All language subtitles for Ambajipeta Marriage Band Bsub by SUDIP

AMBAJIPETA MARRIAGE BAND
ভাষা : তেলেগু
রানটাইম : ০২:১০:০৬

ভালো গল্পের উপসংহার
প্রতিশোধ হতে পারে,

কিন্তু দুর্দান্ত গল্পের সূচনার
সাথেই সমাধান সংযুক্ত থাকে।

আসন্ন গল্পটি কোনো
সাধারণ বর্ণনা নয়,

এটি আবর্তিত হয়
দুই হাজার জন সদস্য মিলে,

এক শয়তানকে শিক্ষা
দেবার কাহিনীকে ঘিরে।

কাহিনীটা দু'জন যমজের,

যাদের জীবন জন্মের
পরপরই একেবারে পাল্টে যায়।

এটা বাদ্যযন্ত্রের তালে আবর্তিত
মেলাম ব্যান্ডের গল্প।

মা, আমার শার্ট কোথায়?

বিছানায় আছে।
দেখতে পাচ্ছিস না?

মল্লি, প্রস্তুত হয়েছিস?

অপেক্ষা কর! আসছি।

সে নিজেকে ফিটফাট
করতে ব্যস্ত।

আয়নাটা শুধুমাত্র
তোর জন্যই নাকি?

এমনকি একটি মেয়েও সাজতে
এত সময় সময় নেয় না।

সাবধান!

এতবার আঁচড়ালে তোর চুল
পড়া শুরু হবে।

স্কুলে যাচ্ছিস, তাই না?
তোর দিকে কে তাকাবে?

আর তুই?

তুই কি কনে দেখতে যাচ্ছিস?

ব্যান্ড বাজাতে যাচ্ছিস,
তাই না?

আমি যখন পারফর্ম করবো,
তখন তারা আমার দিকে তাকাবে।

ছাড়!

আমার দেরী হয়ে যাচ্ছে।

পাদু, তোর বাক্স নে।

না খেলে, রাতে একই জিনিস
খেতে হবে।

মা, তোমাকে কতবার বলেছি,
আমাকে পাদু বলে ডাকবে না?

আমাকে পদ্মা বলে ডাকো।

ঠিক আছে।

মা, আমি আসছি।

ঠিক আছে। সাবধানে যাস!

মা, আসছি।

মল্লি !
মল্লি !

এই বাক্সটা তোর
বাবার হাতে দিস।

এখন আমাকে
এই কাজও করতে হবে।

বাইরে যাওয়ার সময় কি
নিয়ে যেতে পারে না ?

এভাবে চলতে থাকলে আমি বিয়ে
বাড়ির বদলে আপাগিন্থালু চলে যাবো।

তোর যাবার পথে পড়ে, তাই না?
তার হাতে দিয়ে দিস ।

এটা ধর।

ইউনিফর্ম পরে নেই কেন?

লক্ষ্মী বিয়েতে
যোগ দিতে যাচ্ছে।

কিসের গন্ধ?

আমি ব্রিলক্রিম দিয়েছি মাথায়।

তোর চুলে ব্রিলক্রিম দিয়েছিস।
ফালতু নষ্ট করলি।

পথেই শুকিয়ে যাবে।

তারপর, আমাকে দেখতে
সুন্দর লাগবে।

চলতে থাক!

বাবা!
- হ্যাঁ।

তোমার বাক্স নাও।

এনেছিস?

বিয়ের সময় কখন?

তোমাকে কেউ আমন্ত্রণ জানিয়েছে?

আমাদের গ্রামের লোকের বিয়ে,
নিমন্ত্রনের দরকার কি?

বড়লোকের বিয়ে।

তাদের বিয়েতে কতরকম
তরকারি হবে, তা জানিস কি?

বাক্সে যা আছে, তা খাও।
তোমার জন্য এটাই যথেষ্ট।

আমাকে কি প্রতিদিন বাড়ির
খাবার খেতে হবে?

নামুন।

নমস্কার, মিঃ ভেঙ্কট।

আসুন।
- নমস্কার !

আসুন।
-নমস্কার !

ভাবানুবাদ ও সম্পাদনা :
সুদীপ চক্রবর্তী।

এসব কি, কনকা?

পদ্মা চুক্তিভিত্তিক চাকরি করে,
তাই না?

আপনি বলেছিলেন এমএলএর সাথে কথা বলে, তার চাকরি স্থায়ী হয়ে করে দেবেন।

করে দেবো।

সে রবিবার ফাঁকা থাকে,
তাই না?

তাকে আমাদের কারখানায় এসে
হিসাবের খাতা পরীক্ষা করতে বলুন।

আপনি কি বলেন?
- ঠিক আছে, স্যার।

সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত
তার এখানে কি কাজ?

সে প্রতি সপ্তাহে স্কুলে
ছাত্রদের পড়ায়।

কিন্তু মনে হচ্ছে,ভেঙ্কট বাবুর কাছে
প্রতি রবিবার তাকে শিক্ষা নিতে হবে।

গাধা! তোকে চপ্পলপেটা করবো।

এখানে ঘুরছিস কেন?

এভাবে লুকিয়ে দেখতে
কে শিখিয়েছে?

কখন দেখলাম? নিজেকে মাধুরী
দীক্ষিত ভাবছো নাকি!

চড় খাবি এবার।
তোর মাকে জানাবো।

তিনি তোকে বোঝাবেন,
কে মাধুরী দীক্ষিত।

তাকে জানাই,
এটা চাস কি?

ভেঙ্কটের সাথে যা করেছো, তা ভুল নয়,
আর আমি শুধু দেখলেই, অন্যায়?

এসব কি বলছিস তুই?

কি হয়েছে?

আর কি হতে পারে?

একটি বাথরুম তৈরী করতে
আর কতবার বাবাকে বলবো?

একজন মহিলা কিভাবে
পুরুষদের মত চান করতে পারে?

চিৎকার করছিস কেন?

কিছুই না।

এই সিমেন্টের ব্যাগগুলো এখানে
রাখা হয়েছে কেন?

কতবার বলেছি, এই সিমেন্টের ব্যাগগুলো এখানে রাখবি না।

এখানে পর্যাপ্ত জায়গা নেই।

তাহলে আমাদের বাড়ির
পেছনের শেডে এগুলো রাখি?

আমাদের ঘর?

এসব বন্ধ করে এগুলো
স্কুলের মধ্যে রাখ।

পদ্মা স্কুলে সিমেন্টের ব্যাগ
রাখলে ঝামেলা করছে।

তোর বাড়িতে এগুলো
রাখতে চাস?

না, স্যার।

নরসিংহ, এখানে এসেছো কেন?

আপনার বাড়িতে জিজ্ঞাসা করলাম,
তারা বললো, আপনি বাগানে আছেন।

কি ব্যাপার, বলো।

৫০ হাজার টাকা চাই।

আমি ফেরত দিয়ে দেবো।

যদি সাহায্য করেন...

তুমি ইতিমধ্যেই 3 লক্ষ টাকা নিয়েছো।
আরো ৫০ হাজার টাকা চাইছো?

আগের টাকার ব্যাপারেই তোমাকে
জিজ্ঞাসা করতে চাইছিলাম। আবার?

তোমার কাজ ভালোই চলছে,
তাই না?

তারা চায়, আমরা তাদের বিয়েতে
গান বাজাই, স্যার।

টাকা চাইলে বলছে,
পরে টাকা দেবে।

বিয়ের মৌসুম না আসা পর্যন্ত
আমরা টাকা পাবো না।

আপনি আমাদের ব্যান্ড দোকানের নথিপত্র পেয়েছেন, তাই না?

যদি আমাদের
কিছু টাকা দেন...

জামানত রেখে ৩ লাখ টাকা নিয়েছেন।

ব্যাঙ্কের কাছে এটা চাইলে
তারা কি তোমাকে দিতো?

আমি বলেই এটা
জিজ্ঞাসা করছেন।

ঠিক আছে। দিতে পারি।
কিন্তু সুদ ১০ শতাংশ।

৭ শতাংশ ছিল, তাই না?

একই জামানতে আবার টাকা দিতে হলে সুদের হার সামঞ্জস্য করতেই পারি।

তোমাকে জোর করছি না।
যদি চাও, তবেই নাও।

ঠিক আছে।
আপনার যা ইচ্ছা, তাই করুন।

ঠিক আছে।
বাড়ি থেকে নিয়ে যাও।

আমি আসছি।

এইভাবে চালিয়ে যান।

শেষপর্যন্ত, সে তোমাকে এই নারকেল বাগান একই জামানতে লিখে দিতে বাধ্য হবে।

গ্রামের কেন্দ্রে একটা প্লট
কিনতে কত খরচ হবে জানো?

১৫ লক্ষ টাকা।

তার বদলে যদি আমরা
তাকে ২ লাখ টাকা দিই,

সে ঋণ পরিশোধ করতে পারবে না, এবং আমরা প্লটটা পেয়ে যাবো।

কি মনে করো, আমি তাকে
ভালোবেসে দিচ্ছি?

মল্লি !
- হ্যাঁ।

ভেঙ্কট বাবুর বাড়িতে গিয়ে তার ছেলের
চুল কেটে দিস। তারা আমাকে ডেকেছে।

কতবার তোমাকে বলবো, যে ওদের
বাসায় গিয়ে চুল কাটবো না?

আজ রবিবার। আমি খুব ব্যস্ত।
শুধু এইবারের মত যা।

অজুহাত দিও না।

রবিবার কলেজও ছুটি।

ঠিক আছে।
আমি শুধু এইবার এটা করবো।

আমাকে ওই
বাক্সটা দাও।

বাবা বললেন, তুমি আমাদের
চুল কাটতে ডেকেছিলে।

বৌদি!
চিন্নুর চুল কাটতে এসেছে।

ঠিক আছে।

তুই এখানে তার সাথে ফ্লার্ট করতে
এবং চুল কাটতে এসেছিস।

তাহলে আমাকে নিয়ে
আসলি কেন?

যাতে আমার কাছ থেকে কিছু
শিখতে পারিস।

সে এখানে এখনও
এলো না কেন?

আসছে।

নমস্কার!

সঞ্জীবী, এই নে।
- না, ধন্যবাদ।

ঠিক আছে। খেয়ে নে।

এতে বসো।

মল্লি, তোর বাবা এই কাজ বছরের পর
বছর ধরে করছে। এখন তুই করছিস।

তাকে আঘাত দিস না, সতর্ক থাকিস।
ঠিক আছে?

ঠিক আছে।

লক্ষ্মী, নজর রাখিস।
আমার কিছু কাজ আছে।

ঠিক আছে, দিদি।

এক মিনিট।

ধন্যবাদ।

চুলের কেমন স্টাইল করবো?

তোমার বাবার মতো
কোরো না।

চিন্নু ! বড়দের সাথে
এইভাবে কথা বলিস না।

কী ব্যাপার?
তোর হাত কাঁপছে কেন?

দেখ, এখন কি করি।

এই গ্রামে সেরা চুলের স্টাইল
কেবল আমার বন্ধুই করতে পারে।

তার মানে কি সে নিজের
চুলের স্টাইলও করে?

যদি আমার বন্ধু এখানে ব্যান্ড পরিবেশন করে, তাহলে আম্বাজিপেটা সেন্টার পর্যন্ত শুনতে পারবে।

সত্যিই?

তার মানে, যদি ওখানে বিয়ে হয়,
তাহলে তুমি এখানে পারফর্ম করবে?

হয়ে গেছে?
- হয়েছে, ম্যাডাম।

তোর চান করা উচিত।
-ঠিক আছে।

এটা তার জামাকাপড়।
বেশিদিন পরে নি।

তোকে ভালো দেখাবে।
নিয়ে নে।

না।

নিয়ে নে।
তোকে ভালো দেখাবে।

এই নে।

আমাকে এটা দিয়েছেন।
এটাই যথেষ্ট।

না, না।
এটা রাখ।

মল্লি, ঘুমিয়ে পড়েছিস?

না। ঘুম আসছে না।

মল্লি, তুই কেমন মেয়ে চাস?

অনেক তারা আছে, তাই না?

এমন একটি দৃশ্যকল্প কল্পনা কর,
যেখানে অসংখ্য তারা...

একটার মধ্যে একত্রিত হয়েছে।
আমি সেই ধরণের মেয়ে চাই।

তার জন্য, যত সংখ্যক তারা আছে,
ততবার তোর জন্ম নেবার দরকার।

তুমি এখনো ঘুমাও নি?

ঘুমিয়ে পড়ো।

তুই কী ধরনের ছেলে চাস?

দূরত্বের কারণে,
আমি তারকার সন্ধান করছি না।

তবু, কলঙ্ক থাকলেও চাঁদ, একটি মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপস্থাপন করে।

চাঁদের মতো মানুষ চাই।

ওটা কী?
কুকুর?

