুস্তি লড়া,
বিছানা গরম করার সমান।

আজ কেউ মরতে চলেছে।

আরে, হনুমান্তু তুই!

তোর সাইজ তো আমার থাইয়ের বরাবরও নয়!
তুই আমার সাথে লড়তে চাস?

শেষ কোনো ইচ্ছা
থাকলে পূরণ করে নে।

হনুমান্তু।

এটাকে পকেট মারার
মতো সহজ মনে করেছো?

ফিরে যাও।

চুরি করতে তো জানি...

আর মেরে তক্তা বানাতেও।

কী বের করছে?

মেমসাহেব, শুধু দেখতে থাকো।

ও গজপতিকে আজ পিস-পিস করে ছাড়বে।

দেখো এবার!

চল, ভাই!

হাহ!

আকাশ তো পুরো
মেঘলা হয়ে গেছে। কেটে পড় রে।

আয়। আয়।

চ্যাঙড়ামো মারতে বাপু ওস্তাদ।

আয়!

দাঁড়ান।

এটা নিয়ে মারবো তাকে।

উফ! কী বাড়াবাড়ি করছে।

কীভাবে যে বাঁচি?

দিদি, কী খবর!

কী, বন্ধু?

আরে, আরে...

- অঞ্জনাম্মা!
- হাহ?

- তোমার ভাই গজপতি বাবুকে চ্যালেঞ্জ করেছে।
- হাহ?

ঢাক পেটা, নাগুলু।

আজ ওর হাঁড় চূর্ণ-বিচূর্ণ করে রেখে দেবো।

সরো।

ওই, লগার ডাল।

বেশি সাহস হয়ে গেছে নাকি?
বেরিয়ে আয় এক্ষুনি।

হ্যাঁ! ওকে ওভাবেই বকুনি দাও।

দিদি! তুমি এখানে কেন এলে?

ওর তো বুদ্ধি-শুদ্ধি নেই।
তুই ওকে কোন আক্কেলে যেতে দিলি?

তখন রোদ ছিল।

আরে, হনুমান্তু!

দয়া করে কেউ তাকে থামাও।

কর্তা। দয়া করে ছেড়ে দিন ওকে।

ও স্রেফ একটা বাচ্চা ছেলে।
ও মারা যাবে।

ও না বুঝেশুনে
আপনাকে চ্যালেঞ্জ করে ফেলেছে।

দয়া করে, ছেড়ে দিন ওকে।

ক্ষমতা আর নারী, দুটোই
বড়ো বিপজ্জনক রে, হনুমান্তু।

কেউ-কেউ তো তার জন্য
নিজের জীবন দিয়ে দেয়।

আর কেউ-কেউ খুন করে।

হনুমান্তু!

রাম...

হনুমান্তু! মেঘ সরে গেছে।

“Ram…”

“Ram…”

“Ram, ram, ram…”

“Ram, ram, ram…sanguine complexion”

“Ram, ram, ram…dazzling brilliance”

“Ram, ram, ram…magnificent opulence”

হনুমান্তু!

খচ্চরটাকে আচ্ছা মতো শায়েস্তা কর।

“Rum, rum, rum…decimator of demons”

“Bham, bham, bham…ferocity personified”

“Bham, bham, bham…destroyer to ashes”

“Bham, bham. Bham…with crushing feet”

“Bham, bham, bham…effulgent like the sun”

“Kham, kham, kham, with a swordlike hand”

“Kham, kham, kham, with swordlike body”

মার!

“Gheem, gheem, gheem…with a lion’s roar”

হাহ!

এভাবে বাউন্স তো হিরোরা
ধোলাই দিলে খায়।

এরা আকাশে কীকরে উড়ছে?

ওই! ওকে গুণ্ডা পেটানো কোনো
সিনেমার হিরো ভেবেছো নাকি?

ও একজন সুপারহিরো।

“Ram, ram, ram…magnificent opulence”

“Treasure house of all good and virtue,
conqueror of seven seas”

“Rum, rum, rum…decimator of demons”

“With all pervasive glory,
the emissary of Shree Rama, I bow to thee”

প্রভু।

- পলিগার হনুমান্তু!
- জিন্দাবাদ!

জয় পলিগার... জয় পলিগার।

জয় পলিগার... জয় পলিগার।

জয় পলিগার... জয় পলিগার।

জয় পলিগার... জয় পলিগার।

এখন থেকে, আমার গ্রামে
কোনো পলিগার থাকবে না।

যেমনটা মিস মিনাক্ষীর বলেছিল,
ভোটের মাধ্যমে অঞ্জনাদ্রির নেতা বাছতে দেয়া হোক।

মনে হচ্ছে সু'দিন আসতে চলেছে।

বাসও অব্ধি এখানে ছয় মাসে-নয় মাসে
একবার আসে, হেলিকপ্টার এখানে কী করছে?

রুদ্রমণির জন্য ধর্ম যুদ্ধ হতে চলেছে।

কিন্তু প্রভু হনুমান কোথায়?

(সংস্কৃত মন্ত্র)

(সংস্কৃত মন্ত্র)

রাম!

রাম!

রাম!

রাম!

আপনি কে, জনাব?

বুঝতে পারছিস না?
সিনেমার শ্যুটিং হবে।

উনি হিরো।
আর উনি কমেডিয়ান।

কমেডিয়ান?
আমি একজন সায়েন্টিস্ট।

- কী বললো?
- মনে হয় অনেক সাইন করে সে।

ওটা আবার কী?

এটাই ধনী লোকেদের ধরন।
তারা দাঁত মাজে না, বুঝলি?

সেজন্য মুখের দুর্গন্ধ আড়াল
করতে সেন্ট মারে।

নিজের দাঁতগুলোর অবস্থা দেখ।
এটা একটা অ্যাজমার ইনহেলার।

আমাদের কাছেও অনেক অ্যাসেট আছে।

আমি অ্যাজমা বললাম! শ্বাসকষ্ট!
গণ্ডমূর্খ কোথাকার!

