All language subtitles for Its a Wonderful Life (1946) Bangla Subtitle By Rakib Mahmud

........বাংলা সাবটাইটেল বাই রাকিব মাহমুদ........

=== সাবটাইটেল অনুবাদক ===
মোঃ কামরুল হাসান শিমুল

.......বাংলা সাবটাইটেল বাই রাকিব মাহমুদ........

=== সাবটাইটেল অনুবাদক ===
মোঃ কামরুল হাসান শিমুল

........বাংলা সাবটাইটেল বাই রাকিব মাহমুদ........

=== সাবটাইটেল অনুবাদক ===
মোঃ কামরুল হাসান শিমুল< /font>

আমাদের ফেসবুক গ্রুপ ★ Bangla Subtitle

আমি সবকিছুর জন্যে জর্জ বেইলীর কাছে ঋণী।
তাকে সাহায্য করুন, হে ঈশ্বর।

জোসেফ, যীশু ও মেরী,
আমার বন্ধু বেইলীকে আজ সাহায্য করুন।

আমার ছেলে জর্জকে আজ রাতে সাহায্য করুন।

ঈশ্বর, সে কখনো নিজের কথা চিন্তা করেনি।
এজন্যেই সে ঝামেলার সম্মুখীন হয়েছে।

জর্জ একজন খুব ভাল মানুষ।
তাকে শান্তি দান করুন, ঈশ্বর।

আমি তাকে ভালবাসি, প্রিয় প্রভু।
আজ রাতে তার দিকে সদয় দৃষ্টি রাখুন।

দয়া করুন, মহান ঈশ্বর,
বাবার সাথে আজ খারাপ কিছু একটা হয়েছে।

বাবার যেন খারাপ কিছু না হয় ঈশ্বর।
বাবাকে সাহায্য করুন।

হ্যালো, জোসেফ, কোনো সমস্যা হয়েছে?

দেখে মনে হচ্ছে আমাদের
নিচে কাউকে পাঠাতে হবে।

অনেকগুলো মানুষ জর্জ বেইলী নামের
একজন মানুষের জন্য সাহায্য প্রার্থনা করছে।

জর্জ বেইলী? তাই তো দেখছি, আজ রাত
তার জন্যে খুব কঠিন রাত। তুমি ঠিকই বলেছ।

আমাদের শীঘ্রই নিচে কাউকে পাঠাতে হবে।
এবার নিচেই যাবার পালা কার?

এজন্যেই আপনার কাছে আমি এসেছি, স্যার।

এবার সেই ঘড়ি মেকানিকের পালা আবার।

ওহ, ক্লারেন্স।
এখনও কি সে তার ডানা পেয়েছে?

সে অল্পকিছুদিন আগে পাশ করেছে।

এর কারণ আপনি জানেন, স্যার,
তার ব্রেন একদম খরগোশের মতো।

জানি সেটা, কিন্তু তার বিশ্বাস একেবারে সাধারণ শিশুর মত।

জোসেফ, ক্লারেন্সকে ডাকো আমার কাছে।

আপনি আমাকে ডেকেছেন, স্যার?

হ্যাঁ, ক্লারেন্স।
নিচের পৃথিবীর একজন মানুষকে আমাদের সাহায্য করতে হবে।

মজার ব্যাপার! তিনি কি অসুস্থ?

না। তার অবস্থা আরো খারাপ। সে হতাশাগ্রস্থ।

পৃথিবীর সময় ঠিক রাত দশটা পঁয়তাল্লিশে,

মানুষটা খুব মারাত্মকভাবে হতাশাগ্রস্থ হবে,
এবং ঈশ্বরের দেয়া শ্রেষ্ঠ উপহার ছুঁড়ে ফেলতে চাইবে।

ওরে খোদা!
তাহলে তো আমার হাতে ড্রেস চেঞ্জ করার জন্য মাত্র এক ঘণ্টা সময় আছে।

তার এখন কি অবস্থা?

