All language subtitles for Guntur Kaaram (2024) BSub by Suhan Ahmed

• • • অনুবাদে • • •
মিনহাজ আল ইসলাম।
সোহান আহম্মেদ।

• • • সম্পাদনায় • • •
সোহান আহম্মেদ।

শ্রী কনকদুর্গা চিলি ইয়ার্ড।

হেই!

রঙ্গম, এসব কি?

এটাতো আমাদের গোডাউন, শালাবাবু!

হেই!

হেই, তোরা কারা?

- চাচা, ধরেন।
- হেই, যা!

সব শালাদের ধর!

হেই, সর!

কোথায় পালাচ্ছিস?

হেই!

আমার ভাইয়ের গায়ে,
হাত দিয়েছিস তুই!

হেই!

আমার শালাবাবুর উপর,
হাত তুলেছিস তুই!

তোকে..

লেনিন! লেনিন!

হেই.. লেনিন!

লেনিন..

হেই, লেনিন।
তোর কিছু হবে না।

- শালাবাবু..
- হেই।

- কি করলি তুই?
- এমনটা হবে ভাবিনি।

হেই!

যারা আমার ভাইকে মেরেছে,
তাদের কাউকে ছাড়বো না!

একজনও বাঁচতে পারবি না।
সবাইকে শেষ করে দিব!

- লেনিন, তুই ঠিক হয়ে যাবি।
- দুলাভাই…

- হেই, সত্যম!
- শালাবাবু..

আমার ভাইয়ের কিছু হলে,
এর জন্য তুই দায়ী!

- শালাবাবু..
- হেই, লেনিন।

লেনিন!

মা!

মা!

• • • G U N T U R : K A A R A M • • •

দোক্কা লেনিন বাবু'র হত্যা মামলায়..

আসামী ভোগিনেনি সত্যনারায়ণ,
ওরফে রয়েল সত্যমকে..

আইপিসি সেকশন,
৩০২ এবং ১২০বি অনুসারে..

১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হল।

ওহ, প্রস্রাব করে দিয়েছিস!

হাতি! হাতি!

- হাতি!
- নানা!

কয়েক বছর পর।

- কাটা মধু এসেছে।
- বলুন কাটা এসেছে!

আশীর্বাদ করুন, স্যার।

২৫ বছর ধরে আপনার,
উপর ভরসা করেছি।

২ বার এমএলএ হয়েছি।
অর্ধেক সম্পদ বিক্রি করে দিয়েছি।

শুনেছি এবার,
আইন মন্ত্রনালয় আমাদের।

আপনার আশীর্বাদ থাকলে..

আমি কাজে নেমে পড়বো, স্যার।

এরকম বেশরমের মতো অনুরোধ,
করা লোকেরাই।

রাজনীতিতে উন্নতি করে।

কি বলো, মধু?

হ্যাঁ, স্যার।
ধন্যবাদ।

কিন্তু..

আমার মতো মুখের উপর না বলা,
লোকেরাই সবসময় উপরে থাকে।

এইবার আমার মেয়ে মন্ত্রিত্ব পাবে।
তুমি আরাম করো।

সে এখন পর্যন্ত কি,
এমন করেছে, স্যার?

২ বার বিয়ে করেছে, ২টা বাচ্চা জন্ম দিয়েছে,
একটাকে ছেড়ে দিয়েছে, তাই না?

"প্রথম ছেলেকে ছেড়ে দিয়েছে কেন?"

"সে কোথায়?
কি করছে সে?"

যদি আমি প্রেসকে ডেকে
এসব প্রশ্ন করি?

আপনি হেডলাইনে থাকবেন,
আর আমি ক্যাবিনেটে।

আচ্ছা, এরজন্য তোমার
বেঁচে থাকাটা জরুরী।

আমি, ভ্যারা বসুন্ধরা..
আইনমন্ত্রী হিসেবে..

আমার দায়িত্ব বিশ্বস্ততা ও
সচেতনতার সাথে পালন করবো।

কোনরকম ভয়,
পক্ষপাত এবং কুসংস্কার ছাড়া।

সংবিধান ও আইন অনুযায়ী,

আমি ঈম্বরের নামে শপথ করছি,
জনগণের জন্য সঠিকভাবে কাজ করবো।

- পেপার্স তৈরি করেছো, পাণি?
- হ্যাঁ, স্যার।

২৫ বছর পর তাকে বিরক্ত,
করার দরকার আছে, স্যার?

আমার এসব করতে ভালো লাগছে।

ম্যাডাম কি জিজ্ঞেস করেছে?

উনার আগের ছেলে,
কেমন আছে বা অন্যকিছু?

আসলে নাতির কথা মনে পড়ছে,
তাই এখানে ডাকছি।

আপনি হয়তো ভাবছেন তাকে,
কোলে নিয়ে ঘুরবেন।

সে এখন ছয় ফুটের বেশি লম্বা।

তার নাম রমনা..

কিন্তু সে গুন্টুরের মরিচের মতো,
গরম ও ঝাল।

মরিচের বস্তা, ট্রাক লোডিং..

এসব কিছুই তার দুনিয়া।

সে সেই দুনিয়ার রাজা।

সে এরমধ্যেই তার রাজ্যে যুদ্ধ করছে,
ও তলোয়ার চালাচ্ছে।

তাকে এখানে ডেকে এনে,
মারধর করানো ঠিক নয়, স্যার।

সে ওখানে রাজা হতে পারে,
কিন্তু এখানে সন্তান।

আমরা সামলে নিব।
ডাকো তাকে।

ঘরে আসতে বলবো, স্যার?

যদি ঘরে ডাকি চলে না যাওয়া,
পর্যন্ত আপ্যায়ন করতে হবে।

অফিসে আসতে বলো।

আমাদের কাজ হয়ে গেলে,
বিদায় করে দিব।

অকে, স্যার।

- হ্যাঁ, ঠিক আছে।
- হেই!

- নানু।
- খবর কি?

এইমাত্র ব্রেকফাস্ট করলাম।

কফিও খেয়েছি।

কিছুক্ষণ পর মা সরকারি,
অফিসে চলে যাবে।

তাই না?
- হুমম।

বাই!

সে আমাকে অবাক করে দিল..

অন্যজনকে,
ডাকার কি দরকার আছে?

এর মাধ্যমে নিশ্চিত হলাম যে,
তাকে ডাকা খুব জরুরি।

গুন্টুর উপশহর।

- কে, বাবা?
- পাণি।

১০ দিন ধরে ফোনের উপর,
ফোন করছে।

"রমনা কি হাইদ্রাবাদে আসছে?"

তুই গিয়ে একবার জিজ্ঞেস কর?

সম্ভব না!
তার মেজাজ সম্পর্কে তো জানোই।

- আমার উপর চিল্লাবে।
- কেন হবে না?

১০ বছর বয়সে তার মা তাকে,
ছেড়ে চলে যায়।

সে কি হাসিখুশি থাকবে?

এটা মেজাজ না।

যন্ত্রণা।

গুন্টুরের মরিচের গুঁড়া।

দেখ.. দেখতে লাল এবং ঝাল।

একবার জিহ্বাতে লাগলে,

চোখের পানি থামানোর উপায় নেই।

সেও অন্যদের মতো।

দেখতে নিষ্ঠুর মনে হলেও
আসলে মিষ্টি।

তাহলে তুমি জিজ্ঞেস কর।
কতোটা মিষ্টি বুঝতে পারবে।

তাকে কি বলবো?

তার মা তাকে ডেকেছে।

তাকে বলা বা না বলা,
দুইটাই ভুল।

আমি মৃত্যুর সাথে খেলছি!

কি দেখছিস তোরা?

তিনটা মরিচের লোড পাঠাতে হবে।

বন্দর রাস্তাটা ভালো মনে হচ্ছে।
এই রাস্তা দিয়ে যাবি।

- পৌঁছে আমাকে ফোন দিবি।।
- আচ্ছা।

"রাত হয়ে গেছে তাই বিরক্ত করিনি।"

যদি এসব অজুহাত দিস,
তাহলে চামড়া তুলে নিব।

যা! যা সবাই!

কি?

আসলে..

পাণি জিজ্ঞেস করছিল তুমি,
হায়দ্রাবাদ যাবে কিনা?

যাওয়া উচিত?

আমি হ্যাঁ বলছি না কারণ,
তারা ভাল মানুষ না।

অবশ্য তোমার সম্পর্কেও,
বলার কিছু নেই।

হ্যাঁ নাকি না?

আমি জানলে,
এতো টানাটানি করবো কেন?

- হেই, সাম্বা।
- হ্যাঁ?

উনি কি,
এখন আমাকে চিনতে পারবে?

হ্যাঁ।

- গাড়িতে ডিজেল আছে?
- ট্যাঙ্ক ভর্তি, ভাই।

ঠিকানা কি?

আবিদস জনদালাম পার্টি অফিস, হায়দ্রাবাদ।

যে কাউকে বললে দেখিয়ে দিবে।

- পেপার্স রেডি?
- হ্যাঁ, স্যার।

আশা করি বানানে কোন ভুল নেই।

স্বামীকে তালাক এবং,
ছেলেকে ছেড়ে দিয়েছিলেন।

তিনি আবার বিয়ে করেন এবং,
আরেকটি ছেলে হয়।

সম্পদের উপর প্রথম পুত্রের অধিকার নেই।
এসব লিখেছি।

পুরো বক্তব্যটাই ভুল আর আপনি
বানান ভুল দেখছেন?

তার নাম রমনা।

এটা ধরে দাঁড়িয়ে থাকো।

- এত বছরে কেউ তাকে দেখেনি?
- সময় ছিল না।

এটা শুধু ভুল নয়, স্যার।
সাংঘাতিক ভুল।

ওইটা না।
এটা ভুল।

আমাকে দাও!

রমনা।

আমার বাম চোখটা একটু দুর্বল, ভাই!

এদিকে আসো।

আপনি!

আমাকে দেখে শিহরিত?

হার্টবিট বেড়ে গেছে?

শিস্ দিতে মন চাইছে?

আমি রমনা।

দেখা হয়ে ভালো লাগলো, স্যার!

এখানে কি হচ্ছে?

বুড়োর বয়স..
৮০ পেরিয়েছে, স্যার।

তাই..

অকেজো জিনিস বেশিদিন ঠিকে।

জন্মদিনে এত হৈচৈ!

মারা গেলে তখন কি করবে?

পৃথিবী ধ্বংস করে দিবে?

এটা দারুণ বলেছেন, স্যার।

পাণি কোথায়?

উনি ওখানে অপেক্ষা করছে, স্যার।

- এটা তার দায়িত্ব।
- হ্যাঁ, স্যার।

অপেক্ষা করা ছাড়া আর কি করবে?

মা!

মা!

ওইদিকে..

স্যার?

সে আমাকে বাঁধা দিচ্ছে কেন?

ওইদিকে, স্যার।

সে কি জানেনা উনি আমার কি হয়?

মা?

ছোটবেলায় সবাই তাকে "বোন"
এখন সবাই "মা" ডাকে।

আগে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে এসো।

অস্ত্রের সাথে সে মশকরাও করে।

এভাবে কি দেখছিস?
মারবি আমাকে?

ভাবছি তোকে জানে মেরে ফেলব!

ওহ!

বাবা! বাবা, এইদিকে।

এইদিকে।

কফি?
চা?

আপনার হাতে কি কাপ আছে?

পেপার্স, তাই না?

কলম দিন।
সাইন করে চলে যাচ্ছি।

সাইন করার আগে পড়ে নিবেন, স্যার।

আমি তোমাকে মেরে ফেলব।

এতে অবাক হওয়ার কি আছে?

"সম্পত্তি দাবি করবে না।"
তোমার এসব দরকার নেই।

"মায়ের উপাধি ব্যবহার করবে না।"
তোমার তো পৈতৃক উপাধি আছে।

সংক্ষেপে, এই পরিবারের সাথে
তোমার কোন সম্পর্ক নেই।

এতবছরও সেটা ছিল না!

এই চুক্তিতে ১টা সাইন।

স্বামীর থেকে আলাদা হলে,
ডিভোর্স বলে।

সন্তানকে অস্বীকার করলে,
তাকে কি বলে?

এটার কি কোন নাম আছে?

যদি থাকে,
তাহলে উনাকে বলতে বলুন।

শুধু ১টা কেন?
হাজারটা সাইন করবো।

সে কি এখন তার মা?

সে চাইলে,
তাকে টিভিতে দেখতে বলো।

তার কোন মা নেই,
দেখাও করতে পারবে না।

যাও বলে দাও।

- যদি না মানে?
- ধ্বংস…

আমি তাকে ধ্বংস করে দিব।

"ধ্বংস" শব্দটার উপর..
ভালোভাবে জোর দিবে।

এটার উপর জোর দিলে,
সম্ভবত সাইন করবে না, স্যার।

না মানে, তাকে এখানে ডেকে..
উস্কানি দেওয়ার কি দরকার?

আমাদের প্রয়োজনে ডেকেছি জানলে,
তার দাম বেড়ে যাবে, পাণি।

দূরে রেখে কাজ করিয়ে নিতে হবে।

যখন আমরা ভোট চাইতে যায়,
তখন কুঁড়েঘরেও ঢুকে পড়ি।

যখন জিতে যায় তখন কি!
তাদের আমাদের ঘরে আসতে দিই?

তার সাথেও বিষয়টা এমন।

যখন সে তার মা'কে দেখার,
মায়ায় আছে..

এই সুযোগে কাজটা করিয়ে নিতে হবে।

যাও বলো তাকে।

কোনটা?
ভোট সম্পর্কে, স্যার?

- এর আগে যেটা বলেছে সেটা।
- ঠিক আছে, স্যার।

সাইন করিয়ে নিয়েছি, স্যার।

আপনি কেন কষ্ট করবেন, স্যার?
আমি চেক করছি।

- ওহ..
- এদিকে দাও।

স্যার!

আপনি যে ধ্বংসের সৃষ্টি করবেন,
তার অপেক্ষায় আছি।

এটা শুধু ১টা সাইন।
হাসছো কেন?

- বুড়ো মেরে ফেলবে আমাকে, থামো!
- হেই!

এদিকে দাও।

হেই!

- কি হয়েছে? বলো আমাকে।
- সরি, স্যার।

আপনি যে ধ্বংসের সৃষ্টি করবেন,
তার অপেক্ষায় আছি।

"ধ্বংস" শব্দটার উপর গুরুত্ব দিয়েছে, স্যার।

জনদলম পার্টি।

তার নাম রমনা।

কিন্তু সে গুন্টুরের মরিচের মতো,
গরম ও ঝাল।

:.: G U N T U R : K A A R A M :.:

মা!

রমনা এসেছে!

কি?

রমনা এসেছে!

কি বলছিস?
শুনতে পারছি না! আবার বল!

মা, রমনা এসেছে।

উপর থেকেও বলতে পারতি,
নিচে কেন আসলি?

তোমার বউ বয়রা।

দরজার চলে এসেছে।
ভিতরেও চলে আসবে।

দরজা বন্ধ করে দিলে,
যেখানে খুশি সেখানে চলে যাবে।

হেই, রমনা।
কাজ কেমন হয়েছে?

- কাউন্ট নাকি ডিল?
- ড্রপ।

হেই, কার্ড খেলায় জীবন পাও না।
বাস্তব জীবনেও কোন জ্ঞান নেই।

কোথায় কি বলতে হয় জানো না?

তোর মা কেমন আছে?

তার কি কোন পরিবর্তন হয়েছে?

মন্দিরের দেবীর মত চমকাচ্ছে।

তাহলে তোর আরতি করা উচিৎ ছিল!

ম্যাচ পাইনি।

সিগারেট খাওয়ার জন্য তো,
ঠিকি পেয়ে যাস।

হ্যাঁ, ঠিক।

ক্ষুধা লেগেছে।
কি রান্না করেছো?

তেমন কিছু না।

ডিম কারী বানিয়েছি।

আন্টি!

ডিম এখানে নিয়ে আসো।
আমি খেয়ে নিব।

- কি?
- তোর তো এক চোখ কাজ করে না।

সানগ্লাস পড়লে কি একটু
ভালো লাগে?

ধুর!

তুমি আমার স্টাইল,
সহ্য করতে পারো না।

সে তোর খবর নিয়েছে?

আমাকে দেখেই কান্না করে দিয়েছে।

সত্যি?

বলেছে, "তোর আন্টির ফালতু,
ডিমের তরকারি কেন খাবি?

থেকে যা।
তোর জন্য মুরগি রান্না করবো।

- আচ্ছা, থেকে যেতি!
- ওহ!

তুমি আমাকে মিস কর সেটা চাইনি।
তাই, চলে এসেছি।

হেই, এত কম দিচ্ছিস কেন?
সে বড় হচ্ছে। এটা খা।

হেই! ডিম দিয়ে মেরে ফেলবে নাকি?