না।
তোর চাঁদ।

তাকে ডাকবো?

কি? ভয় পাচ্ছিস?

আমি? ভয়?

আমি ভয় পাচ্ছি।
এখানে ঘুমা।

মাঝখানে ঘুমাবো।

গতকাল আমরা কত পর্যন্ত পড়েছি?
আমাকে বলো।

আমরা ব্যঞ্জনবর্ণ শিখেছি।

গ্রামের সবার ঋণ আছে,
কিন্তু তাদের নেই।

তারা ঋণগ্রস্ত হবে কেন?
তারা জমির মালিক।

যদিও তার ঋণ আছে, সে যেখান
থেকে ইচ্ছা টাকা নিতে পারে।

যতই চেষ্টা করো না কেন,
সে তোমার দিকে তাকাবে না।

সে তার ব্যক্তিত্ব নিয়ে চলে।

সে দেখতে চাইলে ভেঙ্কটের দিকে
তাকাবে। আমাদের দিকে তাকাবে কেন?

নাম করতে না করতেই সে হাজির
হয়ে যায় কি করে?

সে সত্যিই আশীর্বাদধন্য।

চল, যাওয়া যাক।

চল, যাই... দৌড়ো...

মনে হয়, সে তাকে পটাবার
চেষ্টা করছে ..

ব্যাগগুলো বাইরে ফেললি কেন?
ভিতরে নিয়ে আয়।

ঠিক আছে।

পদ্মা, পড়ানো কেমন চলছে?

ভেঙ্কট, সিমেন্টের বস্তার ধূলোর কারণে
শিক্ষার্থীদের অস্বস্তি হচ্ছে।

এই সমস্যার সমাধান
করতে পারো?

আমাদের এখান থেকে সেগুলো সরাতে
হলে, অন্য জায়গা খুঁজতে হবে, তাই না?

আমি দেখছি।
কাজ চালিয়ে যাও!

সবাই আপনাকে মিস্টার ভেঙ্কট বলে ডাকলেও সে নাম ধরে ডাকে।

তার একটা ব্যক্তিত্ব আছে।
আর কতদিন সহ্য করবেন?

এমন কিছু বানিয়ে বলেন না কেন যা
গ্রামবাসীরা সত্য বলে বিশ্বাস করবে?

এর পরে, আপনি যা বলবেন
সে তা শুনতে বাধ্য হবে।

এটি কোনো বড় ব্যাপার নয়, কিন্তু লোকেরা আমার সাথে ছ্যাবলামি করবে।

সার হিসেবে ব্যবহার করি বলে
কি মানুষ ঘরে গোবর আনে?

প্রতিটি জিনিসের সঠিক জায়গায়
থাকা উচিৎ।

তাহলে তার বাবার অনুরোধের ভিত্তিতে
কেন তার চাকরি স্থায়ী করা হলো?

আমি না করলে, শিক্ষিত হবার কারণে,
সে নিজেই চাকরি যোগাড় করতো।

কিন্তু এখন, মনে হচ্ছে,
আমি তাকে সুপারিশ করেছি।

আপনি স্কুলের জন্য
কিছু জায়গা দান করেছেন।

এখন, সে বলছে আপনি নিজের জন্য
জায়গাটা ব্যবহার করতে পারবেন না।

তাকে পাত্তা দেবার দরকার কি?

এই! তাড়াতাড়ি কর।

ঠিক আছে।

তোরা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত?
-হ্যাঁ, ম্যাডাম।

খুব ভালো।

এগোনো যাক!

নমস্কার, মিস্টার সেনু।

তোর কি মনে হয়,
লক্ষ্মী আজ কলেজে আসবে?

আমার অ্যাকাউন্টে
৪টি চা যোগ করো।

তোমার শালা ওখানে আছে।
গিয়ে জিজ্ঞাসা করো।

কোন বেকুব এই
বাহনটিকে পথে রেখেছিল?

কি বললে?

এই গাড়িটি কি আপনার?

দুঃখিত স্যার...
আমি দেখিনি।

আমার বিরুদ্ধে গালিগালাজ
করার সাহস কি করে হয়? তুই...

ক্ষমা চাইবার পরেও
মারছেন কেন?

দেখতে পাস না?

তুমি থামো...

তাকে ছেড়ে দিন।

তাকে মারলে
তুমি বিরক্ত হচ্ছো কেন?

না, না.. প্লিজ।

তুইও পিট্টাই খেতে চাস নাকি?

বাধা দিচ্ছিস কেন?

গিয়ে ব্যান্ড বাজা।

সে শুধু আমাকে মাপছে।

আমার বিরুদ্ধে যাওয়ার
সাহস হয় কি করে তোর?

কি?

কি?
-কি?

কি?

তুই... বজ্জাত.

তুই...

কত দুঃসাহস তোর?

মার শালাকে।
মার...

কি বললি?

মার শালাকে।

মার...

একটা লোককে
কোণঠাসা করে মারছো?

নয় তো কি?
ভেবেছিলে, আমাদের সবাইকে পেটাবে?

ক্ষমা চাওয়া সত্ত্বেও
তাকে মারধর করেছো।

আমি তোমাদের
সবাইকে দেখে নেবো...

যা ইচ্ছা বললেও আমরা চুপ
করে থাকবো, ভাবছো নাকি?

আমি বলবো... বলবোই।

তোদের শিক্ষা না দিতে পারলে
আমার নাম সুন্দরম নয়।

আকাট কোথাকার!

কী দেখছো?
এখান থেকে কেটে পড়ো!

এই নিন!

ঠাণ্ডা জল নেই?
-না, স্যার।

একটা কথা বলুন।

এখানে এসেছেন কেন, তারা মামলা করেছে জানাতে নাকি ব্যাখ্যা করতে?

আপনার দিকে এটা
ছুঁড়বো না... বলুন।

আমি আপনাকে ব্যাখ্যা দিতে
এখানে আসি নি।

আপনার ভাই তাদের বিরুদ্ধে
উল্টোপাল্টা বলেছে।

তারা আমাকে তার বিরুদ্ধে
মামলা করতে চাপ দিচ্ছে।

তোমার ভাই শিক্ষিত।

সমস্যা কি?

তারা আপনাকে চাপ দিচ্ছে?

তাই, আপনি এখানে আমাকে
চাপ দিতে এসেছেন?

আপনার কি ভয় করছে?

অনেক দ্বন্দ্ব থাকলেও, সমস্যা
আসলে তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে যায়।

জানি না,
আপনি এটা জানেন কি না...

এই সমস্ত গ্রাম থেকেআমাকে ৫০
লাখ টাকার ঋণ সংগ্রহ করতে হবে।

তারা ঋণ শোধ করতে পারে না,
কিন্ত মানুষগুলো ঐক্যবদ্ধ।

তারা আমাকে উস্কালে, আমি আমার
টাকা ফিরত দেবার জন্য চাপ বাড়াবো।

কোন সমস্যা নেই, স্যার...
আমি এটা বুঝে নেবো।

প্রতি উৎসবে আপনাকে টাকা দিই,
যাতে আপনি এইসব বিষয়ে সাহায্য করেন।

নয়তো, টাকা পাবেন না, এবং
স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন না।

আসুন এবার!

এই আকাটগুলো আমাদের খেয়ে আমাদের বিরুদ্ধেই মামলা করলো কেন ?

প্রথমত, তোর হাড় ভাঙ্গা উচিৎ।

ঝগড়া করতে চাইলে, আগে আমাদের
মান অনুযায়ী মানুষ নির্বাচন কর।

উল্টোপাল্টা লোকের সাথে ঝগড়া
করে আমার সম্মান নষ্ট করিস না।

সে আমার দিকে তাকিয়ে
আছে কেন?

সম্ভবত সে তোর প্রতি আগ্রহী।
তার দিকেও একটু তাকা।

আরে! তারা এখানে।

তাকিয়ে আছিস কেন? বাজা।

মনসান্থা নুভভে সিনেমার
গানের বই কিনবো কি?

পাশাপাশি সন্থাম সিনেমার
গানের বইও কেন।

যেভাবেই হোক, আমাকে সেই সিনেমার
'তেলুসুনা' গানটা মুখস্থ করতে হবে।

এখন জানিয়ে লাভ কি?

তোমার কি?

জানিয়ে রাখলাম।

আমাকে দুটি মনসান্ত গানের বই
এবং একটি সোনথাম গানের বই দাও।

ঠিক আছে।

তুই সবসময় তার দিকে
এভাবে তাকাস কেন?

আমি কেবল তার দিকে
স্বাভাবিকভাবেই তাকালাম।

তোর কি ব্যাপার?

আমিও তার দিকে
স্বাভাবিক দৃষ্টিতেই দেখলাম...

চল, যাই।

আমরা গানের বই কিনেছি,
সে কিভাবে জানলো?

ওই দোকানে প্রসাদ নামে একজন আছে, মনে হয় সে বলেছে।

মল্লি বাজাচ্ছে, মনে হয়।

হ্যাঁ।

মালি সবসময় লক্ষ্মীর
দিকে তাকিয়ে থাকে।

হ্যাঁ, ঠিক।

হ্যালো! হ্যালো! হ্যালো!

আমারও একটা বই আছে।

মালি আমার হয়ে বাজাচ্ছে।
আমি তার আত্মীয়।

তুই যদি তাকে এতই ভালোবাসিস,
তাহলে বলছিস না কেন?

সে তোর আত্মীয়, তাই না?
সে এটা মেনে নেবে।

আমি তাকে বলবো।
কি ভাবিস, আমি ভয় পাচ্ছি?

তাহলে কালকেই গিয়ে বল।

আমি বলবো।

এই নে।
এটা তাকে দিয়ে আয়।

প্লিজ, দিয়ে আয়!

এটা ঠিক হবে না।
- অনুরোধ করছি... যা।

... চিঠি।

চল, যাই! চল, যাই!

ধন্যবাদ!

মল্লি !

লক্ষ্মী তোকে প্রেমপত্র দিয়েছে?

মনে হয় না। হয়তো মুদির
দোকানের মালের তালিকা।

থাম, ভাই।

মেয়েরা যদি তোর প্রেমে না পড়ে, তার মানে এই নয় যে, অন্য কারোর প্রেমে পড়বে না।

কি আছে, দ্যাখ।

তাড়াতাড়ি কর।

দেখিস না! এটি ব্যক্তিগত।

গিয়ে দেখে আয়।

মল্লি, আমি তোমাকে ভালোবাসি।

তুমি যদি আমাকে ভালোবাসো,
তাহলে কাল একটা সাদা শার্ট পরো।

তোমার গৌরী।

না, এটা তোমার গৌরী।

তোর কি সাদা শার্ট আছে,
নাকি আমি দেবো?

কি হয়েছে?

কি হয়েছে?

হাসি থামিয়ে বল
কি হয়েছে।

লক্ষ্মী চিঠি লেখেনি।
এটা গৌরী।

না, এটা তার গৌরী।

গৌরী?

উহু! গৌরীর প্রেমপত্র।

আগেই বলেছি।

এটা মুদির তালিকা নয়।

এটা গৌরীর চিঠি।

মল্লি ! এটা গৌরী?

তাদের সাড়ে আটটায় ছুটি হবার কথা।
এখনও এখানে এলো না কেন?

তারা কি করবে
বলে মনে হয়?

আমি জানি না।
আমি কিভাবে জানবো?

তোর কি হয়েছে?

মল্লি আসতে পারে।

উহু!

সে এসেছে।

আমি বলেছিলাম
যে সে আমার আত্মীয়।

কেন সে কালো শার্ট পরেছে?

তার সাদা শার্ট নাও থাকতে পারে।

গৌরী !

সে তোকে ডাকছে।
যা! যা!

যা.. যা।

মল্লি, তোমার সাদা শার্ট নেই?

কথা বল।

গৌরী !

আমি জানি না,
কেন তুমি আমাকে পছন্দ করো।

আমিও জানি না, মল্লি।

কিন্তু আমি তোমাকে
খুব ভালোবাসি।

আমার কথা পুরোটা শোনো।

তুমি দীর্ঘদিন আমাদের বাড়ির
কাছে থাকতে, তাই না?

আমরা একসাথে বড় হয়েছি।

সেই কারণে আমার মনে
তোমার জন্য কোন অনুভূতি নেই।

ছোটবেলা থেকেই তোমাকে
বোনের মতোই দেখেছি।

আমি দুঃখিত।

তাহলে চিঠিটা কার জন্য?

পার্সেল !
-অপেক্ষা করো!