তোমার হাতে এক ঘন্টা সময় আছে
জর্জ বেইলীর সম্পর্কে জানতে।

স্যার, আমি যদি এই যাত্রায় সফল হই,
ইয়ে মানে, সম্ভবত আমি আমার ডানা পাবো, তাইনা?

আমি দুইশত বছর ধরে
ডানার জন্য অপেক্ষা করছি, স্যার।

ইতিমধ্যে এ নিয়ে সবাই কানাঘুষা শুরু করেছে।

তোমার কাছে কিসের বই ঐটা?

বইটির নাম হচ্ছে 'দি অ্যাডভেঞ্চার্স অফ টম সয়্যার'

ক্লারেন্স, জর্জ বেইলীর ব্যাপারে যদি ভালো
কিছু করতে পারো তাহলে তুমি তোমার ডানা পাবে।

ওহ, অনেক ধন্যবাদ স্যার। অনেক ধন্যবাদ৷

বেচারা জর্জ।
বসো।

বসব? মানে কি...

তুমি যদি কাউকে সাহায্য করতে চাও, তাহলে তার ব্যাপারে
তোমার কিছু জানা থাকতে হবে, তাইনা?

- ঠিক, স্বাভাবিকভাবেই, আমি আসলে...
- এখন, তোমার চোখ কান খোলা রাখো।

- শহরটা দেখেছ?
- কোথায় কি? আমি তো কিছুই দেখছিনা।

ওহ, আমি ভুলে গিয়েছিলাম।
তুমি তো এখনও তোমার ডানা পাওনি।

এখন খেয়াল করো, আমি তোমাকে সাহায্য করছি।

মনোযোগ দিয়ে দেখো।

দেখতে পাচ্ছ কিছু?

মানে, হ্যাঁ! দারুন তো!

যখন তুমি ডানা পাবে,
তুমি নিজেই সব দেখতে পাবে।

ওহ, চমৎকার!

কি মজা!

ঠিক আছে, ছেলেরা, চলো যাই এখন।

আরে, এটা আবার কে?

- এই তোমার সমস্যা, জর্জ বেইলী।
- একটা পিচ্চি?!

ওর বয়স যখন ১২, এটা তখনকার ছবি।
১৯১৯ সালের দিকে।

এখানে এমন কিছু ঘটবে যা
পরে তোমাকে খেয়াল রাখতে হবে।

কামঅন, মার্টি।
সাবাস, মার্টি।

- হু-হা!
- হু-হা!

এখন আমাদের সামনে আসছে ভীতুর ডিম,
আমার ছোট ভাই, হ্যারি বেইলী!

আমি মোটেও ভয় পাচ্ছিনা।

যাও, হ্যারি! আসো, হ্যারি!
সাবাশ, হ্যারি! দারুন করছো, হ্যারি!

বাঁচাও, জর্জ, বাঁচাও!

চিন্তা করো না হ্যারি, আমি আসছি!

- বাঁচাও!
- ধরে থাকো, হ্যারি!

আমি আসছি! চেইন দল তৈরি করো!

জর্জ সেদিন তার ভাইয়ের জীবন বাঁচাল।

কিন্তু তার প্রচণ্ড ঠান্ডা লেগে গেলো
যার ফলে বাম কান রোগাক্রান্ত হলো।

সে কারণে জর্জ এক কানে কম শোনা শুরু করলো।

এটা তার স্কুল-পরবর্তী চাকরিতে ফিরে যাওয়ার
দুই সপ্তাহ আগের ঘটনা

ঘটনাটি ঘটেছিল বৃদ্ধ গাওয়ার এর ঔষধালয়ে।

মিস্টার পটার!

সে কোন রাজা নাকি?

সে হচ্ছে হেনরি এফ. পটার,

উক্ত এলাকার সবচেয়ে ধনী এবং বদমাশ লোক।

হি-হা! হি-হা!
কাজ করতে যা, বদমাশের দল।

আমি যদি এক মিলিয়ন ডলার পেতাম!
হট ডগ!