হ্যাঁ, তোকে তোর মায়ের মত ছেড়ে দিব না।

হেই! ওখানে কি হয়েছে তাকে..
সেটা বলতে দাও।

সে আসার পর থেকে তাকে,
বলার সুযোগ দিচ্ছো না!

আমার শালাবাবু,
বছরে শুধু একবার কথা বলে।

কিন্তু যখন বলে, একদম কড়া বলে।

এমন নয় যে তারা,
আমাকে ভালোবাসে।

আমাদের মাঝে সম্পর্ক নেই বলে,
তাদের সাইন প্রয়োজন।

এজন্যই ডেকেছে আমাকে।

- হেই, সাম্বা।
- হ্যাঁ?

তারা বলছে আমি তাদের সম্পত্তি দাবি,
করতে পারবো না।

কখনো করেছি?

উনি তার ছেলেকে দেখেনি…

কিন্তু বন্ধ দরজার পিছনে,
অফিসের চেয়ারে বসে ছিল।

যেহেতু উনি ব্যস্ত, ভাবলাম আমার..
বিরক্ত করা উচিত নয়। তাই, সাইন করিনি।

হ্যালো, মি. সত্যম!

এই উপলক্ষে গ্রামোফোনে সঠিক,
গানটি বাজান।

যেটা বিচ্ছিন্ন স্বামীর পাশাপাশি,
ত্যাগী পুত্রের জন্য উপযুক্ত।

বুঝতে পারছি না ঘরে ডিম কে দিচ্ছে!
মুরগি নাকি তোমরা!

ডোসা পছন্দ হয়নি, স্যার?

- আমার ভালো লাগছে না, পাণি।
- ওহ!

এই কাটা মধু কোন সময় ধোঁকা,
দিবে বুঝতে পারছি না।

ঠিক, স্যার।

সে সাইন করছে না কেন?

তার মায়ের কারণে।

তাহলে, তাকে ফোন করে বলো,
তার মা তাকে দেখতে চায়।

হেই!

আমি কি কখনো সোডা খেয়েছি?

সরি।

পানি খাও, তাই না?
আমি নিয়ে আসছি।

মামা!

মামা! ওগুলো পানি।
এইযে, এটা নাও।

১ মিনিট।

হেই, আমি অমলেট খাই!

ধ্যান কোথায় থাকে তোর?

কি সমস্যা?

হায়দ্রাবাদ থেকে গতকাল,
আবার ফোন এসেছিল।

এইবার তাকে ঘরে ডেকেছে।

আপনার ছেলে..
মাছের মতো ড্রিংক করছে, মামা।

পানি আনার আগেই,
এক কোয়ার্টার শেষ করে দিয়েছে।

অমলেট আনতে দেরি করলে,
আমাকেই খেয়ে নিতো।

- আমি বলেছি সেটা বলবেন না।
- দাঁড়া।

- প্লিজ, না.. আমাকে মেরে ফেলবে, মামা।
- দাঁড়া।

- হেই!
- মামা..

রমনা!

ড্রিংক করছিস?

- হায়দ্রাবাদ থেকে ফোন এসেছিল?
- হ্যাঁ।

কি বলেছে?

নাতিকে দেখে খুশি হয়েছে।

এখন, ছেলেকে দেখতে চায়।

তাহলে তোর যাওয়া উচিৎ।

কিসের জন্য?
তারা আমার জন্য দরজা বন্ধ রেখেছে।

দরজা ভেঙ্গে ফেল,
সন্তান হিসাবে তোর সেই অধিকার আছে।

তাই না?

তুমি জানালার বাহিরে দাঁড়িয়ে আছো।

আর আশা করছো,
আমি গিয়ে দরজা ভাঙ্গি!

তারা বলছে না খেয়ে তুই,
সারাদিন ক্ষুধার্ত থাকতি।

কিন্তু যদি মাকে ছেড়ে দিস,
সারাজীবন কাঁদবি।

তাকে ছেড়ে গেলেও,
সে কিছু ছাড়ে না।

যেন আমাকে কোলে তুলবে,
তাড়াতাড়ি যেতে বলে!

কি বলিস তুই?

ঐখানে যাবি নাকি না?

বাসাভারাজু সারাঙ্গপাণি
বি.এ.বি.এল।

এ্যাডভোকেট।

এখানে আমি বস।

যখন আমি ডুকি,
তারা ভয়ে প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলে।

স্যার! ওয়েলকাম স্যার।

- কে তুমি?
- আমি মিঃ পাণি'র এ্যাসিস্ট্যান্ট, স্যার।

নাম নাই কোনো?

বালু, স্যার।

- এটা?
- মিঃ পাণি'র বাড়ি, স্যার।

হেই! ভালো করে করিস।

সবাইকে অবাক করে দিতে হবে।

আর সে?

মিঃ পাণি'র মেয়ে, স্যার।

আজকের স্পেশাল: আমার বাড়ির ট্যুর।

এটা আমাদের গাছ।

বোন! এটা উদ্ভিদ।

যখন আমিই জানি না,
অন্যরা কিভাবে জানবে? চুপ থাক।

আগামীকাল..
আমার বাবার মৃত্যু বার্ষিকী।

এটা দাদার!

তো বাবার যেন কি আসছে?

জন্মদিন।

দুটোই স্পেশাল অনুষ্টান।

বাহ্!

পাণি'র মেয়ে দেখি,
দারুণ সুন্দরী!

সুন্দরী?

সে আপনার বাবার,
সাথে দেখা করতে এসেছে।

বাবা বাড়ি নেই।

অপেক্ষা করবো।

শিউর,
বাইরে অপেক্ষা করুন।

হেই, মেয়ে!

আমার চেহারাটা দেখো।

রোদে কালো হয়ে যাবো না?

ওহ্, তাই নাকি?
১ মিনিট।

যেন সে গোলাপ!

খোপায় পড়ে নাও।

তো, এভাবেই সব মেয়ের..
সাথে কথা বলেন?

যদি না তারা অতিরিক্ত সুন্দরী হয়।

কাজ কি আপনার?

তোমার সাথে না,

তোমার বাবার সাথে।

বাবা? বাবা মানে কি?
তাকে কি একটু সম্মান দিতে পারেন না?

মনে হয় খুব রাগী।

অফার করেছিলাম,
কিন্তু সে রাজি হয়নি।

কপাল আমার!

- ওর ব্যাপারটা কি?
- সবুজ তো দারুণ মানায়।

লোকটা কে!
এভাবে খোলামেলা ফ্লার্ট করছে?

মেনে নিচ্ছি কারণ,
দেখতে সুন্দর.. নয়তো।

- কি নামে ডাকবো?
- বালা সুব্রামানিয়াম, স্যার।

তোমারটা কে জানতে চাচ্ছে?

অমুক্তা মাল্যদা, স্যার,
আমরা ভালবেসে অমুদা ডাকি।

তুমি কেন ভালবাসা দেখাবে?
আমার উপর ছেড়ে দাও।

আমাকে কি সেই স্বাধীনতাটা দিবে না?

নিন, স্যার।

ও শাড়ি পড়েছে কেন?
কিসের অনুষ্টান?

ইন্সট্রা রিল'স বানায় তো।

গতকাল জিন্স পড়েছিল,
আজ শাড়ি পড়ছে।

আগামীকাল কি স্কার্ট পড়বে?

- এটা কেন জিজ্ঞেস করছেন, স্যার?
- আগামীকাল আবার আসবো।

আগামীকাল আমার সাপ্তাহিক বন্ধ, স্যার।

আম্মা! ঐ যে সে।

বাড়িতে কি চুরি হয়, বালু?

কাউকে ডুকতেই দেয় না!

এমনকি চা ও সাধে না।

বিষয়টা তেমন না, স্যার,
১ম কোন গুন্ডা দেখছে তো, তাই।

সরি, স্যার।

আগে কি বলেছিলাম?

বলেছিলেন..
মিঃ পাণি'র মেয়ে খুব সুন্দরী।

শুধু সুন্দরী না।

- অসম্ভব সুন্দরী।
- স্যার!

- স্যার!
- পাণি, আপনাকে নিয়েই কথা বলছিলাম।

তাকে এখানে বসিয়ে রেখেছো কেন?
মাথায় বুদ্ধি নেই?

প্লিজ আসুন, স্যার।
চলুন কফি খাবেন।

- পাণি…
- জ্বী?

আপনাদের মা নাকি,
আমাকে ডেকেছে?

হ্যাঁ, সত্যি বলছি।

কফি ওখানে খাবো।
চলুন।

১ মিনিট, আমি গাড়ি ঘুরাচ্ছি..
আপনি আসুন।

আম্মু!

আমি রমনা।

মনে রেখো।

যখন গুন্টুর আসবে,
তখন নামটা কাজে লাগবে।

ইতিমধ্যেই ডাক নাম দিয়ে দিলো!

হেই, হয়ে গেছে..
উপরে তোলো।

সে কি বলছে,
আমি সর্বনাশ ঘটাতে যাচ্ছিলাম?

সে কি বলছে,
আমি অপেক্ষা করছিলাম?

তুমি কি লিখেছো?

তুমি কি বলেছো?

জানো, আমি মিথ্যা বলি না।

তুমি জানো, আমি কভার করি।

হেই!

তোমার কাকা।

- আমার মেয়ের..
- ২য় স্বামী?

বস, যদি কিছু মনে না করেন,
কিছু জিজ্ঞেস করতে পারি?

প্লিজ।

আপনার মধ্যে মা,
এমন কি দেখলো যে বিয়ে করলো?

নিন্দা জানাই, নিন্দা।

নানু! নিন্দা শব্দটা..
কখন ব্যবহার করতে পারি?

তোমার বাবা তাকে নিন্দা জানাতে পারে,
এমন প্রশ্নের জন্য।

ও কে?

এই পরিবার ও নির্বাচনী এলাকার,
একমাত্র উত্তরাধিকারী।

- ইনি কে?
- সম্পর্কে তোমার ভাই।

তুমি যাও।

হেই!

এমন অদ্ভুতভাবে চলে যাবি না!

তোকে শিখানো হয়নি,
কিভাবে বড়দের সালাম করতে হয়?

- নমস্কার!
- আচ্ছা!

তুই আর তোর হিন্দি নমস্কার!

আমি এটার নিন্দা জানাই!

দোয়া করে দিলাম,
এখন যা।

সব চরিত্র এখানে আছে,

কিন্তু আসল চরিত্র কোথায়?

নাকি ভিতরে তালা দিয়ে রেখেছো?

আগে সাইন করো,
সে চলে আসবে।

আগে তাকে আসতে দাও,
তারপর সাইন করবো।

ঐদিন যখন অফিসে ছিলে,
যদি উচিৎ শিক্ষা দিতাম?

শিক্ষা!
ঘোড়ার আন্ডা।

হেই!

চিল্লাবে না,
কানে আমি ঠিকমতোই শুনি।

তুমি বুড়ো মানুষ,
বরং শুনতে কষ্ট তোমারই হবে..

- যদি আমি চিল্লাই।
- বুড়ো কাকে বলিস?

কে!

- বাবা!
- স্যার!

বুড়ো কে?

এখানে বুড়ো কে?

তুমি কি উঠে নাঁচবে!
যাতে প্রমাণ হয় তুমি বুড়ো না।

এটা চাও?

আমার সাইন চাও?

অটোগ্রাফে শুধু ফ্যান'সদের সাইন দেই,
কাউকে বা সবাইকে দেই না।

দারুণ!

মনে হয় তার ঔষধের দরকার নাই,
হঠাৎ করেই কাশি বন্ধ হয়ে গেল!

বুড়োকে বিরক্ত করছেন কেন, স্যার?
সাইন করলেন না যে!

এখানে ১টা প্রেমের গল্প চলছে..

আমাকে জানতে হবে,
এটা একমুখী নাকি দ্বিমুখী পরিস্থিতি!

ততক্ষণ পর্যন্ত..
আমি সাইন করবো না।

তাকে রাগান কেন, স্যার?

আমার মতে, ১ম দেখাতেই..
তার সাথে কথা বলাটা ঠিক হয়নি।

ঠিক আছে, বললেন..

কিন্তু সে ২৫ বছর ধরে,
যেভাবে তাকে অস্বীকার করছে।

আপনারও সেটা করা উচিৎ ছিল।

এভাবে হবে না।

আগে ওর ভাবা বন্ধ করতে হবে,
যে আমার মেয়ে ওর মা।

নয়তো ওকে কি করে থামাবো?
এর জন্যই…

সে পেপার্সে সাইন করবে,
এই মর্মে যে সে আমাদের আত্মীয় নয়।

সেভাবেই আমার নাতির এমপি,
হতে আর বাঁধা থাকবে না।

রমনা থাকবে গুন্টুরে।

মধুর থাকবে না ক্ষমতা।

প্রয়োজনীয়তা আপনার,
আর সাইন তার।

আমি কেন উদ্বিগ্ন?

কারণ, পাণি..

ভেঙ্কট স্বামী উত্তর হিসাবে "না" নেয় না।

এমন কেউ নেই যে তার সাথে থাকবে,
যারা ছিল সবাই মৃত।

হাই স্যার।

- হেই, বালু।
- স্যার।

তুমি এখানে কেন?

- হেই, সাম্বা?
- হ্যা!

তোকে বলিনি?

সে পাণি'র মেয়ে।

মনে আছে আমাকে?

আচ্ছা, আমাকে বলেছিলেন..

"রমনা নামটা কাজে লাগবে,
যখন গুন্টুরে আসবে।"

সেজন্য..

ওহ্!

- হেই, ইয়াকোবু!
- স্যার?

আমার লজ্জা লাগছে।

যা ৩ কাপ চা নিয়ে আয়।

সেদিন সাইন করিনি বলে,
বুড়া কি পাণিকে কিছু বলছে?

নিশ্চয়ই তাকে নির্যাতন করেছে।

- তার অবস্থা ভালো নেই, স্যার।
- উপরে চলে গেছে?

যায়নি, কিন্তু..

- প্রিয়..
- বাবা!

সবাইকে কেন কাঁদাচ্ছো?

- কেঁদো না।
- জব চলে যাওয়া ঠিক আছে।

কিন্তু এটা আমার প্রাণের বিষয়।

স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ানের মতো হাসবো!
কান্না বাদ দিয়ে?

যেকোন সময়,
আরেকটা জব খুঁজে পাবে।

এটা নিয়ে চিন্তা করো না।

কে আমাকে জব অফার করবে!
যে কিনা আইনমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বহিষ্কৃত?

তো, এখন আমরা কি করবো?

যখন সে হাঁচি দেয়,
আরো লাল হয়ে যায়।

- কি দরদ!
- হ্যাঁ।

এখন তোমরা কোথায় আছো?

স্টার হোটেল।

এদিকে আশেপাশে,
কোন স্টার হোটেল নাই।

স্টার হোটেল শুধু নাম, স্যার।
এটা ১টা বাসা।

এমন সুন্দরী কারো জন্য,
সেখানে থাকা কষ্টকর।

তোমার প্রশংসা করছিলাম।

বাবা জব হারিয়েছে, মাসিক কিস্তি..

আমি সামলাতে পারবো না, মিঃ রমনা।

সে কষ্টে আছে,
তুমি কেন কান্না করছো?

সেটা আমিও বুঝছি না, স্যার।

এমনকি আমি তার পরিবারের কেউ না।

তবুও, অশ্রু স্রোতধারায় প্রবাহমান।

এখানে মরিচের ঝাঁঝ আছে,
তাই হয়তো চোখ জ্বলছে।

ওহ! ভাল কথা।

এটা কি?

শুধু ১টা সাইন।

তুমি জানো বুড়ো কি লিখে রেখেছে?

জানি স্যার।
আসলে আমিই এটা তৈরি করেছি।

আপনার মাকে ভুলে যাওয়া উচিৎ,
তাই না?

বোর্ডিং স্কুলের ছেলের মতো..

বুঝতে পারছি না,
এতো নাটক কেন করছেন?

যতই হোক, আপনার মা..
আপনাকে অনেক আগেই ছেড়ে দিছে।

সেটা কি চিন্তা করেছেন?

হেই!

সে কি বলেছে,
আমাদের থেকে কেন কিনেনি?

কিছু লোক তাকে প্রতি লোডে,
১০ হাজার টাকা ডিসকাউন্ট দিয়েছে।

এটা বলেনি, সে কে?

যা, লাঞ্চ করে নে।

তুই শেষ কোর্সে যাওয়ার আগেই,
সে মটর শুটি শেষ করে দিবে।

আমাদের থেকে,
১০ বছর যাবৎ লাল মরিচ কিনছিস..

যখন কিছু লোক,
তোকে ডিসকাউন্ট দেয়,

" ম্যাডাম বুজ্জি, ১টা অফার এসেছে?"
আমি কি করবো?"