এই চিঠি লক্ষ্মীকে দিও।

আমাকে ভুল বুঝো না,
এবং তাকে এই চিঠি দিতে ভুলো না।

আমি তোমার কাছে এই আশ্বাসটুকু
চাই, যে তুমি চিঠিটা ওকে দেবে।

চল, যাই।

বাই, গৌরী।

চিঠিটা তাকে দিও।

কোনো সমস্যা?
ফ্যাকাশে দেখাচ্ছে কেন?

তার কি সত্যিই সাদা শার্ট নেই?

শুধু শার্ট নয়,
আমার প্রতি তার ভালোবাসাও নেই।

তাহলে তোমার হাতে
চিঠিটা কেন?

এটা আমার জন্য নয়।

ওর জন্য।

আমার হৃদয় সম্পূর্ণভাবে
তুমি ভরে রেখেছো।

তার মানে,
তুই রীমা সেন?

দেখি তোর উদয় কিরণ
কি লিখেছে।

স্কুলে থাকতেই আমি তোমাকে
গভীরভাবে ভালোবেসে ফেলেছিলাম।

কিন্তু সেটা প্রকাশ করতে
ভয় পাচ্ছিলাম।

আমি জানি, তুমিও আমার
দিকে তাকিয়ে থাকতে।

সত্যিই?

তুই কি তার দিকে
তাকিয়ে থাকতিস?

যদি আমাকে পছন্দ না করো,
তবে উত্তর দিও না।

আমি আর তোমার
সামনে আসবো না।

হে ভগবান,

তার ছন্দ কি জঘণ্য।

যদি আমার প্রতি আগ্রহী হও,

আগামীকাল, দুপুর ১২টার আগে,
এই নম্বরে একটি কল করো।

সোপ অপেরার অভিনেত্রীর মত
আর কতক্ষণ কাঁদবি?

সে বলল, তুই তার বোনের মতো।
তাহলে সে কিভাবে তোকে ভালবাসবে?

শান্ত হও।

তুই বলেছিলি দিস, মল্লি ব্যান্ড শুধু
তোর জন্যই বাজাচ্ছে ।

তোর ভাই, মল্লি,
কি ভালো বাজিয়েছে?

এই, থাম।

তুই কি বলবি?

তাকে ফোন করিস না।

এইসব পাগলামি নিয়ে ভাবিস না।

ঠিক আছে।

তোর দলের এখন কোনো
প্রোগ্রাম নেই?

তারা সবসময় অনুশীলন করছে।

না, কাকা।

কেউ বিয়ে করছে না,
কেউ মারাও যাচ্ছে না।

শুধু ছোট বাজেটের কাজ আছে।
-তাই কি?

নমস্কার, স্যার।

স্যার, আপনি কেন এসেছেন?

ভিতরে আসুন।
সরে যা।

তুমি না...
তুমি এসো!

এসো!

এটা পরিস্কার করো।

হয়েছে স্যার!
- হয়ে গেছে?

নিজের কাজে মন না দিয়ে
অন্যের ব্যাপারে নাক গলাতে যাস কেন?

তোর কি মনে হয়, আমার ভাইকে মেরেছিস, আমি জানি না?

তুই দলকে নেতৃত্ব
দিয়েছিলিস, তাই না?

হয়ে গেছে, স্যার।

হয়েছে?

তলার বাল কাটবি না?

কানাক্য !
-স্যার!

তাকে অন্যের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না
করতে আরেকবার সতর্ক করে দিও।

তোর চার্জ কত?
- ৫০ টাকা।

এই নে।

আমার কাছে মাত্র ৩০ টাকা আছে।

এটা নিয়ে নে।

মনে হয়,
শার্টটা আমার।

হ্যাঁ।

তুই পরার পরেই
এটি নোংরা হয়ে গেছে।

চল, যাই।

হ্যালো!

হ্যালো!

লক্ষ্মী?

হ্যাঁ।

তুমি কি আমাকে পছন্দ করো না,
এই বলতে ফোন করেছো কি?

তোমার প্রতি ইতিবাচক মনোভাব থাকলে
তবেই ফোন করতে বলেছিলে তো?

তাহলে কথা
বলছো না কেন?

আমি তোমাকে পছন্দ করি,

কিন্ত্ত, তোমাকে এটা বলতে ফোন করেছি, এতে কোনো কাজ হবে না ।

তুমি কি ভাবছ, এইসব বললে,
আমি তোমাকে যেতে দেবো?

আচ্ছা।
আমি তোমাকে পছন্দ করি।

তুমি আমাকে পছন্দ করো।

এখন এতে কি লাভ হবে?

আমাকে বলো।

তোমার কি মনে হয়,
আমাদের বিয়ে কেউ হতে দেবে?

ঠিক আছে।

আমি একজনকে ভালোবাসি।

কোন গ্যারান্টি আছে কি,
আমি তাকেই বিয়ে করবো?

বাকি সব ভুলে যাও। অন্তত দুজনে
জানি, পরষ্পরকে ভালোবাসি, তাই না ?

আমি রাখছি।

আমি এখানে আর
এক মিনিট থাকবো।

চাইলে, আরেকটা ফোন
করতে পারো।

যদি এটা ভাবো, তোমার অভিভাবকরা
আমাদের বিয়ে দিতে রাজী হবেন না,

তাহলে আমাকে
ফোন কোরো না।

আমি রাখছি।

তুমি কি
আমাকে পছন্দ করো?

হ্যাঁ।

আমি তোমাকে বললাম তো,
তাই না?

এখন খুশি তো?

এই বিষয়টা শুধু আমাদের
নিজেদের মধ্যেই রেখো।

কলেজে যাওয়ার এবং ফেরার সময়
তুমি আমাকে দেখতে পাবে।

এটুকুই!

এর মানে,
আমি একাই শুধু দেখবো?

তুমি কি আমার অপেক্ষায়
থাকবে না?

আমিও করবো, কিন্তু কেউ বলতে পারবে
না যে আমি তোমার দিকে তাকিয়ে আছি।

আমার ঘাড় ব্যাথা না হওয়া
পর্যন্ত আমি তাকাবো না।

আমি পাবলিক ফোনে
কল করবো না।

আমি একটা মোবাইল কিনবো।

তুমি যদি আমাকে ভালোবাসো, তাহলে বলো আমি তোমাকে ভালোবাসি।

আমি বলবো না।

আমি বললাম যে
আমি তোমাকে পছন্দ করি।

আমি কল কেটে দিচ্ছি।

হ্যালো! হ্যালো! হ্যালো!

আমি বলবো!
আমি বলবো!

আমি তোমাকে ভালোবাসি।
আমি তোমাকে ভালোবাসি।

শুনতে পেয়েছো?
হ্যালো!

তুমি কি কল কেটে দিয়েছো?

চিৎকার করছো তো।

আমি শুনেছি।

দেখা না হলে কষ্ট হবে।

চলো, দেখা করা যাক।

কেউ যেন আমাকে দেখতে বা
চিনতে না পারে।

এমন কোন জায়গা নেই,
তাই এর কোনো সুযোগও নেই।

এমন জায়গা থাকলে দেখা হবে?

যেহেতু এমন কোন জায়গা নেই,
তাই তোমার সাথে দেখা করব না।

আগামীকাল, সপ্তাহের কোন দিন?
- মঙ্গলবার।

এমন জায়গা আছে।

দেখা করবে?

হে ভগবান।
এটা ঝুঁকিপূর্ণ হবে।

ঝুঁকি নিতে হবে।

আমার জন্য!

প্লিজ, প্লিজ, প্লিজ, প্লিজ!

আমার সাথে দেখা করতে
আসছো না কেন?

হ্যালো...

কিগো!

হ্যালো!

কথা বলছো না কেন?

ঠিক আছে।

চলো, কাল দেখা করি।

ধন্যবাদ! ধন্যবাদ!
আমি তোমাকে ভালোবাসি।

আগামীকাল,
সপ্তাহের কোন দিন?

মঙ্গলবার।

দরজাটা বন্ধ কর.

তুমি বলেছিলে, কাউকে বলবে না।
তাহলে সে ওখানে কি করছে?

সে দরজা বন্ধ করছে কেন?

আমরা দুজনে আলাদা নই।

সে কাউকে বলবে না।

তারপরও, আমার নার্ভাস লাগছে।
আমি আসছি।

কেন?

স্কার্ফ খুলে ফেলছো
না কেন?

এত ঝুঁকি নেবার কি
সত্যিই কোনো দরকার আছে ?

এভাবে আর কতবার দেখা হবে?

মাত্র কয়েকবার হতে পারে।

আমরা না দেখা করার
কথা ভেবেছিলাম, তাই না?

কিন্তু আমরা দেখা করেছি।

আমি পরোয়া করি না,
ভবিষ্যতে কি হবে।

আজ আমার জীবনের
সবচেয়ে স্মরণীয় দিন।

জল !

খেতে পারো।
এটা পাম্পের জল।

হয়ে গেল?

ছোটবেলা থেকে অনেক জায়গায় ঘুরেছি,
সেলুনে পা রাখা আমার জন্য প্রথম।

তুমি কি ভ্রুর আকার
ঠিক করতে পারো?

মানে শেভ করবো?

ভ্রু।

না, না।

কাটা, শেভিং এবং ম্যাসেজ।

এখানে খুব গরম।
কেন একটা পাখা লাগাও নি?

পাখা থাকলে, কাটার সময়...

চারিদিকে চুল ছড়িয়ে পড়বে।

কেমন লাগছে দৃশ্যটা?

খুব সুন্দর।

তুমি কি আব্বাসের ভক্ত?

না, তার চুলের স্টাইলের ভক্ত।

সেই টেকো লোকটা কেন?

তিনি শিবমণি।

আমাদের গ্রামের লোকজন আমাকে আম্বাজিপেটা শিবমণি বলে ডাকে।

আমি তার বিশাল ভক্ত।

আর ইনি?

উহু! মল্লিকা !

পুরুষরা এখানে আসে, তাই না?

এটা লাগিয়েছি, যাতে পুরুষরা সহজেই
অন্যান্য জিনিস দ্বারা বিভ্রান্ত না হয়।

ঠিক আছে। আমি যাচ্ছি।
ইতিমধ্যেই দেরি হয়ে গেছে।

আরো কিছুক্ষণ
থাকো না কেন?

না।

আমাকে যেতে হবে।

বাবা-মা সন্দেহ করবে।

আমরা আবার কখন
দেখা করতে পারবো?

বলেই ছিলাম,
বেশি দেখা হবে না।

তবু, ভেবে বলছি।

আমি পরশু শহরে যাচ্ছি।

কথা বলতে পারবো না,

কিন্তু একে অপরকে
দেখতে পারি।

শুরুতে এভাবেই হয়।

একে অপরকে দেখা দিয়ে
বিষয়টা শুরু হয়,

এর পর কথা বলা, এবং শেষ পর্যন্ত
দেখা করার দিকে এগোনো যায়।

দেখতে পাবে।

ভাবানুবাদ ও সম্পাদনা :
সুদীপ চক্রবর্তী।

সে আমার ডাকে সাড়া
দিচ্ছে না কেন?

কে?

সংযোগ বিচ্ছিন্ন
হয়ে গেছে, ভাই।

আমি পিছিয়ে যাবো না।

আজ সকালেই 10 টাকা দিয়ে
রিচার্জ করেছি।

সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত
আমি কল করতেই থাকবো।

হ্যালো!

হে ভগবান!
তার দাদা ফোন ধরেছিল।

কে রে? ফোনটা কেটে দিল।

কথা বলতে পারতে।

কেমন আছেন? ঠিক আছেন তো?
ফোনটা আপনার বোনকে দিন।

মাথা খারাপ নাকি?

ঠিক জানি যে,
আমরা একদিন ধরা পড়ব।

সব সময় এসব
কথা বলো কেন?

তোমার একটু সাহস
থাকা উচিত।

তুমি যা ভাবছ
তা নয়, মল্লি।

আমাকে দেখতে পেলেও
তুমি আমার পিছনে আছো।

তার মানে আমি ছোটবেলা থেকে
তোমার পিছু নিচ্ছি।

এখন কি হল?

আমি চাই না,
কোনো ঝামেলা হোক।

অবাক হয়ে যাই, কিভাবে আমি
এসব ম্যানেজ করছি?

একেই বলে ভালোবাসা।

ভেবেছিলাম, দেখা করা যাবে না।
কিন্তু আমরা দেখা করেছি, তাই না?

তাও জোর করে নয়।

যদি বিচ্ছিন্ন হওয়া আমাদের ভাগ্যে থাকে,
আমরা তাই করব।

এটা নিয়ে আমাদের ভাবা উচিত নয়।

মল্লি ! এভাবে কথা বলছো কেন?

মাঝে মাঝে...

তোমার জন্মদিন কবে?