আমি, মিঃ গাওয়ার। জর্জ বেইলী।

- তুমি দেরী করে এসেছ।
- জ্বী, স্যার।

- হ্যালো, জর্জ।
- হ্যালো, ম্যারি।

হ্যালো, ভায়োলেট।

দুই সেন্টের জুতার ফিতা দিবো নাকি?

ও এখানে প্রথম এসেছে।

আমি এখনও ভাবছি কি নিবো।

জুতার ফিতা দিবো?

প্লিজ, জর্জি।
আমি ওকে পছন্দ করি।

তুমি তো সব ছেলেকেই পছন্দ করো।

তাতে সমস্যা কোথায়?

এই নাও৷

- আমাকে নিচে নামতে সাহায্য করবে?
- তোমাকে নিচে নামতে সাহায্য করবো আমি?

তুমি কি নিবে এখনও ঠিক করতে পেরেছ?

আমাকে চকলেট দাও৷

সঙ্গে কি নারিকেল দিবো?

আমি নারিকেল পছন্দ করি না।

তুমি নারিকেল পছন্দ করো না?

হায়রে পাগলী, তুমি জানোনা
নারিকেল কোথা থেকে আসে?

এখানে দেখো, তাহিতি, ফিজি দ্বীপপুঞ্জ, কোরাল সি থেকে
নারিকেল আসে!

নতুন ম্যাগাজিন! আমি আগে কখনো এটা দেখিনি।

অবশ্যই তুমি এটা দেখোনি।

শুধুমাত্র অভিযাত্রীরাই এটা পেয়ে থাকে।

আমি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটিতে
সদস্যপদের জন্য মনোনীত হয়েছি।

তুমি না এই কানে শুনতে পাও না?

জর্জ বেইলী,
মরার আগ পর্যন্ত আমি তোমাকে ভালবাসবো।

দেখে নিও, আমি যে কোনো একদিন
অনুসন্ধানে বের হয়ে যাবো।

এবং আমার বেশ কয়েকটা হারেম থাকবে,
তিন চারটা স্ত্রীও থাকতে পারে হয়তো।

দেখতে থাকো।

- জর্জ! জর্জ!
- ইয়েস, স্যার।

তোমাকে কি টাকা দেয়া হয়
এখানে যাত্রা দেখানোর জন্য?

না, স্যার...

(আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত
হয়ে আপনার ছেলে রবার্ট আজ সকালে মারা গেছে)

মিস্টার গাওয়ার, আপনাকে কিছু দিবো?

- যে কোন কিছু?
- না

- কিছু লাগলে আমি আবার আসবো?
- না।

আমি দিচ্ছি, স্যার।

..দ্রুত ওষুধগুলো মিসেস ব্লেইনকে দিয়ে এসো।

- তিনি এগুলোর জন্য অপেক্ষা করছেন।
- দিচ্ছি, স্যার...

তার তো ডিপথেরিয়া হয়েছে,
তাইনা, স্যার?

হ্যাঁ.

খুব তাড়াতাড়ি দিয়ে আসতে হবে, স্যার?

হ্যাঁ, খুব জলদি।

- মিঃ গাওয়ার, আমার মনে হয়...
- আহ... যাও তো!

যাচ্ছি, স্যার।

দাঁড়াও, ক্যাপ্টেন কুক!
কোথায় যাচ্ছো তুমি?

বাবাকে খুঁজছি, বিলি আঙ্কেল।

- অন্য কোনো সময় এসো, জর্জ।
- বিষয়টি জরুরী!

ভিতরে এখন একটা ছোটখাটো ঝড়ো হাওয়া বইছে...
যেটি একটু পরে ঝড়ে রুপ নেবে।

বিলি আঙ্কেল, টেলিফোন।

- কে?
- ব্যাংক পর্যবেক্ষক।

- ব্যাংক পর্যবেক্ষক?