সে পাল্টা দিতে পারলো না।

এখানে কী মনে করে?

চীফ, এসব ভিডিও তোমার
ভালো লাগবে না।

আমি তো এমনিই আরকি...

শ্যাজাম!

ওর শরীর সম্ভবত টুকরো-টুকরো হয়ে গেছে।

আরে...

এই ছেলেটার কাছে নিশ্চিত
কোনো বিশেষ ক্ষমতা আছে।

ভিডিওটা ইন্টারনেট
থেকে ডিলিট করে দাও।

আমি মাইকেল।

আমি আপনাদের গ্রামের
উন্নয়ন করতে এসেছি।

এতে আপনার লাভ কী?

একে কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা বলা হয়।

বড়ো-বড়ো কোম্পানিরা আমাদের মতো
অবিকশিত গ্রামগুলোকে সাহায্য করে।

একদম।

তার মানে, আপনারা আমাদের
সমস্ত প্রয়োজনীয়তা পূরণ করবেন?

সঠিক।

গ্রামে মেট্রো রেল লাগবে?
ফ্লাইওভার? অথবা বিমানবন্দর?

আমরা আপনাদের সমস্ত
প্রয়োজনীয়তা পূরণ করবো। শ্যাজাম।

এখানে সিনেমা দেখা বড্ড ঝামেলার।

- যদি একটা সিনেমাহল বানিয়ে দেন...
- এই!

সরে আয়!

মিস মিনাক্ষী! তুমি কথা বলো।

বছরের পর বছর ধরে,
সময়মতো যথাযথ চিকিৎসার অভাবে...

এই গ্রামে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।

ভবিষ্যতে, এই বিপদের মোকাবিলার জন্য,
অঞ্জনাদ্রিতে একটা হাসপাতাল বানালে অনেক সুবিধা হবে।

হাসপাতাল, তাই তো?
হয়ে যাবে।

তাদের জন্য একটা উন্নত
হাসপাতাল বানানো যাক, বস।

হেলিপ্যাডের সুবিধা সহ।

আপনি রাজি?

শ্যাজাম!

এই, সিরি।

হ্যাঁ চীফ, বলো।

ওর ব্যপারে কিছু জানতে পারলে?

সেটাই বের করছি, চীফ।

সন্ধ্যের মধ্যে, ওর শক্তির
রহস্য বের করে ফেলবো।

হাসপাতালের ভিত গড়ার আগেই,
আমরা এখান থেকে কেটে পড়বো।

বাকি টাকা ফেরত দাও নয়তো
সবার সামনে অপমান করবো।

এই, পাখির বাসা!
তোর ধমকির ধার ধারে কে রে?

এক নয়াকড়িও পাবি না।
যা করার আছে করে নে।

আরে, ডিব্বা! আমার ডিব্বা!

শাঁকচুন্নি!

কী অদ্ভুত একটা গ্রাম!
কেউ ওর রহস্যের কথা জানে না।

হনুমান্তু ওর এই ক্ষমতা
কোত্থেকে পেতে পারে!

আমি বলবো?

- তুমি জানো?
- আমিই দিয়েছি।

- তুমি?
- আমি নিজের শক্তি ত্যাগ করেছি।

যত্ত্বসব ফালতু কথা।

আমার কাছে প্রমাণ আছে।

বাড়িতে চলো, দেখাচ্ছি।

ওরে গাধা! সাত-সকালে
উল্টো-পাল্টা বকা শুরু করেছিস।

যা! ভাগ!

- আপনি ডেকেছেন ওকে?
- না, না! আমি তো চিনিও না।

এই! কোনো বিষয়ে না জানলে,
বেশি জ্ঞান দিতে আসবি না।

আর জানলে, সেটা
আমার মতো পেটেই রাখ।

আরে, আরে! তুমি জানো?

আরে, না। আমি কিছু জানি না।

- এই, এই! আমি জানি তুমি বলতে পারবে। প্লিজ, বলো।
- আমি কিছু জানি না।

- এক মাস আগেও ওর কোনো শক্তি ছিল না।
- হুম।

- ঠিক এক মাস আগে...
- হুম!

ঐযে কোমড় দোলাতে-দোলাতে
জলহস্তিটাকে হাঁটছে দেখছো?

মিষ্টি খাবে? কিন্তু আমাদের
মিষ্টির দিকেই নজর কেন তোমার?

ও ওকে শক্ত করে
জড়িয়ে ধরে চুমু খেয়েছিল।

ব্যস। ওর গায়ে এতটাই জোর চলে আসে যে, সবচেয়ে
শক্তিশালী কুস্তিগিরদেরও মেরে-মেরে আকাশে উড়িয়ে দেয়।

- সত্যি!
- যত্ত্বসব!

দেখে তো মনে হচ্ছে উল্টে
ও আমাদের রক্ত চুষে খাবে।

আর তুমি বলছো ওকে
চুমু খেয়ে ও শক্তি পেয়েছে।

আরে, এটাকে আজগুবি
ভেবে এড়িয়ে যেও না।

করোনা যেমন ছুঁলেই হয়ে যায়...

তেমনি, ওকে চুমু খেলে,
বিশেষ ক্ষমতা চলে আসে।

ওরে, বাপ রে!

মনে হয় ও ডাইনি-ঠাইনি কিছু একটা হবে।

স্কারলেট উইচ!

হ্যাঁ। যে সে উইচ নয়।
আস্ত একটা স্যান্ডউইচ।

- ধন্যবাদ।
- এই!

ওকে চুমু খেতে যাচ্ছো?
তোমার মধ্যে শক্তি চলে আসতে পারে।

সেটাই তো চাই।

শক্তি পেয়ে গেলে অনেক
ঝামেলায় পড়তে হবে তোমাকে।

আরে, বললাম তো।
আমি সেটাই চাই।

জংলী মোষ কোথাকার!