এই শনিবার।
কেন? তুমি কোনো পরিকল্পনা করছো?

কেন বলবো?

কিছু আশা কোরো না।

কি বলতে চাইছো?

এর মানে, মহেশ বাবু বলেছিলেন,
মুরারি সিনেমায়...

সোনালি বেন্দ্রের কাছে যাবার
ফলে তিনি প্রলুব্ধ হয়েছিলেন।

সেই দৃশ্য আমার খুব ভালো লাগে।

তাই এমন কিছু
আশা কোরো না।

এভাবে বোলো না।

তাহলে কি...?

দেরী হয়ে যাচ্ছে।
আমার চলে যাওয়া উচিৎ।

দুই মিনিট দেরী হলে তোমার
কাজের ক্ষতি হবে না ।

একটা চুমু দাও।

সেলুনে এসব কাজ
করতে এসেছো?

নাকি চুল কাটতে?

মল্লি !

কিছুই হবে না।
- আমাকে প্রলুব্ধ করো না।

সুড়সুড়ি লাগছে।

সুড়সুড়ি লাগছে।

তাকে দরজা খুলতে বলো।
- খুলতে বারণ করলাম।

কোথায় এগিয়ে আসছো?

তোমাকে চুমু খেতে।

তোমার চুলও ধরে রাখতেও
পারছি না।

আমার চুমুর কি হবে?

দরজা খুললেই বলবো।
-তুমি বললেই খুলবো।

তোমার কী অবস্থা?

আমার শিরদাঁড়া কাঁপছে,
যেন একটা রকেট দৌড়াচ্ছে ।

তোমার কি অবস্থা?

ভালো।

যদি ভালো হয়,

তাহলে আমরা আবার করব...

মল্লি ! আমি তোমাকে
খুন করবো।

আমাকে মেরে ফেলো।

আমি তাকে চুমু খেয়েছি।

ঝাঁসি !

আমার পাস বই কোথায়?

আমার ঘরেও নেই।
-লক্ষ্মীর ঘরে চেক করো।

এটা কি?

টি... ও... এ... এম... বি

চলে এসো...

চলে এসো...

চলে এসো...

আমি পুরো টাকার ব্যবস্থা
করতে পারছি না।

আমাকে আগামীকাল
ভেঙ্কট বাবুকে সুদ দিতে হবে।

তাহলে রেখে দাও, কাকা।
শুধু শাড়ির জন্য দাও।

এটুকু রাখলে প্রয়োজন
মিটবে না।

তখন তোর টাকাও আমাকে
দিতে হবে।

এটা নিয়ে নে।

ঠিক আছে, কাকা।

এই! কার জন্য
শাড়ি নিবি?

বোনের জন্য।
আগামীকাল আমাদের জন্মদিন।

হ্যাঁ। আমি ভুলেই গেছিলাম।

৫০০ টাকায় শাড়ি পাবি কি?

এটা নিয়ে একটা
সবুজ শাড়ি কিনিস।

তোর কী হবে?

আমাকে খাইয়ে দিস।

ঠিক আছে।

এই, তুই চালিয়ে যা...

সুন্দর শাড়ি দেখাও।

কম বাজেটের মধ্যে
কিছু দেখাও।

আমাকে ১০০০ টাকার বাজেটের
মধ্যে শাড়ি দেখাও।

একই রঙ কতবার কিনবি?

সবুজ রঙের শাড়ি দেখাও।

ঠিক আছে।

সবুজ শাড়িতে তোকে
ভালো লাগবে।

এটা সত্যিই ভালো।

ভালো বুঝিস তো।

শাড়ির পাড়টা দেখাও।

ঠিক আছে।

স্যার, ভালো কিছু লুঙ্গি দেখান।

জন্মদিনে লুঙ্গি পরবি নাকি?
- সব ছিঁড়ে গেছে।

কিছু ভালো শার্ট দেখাও।

এটা খুব সুন্দর।

এটা ১২০০ টাকা।

বলেছিলি না, বোনকে দেওয়া টাকা
দ্বিগুণ হয়ে ফিরবে?

মনে কর, সেই টাকা দিয়েই
তোকে কিনে দিচ্ছি।

এটা নে।

সাধারণত, যমজ মানে উভয়েই
মেয়ে বা দুজনেই ছেলে হয়।

কিন্তু অদ্ভুতভাবে আমরা
বোন-ভাই হয়ে জন্মেছি।

হ্যাঁ।

জন্মের পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে তুই
আমার বড় ভাই হিসাবে হয়েছিস।

একটা কথা জানিস কি?

ভাই এবং বোনের মধ্যে সংযোগের
পিছনে কারণ কি ?

কেন?

বাবা মা না বুঝলে,
ভাইরা বুঝবে।

কি? এটা কোন ঈশ্বর
তোকে বলেছে?

ভগবান ভেঙ্কটেশ্বর।

তিনি আমাকে বলেছেন
তোর বিয়ে দিতে।

তুই আমাকে এইমাত্র বলছিলিস,
আমাকে বোঝার জন্য জন্মেছিস।

তাহলে বাবা-মায়ের মতো
কথা বলছিস কেন?

তোর আনা জুড়িদারকে স্বীকার করলে, আজীবন হ্যাঁ বলতে হবে।

আমাকে চিনে, ভালোবেসে কেউ আমাকে
বিয়ে করতে চাইলে, আমি রাজি হবো।

তাকে কোথায় পেতে পারি?

সেই ব্যক্তির সন্ধান কর।
তুই ঠিক খুঁজে পাবি।

আমি আর এই
মোটরসাইকেলে উঠবো না।

পিসি! মল্লি আছে?

মনে হয়, সে ভিতরে আছে।

তোর চুলে আগে ফুল থাকতো, এখন
খালি। তোর কি কিছু নেই?

ফুলগুলো শুকিয়ে গেছে।

মল্লি !

মল্লি !

এখন বিড়ালের মত
এখানে কেন?

এমন কথা বললে
চড় মারবো।

বোন? সে তোমার বৌদির বোন।

কি যায় আসে?

এই নাও!

তোমাকে কে দিয়েছে এটা?

জানো না কে হতে পারে?

আমাকে দিয়ে দাও। আমি যাচ্ছি।
-না, না।

লক্ষ্মী কি তোমাকে দিয়েছে?

হ্যাঁ।

আর কিছু বলেছে?
ভালোবাসি বলেছে কি?

ব্যাঙের মাথা!

এটি আমার হাতে দিয়েছো,
এবার নিশ্চিন্তে চলে যাও।

তুই কি খাচ্ছিস?
আমাকেও দে।

১.. ২.. ৩.. ৪

ঠিক আছে। ঠিক আছে।
-ধন্যবাদ। ধন্যবাদ।

কাকা!
-খুশী থেকো।

তাড়াতাড়ি কাজের জায়গায় পৌঁছাও
এবং কাজগুলো দ্রুত শেষ করো।

আমাদের মধ্যে চারজনের আজ রাতে
অনুষ্ঠানের জন্য মন্দিরে যাওয়া দরকার।

ঠিক আছে, কাকা।

তারা মদ চাইছে।

সবার জন্য কেনা কঠিন,কিন্তু যদি শুধু তোর জন্য হয়, ঠিক আছে।

শুভ জন্মদিন, মল্লি।

ধন্যবাদ!

তুই ইতিমধ্যেই লক্ষ্মীর
প্রেমে পড়েছিস।

তোকে বলেছিলাম, আমিও এটা
কাউকে বলতে চাই, তাই না?

একটি ধারনা দে, ভাই। আমি
নিশ্চিত নই, কিভাবে তাকে বলবো।

তুই ছবি আঁকায় দক্ষ, তাই না?

সে বুঝতে পারে,
এমন কিছু এঁকে ফেল।

তুই কি নিশ্চিত?
- এঁকে ফেল।

মেয়েটা কে?

সঠিক সময় হলে
আমি তোকে বলবো।

ঠিক আছে।

নমস্কার!

এটা সুদ।

আপনার মোট টাকা শোধ করতে
আরো দুই মাস লাগবে।

কবে দেবে?

যাও!

মিষ্টি খান।

কেন?

আজ আমার জন্মদিন।

আমার চাই না।

তোমার জন্মদিন?

আমাকে দাও।

মোবাইল ফোন?

আমাকে দে।

কত দাম?
- ১০০০ টাকা।

তোর অনেক টাকা আছে।

হে ভগবান!

লা...

এটা কে?

প্রেমিকাও আছে?

এই নে!

যা!

আমাকে দে।
এই নে!

এই সব মিষ্টি কি আমার?

হে ভগবান!
আলো জ্বলছে।

সে তোকে খুব ভালোবাসে।

নিজেদের কাজ করো। যাও!

স্যার! আমি উঠি নি।

হ্যালো!

হ্যালো!

তুমি কি আমাকে শুভেচ্ছা
জানাতে ফোন করেছিলে?

কথা বলছো না কেন?

এই!

হ্যালো!

শুভ জন্মদিন, ম্যাডাম।

শুভ জন্মদিন।

এসো! এসো!

সবাই নিয়েছো?

বাচ্চারা!

তোমাদের দুই দিনের ছুটি আছে।
বাড়ি যাও।

এসব কি, সেনু?

ছুটি ঘোষণা করছো কেন?

কিছুই না।

নির্দিষ্ট কিছু আইটেমের জন্য
অস্থায়ী স্টোরেজ প্রয়োজন,

দু'দিনের মধ্যে সেগুলো
সরিয়ে ফেলা হবে।

তাদের এই দুই দিন
ঘরে থাকতে বলো।

আমি চাই তুমি এগুলোও
সরিয়ে দাও। এসব এখানে কেন?

অন্য কোথাও রাখো।

পরিকল্পনা অনুযায়ী ক্লাস না করতে
পারলে, কীভাবে হবে?

এই দুই দিন পড়াশোনা করে তারা কিছুই করতে পারবে না।
তারা কি আইএএস হবে?

তাদের যেতে দাও।

তারা কী হবে তা কেউ
বলতে পারে না।

পড়াশোনা করলেই তা
জানতে পারবে।

তুমিও কলেজে যাচ্ছো,
তাই না?

তারাও কি তোমার
মতই করেছিলেন?

অকেজো লোকদের সাহায্য করলেই,
এটা ঘটে।

সবাই জানে,
তুমি কিভাবে কাজ পেয়েছো।

তোমার সাংস্কৃতিক নৈতিকতা আমার ভাইয়ের সাথে শোবার সময় কোথায় থাকে?

আমাকে থাপ্পড় মারার
সাহস কি করে?

তুমি...

স্যার! স্যার!

ফালতু কথা বললে,
তোমাকে চপ্পলপেটা করবো।

আমাকে মারধর করা আর
আমার ভাইকে পেটানো সমান।

তার মানে আমাকে আলাদা করে
মারতে হবে না।

আরে, আমাকে ছেড়ে দাও...
কত দুঃসাহস তোমার?

না গেলে, আমি সবার বিরুদ্ধে
অভিযোগ করবো।

আগামীকালের মধ্যে এই
ব্যাগগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে।

তুমি কি করবে?

বাচ্চারা কোথাও যাবে না।

আমি সরাবো না।

আমি তোমাকে বলেছিলাম.
বাচ্চারা কোথাও যাবে না।

তুমি কি করবে?
- এই, কেটে পড়ো!

তোমাকে শিক্ষা না দিয়ে
আমি ছাড়বো না।

দেখা যাক!

নাম!

আমাকে আর তোমার কাজে
জড়াবে না।

কি হয়েছে?

মাল রাখার সময়, একটি মতবিরোধের
কারণে পদ্মা মিঃ সেনুকে আঘাত করেছে।

তাকে বলেছিলাম, যে আমাকে আঘাত করা, তোমাকে আঘাত করার সমান।

তখন সে বলল, তোমাকে আলাদা করে আর মারতে হবে না।

এরকম জীবন নরক হয়ে গেছে।

তার ভাই একদিন আমাকে আঘাত
করলো। আমি চুপ করে ছিলাম।

আজ, সে আমাকে আঘাত করলো
আমি চুপ করে আছি।

কাল ওর মা আমাকে মারবে,
তার বাবা পরশু মারবে।

আমি এখানে এসেছি শুধু
তাদের কাছে মার খেতে।

যার আত্মসম্মান আছে,
সে এখানে থাকবে না।

তুমি তার সাথে লাগিয়ে যাও।

ঠিকভাবে পরিষ্কার করো।

রান্না করার সময় সঠিক পরিমাণে
মশলা যোগ করো।

তুমি মাঝে মাঝে রান্না করো।

তোর ফালতু কথা বন্ধ কর...

আমরা রান্না করবো।
তুই এখান থেকে কেটে পড়!