হায়রে, গতকালই তাঁকে ফোন দেয়া
উচিৎ ছিলো আমার।

কলটা ভিতরে ট্রান্সফার করো।

আমি কাঁদছিনা, মিস্টার পটার।

ভালো, আপনি ভিক্ষা করছেন
যেটা ভিক্ষার চেয়ে আরো খারাপ।

আমি শুধু এক মাস সময় বেশী চাচ্ছি।

- বাবা!
- একটা মিনিট দাঁড়াও, বাবা।

মাত্র এক মাস। আমি ৫০০০ ডলার
যেকোনো উপায়ে যোগাড় করে ফেলব।

- আমাকে একটু সাহায্য করুন।
- বাবা!

আপনি কি আসলেই এই লোকদেরকে
বন্ধক পরিশোধ করতে কোন চাপ দিয়েছেন?

সময়টা খুব খারাপ যাচ্ছে, মিস্টার পটার।
অনেক লোকই বেকার হয়ে গেছে।

- ঠিক আছে, তাহলে বন্ধ করে দিন।
- আমি তা করতে পারবো না।

- এই পরিবারগুলোর সংসার আছে।
- বাবা!

তারা তো আর আমার সন্তান না।

কিন্তু তারা সবাই তো কারো না কারো সন্তান, মিস্টার পটার।

আপনি কি ব্যবসা করছেন নাকি
সাহায্যসংস্থা খুলে বসেছেন?

- আচ্ছা, ঠিক আছে তাহলে...
- আমার টাকা দিয়ে এসব চলবে না!

মিস্টার পটার, আপনি এতো নিষ্ঠুর
হলেন কি করে?

আপনার কোন পরিবার নেই, কোনো সন্তান নেই।

আপনি এতদিন যা আয় করেছেন
সেটা এখনো খরচ করা শুরুই করতে পারেননি।

তাই বলে এখন আপনার মত ব্যর্থ লোকের কাছে সব
টাকা ঢেলে দিবো নাকি...

আর আপনার বলদ ভাইকে দিয়ে
সব খরচ করতে দিবো আমি।

তার কোন দোষ নেই এখানে!

- আপনি আমার বাবার সম্পর্কে এসব বলতে পারেননা!
- জর্জ, জর্জ, শান্ত হও। জর্জ, জর্জ।

আমি চুপ করবো না।
আপনি শহরের সবচেয়ে ধনী মানুষ!

- চলো! চলো!
- তাঁর চেয়ে...

- যাও এখন!
- সবার চেয়ে ধনী!

বেইলিদের সম্পর্কে একটা ধারণা পেলেন।

আপনি তাকে এসব বলতে দিবেননা, বাবা।

ঠিক আছে, বাবা। ঠিক আছে৷

আমি তোমার সাথে রাতে এ নিয়ে কথা বলব।

কি?

কেন, ওষুধ তো একঘন্টা
আগেই পৌছানোর কথা।

পাঁচ মিনিটের মধ্যে আপনার ওষুধ পেয়ে যাবেন, মিসেস ব্লেইন।

মিসেস ব্লেইন এর ওষুধ কই?

আমি...আসলে...

- আমি কি বলেছিলাম শুনিস নাই?
- শুনেছিলাম, স্যার, আমি...

তুই কি চালাকি করার চেষ্টা করছিস?

তুই কেন সেগুলো এখনো দিয়ে আসিসনি?

তুই জানিসনা ছেলেটা খুব অসুস্থ?

আপনি আমার অসুস্থ কানে ব্যথা দিচ্ছেন।

অলস পাজি কোথাকার!

মিস্টার গাওয়ার, আপনি জানেননা আপনি কি করেছেন!

আপনি ভুল ক্যাপসুলগুল দিয়ে দিয়েছিলেন।

আমি বুঝতে পারছি আপনার মনের অবস্থা ভালো নয়।

আপনি ঐ টেলিগ্রামটা পাবার পর
থেকেই মর্মাহত।

আপনি ভুল করে ক্যাপস্যুলের মধ্যে খারাপ কিছু
দিয়ে দিয়েছিলেন।

এতে আপনার কোনো দোষ নেই, মিস্টার গাওয়ার।

দেখুন আপনি কি করেছেন।

আপনি যে বোতল থেকে ওষুধ নিয়েছেন তা দেখুন...