ওকে চুমু খাওয়ার জন্য মুখের স্প্রে
নষ্ট করো না। আমি কিছু জড়িবুটি দিচ্ছি দাঁড়াও।

এটা অ্যাজমার...!
ছাড়ো বাদ দাও।

জানি। ইয়েস!

এই, হাট! ভাগ!

ভাগ!

এই, ডাইনি। একটা হামি দে।

এই!

- আরে, আরে, না।
- কত বড়ো সাহস!

শ্যাজাম! গেঁয়ো ভূতের দল।

শ্যাজাম। কীকরে যে
ওর কথায় বিশ্বাস করে নিলাম!

- এই, ব্ল্যাক প্যন্থার?
- হাহ?

কী হচ্ছে?

হনুমান্তু সবাইকে ওর
শক্তি পাওয়ার রহস্য বলবে।

কেল্লাফতে! শ্যাজাম!

তোমরা না আমার মতো একটা ছিমছিমে চেহারার
একটা ছেলে গজপতিকে কীকরে মারলো, তাই না?

- হ্যাঁ।
- আমার শক্তির রহস্য হলো কাশির দুধ।

- আমার দুধ?
- ইয়ে মানে, ওর মহিষের দুধ।

দুধ?

হাহ। শ্যাজাম।

- বিশ্বাস হচ্ছে না?
- একেবারেই না।

হুম!

ওহ!

লাইন করে দাঁড়াও।
লাইন বাই লাইন আসো।

আরে, ভাই। তুই'ই প্রকৃত বন্ধু রে।

নিঃস্বার্থভাবে আমাকে সাহায্য করছিস।

ব্যবসা থেকে আসা টাকার...
২৫ শতাংশ আমায় দিবি।

এর চেয়ে তো গজপতিই ভালো ছিল।
ও মাত্র ১০ শতাংশ নিতো।

এই, কাশি! পাঁচ লিটার দুধ দে তো।

- টাকা?
- এই নে। একশো। ধর।

এক লক্ষ! সাইড দিন, সাইড দিন।

- অন্য কাউকে এক ফোটা দুধও বেঁচবে না।
- ওহ!

আমার পাইকারি রেটে চাই।
শ্যাজাম! যান, যান!

শ্যাজাম...

- নিন।
- ধন্যবাদ।

আজ্ঞে।

- আসুন।
- হুম।

সক্কাল-সক্কাল কী উৎসব হচ্ছে?

হাসপাতালের কাজ সুষ্ঠুভাবে হওয়ার জন্য
পূজো করছি, অনুগ্রহ করে এই নারকেলটা ফাটান।

দেখ, দেখ!

আরে? কই চললি?

মিনাক্ষী কোথায়?

চীফ, দুধে শক্তি নয়
জল মেশানো ছিল।

ওর রক্তে, সুপার পাওয়ার তো
দূরের কথা প্রতিরোধক ক্ষমতাই নেই।

একটা বিষয় নিশ্চিত, চীফ।

ওর ঐ শক্তি বাহ্যিক
কোনো জিনিস থেকে আসছে।

আমাদের সেটাই বের করতে হবে।

স্যার!

এই পাথর তো তোলাই যাচ্ছে না।

এতটাই ভারী যে, ইন্ডিকেটরে
লাল দাগ অতিক্রম করে গেছে।

কারো পক্ষে এটা সরানো সম্ভব নয়।

কিছুক্ষণের মধ্যেই ওর
শক্তির উৎস জেনে যাবো।

সবুর করো আর দেখো।

মিনাক্ষী মেমসাহেব।

হনু-মান।

হনু-মান।

হনু-মান! হনু-মান!

হনু-মান! হনু-মান!

হনু-মান! হনু-মান!

হনু-মান! হনু-মান!

হনু-মান! হনু-মান!

হনু-মান! হনু-মান!

- সবার সামনেই ওকে সানগ্লাস পরিয়ে দিলেন।
- হনু-মান! হনু-মান!

- ওর প্রেমে-টেমে পড়েছেন নাকি?
- হনু-মান! হনু-মান!

হনু-মান! হনু-মান!

হনু-মান!

- হনু-মান! হনু-মান!
- হনু-মান! হনু-মান!

চীফ, বলেছিলাম না...

সবচেয়ে শক্তিশালী স্যুট
বানিয়ে দেবো? বানিয়ে ফেলেছি।

শ্যাজাম!

দ্য মেগাম্যান ২.০!

আর আন্দাজ করো তো?

ভাইব্রেনিয়ামের চেয়েও উন্নত
ধাতু ব্যবহার করেছি এতে।

এটা একেবারে দুর্ভেদ্য।

জবরদস্ত, তাই না?

আর এটা দেখো, চীফ।

ভাবছো এর বিশেষত্ব কী?

এটাকে খাটো করে দেখো না।

হনুমানের শক্তি এটার
কাছে হাতের নস্যি, চীফ।

নাও। পরো। পরো।
নাও। পরে দেখো।

অনুভব করো, চীফ।
এর শক্তিমত্তাকে অনুভব করো।

করো। ইয়েস!

হানু-ম্যান! হানু-ম্যান!

নে, ভাই।

আজকের ঘটনাটার পর তুই
পাশের গ্রামগঞ্জেও বিখ্যাত হয়ে গেছিস।

তা তো হবোই।

এমন দারিদ্রতার মধ্যে আর
কতদিন জীবনযাপন করবো?

আমাদেরও অলিম্পিকে গিয়ে
দেশের হয়ে স্বর্ণ পদক জেতা উচিত।

- কী বলিস?
- তুই?

আর অলিম্পিক?

আরে, মনিবাবু সাহায্য করবে।

- সে সামলে নেবে। হ্যাঁ। সে পারবে।
- এই!