সেটা জিজ্ঞেস করা উচিৎ ছিল না?
গাধা! আটকাস না আমায়।

তুমি পরামর্শ দিতে চাও,
তরকারীতে মরিচ সম্পর্কে!

যেমনটা মরিচ থাকে লরিতে।

কি?

কিছু না।

আমার মুখ বন্ধ রাখো তো!

চাচ্ছিলাম একটু কথা বলতে।

ব্যস এটাই।

এতো ভদ্র হচ্ছিস কেন সাম্বা?
বাকি অর্ধেক কাজ শেষ কর।

এমন জোরে মার যাতে,
বউয়ের সামনে প্রেমিকার নাম বলে দেয়।

ফোনটা দে।

সেই লোক যে তাকে,
আমাদের থেকে মরিচ কিনতে না করেছে।

- কে?
- হেই!

তাকে স্পর্শ করলে,
তোকে দেখে নিবো।

কিছু বলছিলে, মামা?

ঐখানেই থাক।

যদি ১০ মিনিটের মধ্যে এসে,
তোদের না পুড়াই।

আমার মার্কস নাম বদলে ফেলবো।

এই বয়সে নাম বদলে,
আদার, রেশন কার্ড আপডেট করা,

অনেক প্যারার কাজ।

হেই, সাম্বা!

হ্যাঁ?

একে গাড়িতে তোল।

চল মার্কস মামাকে,
হ্যালো বলে আসি।

মামা!

আমাদের গুদাম পুড়িয়ে,
বাবাকে জেলে পাঠিয়েছিলে।

নিজের বড় ভাইকে হত্যা করেছিলে।

চিন্তা নাই,
নিয়ে এসেছি তাকে।

কিন্তু এখনো তুমি প্রতিহিংসাপরায়ণ।

সেজন্য আমি এসেছি,
এসব সমাধান করার জন্য।

গাড়ি এখানে,
তো ছেলেটা কোথায়?

স্বীকার করো আমাদের ব্যবসায়,
হাত দেয়া অন্যায় হয়েছে।

ঐ ছেলে নিজেই,
জাম্প করে চলে আসবে।

হেই!

আমাকে অপেক্ষা করাতে চাচ্ছিস,
যতক্ষণ না পায়ে পড়িস!

বোকা ছেলে!

ঠিক আছে!

হেই!

আমাকে বলতে এসেছিস,
একচেটিয়া মরিচ ব্যবসা করতে?

কেন?

আমাদের কি লোড আর ট্রাক নাই?

আজ সত্যম ছেড়ে যাওয়া বউ ছাড়াও,
ছেলেকে হারাতে যাচ্ছে।

তাকে আমার পায়ে পড়াবো।

দেখবো কিভাবে সে বের হয়,
আমার কব্জা থেকে।

আয়।

ঐদিকে আয়।

মামা, বসা বাদ দিন।

শুয়ে পড়ুন।
আমি ব্যাখ্যা করছি।

হে ভগবান!

মামা!

আসার পর থেকে,
১টা জিনিস আমার বিরক্ত লাগছে।

শীতকালে তাঁবু টানিয়েছো কেন?

যাই হোক, তোমার টাকা..
তোমার ইচ্ছা।

বেয়াদব।

হেই! চলে যাচ্ছিস কেন?

তার বাবা আমাকে,
কল দিয়ে বিরক্ত করছে।

কোথায় সে?

ছেলেটা কোথায়?

মামা!

- বন্ধ করো।
- কি?

আমাদের গাড়ি শেডের নিচে পড়ে গেছে,
আমার মাথায়ও ১টা টাইল পড়েছে।

আপনাদের গাড়ীর বীমা ছিল?

মেকানিক আমার লোক।
২ দিনের মধ্যেই ঠিক করে দিবে।

তোমার গল্পটা কি, মেয়ে?

আপনি নিজেই বললেন না!

যে আমার মত মেয়ে,
ওমন জায়গায় থাকতে পারে না।

তাই..

তাই..

তাই? স্যুটকেস নিয়ে চলে এসেছো!

এখানে কোনো রুম নেই।

হেই, চলো।

তুমি কর্তব্যপরায়ণ।

জীবনে অনেক দূর আগাবে।

হেই, মেয়ে।

আন্টি আশেপাশের,
লোকদের প্রশংসা করে না।

যাও সিঁড়ির নিচের ঘরে থাকো।

- কি?
- হ্যাঁ।

ওখানে আমার জামাকাপড় আছে।

কোন ঘরে,
তোর জামাকাপড় নেই?

পুড়িয়ে ফেল,
অর্ধেক সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

শিউর, ধরিয়ে দে আগুন..
তোর বাবার টাকা, তার কোনো ক্ষতি হবে না।

আপনাকে ১টা রুম দিয়েছে, যান।

চলো।

কি?

আমার থাকার যায়গা?

তোমার থাকার যায়গা?

- তুমি পুরুষ মানুষ।
- জ্বী, স্যার।

- যে কোনো জায়গায় থাকতে পারবে।
- সত্যি কথা।

নিশ্চিত করো,
তুমি রুমে প্রবেশ করবে না।

স্যার?

- এটা আপনার বেডরুম?
- এক্সাক্টলি!

এটা আমার বারান্দা।

ওয়াশরুমের কি হবে?

সে বলে "বাড়িতে এসব করা ঠিক না"।

গাছের নিচে কাজ সারো।

- কে?
- আর কে?

আমাদের উত্ত্যক্তকারী, রমনা।

এখনো কল দেয়নি কেন?

ব্যাপারটা কি সজহভাবে নিলো,
নাকি ভাবছে আমি শান্ত!

১টা মেসেজ পাঠাই।

তোমার বাবা?

কি পাঠালো?

সে কি চায়,
এখান থেকে এটা কিনে নিয়ে যাই?

সে বলছে ফাঁসিতে ঝুলবে,
যদি সাইন না পায়।

ধুর! সে সাইন করবে না।

শুধু মানুষকে জরিমানা করে।
কখনোই সাইন করে না।

রামু..

জানালা খোলার চেষ্টা করলাম,
মনে হয় আটকে গেছে।

একটু সাহায্য করতে পারবেন?

কি বললো?

- জানালার ব্যাপারে কিছু..
- হেই।

এর আগে..

রামু?

কখনো বুঝতে পারিনি,
আমার নামটা এতোটা ভাল শোনায়!

আমিও জানতাম না..
রমনা শর্টকাটে রামু হতে পারে, স্যার।

এক্সকিউজ মি!

তোমাকে কিছু জিজ্ঞাসা করবো?

আশা করি কিছু মনে করবে না।

তুমি কি জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলো,
ব্যবহারের আগে বা পরে?

এটা ছেড়া জিন্স, রামু।

মনে হয়, এগুলার দাম বেশি..
সাধারণ জিন্সের চেয়ে।

কিভাবে জানলেন, স্যার?

আমি বলতে পারি..
ছিড়লে সেটা কেমন দেখায়।

একদম ভিন্ন ১টা ক্যাটাগরি।

এটা কি সুন্দর না?

একদম অসাধারণ চেহারা।

কি দারুন!

পাণি'র মেয়েকে নিয়ে কি বলেছিলাম?

প্রথমে বললেন,
সে খুব সুন্দরী।

পরে বললেন,
না সে অসম্ভব সুন্দরী।

শুধু অসম্ভব সুন্দরী না..

রক্তাক্ত সুন্দরী।

এটা নোট করলাম।

- কিছু কি শুকাতে দিয়েছো?
- হ্যাঁ, দিয়েছি।

এখনো খাওনি?

কেউ সাধেনি।

- নিজের ঘরে লজ্জা পাবে না।
- এটা ঠিক।

বাইরে গিয়ে খাও।

এসব কি?

আপনি মন্ত্রী হয়েছেন,
ভালো টাকা পয়সা উপার্জন করার জন্য,

ডাবল মার্ডারে,
কমিশন নিয়োগ করার জন্য না।

এটা রেনিগুন্টায়,
৫ বছর আগে ঘটেছিলো।

হয়তো ভাবছেন হরিদাসই সেই বুড়ো দাস,
যে আপনার বাবার সাথে অংশীদার ছিল।

সেসব ছিল অতীতের গল্প।

এখন ফোন করে খোঁজ নিয়ে,
আমাকে জেলে পাঠাতে চান?

রাজ্যে আগুন জ্বলবে।

দাসকে ফোন করে,
খোঁজ নিতে চান?

যে বিচারক নিয়োগ করেছেন,
সে কি আপনার অফিসে আসতে পারবে?

এক্সকিউজ মি, ম্যাডাম।

বিচারক অলোক,
মেসেজ পাঠিয়েছেন।

ব্যক্তিগত কারণে তিনি,
হরি দাস কমিশন থেকে চলে গেছেন।

অদ্ভুত!

এক সপ্তাহে,
১ জন বিচারপতি বদল হতে পারে।

১০ দিনে,
১ জন মন্ত্রী বদল হতে পারে।

কিন্তু হরি দাস যখন জেলে যাবে,
বের হতে তার ২০ বছর লাগবে।

তার সাথে কেন ঝামেলা করছিস?

আমার কথা শোন..

১ টা খারাপ ব্যক্তিরও কিছু নীতি থাকে,
কিন্তু তার সেটা নেই।

তার নীতি না থাকতে পারে..

কিন্তু আমার দায়িত্ব আছে।

- নারায়ণ..
- শ্বশুর বাবা?

দাস কি করে জানলো!
বিচারক এখানে আসছিলো?

এটা কি বললেন?

আমরা কমিশন নিয়োগ করেছি,
কিভাবে সে জানবে না?

কিন্তু সেটা ঘোষণা করার আগে না!

কাটা মধু নিশ্চয়ই তাকে বলেছে।

রাজনীতিতে রিল্যাক্স,
করতে পারবে না।

ছেলেকে রেডি করো।

মা ক্ষমতায় থাকলে সে হবে,
১ জন এমপি নয়তো এমএলএ।

- হেই..
- স্যার?

সাইনের কি হলো?

এখনো হয়নি, স্যার।
আমি-

- তোমাকে!
- স্যার!

হেই, কোথায় চললে?

নির্দিষ্ট দিক নেই, স্যার।
এই সোজা যাচ্ছি।

চশমাটা পড়ো,
দেখি তোমার চাকচিক্য বাড়ে কিনা!

ওহ্।

- দারুণ।
- ধন্যবাদ, স্যার।

মুখটা ঘোরাও।

কি দারুন!

তোমাকে মসৃণ ও চকচকে লাগছে।

লজ্জা পাচ্ছি, স্যার।

আমিও।

ওই দিকে তাকাও,
একদম নড়বে না।

কফি।

তুই ওমন পোশাক,
পরিস না, তাই না?

এটা আমার স্টাইল না, কাজিন।

শেখা উচিৎ।

তাকে তোর,
অর্ধেক শাড়ি গিফট করবি।

পারফিউম ও ক্রিম।

শুধু সেগুলি সরাবি না।

এক্সকিউজ মি!

প্লিজ তাকেও সাজিয়ো।

মনে না করলে,
কিছু বলতে পারি?

শিউর।

তোমার চোখ যথেষ্ট মন্ত্রমুগ্ধ।

আইলাইনার,
কোহল পড়ার দরকার নাই।

আমার মত বোকা ছেলেরা
তোমার জন্য পড়ে যাবে।

বিব্রত করবেন না, রামু।

কি দারুন..

ভগবান, জানতামই না..
আমার নামে এত সুর ছিল!

সানগ্লাস পড়ে আছো কেন?

একদম পকেটমারের মতো লাগছে,
খুলে ফেলো।

আগে বললেন যে দারুণ লাগছে।

আগে সে এখানে ছিল।

মনে হয় না,
সে ফিরে আসবে।

এখন সাইন করতে বললে,
কালির বদলে রক্ত দিয়ে করবে।

চলো সঠিক সময়টা খুঁজি,
আর সাইনটা নেই।

হ্যাঁ।

সে তো মদ পান শুরু করলো!

তাই তো দেখতে পাচ্ছি।

হাই, স্যার!

চোরের মত উঁকি মারছো কেন?

আপনার ব্যক্তিগত সময়, স্যার।

ওহ্, দারুণ!
আমি কি যোগ দিতে পারি, স্যার?

এটা কি স্কুল,
যে যোগদান করবে?

তোমার লাগবে গ্লাস।

ভালো বলছেন, স্যার।
ধন্যবাদ।

সব বলা করা শেষ।

তার অর্ধেক শাড়িতে,
তোমাকে আরো আকর্ষণীয় লাগছে।

অনেক সুন্দর লাগছে।

এটা কি স্কচ, স্যার?
একদমই আশা করিনি।

শুধু বোতলটা বিদেশি,
ভিতরের জিনিস লোকাল।

সামান্য.. আরেকটু।

- তো বালু..
- স্যার?

- হয়েছে।
- তোমার পুরো নাম কি?

বালা সুব্রামানিয়াম, স্যার।

- এসপিবি?
- শুধু বি।

নামটা কোন কিংবদন্তি থেকে রাখা।

ধন্যবাদ, স্যার।

- তার অনুপ্রেরণায়..
- স্যার..

১টা সুন্দর গান গাও।

আমার শ্রুতির সমস্যা আছে, স্যার।

আমি শুধু সেটাই গুরুত্ব দিই,
যদি তার সাথে সমস্যা হয়।

"শ্রুতি" মানুষ নয়, স্যার।
"শ্রুতি" মানে সুর।

এটা কি গুরজাদা কলামন্দির?

এটা শুধু ১টা গুদাম মাত্র।

ভূলের কথা ছাড়ো,
চেষ্টা করো, চলো।

অকে, স্যার।

এভাবে তাকিয়ে আছো কেন?

বিয়ার খাবে?

স্যার, আপনি..
লাইন অতিক্রম করছেন।

এটা কি কাবাডি ম্যাচ,
যে লাইন অতিক্রম করবো?

সে ১টা বাচ্চা, স্যার।

এদের দ্বারাই আজকাল বার ভর্তি।

এসব বির্তকিত বিষয় বাদ দিন।

ভদকা আছে?

হেই..

- সোডা নাকি পানি?
- জুশ।

স্বাস্থ্য সচেতন, দেখছি।

- হেই, ইয়াকোবু।
- স্যার।

কি হয়েছে?

হাত ধরে তাকে স্কুলে নিয়ে যাই, স্যার।

- আগামীকাল তাকে বারে নিয়ে যাবে।
- কোনভাবেই না।

নাটক বাদ দিয়ে,
১টা গান গাও।

কোনো নির্দিষ্ট সুর, স্যার?

যে কোনো সুর।

যে কোনো সুর!

১টা আজাইরা গান গাচ্ছি না কেন?

১টা সুন্দর গান গাচ্ছিলাম, স্যার।
মারলেন কেন?

সৌন্দর্য..

আমার কাঁদতে ইচ্ছা করে,
যখন তার কথা ভাবি, বালু।

তার মহান আত্মা শান্তিতে থাকুক।

এমন কারো গান গাও,
যে বেঁচে আছে।

১টা সুখের গান গাও।

এমন কিছু গাও,
যেটা প্রশান্তি ও আনন্দদায়ক।

গাধা।

এটাই তার জন্য সেরা।

- ওয়াও, কি গান!

- কি দারুন!

গানের সাথে,
মিউজিক শুনছি মনে হচ্ছে!

গান গাচ্ছিলাম না,
ফোনে বাজাচ্ছিলাম।

কি দারুন!

চালাও।

ভূমিকা!

ওয়াও!
কি দারুণ সৃষ্টি!

কি দারুন!

এগুলা আর তৈরি হয় না।

একদম থেমে গেছে।

গায়ে এখন কোনো মাংস নেই।

তাদের জড়িয়ে ধরলে মনে হয়,
নিজেকে জড়িয়ে ধরছি।

তারা কি বলে,
আমরা বুঝতে পারি না।

আমরা কি বলি,
তারা বুঝে না।

জানে না কিভাবে খেলতে হয়,
বা রাজত্ব করতে হয়।

অবশ্যই তেলেগু,
নিশ্চিত তারা সেটা জানে না।

বাবু।

ফোন।

প্রভু দেবার কপি মনে হচ্ছে।

তার শরীরে হাড় নাই নাকি?

শরীরের কথা ছাড়ুন,
সিগারেট কোথায়, স্যার?

আপডেটেড পিস।

- বালু।
- বাবু?

আমার লাইব্রেরিতে যাও।

- ১৫ নাম্বার গানটা বাজাও।
- ডান।

ভলিউম ২০ এ দাও।

সরি স্যার।

আমার লুঙ্গি খুললে কেন?

সম্ভবত সে নাঁচতে নাঁচতে..
দূরে চলে গেছে, স্যার।

- এটা কিসের নাচ?
- ঠিক স্যার।

তুমি প্রভু দেবার কপি।

ওয়াহ্!