আমি এখনই আসছি।

ভিতরে গেলাম।

হ্যালো!

হ্যালো!

শুভ জন্মদিন।

ধন্যবাদ।

কোনো সারপ্রাইজ?

সারপ্রাইজ...

আমি এখন সেলুনে
আসতে পারবো না।

আমার ভাই বাড়িতে নেই।

তুমি আমার বাড়িতে
আসছো না কেন?

আমরা একে অপরের দিকে
তাকিয়ে কথা বলতে পারি।

শুধুমাত্র তাকিয়ে?

এটুকুই?

এটুকুই!

ঠিক আছে।

আমি ১০ মিনিটের মধ্যে আসছি।

আমি আসছি।

এখন কোথায় যাচ্ছিস?

সেন্টারে যাচ্ছি।

সবসময় মাংস খেতে চাস।

এখন কোথায় যাচ্ছিস?

আমি ক্ষুধার্ত।
তাড়াতাড়ি ফিরে আসিস।

ফিরে আসবো।

আমি গিয়ে খাবার প্রস্থত করবো।
-ঠিক আছে।

পদ্মা !
-কি?

ভেঙ্কট স্যার আমাকে
স্কুলের চাবি নিতে বললেন।

তিনি চান, তুমিও আসো।

তিনি সিমেন্টের ব্যাগগুলো
সরিয়ে ফেলবেন।

কে জানে, তিনি তাদের সরাবেন
নাকি আরো রাখবেন?

আমি এখন আসবো না।

তাকে বলুন, আমি কাল
সকালে আসবো। যাও!

তালা ভাঙতে তার
কত মিনিট লাগবে?

সকালে যা ঘটেছে,
তার জন্যও তিনি দুঃখিত।

তুমি তার জন্যই
কাজ পেয়েছো।

তোমাকে আসতেই হবে,
তাই না?

কি? আমি আসবো না।

সিমেন্টের ব্যাগগুলো সরিয়ে নিলে
তবেই আসবো।

ঠিক আছে। যা খুশি ভাবুন।
চলো, যাওয়া যাক।

কি হয়েছে?

কি হয়েছে?

কিছুই না।

সিমেন্ট ব্যাগ সংক্রান্ত সমস্যা।

ভেঙ্কট বাবু চান,
পদ্মা সঙ্গে আসুক।

কি? মল্লি এখানে নেই।

স্কুল তো কাছেই, তাই না?
আমি তাকে আমার মোটরসাইকেলে নামিয়ে দেবো।

ঠিক আছে।
-আমি চাই না।

আমি সেখানে যেতে আমার
সাইকেল ব্যবহার করবো।

হ্যালো!

তুমি আমাকে আসতে বলেছিলে।

আমার উপহার কেমন ছিল,
তোমাকে জিজ্ঞাসা করতে চেয়েছিলাম।

খুব সুন্দর।

আর কিছু?

স্পর্শ-মুক্ত কথোপকথনে আগ্রহী হলে
উপরে আসতে পারো।

কিন্তু, আমি প্রলুব্ধ হচ্ছি।

আমি তোমাকে খুন করবো।

আগেই বলেছি।

যাত্রা শুরু হয় একে অপরের
দিকে তাকিয়ে,

কথোপকথন হয়, এবং শেষ পর্যন্ত
দেখা হতে শুরু করে।

যদিও তুমি আমাকে অফার দিচ্ছো,
আমার এটা মেনে নেবার সুযোগ নেই।

এই সময় তার জন্য আদর্শ নয়।

যদিও আমি আগেই তোমাকে পছন্দ করতাম, এখন সেটা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।

এটাই আমি!

দরজা ভাঙলো কে?

তারা ক্লাসরুমে ব্যাগ রেখেছিল।

বাচ্চারা কোথায় বসবে?

এখানে ব্যাগ রাখার জন্য আমাকে
কি তোমার অনুমতি চাইতে হবে?

আমি দয়া করেছি বলেই তোমার
চাকরি হয়েছে।

আমি যেখানে খুশি
ব্যাগ রাখবো।

তোমার দয়ার কারণে
আমার চাকরি হয় নি।

আমি এটা পেয়েছি
কারণ এটা আমার প্রাপ্য ছিল।

নিজের ইচ্ছামত ব্যাগ রাখতে চাইলে, তোমার বাড়িতে রাখো, এখানে নয়।।

তুমি কি ভাবছো চিৎকার করলে
আমি ভয় পাবো?

আর তুমি কি মনে করো,
আমি তোমাকে ভয় পাই?

তোমার কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে, তোমার বাবা এসে আমার পায়ে পড়ে।

আমাকে কি তোমার তিরস্কার
সহ্য করতে হবে?

তোমার সাথে সৌজন্যের সাথে কথা বলাই
আমার বাবার সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের প্রতিফলন।

কিন্তু বাবার কথা তুলছো কেন?

তোমার মত অপদার্থ লোকের সাথে
সম্মান দিয়ে কথা বলাটাই ভুল।

এমনভাবে কথা বললে
পরিণতি ভালো হবে না।

আমিও এটা করতে পারি।
বাড়াবাড়ি কোরো না।

তোমার সাথে কথা বলতেই বা
যাচ্ছি কেন?

আমি সবার বিরুদ্ধে
অভিযোগ করবো।

যা খুশি তাই করে নিও।

কেন অভিযোগ দায়ের করবে?

তোমার যোগ্যতা আছে বলেই
চাকরি পেয়েছো।

কিন্তু তোমার কাপড় খুলতে আমার এমন
কোনো কিছুর দরকার নেই, তাই না?

আমাকে স্পর্শ করার
সাহস করো না।

তা করলে, এর পর তোমার জীবনের
বারোটা আমি বাজাবো।

আমার জীবন?

তুমি আমার জীবন
সম্পর্কে কথা বলছো?

দেখা যাক, কি হয়।

দেখা যাক।

আমাকে ছাড়ো।

ছেড়ে দাও।

কোথায় যাবে?

উহু!

তুমি বলেছিলে, আমার ভাইকে মারা
মানেই আমাকে মারা, তাই না?

আমি আহত।
তোমারও আঘাত পাওয়া উচিত।

এবার যাও!
গিয়ে অভিযোগ দায়ের করো।

এতগুলো বাচ্চার সামনে
তুমি আমাকে মেরেছো।

তারা আগামীকাল এসে
দরজা খুলবে।

তখন তোমার স্ট্যাটাস দেখিও।

জানো, তোমাকে স্পর্শ
করিনি কেন?

শারীরিক সম্পর্কের শীর্ষবিন্দুতে পৌঁছাতে
আমার হেঁজিপেজিতে কাজ হয় না।

এটাই তোমার স্ট্যাটাস!

আমি দ্বিধায় ছিলাম, কিভাবে তোমার
কাছে নিজেকে প্রকাশ করবো।

পদ্মা ! এই সবুজ শাড়িতে
তোমাকে ভীষণ সুন্দর লাগছে।

এই ছবি দেখলে যে
কেউ বুঝে যাবে।

পদ্মা !

পদ্মা !

পদ্মা !

এসো না...

কি হয়েছে, পদ্মা?

খাবার দাও,
আমি সত্যিই ক্ষুধার্ত।

পদ্মা স্কুলে গেল।
কিন্তু এখনো বাড়িতে আসেনি।

এই সময়ে সে স্কুলে
গেল কেন?

ভেঙ্কট বাবু তাকে যেতে বললেন।
তাই সে গেল।

মল্লি কোথায়?

সে সেন্টারে গেছে।

ঠিক আছে।
আমি যাচ্ছি।

কি হয়েছে?
-পদ্মা, কি হয়েছে?

পদ্মা !
-কি হলো?

তোর জামাকাপড়ের
কি হয়েছে?

সে কিছু বলছে না কেন?

সে কিছু বলছে না কেন?
-কি ঘটেছে, আমাকে বলো।

-কি ঘটেছে, আমাকে বলো।

-কি ঘটেছে, আমাকে বলো।

-কি ঘটেছে, আমাকে বলো।

থাম! থাম!

এখন কি করছিস?

আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে
আছিস কেন?

বোন!

সঞ্জীবী যা বলছে,
তা কি সত্যি?

সঞ্জীবী যা বলছে,
তা কি সত্যি?

তাকে থামাও।
-মল্লি!

মল্লি, থাম! আমার কথা শোন।
-থাম!

মল্লি, থাম! আমার কথা শোন।
-থাম!

কাকা, ওকে আটকাও।

কাকা, ওকে আটকাও।

কাকা, ওকে আটকাও।

মল্লি, থাম! আমার কথা শোন।
-থাম!

মালি থাম... দাঁড়া।

আমার কথা শোন।

মল্লি ! মল্লি !
-আমার কথা শোন।

আমার কথা শোন।
- এটা নিয়ে পরে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

মল্লি !

আমার কথা শোন।

মল্লি, আমার কথা শোন।
আমার কথা শোন।

মল্লি !

আমার কথা শোন।

মালি, আমার কথা শোন।

আমার কথা শোন।
এখানে বস।

মল্লি ! মল্লি !
-মাল্লি ! আমার কথা শোন.

মল্লি !

মল্লি !

মল্লি ! থাম।
- থাম।

আরে...

তাকে থামাও।

আরে, তাকে থামাও।

ওকে টেনে দূরে নিয়ে যাও।

তাকে ধরো।

কত দুঃসাহস তোর...

আমাকে মারতে এসেছিস?

মর! মর!

যে অস্ত্র এনেছিল,
সেটা কোথায়?

এই তো...

বদমাইশটার গলা কেটে দাও।

তাকে ধরো।

সে গ্রামের সবাইকে ন্যাড়া করে,
কিন্তু তুমি তার মাথা কামাচ্ছো।

হয়তো সে একটি প্রতিজ্ঞা করেছিল,
এবং এখন তা পূরণ করছে।

আমাদের তাকে থামানো উচিত নয়।
পুরো ন্যাড়া করে দে।

তোর বোনকে ছুঁয়েছি বলে তুই
আমাকে মারতে এসেছিস , তাই না?

আমাকে স্পর্শ করার সাহস
হয় কি করে?

নিজের অবস্থা দেখ।

সম্মান নষ্ট হতে দেখে
মরতে পারছিস না।

নাগামণি মাঝরাতে পদ্মাকে কেন
স্কুলে পাঠিয়েছিল বলে মনে হয়?

জানি না, সে পাঠিয়েছিল নাকি
পদ্মা নিজেই গেছিল।।

সবাই চুপ কেন?

যদি কোনো সমস্যা হয়,
আমাদের বসে আলোচনা করা উচিত।

এটা করে সে কাকে ভয়
দেখাতে চায়?

যেহেতু তাকে প্রশ্ন করার কেউ নেই,
আমরা তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।

সে তার প্রভাব খাটিয়ে
তা থেকে মুক্তি পেয়েছে।

সে পদ্মাকে কেন ছোঁবে, কাকা?

আমাদের তাদের
ছাড়া উচিত নয়।

প্রসাদ, আমাদের উচিৎ গ্রামের
মাঝখানে তাদের ঝুলিয়ে দেওয়া।

অপেক্ষা কর। তোর কি হয়েছে?
মনে হয়, এখানেই সবকিছু শেষ হবে?

আরে, থামো চাচা। তুমি সমস্যা
মোকাবিলা করতেই জানো না।

যেহেতু আমরা এইরকম,
তারা আমাদের সুবিধা নিচ্ছে।

তুমি কি করবে?
তাকে মেরে ফেলবে?

তাকে মেরে ফেললে
কি অতীত মুছে যাবে?

এজন্য পুলিশ
আমাদের গ্রেফতার করবে।

আমাদের পরিবারগুলোর কি হবে?

যে লোক আমাদের অপমান করেছে তাকেও আমাদের অপমান করা উচিত।

কেউ কি আমার সাথে
থানায় যাবে?

কি বলছো?
আমরা সবাই যাবো।

হ্যাঁ, চলো।

আমার কথা শোনো, পদ্মাকে নিয়ে
থানায় যাও। তার বিরুদ্ধে মামলা করো।

থানায় গিয়ে
কোনো লাভ নেই।

তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলাম
যখন, ন্যায়বিচার পেয়েছিলাম কি?

মামলা করলেও তারা
তার বিরুদ্ধে যাবে কি?

মল্লি, আমি তোকে বলছি,
পুলিশে গিয়ে কোনো লাভ নেই।

মল্লি। মল্লি কোথায়?

এসআই স্যার তোমাকে একবার থানায়
ডেকেছেন। আমার সাথে এসো।

পদ্মা?
- মল্লি?

তুই এখানে কেন?

মল্লি, তুই এসেছিস কেন?

স্যার, মল্লি এসেছে।

ওটা কে?