কিছু ছুড়লে সেটা কম করে দুই
কিলোমিটার দূরে তো যাবেই, তাই না?

- অবশ্যই! কেন যাবে না?
- তাহলে?

- কিন্তু ভাই...
- হুম?

প্রতিযোগীতা যদি রাতেরবেলায় হয়?

মিনাক্ষী পটে গেছে রে ভাই।

তবে ওর দাদু'কে পটাতে
এমনই কিছু একটা করতে হবে।

তাকে পটানোর জন্য
এত তাড়াহুড়ো কেন করছিস?

আমি মিনাক্ষী'কে বিয়ে করতে চাই।

- বিয়ে?
- হাহ।

এই, লজ্জা-শরম নেই নাকি তোর?

বাড়িতে একটা অবিবাহিত দিদি পড়ে আছে।
আর তুই কিনা বিয়ে পাগল হয়ে উঠেছিস?

এই! ওর মুখে কিচ্ছু আটকায় না।

আর গ্রামের সবাই ওর সম্বন্ধে জানে।

কেউ ওকে বিয়ে করতে রাজি নয়।

এজন্য ঠিক করেছি আমি
আগে বিয়ে করবো। কী বলিস?

- ওহ, একদম! যা গিয়ে বিয়ে করে নে।
- থাম রে, ভাই।

পকেটে নয়াকড়ি নেই,
কিন্তু ভোজানুষ্ঠান করতে চাস।

এই যে, বুড়ি! বেশি বকো না।

ও বিয়ে না করলে
আমি কী করতে পারি?

ও কার জন্য বিয়ে
করছে না বল দেকিনি? তোর জন্য!

বিয়ের পর ও তোকে
সঙ্গে করে নিয়ে যেতে চায়।

এমন দাবী কে মানবে বল?

ওর ভয় যে, ও চলে গেলে তুই উচ্ছন্নে যাবি।

সেকারণেই, বিয়ের জন্য ও পাত্রপক্ষের
কাছে তোকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার শর্ত দেয়।

যখন পাত্র পক্ষ ওকে নিয়ে
ঠাট্টা করে বলে যে,
"একটা চোরকে বাড়িতে জায়গা কে দেবে..."

তখন ও তাদের তাড়িয়ে দেয়,
কিন্তু কখনো তোর অপমান হতে হয়নি।

আর তুই বলিস ওর
মুখে কিচ্ছু আটকায় না।

এই, হনুমান্তু!

ওই!

এতক্ষণ কোন মুল্লুকে ছিলিস?

ওর আবার কী হলো?

সবাই তোকে...

কী বলে যেন...
আহ, সুপারহিরো বলছে।

ওরা তোকে সাক্ষাৎ
ভগবান হনুমানের সাথে তুলনা করছে।

হনুমানজি প্রচুর শক্তিশালী।

কিন্তু লোকমান্য তিনি ভগবান
রামকে সাহায্য করার পরই হয়ে ওঠেন।

তোকে অঞ্জনাদ্রির যেকোনো বিপদের
মোকাবিলার জন্য এগিয়ে আসতে হবে।

কী ব্যাপার? আজ খাবার
নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই বুঝি?

হাহ!

শাবলটা কই রাখলাম?

কাল ভুলে গোয়ালঘরে
ফেলে এসেছিলাম নাকি?

পুরো ৫০০টা নারকেল আছে, কাকু।
চাইলে গুণে নিতে পারো।

আরে কী যে বলিস, বাবু।

এই নে। প্রতি নারকেল পিছু
চার টাকা করে। মোট দুই হাজার টাকা।

আসি, মা।

এই!

সিদ্ধাপুরাম শ্রীণিবাসুলু শ্রী রামচন্দ্রের রাজ্যাভিষেক
অনুষ্ঠানের জন্য ২০০টা নারকেল চেয়েছে।

আমি আগে থেকেই
নারকেলগুলো গুছিয়ে রেখেছি।

এই, সেটা নয়।

দড়িগুলোও বেঁধে দিয়েছি।
গিরি এসে নিয়ে যাবে।

হনুমান্তু।

নারকেলের খোসার ভালো
চাহিদা হতে পারে। কাশি বললো আমায়।

ও একজন খদ্দের খুঁজে দেবে বলেছে।

এগুলো বিক্রি করলে
একটু পয়সা আসবে।

কাশির কথায় মনে পড়লো...

আমার জন্য ওর দুধের
ব্যবসা ফুলে-ফেঁপে উঠেছে।

ও একটা দুধের খামার
চালু করতে চায়।

সেই স্বপ্ন পূরণ হলে,
ও আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাবে।

খিদে পাচ্ছে। কিছু বানাসনি নাকি?

বানাচ্ছি এখনই।

কতক্ষণ লাগবে? জলদি দে।

খিদেতে পেট চো-চো করছে।

ওহ!

ভালো হয়েছে তো খেতে?

কী দেখছিস? যা গিয়ে খোল।
আমায় দিয়ে সব কাজ করাতে চাস নাকি?

কী ব্যাপার? কতবার বললে শুনবে?

আমার দিদি তোমাকে বিয়ে করবে না।

ও তোদের বিয়ের পর
আমাকেও সঙ্গে করে নিয়ে যেতে চায়।

আমি কীকরে যাই তোর সাথে?

এখন গ্রামের প্রতি
আমার একটা দায়িত্ব আছে।

আর যদি আমাকে
শহরে নিয়ে যেতে চাও,

তাহলে সেই আশা বাদ দাও।
আমার কাছে অনেক কাজ আছে।

আমি বলে দিয়েছি এটা সম্ভব নয়।

কী?