তার শক্তির সাথে মেলাতে পারি না।

আমার পুরো ক্যারিয়ারে,
এভাবে নাঁচ করিনি।

আমার সৌভাগ্য।

যাই বলো..

অনেক উপভোগ করেছি,ম্যান।

আমিও, স্যার।

জীবন যেন ছোট মুহূর্তকে ঘিরে থাকে,
ঠিক এগুলার মতো।

সত্যি, স্যার।

ব্লাউজের ভিতর থেকে,
কলম বের করছো কেন?

তুমি পকেট থেকে,
কাগজ বের করছো কেন?

ছোট মুহূর্তরা আহ্ববান করছে,
আপনার ১টা সাইনের, স্যার।

তো, এখানে বিনোদনের জন্য আসোনি?

কোনো মতলব আছে!

একটু ধরো, প্লিজ।

আস্তে।

গত রাতে সে মাতাল ছিল,
শুধু ১টা থাপ্পড় দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে।

শান্ত হবার পর যদি দেখে,
আমাদের মেরে ফেলবে, বালু।

- সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ!
- চলো জেগে উঠার আগেই চলে যাই।

- চলো।
- আর তাকে দেখতেও চাই না।

এটা শুধু স্বপ্নেই সম্ভব।

- গ্যারেজ ঐদিকে।
- হ্যাঁ।

এই নাও টাকা,
গাড়ী রেডি?

হেডলাইট কাজ করছে না।

সেগুলা চালু করার আগেই,
আমরা পৌাছে যাবো।

ব্রেকগুলোও কাজ করছে না।

- এগুলো ব্যবহার করবো না।
- এই না হলে কথা!

- চাবি, স্যার!
- দাও।

- ধন্যবাদ।
- ধন্যবাদ।

ফিরেও থাকাবো না।

- এটা কি?
- মূর্তির মতো মনে হচ্ছে!

কার?

কোন বখাটে রে,
আমার বাবার মূর্তি ভেঙ্গে ফেলেছে?

হেই, চলো।

এরা রয়্যাল সত্যমের অতিথি, ভাই।

সত্যম আমার বাবাকে মেরেছে।

এখন তার অতিথিরাও,
বাবার মূর্তিকে রেহাই দিচ্ছে না।

ধর তাদের।

স্যার, ভুল হয়ে গেছে।
একটা দুর্ঘটনা ছিল।

টাকা লাগলে বলুন,
ম্যাডাম দিয়ে দিবে।

তোর টাকা কে চায়?

তো, কি চান?

ভালো চাইলে মূর্তির মাথাটা লাগা,
নয়তো তোর মাথা সেখানে লাগাবো।

- হেই, ওদের ধর।
- আমি বড় শিল্পী না, স্যার!

- চুপচাপ বের হ।
- স্যার! হেই।

হেই, প্লিজ! প্লিজ।
ভাই!

ওহ্, ভাই!

স্যার..

- ধর তাকে।
- স্যার!

প্লিজ, উনাদের থামতে বলুন.. স্যার।

তাদের টাকা দিতে চাচ্ছি,
কিন্তু তারা শুনছেই না।

ইনি কি..
আম্বেদকর নাকি গান্ধী?

আমার বড় ভাই।

প্রয়োজনে আমি মাথা বন্ধক রাখবো,
তবুও মূর্তিটা ঠিক করে দেব।

এই মাথা না, স্যার।
আমার মাথা।

এতো কথা কেন চাচা?
তাকে বেঁধে ফেলি!

প্লিজ, তার ক্ষতি করবেন না, স্যার!

নারীর প্রতি নৃশংস আচরণ?

- নারীর বিরুদ্ধে, সত্যিই?
- ইডিয়ট!

ছেড়ে দে ওকে।
ওরা ভুল করে ফেলছে।

ইঞ্জিনিয়ারিংগিরি করছে না!

অপরাধীকে শাস্তি পেতে হবে।

ওহ্, মারে!

মামা, পেদারায়ুডুতে..
রজনীকান্তের মতো অভিনয় করো না।

তোমাকে মানায় না।

- বিষয়টা মূর্তির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখ।
- তাই নাকি?

শুনেছি এই মূর্তি..
গ্রামের জন্য অশুভ!

দিনের বেলা এটার সাথে দেখা মানে,
তাদের ব্যর্থতার সাথে।

যদি রাতে দেখে,
এক পলকও ঘুমাতে পারে না।

- তাকে বলছিস না কেন?
- সে এসব শুনে না।

হেই, ওকে না মেরে..
দাঁড়িয়ে দেখছিস কি?

হেই!

যদি কেউ এক পা আগাস,
এই গাধার হাত এমন মোচড় দিবো

- যে এটা বডি থেকে খুলে যাবে।
- হেই।

হেই, সামনে এসো না।
ও আমার হাত ভেঙে দেবে।

- হেই, কেউ এসো না।
- তাকে ছেড়ে দাও।

- হেই, বালু!
- স্যার।

যাও আগে গাড়িতে গিয়ে বসো।

এসো আম্মু,
এসো।

- গাড়ি রেডি হলে ফোন করো।
- শিউর, স্যার।

তখন তোমাকে জি-পে করে দিবো।

হেই, বালূ!

রমনা ফিরে যাচ্ছে।

অন্য কোন সময়।

এক্সকিউজ মি!

তোমার মাকে বলো,
যাতে কু-নজর না দেয়।

তোমার পীচের মতো চেহারায়।

এতো পাতলা হলি কিভাবে?

ওরা গুন্টুরে ভাত খেতে দেয়নি?
- সত্যি?

চিন্তা করছি ভাতের,
বদলে কি যে দিতো!

স্যার, মেয়েটা ফিরে এসেছে,
আর সে চলে গেছে।

স্যার!

এটা কি, স্যার?

নিজেকে আইনজীবী বলেন,
কিন্তু আপনার ষ্পষ্টতা কোথায়?

বলছেন "মেয়েটা ফিরে এসেছে"..
সে কি প্রতিবেশী নাকি কাজের মেয়ে?

"আমার মেয়ে ফিরে এসেছে।"
এটাই স্পষ্ট কথা।

কোথায় থেকে ফিরেছে?
অন্য শহর থেকে।

কে তাকে নামিয়ে দিয়ে গেল?
রমনা নামিয়ে দিল।

আরও স্পষ্ট কথা।

সে কি ভিতরে এসেছে?

যেহেতু আমরা কাউকে সাধি না,
সে ইউ-টার্ন নিয়ে চলে গেল।

দারুণ স্পষ্ট কথা।

জানেন,
এভাবে কথা বলা কতোটা শান্তির, স্যার!

আমি কার সাথে কথা বলছি?

- সেটার ব্যাপারে জানা নেই।
- এই শুনো।

মিঃ ভেঙ্কট স্বামীর সাথে কথা বলছি।

তার সাথে কথা বলছি কেন?

রমনাকে গ্রেফতার করতে।

সেটাকেই তুমি স্পষ্টতা বলো।

তাকে কেন গ্রেফতার করতে হবে?
সেটার কি স্পষ্ট কারণ জানতে হবে না?

তোমার জানার দরকার নাই।

রাস্তা আটকালেন কেন?

নাকি রাস্তা হারিয়ে ফেলছেন?

ভোগিনেনি বীর ভেঙ্কট রমনা।

তোমার পুরো নাম কি, চ্যাপ?

আমাকে "চ্যাপ" বলতে পারেন না,
শুধুমাত্র নিজের জিহ্ববা নাড়িয়ে।

আমার হাত তখন,
অভিনয় শুরু করবে।

কিভাবে মোচড় দিবে,
সেটা জানি না।

নিজেকে মোচড় দিতে পারো?

তোমার বিরুদ্ধে মিঃ ভাইরা ভেঙ্কট স্বামীকে,
হুমকির মামলা আছে।

- পার্টি অফিসের ঝামেলার কথা বলছেন?
- না বাসার।

বুড়োর কাছ থেকে,
কতো টাকা নিয়েছেন?

সীমা অতিক্রম করবে না।

পুলিশ স্টেশনে,
কি ১ম বার?

আপনার মতো কর্মচারী নই,
যে নিয়মিত আসবো।

এতো বড় সাহস তোর!

আমার হাত ছাড়।

তোকে পিটাবো,
বদমাশ।

যদি সে ইউনিফর্ম খুলে।

পিটিয়ে তক্তা করে দিবো।

কিসের এতো অহংকার তোর?

অহংকার?

অন্যের শক্তি দিয়ে,
অহংকার করি না, কাকা।

আমি চিরঞ্জীবীর মতো।

নিজের তৈরি!

তাইলে ১ সপ্তাহের জন্য,
কারাগারে রেখে পালিশ করি!

আমরাও জানবো,
তুই কি ধরনের!

আমি কি পিতলের পাত্র,
যে পালিশ করতে চায়?

কিছু অকর্মা বোকা,
আমার জামিন নিয়ে আসবে।

তারপর পালিশ নিয়ে কথা বলবো।
কে পালিশ করে আর কে হয়!

- স্যার?
- হেই, বালু!

শুধু বললাম "কিছু অকর্মা বোকা"..
সেসময় তুমি প্রবেশ করলে! কি টাইমিং!

আপনার জামিন এনেছি, স্যার।

- তুমি আমার জামিন এনেছো?
- জ্বী, স্যার।

কেন?

আসলে, স্যার..
আপনার সাথে কাটানো সময়।

কাটানো সময়?

- এসব বলে ফিলিংস নষ্ট করো না।
- অকে স্যার।

আপনার বস মামলা করে, আপনি জামিন করেন..
আপনি কোন পক্ষের?

দেখুন পক্ষের কথা কে বলছে!

- পাণি এই মামলা করেছে?
- হ্যাঁ, স্যার।

আমি তার কি করেছি?

তারা সব মিথ্যা লিখেছে।

কেন সেসব সত্য করছি না?

- আচ্ছা, পাণি..
- স্যার?

তোমার জুনিয়র ১ম অ্যাসাইনমেন্টের জন্য,
হেরে যাওয়া মামলা বেছে নিলো কেন?

হেই, মিঃ গুন্টু!

তুমি..

আমাদের মতো,
শক্তিশালী পরিবারের..

এক পুত্র আশীর্বাদ।

অন্যটা সমস্যা।

অন্যটা যদি তোমার মতো হয়,
তবে সেটা জঘন্য ব্যাপার হবে।

- স্যার, আসলে..
- আমি বয়স্ক মানুষ.. হয়তো ভুলে যাবো।

আমাকে শেষ করতে দাও।

আজকাল সন্তানরা বাবা-মাকে,
বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে।

এতদূর গাড়ি চালিয়ে কেন আসলে?
মায়ের সাথে দেখা করতে?

পেপার্সগুলো দাও।

শোনো!

পেপার্স এখানে,

মামলা আদালতে।

অবশ্যই এটা মিথ্যা মামলা।

যদি যুদ্ধ চাও বা পাল্টা আক্রমণ..
তবে আদালতে যাও।

আর যদি শান্তি চাও,
পেপার্সে সাইন করে বাড়ি যাও।

- বালু!
- স্যার।

আপনি..
এফ.আই.আরটা লিখেছেন, তাই না?

বানান ভুল না করে পড়ুন।

১৮ই আগস্ট ২০২৩

জুবিলি হিলস থানা,
জুবিলি হিলস, হায়দ্রাবাদ।

ইন্সপেক্টরের কাছে..

স্যার,

আমি, ভাইরা ভেঙ্কট স্বামী,
বিধানসভার প্রাক্তন সদস্য।

ও প্রাক্তন মন্ত্রী, বয়স ৮০

স্যার..

গুন্টুরের বাসিন্দা,
ভ্যারা ভেঙ্কট ভোগিনেনী সত্যনারায়ণের পুত্র রমনা,

ওরফে রয়্যাল সত্যম, আজ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে..
জোর করে আমার বাড়িতে ডুকে পড়ে।

ও আমার ৮৫ ইঞ্চি,
ফুল স্মার্ট স্যামসাং টিভি ভেঙ্গেছে..

সেন্টার টেবিল থেকে,
অ্যাশট্রে ব্যবহার করে।

এবং সেটাকে টুকরো করে ফেলছে।

হেই!

হেই, কি করছো?

হেই!

হেই!

ইতালিয়ান মার্বেলের তৈরি,
১টা ডাইনিং টেবিল চেয়ার..

পাণি, থামবেন না।

দামী চায়নাওয়্যারগুলো তুলে,
সেটা দিয়ে মেঝে ও দেয়ালে ভাঙ্গছে।

ইতালিয়ান সিলভারওয়্যার ছুড়ে ফেলে,
যাতে অতিথিদের খাবার ছিল।

মাটিতে ফেলে দেয়,
কোনো দ্বিধা ছাড়াই।

ডাইনিং হলের..
আলমারি ভাংচুর করে, সাথে..

ভিতরের আসবাবপত্র নষ্ট করে।

বেপরোয়াভাবে সিকিউরিটিদের মারধর করে,
যারা তাকে থামানোর চেষ্টা করেছিল।

এবং সবাইকে ভয় দেখায়।

আমার মেয়ে জামাই,
মিঃ পাক্কা নারায়ণের উপর হামলা করে।

বয়সে বড় হওয়া সত্ত্বেও,
তাকে অসম্মানজনকভাবে চড় মারে।

- পাণি!
- হ্যাঁ।

২৫ বছর আগে বেলজিয়াম থেকে আনা,
সবচেয়ে দামি ঝাড়বাতি,

- আমার বারবার না করা সত্ত্বেও..
- হেই! না।

হেই!!

- নির্মমভাবে টেনে নামায়।
- বন্ধ কর।

হেই!

তারা তোমাকে কোথায় বড় করেছে?

বাড়িতে নাকি গুন্টুরের রাস্তায়?

যাই হোক, তার সাথে..
আলোচনার কি আছে, বাবা?

কি চায় সে?

সম্পত্তি?

পাণির সাথে কথা বলো,
যা চায় দিয়ে দাও।

গাছে পাথর নিক্ষেপ করলে,
কিছু ফল পেতে পারো।

কাদায় পাথর নিক্ষেপ করলে,
সেখানে কি পাবার সম্ভবনা আছে?

১০ মিনিটের মধ্যে,
এসব আবর্জনা সাফ করো।

পাণি!

পেপার্স দিন।

ক্ষুধা অতৃপ্ত থেকে যায়,
যদি না মা নিজে সার্ভ করে।

এটা ১টা প্রবাদ।

শেষ লাইন পড়তে ভুলবেন না, পাণি।

গোল্ডেন ফ্রেমযুক্ত ছবি উপহার দিয়েছে,
রায়চুর নির্বাচনী এলাকার সদস্যরা।

এটাও সে ধ্বংস করেছে।

এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী,
বাসভরাজু সারঙ্গাপাণি, বি.এ.বি.এল।

ও বাসভরাজু অমুক্তা মাল্যদা।

রামু, আমি সত্যিই সরি।

কেন?

আসলে,
আমি সাইন করার কারণে..

তোমার বাবার জন্য মিথ্যা বলেছ।

আমার জন্য কেন সত্য বলবে?

গুন্টুরে আমাকে মনে রেখেছিলে।

আর শহরে ভুলে গেলে।

তোমার কাজ ন্যায়সঙ্গত।

সে কেন আমাকে জিজ্ঞেস করলো,
কে আমাকে বড় করেছে?

আদর্শভাবে, তার আমাকে..
বড় করা উচিৎ ছিল।

কিন্তু বলেছিলেন এটা প্রেমের গল্প,
আপনার ও আপনার মায়ের মধ্যে, স্যার।

প্রেম না ছাই!

যেভাবে সে নিচে থাকিয়ে বললো,
"আবর্জনা সাফ করো।"

সেটা কি দেখেছিলে?

আবর্জনা কে ছিল বলে,
তুমি মনে করো?

এটা আমি ছিলাম।

ভাবো তো সে আমাকে,
ভাঙ্গা কাচ ও চীনামাটির বাসন বুঝাতে চেয়েছে।

আমার মা, যার আমাকে মারা উচিৎ ছিল..
যখন আমি ছোট ছিলাম।

এখন আমাকে আমন্ত্রণ জানায়,
আর উচ্চ মর্যাদায় থাপ্পড় দেয়।

মিঃ রমনা!

তার জীবন ১টা,
অলৌকিক ঘটনা।

তার মা তাকে চায় না।
তার বাবা তাকে মনে রাখে না।

বাইরে এটা "ফেয়ার এন্ড লাভলী"..

বুকের ভিতরে "আনফেয়ার এন্ড লাভলী"।

জ্বলে না।

ঠিক আমার জীবনের মতো।

শ্রী কনকদুর্গা চিলি ইয়ার্ড।

মামাতো ভাই,
কাটা মধু তোর অপেক্ষা করছে।

সে আর তোর,
নানার সাথে থাকবে না।

কি চাও?