আমি সঞ্জীবী।

বাইরে যাও।
- চলো।

তোমরা দুজনে
এখানে এসো।

ভেঙ্কট বাবুর সাথে
আপনার সমস্যা কি নিয়ে?

আগে সেটা বলো।

আমি এখানে অভিযোগ জানাতে এসেছি।
আমার ভাইকে এখানে ডেকেছেন কেন?

তার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ করতে চাও?

আপনি বলছেন যে তিনি আপনার
কাপড় খুলেছেন? কোনো সাক্ষী ছিল?

সবকিছু ঠিক থাকলে,
আপনি সম্পর্ক বজায় রাখবেন।

কিছু ভুল হলেই,
অভিযোগ দায়ের করবেন।

তার কাছ থেকে কত টাকা চান?
- ভদ্রভাবে কথা বলুন, প্লিজ।

আপনি একজন সাক্ষী চাইছেন।

আপনি কি তাদের সম্পর্ক
প্রত্যক্ষ করেছেন?

এটা তাহলে কি?
হত্যা চেষ্টার মামলা।

তুমি সেখানে কাকে ছুরি মারতে গিয়েছিলে? মিঃ ভেঙ্কটকে?

তিনি আজ সকালে এখানে
এসে অভিযোগ করেছেন।

আগে তোমাকে গ্রেফতার করা উচিত।

আপনি কেন সবসময়
তার পক্ষ নেন?

আমার আর আমার বোনের কি হয়েছে, দেখতে পাচ্ছেন না?

কি? চেয়ারে লাথি মারছ কেন?

আমার ভাইকে কষ্ট দিচ্ছেন কেন?
তার কাছ থেকে কত টাকা পেয়েছেন?

আমি ভদ্রভাবে কথা বলছি। আপনি
আপনার সীমানা অতিক্রম করছেন?

আমি আপনার মামলা গ্রহণ করব না,
বের হয়ে যাও।

চল, মল্লি। তার এবং ভেঙ্কটের মধ্যে
কোনো পার্থক্য নেই।

এটাকে 'পুলিশ স্টেশন'
বলছেন কেন?

এর নাম ভেঙ্কটের গেস্ট হাউস দিন।

আমরা তাই করবো। তোমরা কেটে পড়ো।
- চল, যাই।

চল, মল্লি। চলে আয়।

যা পারেন, তাই করুন।

কি হয়েছে, মল্লি?

আর কি হবে?

পুলিশ তাদের মামলা
খারিজ করে দিয়েছে।

আমি তোকে বলেছিলাম,
পুলিশের কাছে না যেতে।

দাঁড়া, প্রসাদ।

মল্লি, পদ্মাকে নিয়ে বাড়ি যাও।
- চল, পদ্মা।

তুই রেগে যাচ্ছিস কেন?

মল্লি।

কাল রাতে যদি তোর কিছু হয়ে যেত?
কি হতো?

খুব খারাপ কিছু হলে,
মরে যেতাম।

তুই কি চাস, যে তোর সাথে
এমন করেছে, তাকে ছেড়ে দেবো?

তাহলে, তাকে মেরে ফেলবি?
তাতে কি সব শেষ হবে?

তুই কি শুধু মানুষ খুন করবি?

মল্লি।
আমি তাকে ছাড়বো না।

রাগ করিস না।
আমি শপথ করছি!

তুমি আমার সাথে কথা
বলতে চেয়েছিলে।

মল্লি কেমন আছে?

ভালো আছে।

তোমাকে কিছু জিজ্ঞাসা করছি।

আচ্ছা... আমার ভাই আর পদ্মার মধ্যে সমস্যা কি নিয়ে হয়েছে?

গ্রামবাসীরা যা ভাবছে
তা অবশ্যই নয়।

পদ্মা সত্যিই
একজন ভালো মহিলা।

এছাড়াও আমাদের মহিলারা
তোমার মত হতে পারবে না।

নারী ও পুরুষ সমানভাবে কাজ না
করলে আমাদের অভাব মিটবে না।

যেহেতু তোমার ভাই পদ্মার জন্য
চাকরির সুপারিশ করেছিল,

তারা এইসব গুজব ছড়াতে
শুরু করে।

তুমি সেলুনে বহুবার মল্লির
সাথে দেখা করতে এসেছো।

তোমার সম্পর্কে কোন
গুজব রটেছে কি?

কারণ আমরা তোমাকে কখনোই
খারাপ চোখে দেখিনি।

শুধু তাই নয়।

তোমার ভাইয়ের কাছ
থেকে নেওয়া ঋণ...

শোধ করতে অক্ষম হয়ে
অনেক মানুষ আত্মহত্যা করেছে।

এটা জানা সত্ত্বেও,
কেউ কথা বলার সাহস পায় না।

কারণ তারা ভয় পায়।

তোমার ভাই আমাদেরকে
অস্পৃশ্য মনে করেন।

তিনি কিভাবে পদ্মার
শাড়ি ধরে টানলেন?

তুমিও মল্লিকে ছুঁয়েছো।

তোমার কি মনে হয়,
নিজের মর্যাদা হারিয়েছো?

আমি কি একবার মল্লির সাথে
দেখা করতে পারি?

না। আমি সবসময় তোমাকে
সাহায্য করেছি।

আর করতে পারবো না।

কারণ, সাহায্য করে আমি তার জীবনকে
ঝুঁকিতে ফেলতে চাই না। বিদায়।

আমাকে 'এখন' বলছো যে সে
লক্ষ্মীর সাথে বাইরে যাচ্ছে?

আমি এখন তোমাকে বলেছি,
এটা নিয়ে গোলমাল না করতে।

যদি তারা দুজনেই পালিয়ে যায়?

যদি সেই পর্যায়ে যায়, আমি তাকে
হত্যা করতেও দ্বিধাবোধ করবো না।

লক্ষ্মী, তুই কি একবার
মল্লির সাথে দেখা করবি?

না।

আমার কারণে তার ক্ষতি
হওয়া উচিৎ নয়।

সে যাতে ভালো থাকে, তার জন্য
আমি তার থেকে দূরত্ব বজায় রাখবো।

তার জন্য সে,
যা ভাবার তাই ভাবুক।

দিদি, শুনেছো?

পদ্মা ভেঙ্কটের বিরুদ্ধে অভিযোগ
দায়ের করেছে, মনে হচ্ছে।

তিনি গতকাল পর্যন্ত
তার সাথে ছিল।

তার বিরুদ্ধে মামলা করে
সে কি ভালো থাকতে পারবে?

সেটা ঠিক।
- তুই মার খাবি এবার।

তোর বয়স কত?

ফালতু কথা বললে,
থাবড়ে গাল লাল করে দেবো।

তোর বাবাও ভেঙ্কটের বাবার কাছ
থেকে ঋণ নিয়েছিল।

এ কারণে তারা আমাদের
বাড়িঘর ও জমি কেড়ে নিয়েছে।

তোর বাবা তাকে বারবার বলেছিল
যে সে ধার শোধ করবে।

সে বলেছিল, তোর বাবার পক্ষে এই
ধার শোধ করা সম্ভব নয়।

পরিবর্তে সে আমাকে তার বাড়িতে
কাজ করতে যেতে বলেছিল।

যদি তার বাড়িতে কাজ করতে যেতাম, তোর মত মানুষ আমাকে নিয়েও গুজব তৈরি করতো।

এইসব সহ্য করতে না পেরে,
তোর বাবা আত্মহত্যা করেছে।

এই গ্রামে কেউ তখন
কিছু বলেনি।

কিন্তু এখন তারা বকবক করছে।

পদ্মার কথা বলছিস তুই?
তুই...

তোর মা না হলে, আমি স্নান করার
সময়ও তুই গর্ত দিয়ে লুকিয়ে দেখতিস।

মেয়েদের পিছনে লেগে পুরুষত্ব না
দেখিয়ে, তার পাশে দাঁড়িয়ে দেখাও।

ধুত্তোর!

সুপ্রভাত, ম্যাডাম।

তাল্লারেভু চন্তি কাকার ছেলে
ভিআরও চাকরি পেয়েছে।

তারা বুজ্জিকে তাদের পুত্রবধূ করতে চায়।
আমি তাতে রাজি হয়েছি।

হঠাত করে ওর বিয়ের কথা
উঠলো কেন?

আমাদের সেই উদ্দেশ্য ছিল না বলেই
তাকে কলেজে পাঠানো হচ্ছিল।

সে পড়াশোনা করতে পছন্দ করে
বলে পাঠিয়েছিলাম।

আমি পছন্দ করি বলে নয়।

ঠিক আছে, ফটো পর্যন্ত না দেখিয়ে
তাকে বিয়ে করতে বাধ্য করা .....

তুমি কি আমার ছবি দেখার পর বিয়ে করতে রাজি হয়েছিলে?

যদি তুমি তাকে ভালো পাত্র মনে করো, আমি অসম্মত হবো না।

ভাই ওসব বদমাশ আর পদ্মা স্কুল থেকে
সিমেন্টের ব্যাগ বাইরে ফেলে দিয়েছে।

স্যার।

এই!
হুম।

আসুন, স্যার।

আরে, কনাকা।
দরজাটা বন্ধ করো।

বলুন।

এই, মল্লি!

বদমাশ !
আরে!

মল্লি, তুই কি লক্ষ্মীর সাথে
বাইরে ঘুরিস?

কথা বলছিস না কেন?
- কি হয়েছে?

বদমাশ !
সাড়া দিচ্ছিস না কেন?

কথা বলছিস না কেন?

থামো! পাগল হলে নাকি?
তার খাবারের প্লেটে লাথি মারছ কেন?

সে তার সাথে বাইরে
যাবে কেন?

তাকেই জিজ্ঞাসা করো।

এভাবে প্রশ্ন করবেই বা কেন?
গিয়েছিলাম। কি করবে?

পাল্টা জবাব দিচ্ছিস, বদমাশ?
সাহস খুব বেড়েছে?

এইসবের দরকার কি?

থামো। এমনিতেই আমাদের ঝামেলার
শেষ নেই, এসব করছো কেন?

তোমাকে কে বলেছে যে
তারা সম্পর্কে আবদ্ধ?

যিনি ওর মাথা কামিয়ে দিয়েছেন,
তিনি নিজেইআমাকে বললেন।

মা, আমাদের সম্পর্কে
লক্ষ্মীর সম্মতি আছে।

লক্ষ্মীও আমাকে পছন্দ করে।

আমার মাথা ন্যাড়া করা লোকটার মত,
আমি তাকে জোর করিনি।

পারস্পরিক সম্মতি এবং প্রেমের সাথেই
আমরা একে অপরের সাথে দেখা করেছি।

বজ্জাত ! মার খাবি এবার!
কিসব বলছিস তুই?

যে বাড়িতে থাকিস, তোর বোনের চাকরি,
সবকিছু তারা দিয়েছিল ।

এই সবের প্রয়োজন কি?

সে সব গন্ডগোল করছে।

তোমার পরিবারের মহিলাকে স্পর্শ
করার জন্য তার গায়ে হাত না তুলে,

তুমি আমার উপর
চিৎকার করছো?

আমাকে মারধর করে
বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে।

তাদের ব্যবহৃত জামাকাপড়
পরে আমরা বেঁচে থাকি।

আমাদের এই সম্পর্কের
প্রয়োজন কি?

মল্লি !

'ভিত্তিহীন অবৈধ সম্পর্ক
অপমানিত আত্মসম্মান'

'ভিত্তিহীন অবৈধ সম্পর্ক
অপমানিত আত্মসম্মান'

'ভিত্তিহীন অবৈধ সম্পর্ক
অপমানিত আত্মসম্মান'

ভিতরে যাও।

এই! আমাদের বাড়ির সামনে
এইসব গোলমাল হচ্ছে কেন?

আপনি কি এখানে আসছেন
নাকি আমি নিজেই ব্যবস্থা নেবো?

আমি এইমাত্র জানতে পেরেছি।

প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না, স্যার।

এমন করলে, গ্রামের মানুষ ভাববে
এটা আপনারই ভুল ছিল।

তাহলে, আমি কি শুধু
বসে বসে দেখবো?

ওরা কতদিন থাকবে, স্যার?

তারা জিনিসপত্র গুছিয়ে সন্ধ্যার
মধ্যে চলে যাবে।

আমার কথা শুনুন এবং
শান্ত থাকুন, স্যার।

ধুত্তোর !

'ভিত্তিহীন অবৈধ সম্পর্ক
অপমানিত আত্মসম্মান'

পদ্মা সেখানে একা
বসে আছে।

উল্টোপাল্টা লোকের থেকে টাকা নিয়ে
অসহায়ের মত তা গুনে যাও।

এ ব্যাপারে...