শোনো, সবাই।

আগামীকাল অঞ্জনাদ্রির নির্বাচনের
জন্য মনোনয়ন নেয়া হবে।

এইবার যেন ও বাঁচতে না পারে।

এই প্রথমবারের মতো, অঞ্জনাদ্রিবাসীরা
ভোটের মাধ্যমে তাদের নেতাকে বেছে নেবে।

এই আমূল পরিবর্তনের
কাণ্ডারি হলো হনুমান্তু।

আমার বন্ধু।

এতদিন ওর সাথে আমরা
লোফারের মতো ব্যবহার করে এসেছি।

আমাদের চোখে ও ছিল পকেটমার।

ম্যাডাম, এখন কি আমার গুণগান
গাওয়ার কোনো প্রয়োজন আছে?

আমাদের হেডমাস্টার স্যার এখানে রয়েছেন
ওনাকে মনোনীত করা যাক।

উনি আমাদের বাচ্চা-কাচ্চাদের
মতো এই গ্রামেরও উন্নয়ন করবেন।

রাজি! উনি রাজি!

হয়ে গেছে। মনোনয়ন শেষ।

যাক বাবা।

আর কোনো প্রার্থী আছেন?

আর কে ভোটে দাঁড়াবে?
এটাকেই সর্বসম্মত করো।

- আমি ভোটে দাঁড়াবো।
- হাহ?

মোষের মতো কে চিল্লাচ্ছে?

হাট!

ভাগ।

এই! পাখির বাসা! নিজের তো
ইঁদুরের বিষ বেঁচে দু'বেলা ভাত জোটাস।

- তুই নির্বাচন সম্পর্কে কী বুঝিস?
- এই।

প্রিয় গ্রামবাসীরা!

আমায় ভোটে জেতালে,
রাসাম রাইসের সাথে..

দুই কেজি তেঁতুল আর পাঁচ কেজি
মসুর ডাল একদম বিনামূল্যে দেবো।

গুণেশ্বর রাও, জিন্দাবাদ!
গুণেশ্বর রাও'কে ভোট দাও।

- ওকে ভোট দিলে, আমরা রসাতলে যাবো।
- গুণেশ্বর রাও।

কে ভোট দেবে ওকে?

কোনো শিক্ষক জিতলে, সে শুধু
আপনাদের নার্সারির ছড়া পড়াবে।

যদি মুদিখানার দোকানদারকে জেতান,

তাহলে ছোট-ছোট ড্রেস
পরা সোনামণিদের হামি পাবেন।

মনে রাখবেন!

আমার নাম গুণেশ্বর রাও।
আমার চিহ্ন হলো...

বাচ্চা হাতি!
ঢাক বাজাও।

এই! এই!

এই, ওর অবশের প্রভাব কেটে
যাওয়ার কথা। এবার খুলে দাও মুখটা।

ও আমাদের দেখে ফেলবে, বস।

তাহলে আমরা মুখ ঢেকে নেবো?

এতগুলো মাস্ক নেই, বস।

শ্যাজাম!

ওর জ্ঞান ফিরেছে তা জানবো কীকরে?
আগে ওর মাস্কটা খুলে দেয়া যাক।

চীফ।

আমি ওর পেট থেকে কথা
বের করবো। শুধু দেখতে থাকো।

কী? অবাক লাগছে?

- হুম?
- আমরা কোথায়?

হুম। শ্যাজাম!

আমায় এখানে কেন নিয়ে এসেছেন?
আর বেঁধেই বা কেন রেখেছেন?

তোমার শক্তির আসল কারণ জানতে।

- মনিবাবু!
- সাধারণত, লোকে মারধোরের সাহারা নেয়।

কিন্তু আমিই নিই কেমিক্যালের।

সিরি, মূল পয়েন্টে আসো।

আচ্ছা, চীফ। আমি
দুই মিনিটে সত্যিটা বের করছি।

বলো। তোমার রহস্য কী?

বলেছিলাম তো। কাশির
মোষের দুধ খেয়ে এমন শক্তি পাই।

গ্রামের যে কাউকে জিজ্ঞেস করে নাও।

ওহ, তাই বুঝি?

আমি মূর্খ হলে,

বলতে যে, তোমার শক্তি এই
রঙিন পাথরটা থেকে আসে।

খোঁজ নিয়ে জেনেছি তোমার
এই শক্তির রহস্য কোনো মণিবাবু।

আমরাও জানি তুমি
ওর থেকেই শক্তি পাও।

সিরি...

মণিবাবুটা কে?

কীসের মণিবাবু?

আমি শুধু মহেশ বাবুকে চিনি।

এই! তোমার শুধু টাকা চাই, তাই তো?
টাকার জন্য বলছো না, তাই তো?

বলে দাও, তোমার
টাকার বন্দোবস্ত করে দেবো।

- সিরি।
- আমায় কথা বলতে দাও, চীফ।

বলো!

ছাড়ো আমাকে! মিনাক্ষী বিপদে আছে।

- আমায় যেতে হবে।
- ভালোয়-ভালোয় বলে দে।

- সিরি!
- দাঁড়াও রে, ভাই।

বললাম তো আমি কথা বলছি।
সিরি-সিরি বলে চিল্লে যাচ্ছো কেন?

এই...

মেরে তক্তা বানাবো তোকে...

শ্যাজাম!

আমার সাথে বেশি
তেড়িবেড়ি করবি না, বুঝলি?

বল।

কী করবি এবার?
মারবি বুঝি?

- কেন? ভেবেছিস আমি পারবো না?
- হাহ?

- আচ্ছা? তুই মারবি?
- ভেবেছিস আমি তোকে মারতে পারবো ন?

আচ্ছ, তাহলে মেরে দেখা।

ঠাকুমা, আমের আঁচার হয়েছে?