শুনেছি তোর বিরুদ্ধে,
মিথ্যা মামলা দিয়েছে।

মারধর করে,
সাইন করতে বাধ্য করেছে!

আমরা কি সম্প্রদায় নাকি,
জঙ্গলে বসবাস করছি?

তারা কি মনে করে,
তাদের কেউ প্রশ্ন করতে পারবে না?

আমি তোকে,
তার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাবো।

প্রয়োজনে,
১০০ কোটি টাকা খরচ করবো।

তোকে সংসদে পাঠাবো।

সব ঠিক আছে, বস।

তুমি এসব কিভাবে জানো?

কারণ তাদের ড্রাইভার,
চলে আমার বেতনের উপর।

সত্যি?

- হেই, সাম্বা।
- হ্যাঁ?

আমি এই ভদ্রলোকের সাথে,
হার্ট-টু হার্ট কথা বলতে চাই।

শাটার বন্ধ কর।

তোর নানার কেন,
একাই শাসন করতে হবে?

আমি শুধু মায়ের সাথে,
দেখা করতে চেয়েছিলাম।

তার বিরুদ্ধে জিততে না।

বাবু, আমাকে ছেড়ে দে,
প্লিজ.. আমাকে মারিস না।

ঐ ছেলেটা..

আমার প্রথম পছন্দ ছিল,
দেখলাম রমনার করুণা হল।

জিজ্ঞেস করলাম "তোকে প্রতিযোগী বানাতে চাই..
তোর মায়ের বিরুদ্ধে"। তুই কি বলিস?

সে আমাকে,
প্রায় জড়িয়ে ধরলো।

বিশ্বাস করুন,
আমি শ্বাস নিতে পারছিলাম না!

চলে যেতে চাচ্ছিলাম
কিন্তু সে আমাকে যেতে দিতে চাচ্ছিলে না।

আমার পা ধরে ছিল।

জিজ্ঞাসা করলাম,
তার কাছে কোন প্রমাণ আছে কিনা।

ব্যস, সাথে সাথে সে বাড়ি চলে গেল।

ও ১টা পারিবারিক ছবি এনে আমাকে দিলো,
১টা মূল্যবান বক্স থেকে।

ভেঙ্কট স্বামী!

একটাই কথা বলার আছে।

আপনার নাতি নাকি এটা?

যদি আমাদের নির্বাচন করতে বলেন,
রাজা গোপাল নাকি ভেঙ্কট রমনা!

আমরা ভেঙ্কট রমনার সাথে আছি।

এটা আপনি ভালো বুঝবেন।

অন্যথায়... জনসাধারণ,
আপনাকে উপলব্ধি করাবে।

বাবার মতো সে বন্ধ দরজার পিছনে,
ঘরে বসে থাকে না।

সব দরজা ভেঙ্গে,
আমাদের বাড়িত ডুকে।

কারণ সে রয়্যাল সত্যম।

একদম সাদা-কালো।

আর এই রাউডি রমনা,
১টা ৭০ মিমি সিনেমার এলাকা।

ঠিক, স্যার।

সে যদি জনগণের সামনে এসে বক্তব্য দেয়,
জনদালাম আমানতও পাবে না।

সে ১টা ব্রেক ছাড়া ট্রাক।

কে তাকে আটকাবে?

পুলিশ এখানে।

স্যার..

তারা এই এলাকার..
সবচেয়ে বিশিষ্ট পরিবার, স্যার।

প্লিজ সাবধানে যাবেন, স্যার।

মানে ভালোবাসার সাথে।

ম্যাডাম?

দশরা শেষ।
দানও তো দিয়েছি, তাই না?

বাচ্চা মানুষ, স্যার।
আমি বোঝাচ্ছি।

স্যার হায়দ্রাবাদ থেকে এসেছে।

ওমা! লোকজন অনুদানের জন্য..
এতো দূর চলে আসে?

হেই! মজা বন্ধ করো।

অনুদান?
আবার?

আর কতোবার দিবো?

পরের বছর আসুন।
যান।

হেই! মশকরা করবেন না।
সবাইকে জেলে পুড়ে দিবো।

কি? অনুদানের জন্য?
শিউর, চেষ্টা করুন তো!

হেই, দাঁড়াও
একটু দাঁড়াও।

- সমস্যা কি?
- কোন সমস্যা নেই।

ভেঙ্কট রমনাকে ডেকে দিন,
আমাদের হায়দ্রাবাদ যেতে হবে।

রাস্তা না চিনলে,
গাইড করার জন্য অন্য কাউকে পাঠাচ্ছি?

রমনাকে কেন লাগবে?

এসব কি?

এখানে কেউ..
সোজা সাপ্টা কথাই বুঝছে না!

বলিনি! আরেকবার ভাবুন, স্যার?

হেই, নারায়ণ!

এতো পুলিশ নিয়ে এসেছেন কেন?
আমাকে মিস করছিলেন নাকি?

তোমার জামিন অনুযায়ী,
শহর ছাড়ার আগে অনুমতি নিতে হবে।

কিন্তু তুমি ইচ্ছে মতো ঘুরছো,
তো কেন তোমাকে মিস করবো না?

স্টেশনে রিপোর্ট করতে হবে।
চলো।

না গেলে কি করবে?

কলার ধরে টেনে নিয়ে যাবো।

এমন কিছু করলে!

জীবন বাঁচাতে ভাগো।

হেই!

তাকে আঘাত করেছে।

সে ১ জন পুলিশ।

তাকে কি পিটাবি নাকি?

ছেড়ে দে,
ছাড়.. গাধা সব।

মোহাম্মদ!

মোহাম্মদ!

স্যার, এখানে।

আপনাকে বলছিলাম,
যত্ন সহকারে এটা পরিচালনা করতে।

- হেই, সাম্বা।
- হ্যাঁ?

ভদ্রলোক কি বলছে?

সে বলছে, তাকে ছেড়ে দিলে..
আমাদের মেরে ফেলবে।

বাহ্।

নারায়ণ!

ভেঙ্কট স্বামী ডেকেছিলো, তাই না?

সে বলছে আমাকে নিয়ে যেতে, তাই না?

যাও, গিয়ে বুড়োকে বলো।

রমনার কলার নরম।

অহংকারের সাথে সেটা শক্ত হয়।

সেটা যদি সে স্পর্শ করে,
নিজেই পুড়ে যাবে।

বন্দুক?
আমার বন্দুক!

সিআইয়ের বন্দুক দিয়ে কি করবি?

এটা দিয়ে খেলবি নাকি?

ফেরত দে।

তুই!

স্যার।

- ছবি তুলছিস কেন?
- যদি আমার দরকার হয়।

মালা দিতে?

হেই!

সিআইকে জিপে নিয়ে যা।

রমনা!

কি ব্যাপার?

এখানে পুলিশ কেন?

আপনার ছেলে,
মন্ত্রী বসুন্ধরার বাড়িতে গিয়ে..

তাদের লোকদের মারধর করেছে।

আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে।

যখন কারণ জানতে আসলাম,
এখন আমাদের হুমকি দিচ্ছে।

আমি বলে যাচ্ছি,
তাকে রেহাই দেবো না।

এটা সতর্কবার্তা।

হেই, এখনি না।

এখন না।
পরে দেখে নেবো।

হেই সরো,
রাস্তা দাও।

তুই কি রাউডি?

- নাকি কোনো গুন্ডা?
- বাহ্!

সত্যম সাহেব অবশেষে মুখ খুলে,
আমাকে তিরস্কার করছে।

আজ বৃষ্টি হবে।

ও কেবল জিনিসগুলি ভেঙ্গেছে,

আমি হলে জায়গাটা পুড়িয়ে দিতাম।

ওকে উৎসাহ দেয়ার মতো,
যথেষ্ট বলেছো।

হেই!

যদি সাইন করতেই হয়,
শুধু যা আর সাইন কর।

মারামারি করতে হবে কেন?

আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
কি ভাবছো! তাদের সম্মান করবো?

জানালার বাইরে তাকিয়ে থাকবো!
ঠিক তোমার মতো?

বিশ্বাস করতে, যে সে তার স্ত্রীকে খুঁজছে..
হায়দ্রাবাদ ঐদিকে নয়।

এইদিকে।

কেউ জানে না,
সে কি দেখে।

অভিযোগে..
যা লেখা ছিল তাই করেছি।

ও কি কাউকে হত্যা করেছে!
যে জিজ্ঞাসাবাদ করছিস?

বুজ্জি!

হেই..

জানিস সে কেন,
আমাকে ছেড়ে চলে গেছে?

তোর জন্য।

গুদামে বিস্ফোরণের পর..

চেয়েছিলাম তোর চাচাকে,
জেল থেকে বের করতে।

তোর চোখ দেখাতে,
সে তোকে হাসপাতালে নিতে চাইলো।

এটা নিয়ে আমাদের ঝগড়া হলো।

আমি তরুণ ও অহংকারী ছিলাম।

তোর মাকে গালি দিয়েছি।

বলেছি আমি জানি,
কখন ছেলের চিকিৎসা করাতে হবে।

সত্যম!

যখন সে তোকে নিয়ে,
চলে যেতে চাইলো,

বিভ্রান্তিতে আমি,
দরজা বন্ধ করতে অনুরোধ করি।

তোর খালা কখনো,
তার ভাইয়ের অবাধ্য হয় না।

সে দরজা বন্ধ করে দেয়।

তাতে তোর মায়ের মন ভেঙ্গে যায়,
এবং সে চলে যায়।

এমনকি আদালতে,

তোর খালাকে,
তোর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছিল।

বুজ্জি.. প্লিজ বলুন,
ওর চোখ ভালো আছে।

ডাক্তার বলেছে এটা স্বাভাবিক হবে না,
বোন।

এটাও বলেছে সাথে সাথে,
চিকিৎসা করা উচিৎ ছিল।

রাগ করে তুই চোখ হারিয়েছিস।

যদিও তোর চাচা ছুরিকাঘাত করে,
তবুও সে আমাকে নির্দেশ করে।

যেহেতু তার মেয়ে,
ফিরে এসেছিল..

তোর নানা বলেনি,
আমি নির্দোষ ছিলাম।

মার্কসের বড় ভাই মারা গেছে,
এবং তার শত্রু দোষী সাব্যস্ত হয়েছে,

তাই মার্কস চুপ করে থাকে।

জুনিয়র সিভিল জজ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
প্রথম শ্রেণী আদালত, গুন্টুর।

আমি ১০ বছর জেলে ছিলাম।

তাই বের হতে পারিনি।

১০ বছর জেলে কাটিয়েছি..

এখানে কেউ ছিল না,
তার উপর দরজা বন্ধ করার।

কিন্তু তবুও সে ফিরে আসেনি।

কেন তোকে ফিরিয়ে নিল না?

সেটা কি তোর জিজ্ঞাসা করা উচিৎ না?

তার বদলে মারামারি করেছিস?

আমার সমস্যার কোন সমাধান হবে না।

সেজন্য আমি,
জানালার বাইরে তাকিয়ে থাকি।

অন্যদিকে তুই!
কি সমস্যা সেটাই জানিস না।

সেজন্য কথা বলার পরিবর্তে,
সিড়ি বেছে নিয়েছিস।

ভয় পাচ্ছি এই ৪ বছরে..

আর মাত্র ৪ বছরে..

আমার সামনেই তুই,
জানালার পাশে বসবি।

রমনা..

আমি জানি কেন,
আমার স্ত্রী আমাকে ছেড়ে চলে গেছে।

কিন্তু..

তুই কি জানিস!
কেন তোর মা তোকে ছেড়ে চলে গেছে?

এটা তেমন নয়, মিঃ সত্যম।

হ্যালো!
মিঃ সত্যম!

সে যে আমাকে ছেড়ে চলে গেছে।
আমার কি করা উচিৎ?

যদি ভাঙ্গা আসবাবপত্র ঠিক করি!

আর জিজ্ঞেস করি,
"মা, কেন আমাকে ছেড়ে চলে গেলে? বলো।

সে কি ফিরে আসবে?

সিল্কের শাড়ি পড়ে,
আমার হাত ধরে ফিরে আসবে?

গ্যারান্টি দিতে পারবে?

যেখানে যায় গান নিয়ে যায়।

তিরস্কার করে আর বিলাপ করে।

তারা আমাদের,
কান্নারও সুযোগ দেয় না।

কিন্তু দুজনেই আমাকে,
টেনে গর্তে ফেলেছে।

জীবনের জন্য,
১টা মহান উক্তি খুঁজে পেয়েছি।

"বাবা জানালার বাইরে তাকিয়ে আছে।"

"মা দরজা বন্ধ করে দিচ্ছে।"

"আমার জন্য..
ছেলেটা বাইরে ও রাস্তায়।"

চামচ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছো কেন?

আমি কি জুঁই!
যে সুগন্ধ আসবে।

আমি ঝাল মরিচ।

সেজন্য সে আমাকে চায়নি।
কেন তাকে আবার জিজ্ঞাসা করবো?

সবাইকে ভাগ্যবান বলে মনে হচ্ছে।

১টা স্যাড সং ও ট্রেন্ডিং-এ নাই।

হ্যাঁ, চাস অন্যরাও তোর জন্য কাঁদুক?

এটা দেখা যাক।

অবশেষে ১টা খুঁজে পেয়েছিস?

আরেকটু সাইডে।

- ঠিক আছে?
- হ্যাঁ, পারফেক্ট।

তিন, দুই, এক!

সে ইন্সটাতে ১টা রিল তৈরি করেছে।
মনে হচ্ছে এটা আপনার জন্য।

ভিডিওতে লাইকের জন্য হবে হয়তো।

আমাকে পছন্দ করে বলে নয়।

বোন, তোমার কানের দুলটা সুন্দর।
এটা কি অ্যামাজনে পাওয়া যাবে?

এসে নিয়ে যাও,
যখন আমি মারা যাবো।

বেচারীকে বলছিস না কেন?

যে তোমার মতো সুন্দরী মেয়েকে অবহেলা করে,
সে নিশ্চিত বোকা।

আমাকে মনে রাখতে পারো।

চিল।

মনে হয় এর প্রচুর অবসর সময়।

একবার শিরডি ঘুরে যাও, প্রিয়।
সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।

গতকাল সিআই তার সাথে দেখা করতে গেলে,
তার বন্দুক ছিনিয়ে নেয় এবং হুমকি দেয়।

পুলিশের সাথে সংঘর্ষ,
ও মধুর সাথে মিটিং।

সে উদ্দেশ্যমূলকভাবে,
প্রতিশোধ নিতে এসব করছে।

আমি অতীত নিয়ে,
কথা বলতে চাই না।

তোর ছেলে কি নিয়ে গেছে,
সেই ছবির বিনিময়ে?

যা তোমার কাছ থেকে নিয়েছিল,
পেপার্সে সাইন করার জন্য।

আমি আর একবার ফোন করবো।

তাকে চুপ থাকতে বলিস,
অন্তত নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত।

মিঃ সত্যমের গ্রামোফোন এখানে কেন?

বাজাও,
দেখাচ্ছি আমি।

স্যার!
আপনাকে মারার জন্য চুক্তি করা হয়েছে।

আম্মু আমাকে পাঠিয়েছে।

হেই!

এখানে রমনা কে?

১ সেকেন্ড।

হ্যালো..

দেখলাম লাল বাতি জ্বালিয়ে এসেছেন।

আমাদের কি এলাকায় নিয়ে যাচ্ছেন?

বুঝলেন!

হেই, বের হ।
নাম।

ভাই, যখন রমনার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলাম,
এদের দুজন সামনে এগিয়ে এসেছিল।

এদের ২ টাকে,
সতর্কতা হিসাবে নিয়ে এসেছি।

হেই, এ্যামাজন!

বকবক থামিয়ে পার্সেল খোল।

হেই, নাম।

হেই, নাম সালা।

স্যার!

উঠ।

স্যার! প্লিজ উঠুন!

স্যার..

- স্যার..
- হেই, সাম্বা!

মনে হয় না সাম্বা আশেপাশে আছে, স্যার।

- সাম্বা!
- স্যার! বালু, স্যার।

স্যার, আমি বালু।

তুমি এখানে কি করছো?

আম্মু আমাকে পাঠিয়েছে, স্যার।

- আম্মু?
- হ্যাঁ।

তোমাকে কেন পাঠালো?

কিছু বাবজিকে চুক্তি দেওয়া হয়েছে,
আপনাকে মেরে ফেলার জন্য, স্যার।

আপনাকে জানাতে এসেছিলাম,
কিন্তু ঘুষি খেয়ে অজ্ঞান হয়ে যাই।

কে ঘুষি দিলো?

এরা কারা?

আমরা ট্রাকের জন্য,
নতুন ড্রাইভার নিয়োগ দিচ্ছি নাকি?