আমার কিছুই করার নেই।
আমি পারবো না।

আমি তার কাছ থেকে
ঋণ নিয়েছি।

ধার নিয়েছো।
কোনো অন্যায় করো নি, কাকা।

তার কাছ থেকে ঋণ নিয়েছো
বলে যদি তুমি মাথা নত করো,

তাহলে সবকিছুর জন্যই মাথা নীচু
করতে অভ্যস্ত হয়ে যাবে।

ব্যান্ডের সব সদস্যরা মিলে তোমার
ধার শোধ করবো, কাকা।

এখন পর্যন্ত আমরা ব্যান্ড বাজিয়েছি
অন্যের বিবাহ এবং মৃত্যুর জন্য।

এখন নিজেদের জন্য
বাজানো যাক, কাকা।

চলে আয়।
চল সবাই।

আরে!

খালি হাতে কোথায় যাচ্ছো?

এগুলো সাথে নিয়ে যাও।

এই, থামো!

দল বেঁধে এলে
তোদের ভয় পাই নাকি?

তোমাদের কি ব্যাপার?

কোনো বিয়ের কাজ নেই নাকি?
এখানে বাজাচ্ছো কেন?

কেন?
এদের দেখে ভয় পাচ্ছো নাকি?

গতকাল পর্যন্ত আপনি উপরে
ছিলেন। এখন নীচে নেমেছেন।

চিন্তা করবেন না, আপনার উপযুক্ত জায়গায় না যাওয়া পর্যন্ত ছাড়বো না।

দেখা যাক, কে কাকে
কোথায় নিয়ে যায়।

এই বুড়ো।

বদমাশ!
তুমিই তাদের উসকানি দিয়েছো?

আমার টাকা কোথায়?

এক সপ্তাহের মধ্যে আমার টাকা
ফেরত না দিলে মজা বোঝাবো।

স্যার!

প্রতিশ্রুতিমত, আপনার টাকা
সময়ে দিতে না পারলে ,

আমার ব্যান্ডের দোকান
নিয়ে নেবেন।

কিন্তু একটা কথা। কেউ অন্যকে সমাবেশ করতে উস্কাতে পারে না।

তারা কষ্ট পেলে এখানে আসবেই।

যেতে পারেন।

আমি দুঃখিত, দিদি।

এই, মল্লি। জেলা পত্রিকায়
আমাদের খবর ছেপেছে।

এটা দেখে ভেঙ্কটের অবস্থা সঙ্গীন হবে!
- তার অবশ্যই শিক্ষা পাওয়া উচিত।

পদ্মা জেদ ধরে ভেঙ্কটের বাড়ির
সামনে ধর্নায় বসে আছে।

আমিও তাদের সাথে
যোগ দিতে চাই। কিন্তু...

আমরা সবাই একই সম্প্রদায়ের
লোক। তাই উচিৎ হবে না।

সত্যিই?

আমরা একই সম্প্রদায়ের লোক বলে,
সে কি টাকার সুদ কমিয়েছে?

কমায় নি, তাই না?
- না।

সে আমাদের কাছ থেকে খুবই কঠোরভাবে টাকা ফেরত নিয়েছে।

সবকিছুর জন্য স্বজাত্য অনুভূতি
দেখানোর প্রয়োজন নেই।

এই! গিয়ে তার কাছে
একটা জলের পাত্র রাখো।

আরে! ওই নারকেলটা
ভিতরে রাখো।

নিজেকে সামলাও, বৌদি।

মা।

অবৈধ সম্পর্ক মানে কি?
-চিন্নু, চুপ করো।

কেউ আমাকে বলো, প্লিজ।

সেনু, আমাকে আমার বাড়িতে
ছেড়ে দিয়ে এসো।

নাটক করছো নাকি?
কোথায় যাবে?

জাহান্নামে !
কিন্তু আমি এই বাড়িতে থাকবো না।

আমি চাই না গ্রামবাসীদের কান্না,
আমার ছেলের উপর প্রভাব ফেলুক।

তুমি...! তোমার কি আমাকে
এত ছোটো মনে হয়?

তুই তোর পরিবারকে
প্রতিবাদে বসিয়েছিস।

এর কারণ কি তোরা
একই সম্প্রদায়ের মানুষ?

আমি তোদের শেষ
করে ফেলবো।

ভাবানুবাদ ও সম্পাদনা :
সুদীপ চক্রবর্তী।

তোমার সাথে কথা
বলতে পারি?

বলুন।
- পদ্মা।

পথে নামলে তবেই যদি ন্যায়বিচার
পাওয়া যায়, কতজন নারী ঘরে থাকবে?

আপনার পয়েন্ট সরাসরি বলুন।

আমি এমন একজন ব্যক্তি
হিসাবে তোমাকে এই কথা বলছি,

যে তার সম্পর্কে
সবকিছু জানে।

সে কখনোই ক্ষমা চাইতে
আসবে না।

একটি মেয়ে নির্দিষ্ট বয়সে
পৌঁছানোর পরে,

এমনকি তার মাও তাকে কাপড়
ছাড়া দেখতে পায় না।

আপনার স্বামী আমাকে
সেই অবস্থায় দেখেছে।

বিচার চাইতে জন্য যখন
থানায় গিয়েছিলাম,

সবাই এমন কথা বলছিল
যেন এটা কোনো বড় ভুল নয়।

আমাদের অপরাধ কি ছিল?

নিচু জাতিতে জন্ম নেওয়া?

আমার বাবা বর্ণ বা সামাজিক অবস্থার
ভেদাভেদ না করে সবাইকে সজ্জিত করে,

এবং তাদের সুন্দর দেখায়।

কিন্তু তিনি যখন বাইরে যান, মানুষ
তাকে বসার জন্য চেয়ারও দেয় না।

আমাদের বাড়িতে আপনাদের কথা হলে,
আমরা বলবো শ্রীমতী ঝাঁসি, শ্রী ভেঙ্কট।

ভাবতেও পারবেন না,
আমাদের নামের আগে...

ওই দুটি অক্ষর যোগ করতে
কতটা পরিশ্রম করতে হয়।

সেই সম্মান অর্জন করার আগেই,
আপনার স্বামী আমার কাছ থেকে তা কেড়ে নিয়েছে।

আমি এখানে অন্যদের থেকে সহানুভূতি
লাভের জন্য বসে নেই, ঝাঁসি বৌদি।

আমার আত্মসম্মান এবং
ন্যায়বিচারের জন্য এসেছি।

যতক্ষণ না আমি তা পাচ্ছি,
আমি এই জায়গা ছেড়ে যাবো না।

আমি ছাড়বো না।

স্ত্রী হিসেবে,
যাই সহ্য করি না কেন,

একজন সহমর্মী হিসাবে,
আমি তোমার জয় কামনা করি।

তোমার জন্য খাবার আর একটা
শাড়ি নিয়ে এসেছি। এগুলো নাও।

না, ধন্যবাদ।

যেদিন আপনি আমার সাথে
গোপনে দেখা না করে,

প্রকাশ্যে এসে মেনে নেবেন,
আপনার স্বামী অন্যায় করেছেন,

সেটাই আমার কাছে
সবচেয়ে বড় উপহার হবে।

আমার এসবের দরকার নেই।

দুই দিন পর তোমার বোনের বিয়ে।
এই প্রতিবাদ কতদিন চলবে?

যদি সেই সময়ে এটি সমস্যা
সৃষ্টি করে?

এসআইকে ফোন করে
কানাকাকে থানায় ডাকতে বলো।

বসো, কনাকা।

বসো, বাবা।

কনাকা, দুই পক্ষেরই লোকসান হচ্ছে,
যদি তোমরা গোলমাল চালিয়ে যাও।

এছাড়াও অন্য পক্ষের
বোনের বিয়ে আছে।

দয়া করে পয়েন্টে আসুন।

তোমাকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করছি।
কি চাও, আমাকে বলো।

টাকা চাইলে আমরা সেভাবেই সমাধান করবো। আপনি কি বলছেন?

কী পরিমাণ টাকা চায়, জিজ্ঞাসা
করুন। মুখে ছুঁড়ে মারবো।

টাকা কে চায়?

বাইরে অনেক মানুষ আছে,
যারা নিজেদের বিক্রি করবে।

ওদেরকে গিয়ে কিনতে বলো।
আমাদের নয়।

টাকা আছে বলে
দেমাক দেখাচ্ছেন?

আপনার সেবা যারা করছে,
তাদের মূল্য বুঝছেন না।

এমন দিন আসবে যখন, আপনাকে
নিজের চুল নিজেই কাটতে হবে।

তখন, মানুষের মূল্য এবং...

তারা কী কাজ করে,
বুঝতে পারবেন।

তুমি এখন কি চাও?
তিনি তোমার কাছে ক্ষমা চান?

আমি কি তোমাকে বলেছিলাম
যে আমি তাদের কাছে ক্ষমা চাইবো?

আমিও তার ক্ষমা চাই না।

যদি প্রতিটি পুরুষ একজন
মহিলাকে স্পর্শ করে মনে করে যে...

ক্ষমা চেয়ে সে
পালাতে পারবে,

রাস্তার প্রতিটি লোক
মহিলাদের স্পর্শ করবে।

ওহ, তিনি এখানে আছেন বলে
কি তুমি তাকে ছোটো করছো?

কোন ভুলের জন্য তুমি চাও,
আমি তাকে গ্রেফতার করি?

সে কী ভুল করেছিল?

ভালো। আমি তার কাপড় খুলে নেবো।
তাকে রাস্তায় নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়াতে বলুন।

আমরা সেই সমাধান মেনে নেবো।

হারামজাদা!
কি বললি তুই?

আমি চুপচাপ বসে আছি বলে
আমাকে অসহায় ভাবছিস নাকি?

আমাদের কথায় আপনি রাগ করছেন।
একই কারণে আমরাও ক্ষুব্ধ।

আগের দিন, চেয়ারে লাথি মেরেছিলাম
বলে আপনি আমার গায়ে হাত তুললেন।

তিনিও একই কাজ করেছেন।
তাকে মারছেন না কেন?

এই!
- দাঁড়া, মল্লি।

চল, গিয়ে আমাদের কাজ করি।
তাদের সাথে কথা বলে লাভ নেই।

চল, যাওয়া যাক।

এই! সেদিন শুধু তোর মাথা কামিয়ে
যেতে দিয়েছি।

এবার তোর গলা কেটে দেবো।

তার গলা কেটে ফেলবে?
এসো! করে দেখাও!

মানুষের গলায় ছুরি চালানো
আমাদের কাছে নতুন কিছু নয়।

রবিবার আমাদের বাড়িতে ফোন করলে,
সাবধানে থেকো।

কি বললি?
- তুমি!

- স্যার, স্যার।
- আরে মল্লি, দাঁড়া।

এই! এই! এই!

এবার উত্তরটা লাথি
মেরে দিলাম।

আমাকে আবার স্পর্শ করলে,
তোমাকে ছুরি দিয়ে জবাব দেবো।

আপনার বোনের বিয়ের ব্যাপারে
কোনো ঝামেলা করবো না।

অবশ্যই তোমাকে ছাড়বো না।

চলো, বাবা।
চল, মল্লি।

প্রতিবাদের বদলে
এখানে বসে আছিস কেন?

তারা কি আপস করেছে?

আপস?

গতকাল তার বোনের বিয়ে বলে
আমরা শুধু প্রতিবাদ বন্ধ রেখেছি।

পরে তাকে শিক্ষা দেবো।
- আচ্ছা।

সঞ্জীবী।

কিছুদিন আগে বলেছিলিস, একটা মেয়েকে পছন্দ করিস। প্রস্তাব দিয়েছিস?

বলতে চেয়েছিলাম,

কিন্তু তার অবস্থা ভালো নয়।

তার জন্য তাকে বলবি না?
- অবশ্যই না।

সবকিছু ঠিক হয়ে যাওয়ার পর
আমি তাকে অবশ্যই বলবো।

তুই তাকে জানালে হয়তো
সবকিছু ঠিক হয়ে যেতো।

জানি না, স্কুলের দেওয়ালে আঁকাটা আমার বোন দেখেছে কিনা।

আমি জানি,
তুইই সেটি এঁকেছিস।

কবে প্রস্তাব দিবি, তা তুই আমাকে
জানাতে বলেছিলিস।

তুই তাকে এখন জানাতে পারিস।
আমি এখানেই আছি।

ধীরে, ধীরে।
এই দিকে এসো। এখানে।

চলো, বাচ্চারা।

তুমি কি স্কুলে যাচ্ছো, পদ্মা?
- হ্যাঁ।

ঠিক আছে, আমি যাচ্ছি।
- ঠিক আছে।

সঞ্জীবী।
- হ্যাঁ।

তুমি জানো,
আমি সবুজ রং পছন্দ করি?