একটু সবুর করো, মা।

ছেলেদের দিয়ে আগে গাছ
থেকে আম পাড়তে হবে।

তারপর আমগুলোকে
টুকরো-টুকরো করে কাটতে হবে।

তারপর সেটাকে নুন আর
গুঁড়ো লঙ্কা দিয়ে মেখে দেবো।

তারপর তাতে সরষে গুঁড়ো
মিশিয়ে তেলে ভিজিয়ে দেবো।

এতকিছু কাজ সারতে-সারতে,
সন্ধ্যা হয়ে যাবে।

ওহ!

আচ্ছা। আমি সাহায্য করবো?

তুমি কেন এত ঝামেলা পোহাতে যাচ্ছো?

হাহ!

- ইয়েহ!
- ইয়েহ!

আহ!

কাজ হয়েছে?

কী এটা?

আমের আঁচার।

তোর দস্যু দলকে পিস-পিস
করে লঙ্কা গুঁড়ো মাখিয়েছি।

আমরা বাচ্চাদের মতো
কেন লড়ে চলেছি?

আপনার সরপঞ্চ হওয়ার মনোনয়ন।

তুই ক্ষমতা ভালোবাসিস।
আমি ভালোবাসি মিনাক্ষীকে।

আমি তোকে তোর ভালোবাসা দিয়ে দিলাম।
তাই আমাকে দয়া করে এবার আমার
ভালোবাসাকে নিয়ে শান্তিতে থাকতে দে।

তুই জিতে গেলে গ্রামবাসী
তোর নেতৃত্ব দেখে ভাববে...

"গজপতি বাবু কত্ত পাল্টে গেছে।"

কিন্তু যদি মনে এখনো কুবুদ্ধি পুষে রাখিস,

গ্রামবাসীরা ভাববে ডাকাতদের
হাতে গজপতি বাবু মারা পড়েছে।

এবার হাঁটতে পারবি।

আসি, কর্তা।

এই, সিরি।

বলো, কী সাহায্য লাগবে।

তোমায় নয়। আমাকে বলছে।

বলো, চীফ।

হানুমান্তু'র শক্তির উৎস পেয়ে গেছি।

এটা তো দারুণ খবর, চীফ।

শিগগিরি MFG ৪২ ড্রাগের
মাত্রা বাড়িয়ে ১ টন রেডি করো।

ওর জন্য অতটা
প্রয়োজন পড়বে না, চীফ।

১ টনে তো পুরো গ্রাম বশে এসে যাবে।

কী করতে চাইছো, চীফ?

এটা সাংঘাতিক।

শক্তিটা ওর কাছে থাকলে,
শুধু গ্রামবাসীদেরই ফায়দা হবে।

কিন্তু আমাদের কাছে থাকলে,
এটা দিয়ে পুরো দুনিয়াকে সাহায্য করতে পারবো।

না, এটা ঠিক নয়, চীফ।

গবেষণার নামে কতগুলো ইঁদুরকে
মরণ-যন্ত্রণা দিয়েছো বলো তো?

ওরা স্রেফ ইঁদুর, চীফ।

গ্রামকে নিরাপদ রাখতে
জন্তু-জানোয়ারদের বলি দেয়া হয়েছে।

আমরা পৃথিবীর কল্যাণের স্বার্থে
ছোট্ট একটা গ্রামের বলি দিতে পারি না?

কী?

সর্বমঙ্গলের ন্যায়, বলিদান আবশ্যক।

সুপারহিরো হতে চাওয়ার মোহে,
তুমি সুপারভিলেনে পরিণত হচ্ছো।

কী বলছো কোনো ধারণা আছে?

তোমার মতো, ছোটবেলায় আমার বাবা-মা'ও
আমার স্বপ্নের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল, সিরি।

ঘরে আগুন লাগার পর,
আমি বেরিয়ে আসতে পেরেছিলাম।

কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছো
তারা কেন পারেনি?

মাইকেল। মাইকেল।

দরজা খোল, মাইকেল।

প্লিজ! মাইকেল, দরজা খোল।

দরজা খোল, মাইকেল।

ব্যাঙ্ক ডাকাতগুলোকে মারার
কোনো প্রয়োজন ছিল না।

কিন্তু কখনো চিন্তা করেছো ওদের
অত নৃশংসভাবে কেন মেরেছিলাম?

সুপারহিরো!

তুই কীসের সুপারহিরো!
অপদার্থ!

তোমার আসল রূপটা জানা দরকার সবার।

তোমার মতো কেউ
সুপারহিরো হতে পারে না।

ভেবেছিলাম আমার ও আমার
স্বপ্নের প্রতি একমাত্র তোমারই আস্থা আছে।

তুমি শুধু আমার পরিকল্পনাকে
পূরণ হতে বাধা দিচ্ছো।

আমার কাছে ফর্মুলা আছে।

- হেই, সিরি।
- হ্যালো।

গুরুতর অ্যাজমা অ্যাটাক এলে
কোনো ব্যক্তি কতক্ষণ বাঁচতে পারে?

কয়েক মিনিট মাত্র।

- বিদায়, সিরি।
- বিদায়।

শ্যাজাম!

চীফ।

পাথরটা পেয়ে গেছি।

হনুমান্তু'র কী করবো?

মেরে ফেলো।

রাতেরবেলায় ওর শক্তি
থাকে না। মেরে ফেলো ওকে!

জয় শ্রী রাম।

মারো ওকে!

“Ram…”

“Ominous battle call rending the sky,
a chilling, ferocious cry”

মনিবাবু!

মনি...

কোথায় ফেলে দিলাম?

হ্যালো, হ্যালো!

মার্ক?

ও মরেছে?

শুনুন।

এই মুক্তোটা আমার।

জানি।

সেটাই সুনিশ্চিত করতে এসেছি।

এই!

হাই!

সর্বনাশ!

এমন একটা শুভ লগ্নে
এই হতভাগাটা কী করছে?

তুই শুধরাবি না বল, হনুমান্তু।

কী হয়েছে, চাচা?