এরাই চুক্তি পেয়েছে, স্যার।

- চুক্তি?
- হ্যাঁ।

কি জন্য?

আম্মু আমাকে পাঠিয়েছে,
আপনাকে ঠিক এটাই বলতে, স্যার।

হেই!

আমরা কথা বলার শর্তে নাই,
সে কেন তোমাকে পাঠাবে?

আপনার ব্যক্তিগত সমস্যায়,
আমাকে জড়াবেন না, স্যার।

আপনাকে মারার জন্য,
বাবজিকে টাকা দেওয়া হয়েছে।

এই কথাটাই বলতে চেয়েছিলাম,
কিন্তু মার খেয়ে চুপ হয়ে গেলাম।

কে মারলো?

আপনি, স্যার!

কিসের জন্য?

ভগবান! উঠায় নাও।

হেই!

মনে হয় মাইক গিলে ফেলছে।

নির্বোধ।

হেই..

কাঁচি ধারাচ্ছিস?

তার চুল চাই না,
মাথা চাই! বুঝছিস?

কি হলো?

সে ঘুমাচ্ছে।

লাইট বন্ধ করে,
এসি চালা।

জাগা ওকে, বোকাচোদা।

হেই! উঠ।

জেগে উঠো! জেগে উঠো!
ওহ, আমার রাজা।

আমাকে মারার চুক্তি কে নিল?

হেই! আধা বোতল।

আমি সেই কন্ট্রাক্ট কিলার,
যে তোর জীবন শেষ করার দায়িত্ব নিয়েছি।

আমি বাবজি।

জেলটিন বাবজি।

তুই খুব দামী।

তাই ১ কোটি টাকা নিয়েছি।

মরার আগে,
কথাটা মনে রাখিস।

আম্মু কেন তোকে,
১ কোটি টাকা দেবে?

হেই!

এখনও ১টা সারির ব্যবস্থা আছে।

যা।

তুই এতো সাহসী!
আমার উপর মূল্য বসিয়েছিস?

আমার নাম রমনা।

আমি বিক্রয়ের জন্য নই।

- হেই! বালু।
- স্যার?

এরা কারা?

আম্মু ওদের পাঠালো কেন?

আম্মু কেন পাঠাবে, স্যার?
তাকে কি পাগল মনে করেন?

আম্মু আমাকে পাঠিয়েছে।

আপনি আমাকে বিরক্ত করছেন,
ক্রমাগত আম্মুর নাম বলে, স্যার।

বাবজি চুক্তিটা নিয়েছিল।

ভাইরা ভেঙ্কট স্বামী,
যিনি আপনাকে মারতে চায়! আপনার নানা।

- কে?
- আপনার বদমাশ বুড়ো নানা।

- আমার নানা?
- হ্যাঁ।

হেই, এতো মিটিং কিসের?

চুপ থাক।

বুড়ো কেন আমাকে মারতে চায়?

ওহ, গড!

হেই! আমি ১ জন সাধু..
যার কোন শত্রু নেই।

সাধু?

স্যার! আপনি কি এর অর্থ জানেন?

ধর্মরাজু এবং বিদুরের মতো মহান আত্মা..

- হেই, বক্তা!
- দাঁড়া বাল।

"আমি ধ্বংসের সৃষ্টি করবো,
প্রতিবার যখন আমাদের দেখা হবে।"

"আমি শুধু ফ্যান'স দের অটোগ্রাফ দিই।"
যখন এসব বললেন, তারা আপনাকে কেন মারবে না?

কি মনে করেন আপনাকে আদর করবে?

হেই!

হেই!

হেই!

চলে গেলি নাকি?

- এখানে কয়টা আঙ্গুল?
- কার আঙ্গুল?

আমার একটাই।

আমার ধারণা,
সে দুটোই হারিয়েছে।

- সে কি কানা?
- কোন সন্দেহ আছে?

কানা?
কে কানা?

- কে সে?
- তুই.. সালা।

বলছিলে তোমার নাম ছিল টিন বা ক্যান।
এটা কি ছিল?

জেলটিন বাবজি, ভাই।

খ্রিস্টান?

না ভাই।
হিন্দু।

জেলটিন কি?

এটাই আমার পেশা, ভাই।

জেলটিন লাঠি ব্যবহার করে,
খনির মধ্যে শিলা বিস্ফোরণ করি।

লাঠিগুলো কি এতটুকু লম্বা?

না।

শুধু এতোটুকু।

হেই!

আমার নানা এখন কোথায়?

আমি কিভাবে জানবো,
তোমার নানা কোথায়, ভাই?

বল,
বুড়ো কোথায়?

- সূর্য!
- ভাই!

ভাইকে লোকেশনটা শেয়ার কর।

কি খবর, ভেঙ্কট স্বামী?
দৃশ্যটা কি খুব ভালো?

একদম মগ্ন হযে দেখছো।

তুমি এখানে কেন?

কি চাও আমার কাছে?

তোমার সাথে আমার কাহিনী শেষ,
তারপরও গুন্ডা পাঠালে কেন?

গুন্ডা পাঠিয়েছি?

হেই, নারায়ণ!
কি বলছে ও এসব?

শ্রী নারায়ণ!

স্যার! শ্রী নারায়ণ! সরি স্যার।
কাজটা এখনো হয়নি।

কাকা,
আপনিই তাদের পাঠিয়েছেন?

বাবাজিকে তার কাছে পাঠাতে কে বলছে?

আমাকে বলেননি?
তার মুখ খোলা উচিৎ না?

আমি কি তাহলে?

তার মত মানুষ মরে গেলেই শুধু চুপচাপ থাকবে,
এছাড়া অন্য কোন বিকল্প নাই।

- হেই, বাবজি!
- ভাই?

ফোনটা দাও, রমনার গলার আওয়াজ..
নিয়ে তাদের সাথে একটু খেলি।

নিন ভাই।

- হেই, এদিকে রে।
- ঠিক আছে, ভাই।

হেই!

তোমাকে কে ফোন করেছিলো?

হেই, তাদের চুপ করাই।

এখানে আসার আগে গাড়ি লোড করি,
এবং সেটা ফোনে ট্রিগার হিসাবে সেট করি।

বিস্ফোরণ ও ধুলোর মধ্যে গাড়ির উড়াটা,
১টা অতিরিক্ত বোনাস ছিল।

মধু আর তুমি, আমার মেয়ের ও আমার..
রাজনৈতিক ক্যারিয়ার পায়ে পিষতে চাও?

ঐ পিকপকেটটার সাথে,
আমি হাত মিলাবো?

আমার কাছে এসেছিল,
তাকে মারধর করেছি।

ভীড়ের মধ্যে..
আমার মানিব্যাগ নিয়ে নেয়।

তোমার কাছে আমি ৫ হাজার টাকা পাই,
যেটা আমি হারিয়েছি।

দেখো, ভেঙ্কট স্বামী!

পরের বার যখন আসবো,
গাড়ি উড়বে না।

তুমি বিল্ডিং সহ উড়ে যাবে।

- হেই, চলো।
- আমাকে নিয়ে যান, ভাই।

এগুলাকে পানি দাও না কেন?
শুকনো গাছগুলাতে পানি দাও।

তিনি বাড়িতে নেই।

উনি কি মেয়ে?

সে মা।

ভিতরে এসে বসুন।

- সে কি একা?
- এটা তার ছোট বোন।

কেউ চা ভালবাসে।

জিজ্ঞেস করো চাই কিনা.. বালু।

- ঐটা কি মা?
- এটা বাবা, যার গলা ব্যাথা।

- দাও।
- স্যার।

কি মনে করো,
আমাদের ধন্যবাদ বলা উচিৎ?

- কেউ সেটা আশা করছে বলে মনে হচ্ছে।
- ছিঃ।

যখন শুনলাম আপনি নিরাপদ,
মন্দিরে যাওয়ার জন্য শাড়ি পরেছিলাম।

যদি নিরাপদ না থাকতাম,
তবে কি প্যান্ট পরতে?

মনের কথা কবে বুঝবেন, স্যার?

তুমি খেলছো ক্রিকেট আর,
আমার হৃদয়ে কাবাডি..

কিন্তু তবুও আমার বুঝতে হবে।

আমাকে কেন..
অত্যাচার করা হচ্ছে, বালু?

কোন ধারণা নাই, বেবি।

তাকে কেন জড়াতে চাচ্ছো?

গাধা।

- আমি কি করলাম, স্যার?
- কিছুই করোনি।

তুমি ১টা সাপ।

কখনো কি আমাদের,
একে অপরের পাশে বসতে দিয়েছো?

সারাক্ষণ "বেবি" বলে ডেকেই যাচ্ছো।

গাধা।

পাশে বসলেই হবে,
নাকি কোলে বসবো?

এই হাত দিয়ে,
তাকে স্কুলে নিয়ে যেতাম।

কি হয়েছে, বালু?

সে তার কাছে ক্ষমা চাচ্ছে,
আর অপরজন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে।

কিন্তু মেয়েটা কি ফর্সা,
নাকি খুব ফর্সা?

সবুজ,
তোমার তাতে কি?

হেই!

তার কাছে কেন গেলে?

আমাকে রমনাকে সাবধান করতে বললো,
জেলটিন বাবজি সম্পর্কে।

- ইনি?
- আর কে? উনি?

হেই!

তোকে তার সাইন নিতে বলেছিলাম।
পরিবর্তে আমার উপর গুপ্তচরবৃত্তি করছিস?

তার কি তোকে এতো বিমোহিত করে?

নিজের মা তাকে প্রত্যাখ্যান করে,
এবং ছেড়ে চলে যায়।

আমি নিশ্চিত যে,
সে ঠিকভাবে দেখেনি।

আর আমি বিশ্বাস করি,
সে ঘরে ঢুকেনি?

আমিই বাইরে গিয়েছিলাম।

সে ১টা লড়াই করার জন্য তৈরি হচ্ছিলো,
তোর মা আমাকে বলছে।

এটাই তার ভালবাসা দেখানোর উপায়।

আমার পরিস্থিতিটা বুঝতে পারছিস না।

এটা চলতে থাকলে ফাঁসিতে ঝুলে যাবো।
সতর্ক করে দিলাম।

বালু..

কি?

আমাকে হুমকি দিচ্ছিস!
নিজেকে মেরে ফেলবি? এগিয়ে যা।

এটা তোমার জন্য।

যদি নোংরা না সরাতে পারলে,
এখানে ৪ জন আছে, কেউ একজন করবে।

হেই, বোকা মেয়ে!

পরম শ্রদ্ধেয় ভেঙ্কট স্বামী,
আমাদের প্রয়োজনের যত্ন নেয়।

কিন্তু আমি মাননীয়..
ভেঙ্কট রমনাকে পছন্দ করি।

সে প্রায়ই হায়দ্রাবাদ যায়।
অবাক হই কি এতো আকর্ষণ!

সম্ভবত তার মা,
প্রতিদিন স্বপ্নে আসে।

বাবা ও ছেলে..
গভীরভাবে ধ্যানে মগ্ন।

হেই, আমাকে কাপড়গুলা দে।

ঠিক পরদিন তারা মামলা করে,
আর তাকে সাইন করতে বাধ্য করে।

তাছাড়া,

অসন্তুষ্ট তারা পিছনে গুন্ডা পাঠায়।

বাবা তোকে জানতে বলে,
তার মতো ১ জন মহিলা কেন তোকে ছেড়ে গেল।

যা গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা কর।

তুই মনোযোগ দিস না,
নিজের চারপাশের মানুষদের।

হেই!

ঘন্টার পর ঘন্টা..
আমাকে জ্বালিয়েই যাচ্ছো।

মায়ের মুখের উপরে দরজা বন্ধ করেছিলে,
তাই সে চলে যায়।

সব দোষ তোমার।

তুমি ভীত,
সে হয়তো এটা মনে রেখেছে।

কে বলছে তোমাকে?

তুমি কি স্বপ্ন দেখছিলে?

কোথাও যাওয়া মানে চলে যাওয়া,
আর ফিরে আসা, সেখানে থাকা নয়।

মনে করতাম,
মদ্যপান একটি নেশা।

কিন্তু ১ জন মা'ও ১টা নেশা।

এখন সেটা অনুভব করছি।

এখানে আর,
তার নাম নিবে না।

হেই, তোর বাবা শুনবে।

শুনতে দাও।

আমি শুনেছি,
কেন সে চলে গেছে।

সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তাকে আর লাগবে না।
শুনতে দাও সেটা!

আমরা সবাই,
ভেঙ্কট রমনাকে সমর্থন করি।

ম্যাডাম!

ম্যাডাম!

আইনমন্ত্রী ম্যাডাম ভ্যারা বসুন্ধরা,
আজ ১টা দুর্ঘটনার সম্মুখীন।

১টা ট্রাক তার গাড়িবহরে ধাক্কা দেয়
সচিবালয়ের যাবার পথে।

তাতে তিনি গুরুতর আহত হোন।

সাথে সাথে তাকে কাছের,
অ্যাক্সিস হাসপাতালে আনা হয়।

চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছে,
তিনি মাথায় ও বাহুতে ব্যথা পেয়েছেন।

মন্ত্রী ভ্যারা বসুন্ধরা কিছুক্ষণের মধ্যেই,
মিডিয়ার সামনে আসবেন।

কনফারেন্স হলে,
১টা প্রেস মিট আছে।

যা অনুষ্টিত হবে,
অ্যাক্সিস হাসপাতালের ১ম তলায়।

তিনি স্বাস্থ্য ও দুর্ঘটনার কারণ,
সম্পর্কে আপডেট দিবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

আমরা জানতে পেরেছি।

মন্ত্রী ভ্যারা বসুন্ধরা,
দুই দিন ধরে চিকিৎসাধীন।

আমি এখন ভালো আছি।

নিজেই এখানে হেঁটে এসেছি।

একটু সময় লাগলেও,
কিন্তু আমি নিজে থেকে এসেছি।

আপনার হাত কি ভেঙ্গে গেছে?

শুধু কাঁধে চোট পেয়েছি।

কাটা মধুর সমালোচনা করেছেন,
আপনি নাকি বড় ছেলেকে পরিত্যাগ করেছেন।

- এটা..
- এতে আপনার প্রতিক্রিয়া..

তার স্বাস্থ্য আপডেট সম্পর্কিত প্রেস মিট।

প্লিজ, টপিক বদলাবেন না.. নেক্সট।

কাটা মধুর প্রেস মিটের পর,
দ্রুতই এই দূর্ঘটনাটা ঘটলো।

তাহলে কি এটা খুনের চেষ্টা?

ম্যাম, আপনি কি প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে লড়াই করবেন?
হরি দাস ও মধুর মতো নাকি ছেড়ে দিবেন?

আমি যা ভালবাসি,
তা ছেড়ে দিই না।

কিছুই ছাড়ি না,
যেটা আমার জন্য হুমকি।

কাশীতে, যেভাবে আমরা..
গঙ্গাতে প্রিয় জিনিসগুলি ছেড়ে দিই।

সেভাবে আমিও ছেড়ে দিয়েছি,
প্রিয় কিছু জিনিস।

যে কোনোভাবে রমনাকে,
ফিরিয়ে আনতে হবে, বাবা।

আমাকে সাহায্য করতে হবে।

চল যাই।

আমি জেদ করছি না, বাবা।

আমি তো বলছি না,
তোর জেদ ছেড়ে দিতে।

মানে, তোর ছেলেকে ছেড়ে দে।

কষ্টদায়ক লাগছে?

আসলে,
ওকে ১০ বছর ধরে লালন করেছিস।

আমার কষ্টের কি হবে!
যখন আমার মেয়েকে ছেড়ে দিতে বলা হয়।

তোকে ২৫ বছর ধরে লালন করেছি।

১০ বছরের জন্য,
তোরটা ভালবাসা।

কিন্তু আমার ২৫ ধরে, সেটা কি!..
স্বার্থপরতা?

যদি আমি স্বার্থপর হই,
তাহলে তুই কিছুটা কম স্বার্থপর।

তোরটা যদি ভালবাসা হয়,
আমারটা তাহলে বিরাট ভালবাসা।

এরপরও যদি যেতে চাস,
আমি বাঁধা দেবো না।

কিন্তু এবার যখন গুদামে আগুন ধরবে,
তোর স্বামী চলে যাবে।

এবার আমি আগের মতো,
চোখ বন্ধ রাখবো না।

তোর ছেলেও নিজেই চলে যাবে।

- বাবা?
- হ্যাঁ, বাবা।

তোর বাবা।

গুন্টুর গুদামে,
জ্বালিয়ে দেয়া ম্যাচের কাঠি..