জানি।

আমাকে বাইরে ঘুরতে
নিয়ে যাবে, সঞ্জীবী?

একটা শান্তিপূর্ণ জায়গায়?

আমাকে আধঘন্টা সময় দাও, পদ্মা।
আমি গিয়ে প্রস্থুত হয়ে আসছি।

না, কোনো তাড়া নেই।

আমারও স্কুলে পড়ানো আছে।

চলো, রবিবার যাই।
- ঠিক আছে।

'আমাকে আবার স্পর্শ করলে,
তোমাকে ছুরি দিয়ে জবাব দেবো।'

বিয়ের সব কাজ
গোছানো হয়ে গেছে, স্যার।

শুধুমাত্র, একটা ছাড়া।

আমাদের...

একটা সঙ্গীত ব্যান্ডকে
ডাকা উচিৎ।

পাশের গ্রাম থেকে
তাদের ডাকবো কি?

দরকার নেই।

আমি শুধু তাদের চাই।

ঠিক আছে।
তোমার কি মাথা খারাপ হয়েছে?

আমরা তাদের ডাকব কেন?
আর কাউকে কি খুঁজে পাব না?

টাকা দিলে আরও ভালো ব্যান্ড
পারফর্ম করতে আসবে।

প্রয়োজন নেই।
আমি শুধু তাদের চাই।

ধুত্তোর!

এজন্যই যেসব লোকের আমাদের সামনে
কুঁকড়ে থাকা উচিৎ, বুক ফুলিয়ে ঘুরছে।

যেমন কাজ করেছো,
পরিণতিতে বুকে লাথি খেয়েছো!

গ্রামবাসী বলছে না যে সে
তোমার বুকে লাথি মেরেছে!

তারা বলছে যে সে
তোমাকে লাথি মেরেছে...

আমি যদি রাগের মাথায় কিছু করি,
তাহলে আমাদের মধ্যে পার্থক্য কি থাকলো?

এখন থেকে আমি যা করার করবো।
তুমি শুধু দেখতে থাকো।

আমি শুধু তাদের চাই।

শুনেছি, পরশু তোমার বিয়ে।

অন্যদের কিছু হলেও আমি
পাত্তা দেবো না।

তুমি কি আমাকে নিমন্ত্রণ
করতে এসেছো?

মল্লি।

আমাদের এটাই শেষ দেখা।

এখনও তুমি এইভাবে
রাগ করে থাকবে?

তুমি আমাকে ভালোবাসো,

এই অনুভূতির কথা যদি তুমি
আমাকে না জানাতে,

যদি এই সব না ঘটতো,

তাহলে আমাদের বিচ্ছিন্ন হবার
কষ্ট ভোগ করতে হত না।

এর পরেও,
আমি তোমার কাছে এসেছি।

এখান থেকে ফিরে,
বিয়ে করতে গেলেও

আমার দিকে তোমার আগের মতোই
ভালোবাসার সাথে তাকানো উচিত।

করবে?

এটা বলার সাহসও আমার নেই,
যে আমাদের একসাথে থাকার জন্য,

অন্যদের কিছু হলেও আমি
পাত্তা দেবো না।

আমাদের ভালোবাসার জন্য,

তোমার জীবনের ঝুঁকি
নেওয়া উচিত নয়, মল্লি।

এরকম কিছু হলে, সারাজীবন আমাকে
সেই অপরাধ বয়ে বেড়াতে হবে।

আমি এটা সহ্য করতে
পারবো না।

সেই কারণেই আমি
বিয়েতে রাজি হয়েছি।

যেরকম আচরণই করুক না কেন,
আমি লোকটাকে সহ্য করবো।

তোমার বিয়ের খবর জানতে পেরে, রাগের
মাথায় তার খোঁজখবর নিয়েছিলাম।

তিনি খুব ভালো লোক।

আশা করি, তিনি তোমার সাথে
ভালো ব্যবহারই করবেন।

সে আমার সাথে তোমার থেকেও
ভালো ব্যবহার করবে, মল্লি!

তোমার নিশ্চয়ই দেরি হয়ে যাচ্ছে।
এবার যাও।

- মল্লি।

দশ মিনিট দেরিতে গেলে
বিয়ে বন্ধ হবে না।

প্লিজ, মল্লি।

সাবধানে থেকো, মল্লি।

যখনই গ্রামে ফিরবে,
দেখা হবে।

রাগের সাথে নয়,
যথারীতি ভালোবাসা দিয়ে।

তুমি বললে, আমরা
শেষবারের মতো দেখা করছি।

তুমি যদি কাঁদো, আমি চিরকাল
তোমার বিষণ্ণ মুখ মনে রাখবো।

যাওয়ার সময়
দয়া করে হাসো।

আমাকে ভালোবাসো বলে, তোমার
যদি ছেলে হয়, তার নাম মল্লি রেখো না।

সে বড় হওয়ার পর বুঝতে পেরে,
আমাকে কটূক্তি করবে।

দাঁড়াও। দেখি, বাইরে কেউ আছে কিনা। তুমি যেতে পারবে।

ভালোই হবে।
তাদের দেখতে দাও।

অন্তত এখন, মানুষ গুজবের চেয়ে সত্য নিয়ে আলোচনা করবে।

মল্লি, আমি তোমাকে ভালোবাসি।

তুমি সবসময় আমাকে বলো,
তাই না?

দয়া করে শেষবারের
মতো বলো।

আমি তোমাকে ভালোবাসি।

লক্ষ্মী।

যদি ভবিষ্যতে আমার
একটা মেয়ে হয়,

তার নাম রাখবো লক্ষ্মী। সে আমাকে
গালি দিলেও আমি পাত্তা দেবো না।

সাবধানে থেকো।

মালি, তুই কি মেয়েটাকে
খুব ভালোবাসিস?

আমি তাকে ভীষণ পছন্দ করি।

খুব কষ্ট হলেও,

আমি তাকে ভুলে যাবো।

সত্যিই কি তাকে
ভুলতে পারবি?

ওই বজ্জাতরা আমাদের লক্ষ্মীর
বিয়ের জন্য ব্যান্ড বাজাতে বলছে।

ঋণের থেকে এই টাকা
কেটে নেবে, মনে হয়।

বিয়ের পর ব্যান্ডের জমিও
কেড়ে নিতে পারে।

দয়া করে লক্ষ্মীর বিয়েতে
এসো না।

জানি না, লক্ষ্মী আবার কবে
আমাদের গ্রামে ফিরে আসবে।

আমি নিশ্চিত নই যে সে
কখনো ফিরে আসবে কিনা।

তাকে একবার মন ভরে
দেখবো, কাকা।

মল্লি !
- হ্যাঁ।

কি হয়েছে?
- পদ্মা।

তোর বোনকে দেখেছিহ?
- সে বাড়িতে নেই?

সে নেই।
আসে নি এখনো।

পদ্মা বাড়িতে ফেরে নি?

না।

সে সকালে গেছে।
এখনো ফেরেনি।

আমার ভয় করছে।

ভয় পাচ্ছেন কেন?
চিন্তা করবেন না, সে ফিরে আসবে।

বাড়ি চলো।

বাড়ি চলো।

প্রসাদ।
- হ্যাঁ, কাকা।।

মাকে বাসায় নিয়ে যাও।

ঠিক আছে.

তোমরা আমার সাথে চলো।

ভাই, পদ্মাকে দেখেছো?

না!

তুমি দেখেছো?
- না, ভাই।

কি হয়েছে?

পদ্মাদিদি নিখোঁজ, মা।

প্রসাদ !

প্রসাদ !

কি? মাথায় ব্যাথা করছে?

তাহলে, আমার বাড়ির সামনে বসে ঢোল
বাজালে আমার মাথা ব্যথা করবে না?

তুমি আর তোমার ভাই
আক্ষরিক অর্থে সবকিছু করেছো।

চুপ করে বসে আছি
বলে কি বোকা মনে হচ্ছে?

ভালো। আমার পা ছুঁয়ে ক্ষমা চাও।
আমি তোমাকে যেতে দেবো।

তোমার পা ছোঁবার পরিবর্তে,

আমি ফাঁসিতে ঝুলে মরতে পছন্দ করবো!
- ডাইনি কোথাকার!

নোংরা জীবনের আবার আত্মসম্মান?
এই, তাকে ধরে রাখ!

কি রে, তেষ্টা পেয়েছে?

মরার আগে তোর শেষ ইচ্ছেটা
পূরণ করবো।

এই, জলের পাইপটা দে।

এখন থেকে আর কেউ,
পদ্মা নামটা উচ্চারণ করবে না।

পদ্মা !

পদ্মা !

পদ্মা !

আমরা কি অন্যায় করেছিলাম?

যে সবসময় বলতো,
হিংসা সবকিছুর জন্য সমাধান নয়,

তাকে সে খুন করেছে।

একজন মানুষের জন্ম হতে
এক বছর সময় লাগে।

সে তোকে রাতের মধ্যেই
হত্যা করলো।

আমাকে বল।

তুই একজন শিক্ষিকা, তাই না?

সেই বোকাটার সাথে কি করবো,
তা সে ভাবতেও পারছে না, পদ্মা?

চলে আয়!

মার শালাকে!

আয়, হারামজাদা!

মার শালাকে!

তুই পালানোর চেষ্টাও
করিস নি!

আমার বোনকে হত্যা করে
বাগানে বসে ফূর্তি করছিলিস!

আমাদের কি বোকা
ভেবেছিস, হারামি?

শ্বাসের কষ্ট হচ্ছে? আমার বোন মারা যাওয়ার পর আমারও তাই লেগেছিল।

আমি শ্বাস নিতে
পারছি না!

পদ্মাকে হত্যা করে কেমন
লেগেছে তোর, বোকাচোদা!

মল্লি! কি দেখছিস?
আমাদের কিছু করা উচিত!

তার জন্য আমাদের
কিছু করা উচিত!

মার শালাকে!

না!

তোর জঘন্য জীবন!

হত্যা করার আগে আমার বোন নিশ্চয়ই
তোর কাছে জীবন ভিক্ষা করে নি।

তোকে মেরে আমাদের
কি লাভ হবে?

মেয়ে মারা যাবার পর, ছেলেও জেলে গেলে সে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়বে।

আমি তাকে খুন করবো!

আমি তাকে মেরে
জেলে যাব, মল্লি।

প্লিজ, ওকে এভাবে ছেড়ে দিস না।
আমাকে মারতে দে।

সঞ্জীবী...

কোনো মহান মানুষ খারাপ লোককে
হত্যা করলে মানুষ তাকে ভগবান বলে!

কিন্তু আমরা শয়তানদের নির্মূল করলেও,
মানুষ আমাদের খুনি বলে আখ্যা দেয়।

আমি চাই না,
তুই খুনি হয়ে যাস।

এছাড়াও তুই জেলে গেলে,
গ্রামের দেওয়ালে কে লিখবে?

তোকে, তাকে আর আমাকেও আম্বাজিপেটাতেই থাকতে হবে।

গ্রামে যদি কোন অন্যায় হয়,
জনগণ আশ্বস্ত হবে যে আমরা আছি।

কেউ ভুল করলে, তার মনে ভয় থাকবে
যে তারও এই পরিণতি হতে পারে।

এই, তার জামাকাপড়
খুলে ফেল।

ভাবানুবাদ ও সম্পাদনা :
সুদীপ চক্রবর্তী।
সাবটাইটেল ভালো লাগলে অবশ্যই
রেটিং ও ফিডব্যাক দেবেন।

মা.

ওরা বাবাকে এভাবে
নিয়ে যাচ্ছে কেন?

কারণ তিনি অন্যায় করেছেন।

এভাবে প্রতিশোধের পরিবর্তে একটি
সমাধান দিয়ে গল্পটা শেষ করলাম।

এই ঘটনার আগে পর্যন্ত
গ্রামের সবাই ভেঙ্কটকে ভয় পেতো।

তখন থেকেই তার অবস্থা
দেখে হাসতে শুরু করে।

গ্রামের মাঝখানে আমরা তার জন্য
একটা জেলখানা তৈরি করেছি।

শুধু জেলখানা নয়, আমার বোনের উপর
তার অবিচারের একটি স্মৃতিস্তম্ভও বটে।

এটা শিক্ষা দেয়, তুমি যতই বড় হও না
কেন, অন্যায় শাস্তির দাবী করে।

লক্ষ্মী ! লক্ষ্মী !

আমরা এখানে নামকরণ অনুষ্ঠানের
জন্য এসেছি।

তাই! খুব ভালো।

সে কি আমার ভাগ্নি?

তার নাম কি?

এখন থেকে আর কেউ,
পদ্মা নামটা উচ্চারণ করবে না।

পদ্মা !