এই গ্রামের মান-সম্মান ধূলোয় মেশানোর উদ্দেশ্য
না থাকলে, আমাদের দাতার জিনিস কেন চুরি করলি?

কী বলতে চাইছো, চাচা?

এই, এটা তোর নতুন নাটক?

বিয়েতে বিঘ্ন ঘটাস না।

আমিও সেটাই বলছি।

কোনো হট্টগোল সৃষ্টি হওয়ার আগে...
যেটা চুরি করেছো ফেরত দিয়ে দাও।

কর্তা, ভুলে গেলে হনুমান্তু এই
গ্রামের জন্য কতকিছু করেছে?

কোনো প্রমাণ ছাড়া একটা বাইরের
লোকের কথা কীভাবে বিশ্বাস করে নিচ্ছো?

প্রমাণ... আছে।

এই! এটা তো হনুমান্তু।

এখানে কোনো সিনেমা চলছে না!

আর এই গুণধরের
ব্যাপারে সবাই জানে।

ওর বাড়ির তল্লাসি নিলেই সত্যিটা
সবার সামনে বেরিয়ে আসবে।

কী হচ্ছে এসব?

আমি গিয়ে দেখছি।

ধরা পড়েছিস, চোর।

তো, এই করে তোর
দিদির বিয়ে দিচ্ছিস!

আমার কাছে টাকাটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।

তবে আমার পরিবারে প্রতি প্রজন্মে
এক মূল্যবান আমানত সপা হয়।

একটা মুক্তো... এখানেই থাকার কথা।

হে, ভগবান।

এখন সেটা এখানে নেই।

মা, উঠো না।
লগ্ন ছেড়ে ওঠার নিয়ম নেই।

প্লিজ, ফেরত দাও ওটা।

- এই।
- হনুমান্তু।

ওখানেই বস, তুই ওর
আসল রূপ দেখিসনি।

আর চুন-কালি মাখাস না আমাদের মুখে।

যেটাই হয়ে থাকুক...
দিয়ে দে ওনাকে।

তোমার কাছে আর
কোনো বিকল্প নেই, হনুমান্তু।

প্লিজ, ফেরত দাও ওটা।

- আরে! মুক্তোটা ওর'ই।
- হ্যাঁ। এটা হনুমান্তুর।

ফেরত দাও।

এটাই।

ইয়েস!

"তবে আমার পরিবারে প্রতি প্রজন্মে সপা
এক মূল্যবান আমানত, একটা মুক্তো... এখানে থাকার কথা।"

একটা মুক্তো আর ম্যাগনিফায়িং
গ্লাসের তফাৎ বুঝিস না?

এটা ওর হলে বুঝে যেতো।
মুখে পুরো ঝামা ঘষে দিয়েছিস ওর।

বলির পাঠার মতো...

তোমরা ওকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করে নিয়েছিলে,
কারণ ও হাসপাতাল বানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

তো, দেখলে তো আসল চোর কে?

আরে, আমরা আপনাকে সদয় ও সজ্জন
ব্যক্তি ভেবেছিলাম। কিন্তু দেখুন নিজের কীর্তি।

ওর সাথে মুখ কেন লাগাচ্ছেন?
গ্রাম থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিন।

নয়তো বলবে... 'আহ!

এটাই তো!

এটাই! আহ!'
এভাবে নাটক করতে থাকবে।

ও এই গ্রামে এটার খোঁজে এসেছে।

খতম করো ওকে!

হনুমান্তু।

পোলারাম্মার দিব্যি!

আমার ভাইয়ের গায়ে হাত দিলে,
তোদের মাথা নারকেলের মতো ফাটাবো।

সাক্ষাৎ মা দূর্গা!

হনুমান্তু!

- দিদি!
- অঞ্জনাম্মা।

দিদি!

এই! ওরা পালাচ্ছে।
ধরো ওদের।

এই, কাশি।

কাশি।

আমায় ক্ষমা করে দিস।

তোকে বিশ্বাস করিনি আমি।

তাকে হাসপাতালে নিয়ে চলো।

তোর কিচ্ছু হবে না, দিদি।

দিদি! দিদি!

দিদি!

দিদি, চোখ খোল।

দিদি!

দিদি... ওঠ! দিদি!

দিদি...

শোনো সবাই! গ্রহণ শুরু
হওয়ার আগে সবাই বাড়ি চলো।

বস, ওটা গ্রামেরই কোনো জায়গাতে পড়েছে।

ওদিকে যাও! তোমরা দু'জন।

মন্দিরের আশপাশটা দেখো।

তন্ন-তন্ন করে খোঁজো।

হনুমান্তু!

গ্রামে ধোয়া ভরে গেছে।

মাইকেল মুক্তোটা খু্ঁজছে।

সবাই কেমন যেন স্থির হয়ে গেছে।

কিছু একটা অলক্ষুণে ঘটতে চলেছে।

কিছু একটা করো, হনুমান্তু।

আমি নিজের দিদিকেই
বাঁচাতে পারলাম না।

গোটা গ্রামকে কীকরে বাঁচাবো?

- মাইকেল মুক্তোটা পেয়ে গেলে...
- পেতে দাও।

মুক্তোটাই যত নষ্টের গোড়া।

মুক্তোটা না থাকলে, আমার দিদি...

রক্তপাত ও প্রিয়জনদের হারানো ব্যতীত,
কোনো যুদ্ধের অবসান ঘটে না।

সঞ্জীবনী প্রভু শ্রী রাম
পাওয়ায় ধর্মের বিজয় ঘটে।

যদি সেটা রাবণ পেতো,
তাহলে কী ঘটতো?

যে মুক্তোটাকে অগ্রাহ্য করে
ছুড়ে ফেলে দিয়েছো...