ভাঙা পেট্রোলের বোতল,
এসবে ৫ লাখ টাকা খরচ গেছে।

মার্কসের পকেটে যেটা ছিল।
আর মৃত লেনিনের রক্ত।

সবকিছু।

সব কিছুর পেছনে,
তোর বাবাই ছিল।

মায়েরা সবসময়,
সঠিক নাও হতে পারে।

কিন্তু তারা দায়িত্ব পালনে,
কখনো ভুল করে না।

ম্যাডাম, ১ মিনিট।
মিঃ কাটা মধু আপনাকে অভিযুক্ত করছে..

- নিজের বড় ছেলেকে এতিমের মত রেখে যাওয়া।
- যথেষ্ট হয়েছে।

এই বিষয়ে,
আপনার মতামত কি?

আমি ১ জন মা।

মাকে কখনো জিজ্ঞেস করবেন না,
তার সন্তানদের জন্য সে কি করেছে?

আমি বললেও,
তুমি জানবে না।

তুমি বুঝবে না,
এমনকি যদি খুঁজেও বের করো।

গণমাধ্যম ও আমরা অবগত ছিলাম,
হরি দাস এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।

শুধু তুমি জানতে না।

কিন্তু কথা বলার সাহস কারো নেই।

ড্রাইভার দাবি করবে সে ঘুমায়নি,
ও ব্রেক চাপতে পারেনি।

এবং ৬ মাসের মধ্যেই,
বাইরে চলে যাবে।

সেই হরি দাস।

তোমার মতো মানুষদের এড়িয়ে চলে,
কিন্তু আমার মতো বুড়োদের চ্যালেঞ্জ করে।

সাহস থাকলে তাকে গিয়ে বলো।

"আমি বসুন্ধরার ছেলে।"

পারলে আমার মুখোমুখি হও।

আমাকে গুন্টুরের মরিচ বলা হয়।

অজুহাত দিবে না যে,
ঠিকানা জানা নেই।

দুর্ঘটনার পর সবাই দেখতে আসে।

তুমি তাকে দেখতে যাও।

তারপর এসে গোঁফ ঘুরিয়ে,
তোমার মাকে বলো "আমি তোমার ছেলে।"

যদি না পারো,
তাহলে কাঁদো আর চুপ থাকো।

সবসময় কেন,
তার সাথে ঝামেলা বাঁধান?

এটাকে বড় ইস্যু বানিয়ে,
বিপর্যয় ডেকে আনতে চান?

বলছি, রাজনৈতিক বিষয়ে..
আপনি এতো জ্ঞানী।

কিন্তু যখন পরিবারের কথা আসে,
এতো আবেগপ্রবণ হয়ে যান.. আর..

- পাণি!
- স্যার।

১টা গল্প বলি।

- ধৈর্য ধরে শুনবে।
- স্যার।

১ জন ব্যক্তি নিজে ১টা শক্ত দুর্গ তৈরি করেছিলেন,
শুধুমাত্র রাজনীতির জাতপাত খেলার জন্য..

সে টানা ৩ বার জিতেছিল।

তার মেয়ে ১টা নিচু জাতে বিয়ে করে,
তাকে ছেড়ে চলে যায়।

লোকজন বলছিলো "নিজের মেয়েকেই..
নিজের জাতে বিয়ে দিতে পারেননি।"

"আপনি অন্যদের জন্য কি করবেন?"

- অতঃপর সে হেরে গেল।
- আদ্দেপল্লী নিরঞ্জন..

সে বর্তমান এমএলএ ভ্যারা ভেঙ্কট স্বামীর,
বিরুদ্ধে ৫৪৩৩ ভোটে জয়ী হয়েছেন।

আবার নির্বাচনে জয়ী হতে,
তার মেয়েকে ফিরে আসতে হবে।

অবশেষে সে তার মেয়েকে,
ফিরিয়ে আনলেন।

অবশ্য তাতে অনেকে জড়িত ছিল।

- নারায়ণ..
- কাকা!

কাকা! ১টা সুযোগ আছে,
যদি তাকে বিজয়ওয়াড়ায় নিয়ে যাই।

হাসপাতালে পৌঁছানোর আগে?
যানজটে আটকে গেলে কি হবে?

- কাকা!
- নারায়ণ!

- ওকে মরতে দাও।
- নারায়ণ..

মেয়েকে নিজের,
ভাগ্নের সাথে বিয়ে দেন।

এবং নির্বাচনে তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করান।

যেহেতু সে একই জাতে বিয়ে করেছে,
সে নির্বাচিত হয়ে যায়।

এমনকি সে মন্ত্রী হয়ে যায়।

এখন সে চায় তার নাতি এমপি হোক।
যে তার জাতে জন্ম নিয়েছে।

ঠিক সেই মূহুর্তে,
মেয়ের ফোনে কি দেখা যাচ্ছে!

এই যে..

২৫ বছরের নিয়ন্ত্রণ।
হাত থেকে পিছলে যাচ্ছে না তো?

এইসবের মধ্যে আবেগ কোথায়?

সবই তো রাজনীতি, তাই না?

তোমাকে তো আগে দেখিনি।

এখানে কখনো আসিনি।

এখন কেন এলে?

কিছু ভাজাপোড়া খাওয়ার জন্য।

তোমার এলাকায়,
এসব পাওয়া যায় না?

প্রতিটা জায়গার,
নিজস্ব বিশেষত্ব আছে।

এই জায়গার বিশেষত্ব কি?

হরি দাস।

তার এতো বিশেষত্ব কিসের?

সে আমার মাকে,
হত্যা করতে চায়।

কে তোমার মা?

ভ্যারা বসুন্ধরা।

নানা আমাকে বলছিলেন..

ঘরে বসে কাঁদতে,
যখন দাস মাকে হত্যা করবে।

বলুন, চাচা।

আমি যদি কাঁদি,
কতোটা বাজে দেখাবে না, তাই না!

যেমনটা পরচুলা,
আপনার টাকে বাজে দেখাবে।

এই জন্য..

তাকে হত্যা করতে এসেছি।

- ছুরি নিয়ে এসেছো?
- হ্যাঁ।

কোথায় লুকালে?

ছয় ফুট এক ইঞ্চি।

এটা লুকানো সম্ভব না।

ভাই, ১টা লোক বলছে..
আপনাকে হত্যা করতে এসেছে।

এখানে গত ৪০ বছর ধরে আছি।
চলো তোমাকে দাসকে দেখাচ্ছি।

তারা বলে স্তবর্তুপুরম কলোনির,
সবাই তার গ্যাং-এ যোগ দিয়েছে।

ছুরি, বোমা.. যে নামে ডাকো।

বেঁচে থাকা ও হত্যার প্রয়োজনীয় সবকিছু,
এখানে কেনা-বেচা করা হয়।

এই তরুণরা!

তারা শুধুমাত্র আবেগে কাজ করে,
পরিণতির কথা চিন্তা করে না।

সেজন্যই হরি দাস,
তাদের ব্যবহার করে।

এটাই হরি দাস?

বেশ বড় মাথা।

কিন্তু সেটা আমি,
ছিড়ে নিয়ে যাবো।

এটা কি, চাচা?

এরা মহিলা নাকি রাউডি?

এমনকি ঝাড়ুদাররাও,
ফ্লাইং কিক মারছে!

দাসের মাথা চাস, তাই না?

হ্যাঁ।

হেই! বাশা, জনি, খাত্রি, আহমেদ!

ওর হাত, পা, ঘাড় ও মাথা
সব টুকরো টুকরো কর।

এবং সিদ্ধান্ত নে,
দাফন করবি নাকি চিতায় দিবি?

যতক্ষণ ওরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে,
একটু পানি খাওয়াতে পারবে?

হেই, ছোটু।

কখনো চোর পুলিশ খেলেছিস?

এখানে পুলিশ আসে না, ভাই।

কিন্তু কালো গার্ডরা তো আছে।

খেলা দেখতে চাও?

কি দেখছো, বোনেরা?

তাকে নামিয়ে দিবো।

আপনারা প্লিজ, রান্না করতে যান।

বিরিয়ানি সুস্বাদু হতে হবে, বোন।

একটু ঝাল দিয়েন।

তাকিয়ে আছো কেন?

সিগারেট কি,
থ্রিডিতে দেখানো হচ্ছে?

ওহ্, আমার দাস ভাই।

ওহ্, আমার দাস ভাই।

কি দুঃখজনক ঘটনা!

হেই!

এখন আমরা কি করবো?

তোমাদের চুল ধরে,
মাটিতে ফেলতে আপত্তি করবো না।

কি ব্যাপার, চাচা?

তুমি দাস?

হ্যাঁ।

- তাহলে ইনি কে?
- সে ভাজাপোড়া বিক্রি করে।

তো বাইরে বসে ছিলে কেন?

যখনি কেউ আসে,
আমি ঔ দোকানে বসি।

আর সে আমার চেয়ারে বসে।

ও মারে!

কিন্তু কেন?

এড়িয়ে যেতে।

অনেক আগের পুরনো ছবিতে,
এই ধরনের কৌশল দেখেছি।

এখন আমি তোমাকে দেখাবো।

সত্যিই ব্যাথা করছে।

সহ্য করতে পারছি না।

কি পাপ করেছি, ঈশ্বর?

আমি বলবো?

মন্ত্রীকে হুমকি..

১টা ট্রাক গাড়িতে ধাক্কা দেয়,
যখন তারা ভিতরে ছিল।

ঈশ্বর ব্যস্ত থাকতে পারেন, কিন্তু আমার মত ছেলেরা..
যারা কোন কাজ ছাড়াই সাহসী..

তোমাকে খুঁজতে আসবে।

তোমার মাকে হত্যা করবো কেন?

শুধু একটু হুমকি দিয়েছি।

আমার সমস্যা শুধু..
তোমার নানার সাথে।

বুড়ো তোমার কি করেছে?

মনে পড়লে এখনি মরে যাবো।
এখন কেন এসব মনে করাতে চাও?

হেই! গাধার দলেরা।

কান্না বন্ধ কর,
আর এটা বের কর।

দাঁড়ান।

হেই! বোন।

- কি বের করতে চাচ্ছেন?
- কেন?

মনে হচ্ছে এটা একদম,
কেন্দ্র বরাবর বিঁধছে।

টান দিলে টিউবওয়েলের,
পানির মতো রক্ত বের হবে।

অন্তত সেলাই তো করতে হবে!

যদি এতোই দক্ষ হতাম,
তাহলে এখানে কেন থাকতাম?

কে.আই.এম.এস, এন.আই.এম.এস এ মতো..
গুন্টুরেও জি.ইউ.এম.এস স্থাপন করতাম।

এখন একমাত্র,
ঈশ্বরই তোমাকে বাঁচাতে পারে।

ঈশ্বরকে ভুলে যাও।

এখানে ১ জন ডাক্তারও নেই।

জঙ্গলে সেট-আপ করে বসে আছো,
আর বলছো অ্যাপোলো যেন পাশে থাকে।

তুমি ঠিক বলছো
হেই, অ্যাম্বুলেন্সকে কল দে।

নাম্বার নাই, ভাই।

সব শেষ, বোনেরা।

সবাই গিয়ে,
চিরুনি দিয়ে মাথা আছড়ান।

হেই, বালু।

আমার জন্য ডাক্তার এনেছিস, কাথা?

না, দাসু।
তাকে নিয়ে এসেছি।

- তুমি ঠিক আছো?
- দেখ কে আমার ঠিকানা দিলো!

আমি রোগী,
নার্স তার দিকে তাকিয়ে আছে কেন?

এটা তার প্রেমিকা, নার্স না।

সে নার্স,
কিছু করুন।

পেরেক মারলো কে?

কি দারুন!
মহান ব্যক্তি।

সে আপনাকে,
২য় জীবন দিয়েছে।

আমাকে স্টেন্ট লাগাতে হবে না।
৯৮ শতাংশ ভালভ ব্লক ছিল।

পেরেক মারার ফলে,
সেসব খুলে গেছে।

কিন্তু একটু রক্ত লাগবে।

বি পজিটিভ, ডাক্তার।

আমি অবশ্যই পজিটিভ।
আপনার রক্তের গ্রুপ জানতে চাচ্ছি।

সেটাই তো বললাম, ডাক্তার।
বি পজিটিভ।

কিন্তু রক্ত দেবে কে?

হেই! তোরা কেউ দে।

চল ভাই।

আমরা কোথায় রক্ত পাবো?
এখানে সব ব্র্যান্ডি।

এই ক্ষেত্রে, শ্মশান..
পেরেক বের করবেন।

- দাস ভাই।
- হেই।

থামুন, থামুন।

ও মারে।

কাঁদছেন কেন?

কেউ ১ জন রক্ত দাও।

যে তাকে পেরেক মারলো,
সেই রক্ত দিবে! এটা তো ঐতিহাসিক মুহূর্ত।

এগুলা সাইডে রাখো, চাচা।

আমার নানার সাথে,
তোমার সমস্যা কি?

আমরা দুজন ২৫ বছর আগে,
একসাথে ব্যবসা করতাম।

আমরা ডাবল রিটার্ন পেয়েছিলাম।

এর ভাগ কি হওয়া উচিৎ?

ন্যায্য ও সৎভাবে.. ৫০ করে?

সে আরও ১০ শতাংশ চাচ্ছিলো,
যেহেতু এটা তার আইডিয়া ছিল।

যথেষ্ট ন্যায্য।

তবে তোমার অন্তত,
৪০ পেতে হবে।

এসব দাবি করে..

সে সুদের ১০ শতাংশ অতিরিক্ত নিলো।

কঠিন!

অন্তত তোমাকে ৩০ তো দিয়েছে?

যেহেতু সরবরাহ চালূ রাখতে হবে,
সে বিনিয়োগের জন্য অতিরিক্ত ১০ শতাংশ চেয়েছিলো।

ভয়ানক ব্যাপার।

তোমাকে তো ২০ দেয়া উচিৎ।

সে বললো আমি নাকি টাকা নষ্ট করে ফেলবো,
তাই ২ কিস্তিতে টাকাটা দিতে চাইলো।

বাহ!

১০ শতাংশের কি হলো?

আমাকে ৫ দিলো,
যখন বাকিটা চাইলাম।

আমাকে রাউডি বলে,
বের করে দিল।

তোমাকে ৫০ শতাংশ লাভ দেখিয়ে,
মাত্র ৫ শতাংশ দিলো?

এতে আমি কষ্ট পাইনি।

জানো, যখন চলে যাচ্ছিলাম..
সে কি করলো?

আমাকে এটা দিল।

জানতাম বুড়ো পাজি।

শুধু জানতাম না এতোটা পাজি।

চিন্তা করো না।

আমি তোমার..
বালিশের নিচের বন্দুক হবো।

শুধু ১টা কল দিবে।

আমি হাজির হয়ে যাবো।

দাঁড়াও।

আমাকে রক্ত দিয়ে,
এভাবে হেটে চলে যাবে?

সবসময় আমার উপরে থাকতে পারবে না।

অন্তত ১টা পার্টি তো দিতে পারি!

হেই!

রামোলা ব্যাচকে কল কর।

হেই, রামেলা!

মেয়েটাকে শাড়ি পড়াচ্ছো না কেন?

শুধু ১টা শব্দ।

এটা ১টা বালের গণসংগীত।

- দীর্ঘজীবী হোন..
- জানাডালাম পার্টি!

- দীর্ঘজীবী হোন..
- জানাডালাম পার্টি!

- দীর্ঘজীবী হোন..
- জানাডালাম পার্টি!

- দীর্ঘজীবী হোন..
- ভ্যারা ভেঙ্কট স্বামী!

- দীর্ঘজীবী হোন..
- স্যার।

- দীর্ঘজীবী হোন..
- ভ্যারা ভেঙ্কট স্বামী!

- দীর্ঘজীবী হোন..
- প্লিজ দাঁড়ান।

হইছে, অকে।

কি?
এটা ১টা বই।

অকে, অকে.. সরুন।

- রাজা গোপাল কোথায়?
- আপনার সাথে আসেনি, স্যার?

- দীর্ঘজীবী হোন..
- ভ্যারা ভেঙ্কট স্বামী!

-দীর্ঘজীবী হও…
-ভ্যারা ভেঙ্কট স্বামী!

- গোপাল স্যার!
- গোপাল!

গোপাল স্যার কোথায়?
দেখেছেন তাকে?

গোপাল!

গোপাল স্যার!

- গোপাল স্যার!
- নারায়ণ!

- গোপাল স্যার!
- নারায়ণ!

মাতালের বাচ্চা।

হেই!

- কাকা?
- কোথায় সে?

- কে কাকা?
- আর কে?

- তোমার ছেলে।
- আমার ছেলে?

বাড়ি থেকে বেরিয়েছে।

কিন্তু তাকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।
কোথায় সে?

নিশ্চয় আশেপাশে কোথাও আছে, কাকা।

ওহ, ঐ তো।

কি করেছো ওর?