সেটা স্বয়ং প্রভু হনুমানের
রক্ত দিয়ে নির্মিত এক মহৎ রুদ্রমণি ছিল।

প্রভু হনুমানের যে ক্ষমতা সূর্যকে
গ্রাস করতে পারে, সেটা তুমি পেয়েছো।

মুক্তোটা আমার কাছেই কেন এলো?

সীতা মা'র ফেলে দেয়া গহনা
শুধুমাত্র প্রভু হনুমানই কেন পেয়েছিলেন?

পথ তার জন্যই নির্মাণ হয়,
যে তার সন্ধানে থাকে।

আসন্ন যুদ্ধের শঙ্খনাদ হলে তুমি।

সংকোচ হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।

রাবণের মৃত্যুর পর, রাজ্য শাসনের
ভার তার ছোট ভাইয়ের ওপর অর্পিত হয়।

এই দায়িত্ব সামলাতে
যখন সে সংকোচ করে,

ঠিক সেসময় তার মিত্রের আবির্ভাব হয়।

তাকে তার কর্তব্যের কথা স্মরণ করিয়ে,
আত্মবিশ্বাস জুগিয়ে তাকে সিংহাসনে বসান।

সেই মিত্র ছিলেন... অঞ্জনি পুত্র,
পবন দেবতার আশীর্বাদ প্রাপ্ত...

শ্রী হনুমান।

লঙ্কায় যে রাজার রাজত্ব সমৃদ্ধির
সহিত আজও বিরাজমান...

সে এই বিভীষণ।

তুমি শুধুমাত্র একজনের
অধর্ম দেখছো।

কিন্তু এর পেছনে বিপর্যয় আসন্ন।

মানুষ ও অসুরদের মধ্যে
এক যুদ্ধ হতে চলেছে।

রুদ্রমণির শক্তির আতঙ্ক
অসুরদের মনে কম্পনের সৃষ্টি করে...

মুক্তোটা অশুভ হাতে গিয়ে...

পুরো ব্রক্ষ্মান্ডে প্রলয়
আনা থেকে প্রতিহত...

শুধুমাত্র তুমিই করতে পারবে।

আমি একা।

কীভাবে পারবো সেটা?

এক?

যিনি, এক লাফে গোটা
মহাসাগর পার করেছিলেন...

“A hundred megametres, a total hundred…
A full length of an ocean, he leaps across”

যিনি অসুরদের সেনার বিনাশ ঘটিয়ে
রাবণের সিংহাসনে কম্পন এনে দেন!

যিনি, এক অগ্নিশিখায় গোটা
লঙ্কা জ্বালিয়ে দেন।

ত্রেতা যুগে তিনি ছিলেন শ্রী রামের ছায়া।

দ্বাপর যুগে তিনি ছিলেন
কৃষ্ণ ও অর্জুনের রথের ধ্বজচিহ্ন।

কলিযুগে সমস্ত ধর্মযোদ্ধার
ওপর তার আশির্বাদ বিরাজমান।

তোমার ওপরও ওনার আশির্বাদ রয়েছে।

(Vocables)

শত্রুর অত্যয় স্বার্থপরতা।

তোমার সদগুণ দয়াশীলতায়।

স্বার্থপরতার হবে পর্যদুস্ত।

দয়াশীলতা হবে বিরাজমান।

দয়াশীলতার অস্তিত্ব যেখানে,
সেখানেই বসত শ্রী হনুমানের।

যেখানে শ্রী হনুমানের বসত,
সেখানে বিরাজ করে বিজয়।

মেরে ফেলো ওকে।

ড্রোনের কন্ট্রোল মাইকেলের
কাফেলায় রয়েছে।

- তুমি ওখানে যাও।
- কিন্তু কীভাবে?

আমি সাহায্য এনেছি।

অঞ্জনাদ্রির খাতিরে...

চীফ!

ওই!

এই, হনুমান্তু।

হনুমানজি প্রচুর শক্তিশালী।

কিন্তু লোকমান্য তিনি ভগবান
রামকে সাহায্য করার পরই হয়ে ওঠেন।

তোকে অঞ্জনাদ্রির যেকোনো বিপদের
মোকাবিলার জন্য এগিয়ে আসতে হবে।

শোন, বাবু।

সুপারহিরো হওয়ার জন্য বিশেষ
কোনো ক্ষমতার প্রয়োজন পড়ে না।

সুপারহিরো তাকেই বলে যে নিজের ক্ষমতার
ঊর্ধ্বে গিয়ে অধর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়।

পিটার!

পিষে ফেল ওকে।

এই, হনুমান্তু!

এক বানরের সহায়তায়
রাবণও পরাজিত হয়েছিল,

তো, ও কোন হরিদাস পাল?
ধর এটা!

জয়, হনুমান!

ইয়েস!

শ্যাজাম।

সিরি?

ডক্টর সিরিবানেলা সর্বদা
সুপারহিরোর পক্ষে থাকে...

তোর মতো সুপারভিলেনদের নয়।

ইয়েস! ইয়েস!

চলো! চলো এখনই!
উপরে নাও। জলদি।

পাওয়ার বাড়াও।

ক্যাপ্টেন! পাওয়ার বাড়াও।

অনর্থ!

রুদ্রমণির পতনের সাথেই
ঘোর অমঙ্গলের ছায়া নেমে এলো।

মহা ধর্মযুদ্ধ আসন্ন।

মানবসভ্যতাকে বিনাশের হাত থেকে রক্ষা করতে,
আপনার আগমন অত্যাবশ্যক, হনুমা।

আপনাকে দেয়া প্রতিজ্ঞা আমি বহাল রেখেছি।
"আপনার মহিমা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ুক।"

সময় এসে গেছে, বন্ধু,
শ্রী রামের কাছে নেয়া শপথ পূরণ করার।

অনুবাদ ও সম্পাদনায়
আকাশ বসাক

মুভিটি বাংলা সাবটাইটেলের সহিত উপভোগের জন্য ধন্যবাদ।