আসলে কাকা।

ও পার্টিতে যোগ দিতে যাচ্ছে।

সাথে এমপির টিকিটও পাবে।

বললো যে নার্ভাস লাগছে।

তো?

নার্ভাস কাটাতে,
১ গ্লাস জুশ দিলাম, কাকা।

ওহ, না!

হেই, গোপাল!

মনে হয় ও ১টা গাধা।

কাকা, ওকে আমি ১০ মিনিটে..
রেডি করে নিয়ে আসছি।

হেই! কেউ একটু বাটার মিল্ক আনো।

তোকে মেরে ফেলা উচিৎ, বাইনচোদ।

- ছাড়বো না তোকে।
- কাকা।

- মর তুই।
- কাকা।

- আমি ছিলাম..
- কাকা।

ওকে পার্টিতে যোগ দেওয়াতে যাচ্ছিলাম,
আর তুই নিজেরা পার্টি করছিস?

- তাও আজকের দিনে!
- কাকা! আমি কি করলাম?

ও এই পরিবারের..
ভবিষ্যৎ রাজনীতিবিদ।

- তোর মতো অকর্মার ঢেঁকি না।
- কাকা।

সে ভ্যারা ভেঙ্কট স্বামীর উত্তরাধিকারী।

কে?
কে উত্তরাধিকারী?

ও আমার ছেলে না।

আমার তো ছেলেই নাই।

আমার তো ছেলেই নাই।

পছন্দ করেন আর না করেন,
আপনার শুধু ১ জনই উত্তরাধিকারী।

ভোগিনেনি বীর ভেঙ্কট রমনা।

সেই আপনার প্রকৃত উত্তরাধিকারী।

এতোই মাতাল হয়েছিস!
যে ভুলভাল বকছিস?

আমি?

ঠিক ২৫ বছর আগে..

আপনার মেয়ে ভিন্ন জাতের,
এক ছেলেকে বিয়ে করে।

সেটা আমাকে বলেছিলেন,
যখন নির্বাচনে হেরেছিলেন।

পরবর্তী নির্বাচন আসার আগে,
আপনি রশি ধরতে চাচ্ছিলেন।

এখন ঠিক, নাতির মতো..
রাজনীতিতে আসতে চাচ্ছেন।

আপনার মেয়ে রশিটা ধরে আছে।

আমি সুদর্শন ছিলাম বলে,
আপনার মেয়ে আমাকে বিয়ে করেনি।

আপনাকে বোকা বানানোর জন্য,
বিয়ে করেছে।

সৌভাগ্যবশত,
আমাদের বেডরুম ১ম তলায়।

আর আপনি সিঁড়ি চড়তে পারেন না।

আপনাকে বলছি শুনুন,
সেখানে ২ টা বিছানা আছে।

মাঝে জাল টানিয়ে,
ব্যাডমিন্টন খেলতে পারবেন।

এটাই অবস্থা।

যতো তাড়াতাড়ি আপনি চিন্তা করবেন,
এখনো কেন সন্তান হচ্ছে না?

ঘোষণা দিল সে গর্ভবতী।

সে বললো, বিদেশে বাচ্চা হলে..
সেটা আরো ভাল হবে।

এবং অস্ট্রেলিয়ায়,
রাজী আন্টির কাছে গেল।

যখন সে সেখানে গেল।

বললো তাদের কষ্ট দিতে চায় না,
তাই একা থাকতে চায়।

যখন সে গর্ভবতী ছিল,
তার কোনো ছবি দেখেছেন?

না।

ঠিক।

সে ওকে সাথে নিয়ে ফিরে আসলো।

আপনি তাকে নিয়ে,

কোলে তুলে নাঁচলেন।

যখন সে কাঁদতো,
বলতেন এটা মিউজিক।

যখন প্রস্রাব করতো,
সেটাকে বলতেন পারফিউম।

আমার উপাধি "পাক্কা" দেননি..
ভাবলেন দূরে সরে যাবে।

তাই তাকে ভ্যারা রাজগোপাল বলে ডাকতেন।

এখন তাকে এমপি বানাচ্ছেন।

সব ঠিকঠাক থাকলে,
পরে তাকে প্রধানমন্ত্রী বানাতেন।

কিন্তু একবারও উপলব্ধি করেননি,
সে আপনার নাতি না।

এখন কি করবেন?

আপনার মেয়ে,
আপনার মতো অহংকারী নয়, কাকা।

কোনভাবেই না।

সে তার স্বামীকে জেলে পাঠিয়েছে।

আপনি তাকে,
২৫ শতাংশ বিশ্বাস করেছেন।

যখন আমাকে বিয়ে করলো,
তাকে ৫০ শতাংশ বিশ্বাস করলেন।

যখন বললো ও তার সন্তান।

তখন তাকে,
৭৫ শতাংশ বিশ্বাস করলেন।

যখন নিজের ছেলেকে পরিত্যাগ করলো।

তাকে শতভাগ বিশ্বাস করলেন।

সে প্রমাণ করেছে ১ জন মা,
কিভাবে তার সন্তানকে রক্ষা করে, কি দারুণ।

আপনার মেয়ে কোনো,
সাধারণ মেয়ে না, কাকা।

সে সহজেই দফা রফা করতে পারে,
আপনার ৩ পুরুষের প্ল্যানকে।

এসব আমাকে,
আগে বলা উচিৎ ছিল।

আসলে,আপনার মতো মানুষ ৭০ পেরিয়ে গেলে..
আর বেঁচে থাকা উচিৎ নয়, কাকা।

আপনাকে এবার সরে যেতে হবে।

তোমার সেটা উচিৎ।

তাতে সবার ভালো হবে।

প্লিজ মরে যান, শ্বশুর মশাই।

- আমার কথাটা শুনুন।
- নানা! সাবধানে।

হেই! কে তোর নানা?

কে তোর নানা?

সবাই আমার পিছনে গেইম খেলেছিস, তাই না?

তোকে আমি খুন করবো।

তোর পিছনে যে ছিল না!

তাকে আগে খুন করা উচিৎ।

এই ক্ষেত্রে,
তোমাকে ১০০ বার খুন করা উচিৎ।

আমি আটকাতে পারিনি, স্যার।

তোর সমস্যা কি?

ভুয়া ভোটারের মতো,
চুপচাপ হেটে আসলি?

তোমাকে মিস করছিলাম।

তাই কথা বলতে এসেছি।

আমিও কথা বলতে চাই।
চল কথা বলি।

হেই! চেয়ার দে..

সাধারণত,মানুষ বাচ্চার ভবিষৎ নিয়ে আলোচনা করে
আমরা আলোচনা করবো তোর মায়ের অতীত নিয়ে।

চল।

তোর মা কি,
কোন মন্দিরের দেবী?

যে সবসময় দেখা করতে চাস?

সে ১টা রাক্ষস।

কেন তুমি,
দূর্ঘটনা পরিকল্পনা করবে?

কিসের দুর্ঘটনা?

যে ট্রাক তুমি বানিয়েছো,
সেটাতে ছিল রাম ছিল?

হেই! একটু পানি দে।

সেই দুর্ঘটনা।

হরি দাসকে জিজ্ঞেস কর।

হেই!

তাকে গ্লাসটা দাও, দাসু।

হতবাক হয়ে গেলে?

ইনি আমাদের নিজস্ব দাস।

হাতের রক্ত পরিষ্কার করবে না,
যে পানিটা সে দিয়েছে।

কার ট্রাক ছিল?

শত্রুর অভাব আছে নাকি?

ও না হলে,
নিশ্চয়ই মধুর কাজ হবে।

পড়ে যাবি, সাবধানে।

সতর্কতা হিসেবে,
তাকে সাথে নিয়ে এসেছি।

প্লিজ বলবে না,
দুর্ঘটনার পিছনে তুমি ছিলে না!

কারণ সে নিজেই ধাক্কা খাচ্ছে,
আর পড়ে যাচ্ছে।

কেন এটা করলে?

কি মনে করিস! ৩ বারের পর..
৪ বার জয় পাওয়া কি সহজ?

জাদু থাকতে হবে।

১টা হত্যা চেষ্টা সাজিয়েছি,
সহানুভূতি তৈরি করেছি।

যা সার্ভে কর গিয়ে।

জনগণই..
তার জয় নিশ্চিত করবে।

যাই হোক,
এখন কি সমস্যা?

সে তো মরেনি..

কাকা!

আরেকটু শক্ত হলে,
কোনো সার্ভের প্রয়োজন হবে না।

সহানুভূতির মাধ্যমেই,
জয় নিশ্চিত হবে।

এতো তাড়াতাড়ি বুঝে গেলে,
সে তোমার নাতি ছিল না।

কিন্তু জিজ্ঞেস করলে না,
তার নানা কে?

কিন্তু সে তাকে ৩০ বছর ধরে,
নিজের সন্তানের মতো বড় করেছে।

হেই! আমি তোমাকে হিংসা করছি না..
প্লিজ কষ্ট পেয়ো না।

তার কাজ ছিল বিশ্বাসঘাতকতা,
আর তোমার ত্যাগ।

আমি কি তার ত্যাগের তালিকা দিবো?
তোমার হৃদয় থেমে যাবে।

অর্থহীন বিয়ে।

অর্থহীন বিয়ে।

১টা ছেলে,
যে তার নিজের নয়।

এবং ১টা বেকার পদমর্যাদা।

এসব কার জন্য করেছে?

সে এটা করেছে যাতে রমনা..
রাজার মতো বাঁচতে পারে।

তখন বুঝতে পারিনি।

আমি ১টা বোকা।

আমি শিউর না,
তুমি এটা জেনে নাকি না জেনে বলছো।

কিন্তু সত্যিই তিনি ১ জন দেবী।

যে কোন জায়গায়,
সে মন্দিরে পরিণত হয়।

কাল যখন সে চলে যাবে,
তখন জানতে পারবে, ভেঙ্কট স্বামী।

পবিত্র বাণী ভুলে যাও।

কেউ থাকবে না,
যে তোমাকে ফুল দেবে।

হৃদয়ে এতো ভালবাসা নিয়ে,

তুই লড়াই বেছে নিলি?

রমনার চিৎকার কি,
ভালবাসা প্রকাশের ধরণ?

আয়।

তুই যা খুশি কর,
এখন দেখ কি বলছিস তুই!

আমি কি করেছি, বাবা?

গুদামে আগুন দিয়েছি?

হত্যাকান্ড ঘটিয়েছি?

শুধু চেয়েছিলাম,
সে ভালো করুক।

এটা কি অপরাধ?

তুমি জরিপ করতে চাচ্ছো!
আমি মারা গেলে নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে!

এখন আমি চলে যাচ্ছি,
যাও নতুন জরিপ সম্পন্ন করো।

কোথায় যাবি?

তুই চলে গেলে!

এখানকার সবাইকে মেরে ফেলবো,
যাতে কেউ ঠিকানা পর্যন্ত বলতে না পারে।

আমাকে হুমকি দিচ্ছ,
তাকে দেখার পরেও?

আগে সে,
তোমার হাটুর সমান লম্বা ছিল।

এখন সে,
তোমাকে হাটু গেড়ে বসাবে।

কিসব যা তা বলছিস?

ওর মতো..
আজে বাজে কথা বলছিস কেন?

আমি কেন,
ওর মতো কথা বলবো, বাবা?

ওই আমার মতো কথা বলে।

কারণ সে আমার ছেলে।

ছেলে?

ছেলে মানে!
কি বলতে চাচ্ছিস?

ওটা কি আবার বলবে?

তুই আমার ছেলে।

এতো বছর বলোনি কেন?

কি মনে করিস ভালোবাসা সীমাবদ্ধ,
খাবার ও ঘুম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার মাঝে?

বাড়িতে আসতেই,
আমাকে বের করে দেওয়া হতো।

কিন্তু তোকে উপর থেকে দেখতাম।

যখনি আমাকে দেখতে,
চড় মারতে।

তোকে স্পর্শ করতে চেয়েছি।

হাসপাতালে বললে,
আমাকে পছন্দ করো না।

এর আগে বলেছি,
আমার প্রিয় জিনিস সম্পর্কে, তাই না?

কিসের আগে?

হেই!

যখন তুই বাচ্চা ছিলি,
খাবার নিয়ে আমাকে বিরক্ত করতি।

এখন, কথা বলে..
আমাকে কষ্ট দিতে চাস?

১ জন মা’র চলে যাওয়া উচিৎ,
তার সন্তানের যাবার আগেই।

বুড়ো, ভেঙ্কট স্বামী!

এটা শুনলে আরো ২৫ বছর,
অপেক্ষাও স্বার্থক হবে

যখন মা কথা বলে,
শুধু আমার কানই শোনে না,

শোনে আমার পুরো শরীর।

- হেই!
- হেই!

তার সাথে কেন কথা বলছিস?
চলে আয়।

হেই!

দাঁড়া!

দাঁড়া!

হেই!

দীর্ঘজীবী হোন..

দীর্ঘজীবী হোন..

দীর্ঘজীবী হোন..

কিরে?

তোমাকে দেখার সাথে সাথে..

চেয়েছিলাম ১টা বড় লড়াই করতে।

কিন্তু যে মুহূর্তে আমাকে স্পর্শ করলে,
সব ভুলে গেলাম।

কি?

তুই খুব সুদর্শন।

- দাঁড়ি রেখেছিস কেন?
- এটা?

প্রেমে ব্যর্থতা।

হেই!

মেয়েটা কে?

তুমি।

হেই, তুই কখন এলি?

বুজ্জি!

কেমন আছো?

বুজ্জি!

বুজ্জি.. বুজ্জি!

কেমন আছো, সত্যম?

কেমন আছো তুমি?

আমার রুম..

তোমার স্মৃতি..

এখানে.. এভাবে।

পুরনো গান..

পুরনো বাইক..

বৃদ্ধা স্ত্রী..

আমি কিছুই ত্যাগ করিনি।

তোমার এতো সময় লাগলো,
আমার উপর রাগ কমাতে?

আমার এতো বছর লেগেছে,
বাবাকে ভয় পাওয়া বন্ধ করতে।

খুব কষ্ট পাচ্ছিলে,
যে তুমি তার জন্য দরজা বন্ধ করেছিলে!

আজ, নিজেই তার জন্য..
দরজা খুলে দিলে।

তাই তো?

- হেই, সাম্বা!
- হ্যাঁ?

তোকে সুন্দর ১টা উক্তি দিবো?

"রমনা বিদ্রোহী..

কারণ তার দুই মা আছে।"

কাকা!
ভেঙ্কট স্বামী ফোন করেছে।

কল কেটে,
তাকে ব্লক কর।

এসব হয়েছে যখন আপনি,
ছুরির বদলে সুই ধারাচ্ছিলেন!

তাহলে এরপর ছুরি ধারাবো।

কাকা..

আমার নির্বাচনী এলাকাটা,
যেন এতিম না হয়।

আমাদের রমনাকে দরকার।

সে আসবে না।
শুধু শুধু সময় নষ্ট হবে।

কি তাকে,
আমাদের কাছে নিয়ে আসবে?

কাকা।

প্রতিটা উৎসবের সময়,
আমরা আম পাতা দিয়ে ফেস্টুন সাজাই।

এটাকে শুভ মনে করা হয়, তাই না?

কয়েকদিন পর,
যখন পাতা শুকিয়ে যায়,

সেটার শব্দ কানে বিরক্তিকর লাগে।

তবুও ফেলতে পারি না,
সংবেদনশীল কারণে।

আপনি ঠিক তেমনই, কাকা।

আপনাকে বাদ দিলে পাপ হবে,
রাখলেও ঝুঁকির সৃষ্টি করবেন।

এসব বাদ দিন।
শুধুই সময়ের অপচয়।

- সে বাসায় নেই।
- আমি জানি।

কি দারুন!

হাই, স্যার।

- হেই!
- স্যার?

- নতুন পোষাক?
- জ্বী, স্যার।

- রেডিমেইড নাকি বানানো।
- রেডিমেড, স্যার।

আমরা যাবো?

কোথায় যাবেন, স্যার?

তুমি জেনে কি করবে?

কবে ফিরবেন, স্যার?

- আগামীকাল সন্ধ্যায়।
- আগামীকাল সন্ধ্যায়?

মিঃ পাণিকে কি বলবো?

বলো যে,
সে পালিয়ে গেছে।

এই হাত দিয়ে,
তাকে স্কুলে নিয়ে যেতাম, স্যার।

এখন সেই হাত ধরেই,
বিয়ের মন্ডপে নিয়ে যাবো।

সাবধানে, প্রিয়।

তোমার শাড়ি!

- তুমি না থাকলে বালু..!
- স্যার?

ওকে জিপে করে গুন্টুরে নিয়ে যেতাম,
প্রথম যেদিন দেখেছিলাম।

প্রথম দিন!

এখন আপনি কি করতে যাচ্ছেন, স্যার।