ওটা বিষ ছিল!

আমি বুঝতে পারছি আপনার মনের অবস্থা।

আমি বুঝতে পারছিনা...

- ওহ!
- আবার আমার অসুস্থ কানে ব্যাথা দেবেননা।

- আমার অসুস্থ কানে ব্যাথা দিবেননা আর!
- ওহ, না, না, না,

ওহ, জর্জ, জর্জ...

মিস্টার গাওয়ার,
আমি এই কথা কাউকে কখনো বলবোনা।

আমি জানি আপনার কেমন লাগছে।

আমি কাউকেই এ কথা বলবনা।

- মরে গেলেও না।
- ওহ, জর্জ, জর্জ...

এটা ওয়ানটাইম ব্যবহার করার জন্য চমৎকার ব্যাগ,
ইংরেজ গরুর চামড়া দিয়ে তৈরি।

কম্বিনেশন লক আছে,
ব্রাশ, চিরুনি লাগানো আছে...

না, না, না, না, না।

জো, দেখো...

আমি এত্ত বড় একটা চাই।

আপনি এখানে থামালেন কেন?

আমি চাই তুমি এই চেহারাটা ভালো করে চিনে রাখো।

- এটা কে?
- জর্জ বেইলী।

ওহ, যে ছেলেটাকে ওষুধ বিক্রেতা কানে
থাপ্পড় দিয়েছিলো সে ছেলে এটা?

এটাই সেই ছেলে।

সুন্দর চেহারা।

আমার পছন্দ হয়েছে।
জর্জ বেইলীকে আমার পছন্দ হয়েছে।

আমাকে বলুন তো, সে কি কখনো
ওষুধগুলোর কথা কাউকে বলেছে?

কাউকেই বলেনি।

সে কি ওই মেয়েটাকে বিয়ে করেছে?
সে কি কখনও অভিযানে গিয়েছে?

অপেক্ষা করো আর দেখতে থাকো।

বড়, বুঝেছ? এক রাতের জন্য কিছু চাইনা।

আমি ১০০১ রাতের জন্য কিছু চাচ্ছি।

সঙ্গে ইতালি, বাগদাদ, সমরকন্দ...এসব
জায়গা থেকে লেবেল লাগানোর জন্য প্রচুর জায়গা।

অনেক বড় কিছু। যেমন...

- বুঝেছি, একটি উড়ন্ত কার্পেট লাগবে, তাই তো?
- হ্যাঁ।

দেখো তো তোমার এই সেকেন্ডহ্যান্ড
জিনিসটা পছন্দ হয় কিনা?

এইতো কাজের কথায় আসছো।

যদি জাহাজ ডুবে যায় তাহলে এটা আমি
ভেলা হিসাবে ব্যবহার করতে পারব।

- কত দাম এটার?
- কোনো দাম নেই।

এটা আমার ভালো কান, জো।
এতে শুনলাম তুমি বললে "কোন দাম নেই"।

ঠিকই বলেছি।

আরে, আমার নাম এখানে কি করে এলো?

মিস্টার গাওয়ারের কাছ থেকে ছোট্ট একটা উপহার তোমার জন্য।
এইমাত্র এলো আর তুমি নিজেই এটা নিতে এলে।

তিনি দিয়েছেন এটা?

তুমি জানো?
সে আমার পুরাতন বস। সুন্দর, তাইনা?

কোন নৌকায় সমুদ্রযাত্রা করবে?

গরুর নৌকায় করে যাত্রা করবো।

- গরুর নৌকা?!
- হ্যাঁ, আমি গরু খুব পছন্দ করি।

- হ্যালো, মিস্টার গাওয়ার।
- জর্জ!

কেমন আছে আপনি?
ব্যাগের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

- আমি ঠিক যেমনটি চেয়েছিলাম এটা ঠিক তাই।
- বাদ দাও তো।

দারুণ ব্যাপার যে আপনি এটা নিয়ে চিন্তা করেছেন।

আশা করি তুমি উপভোগ করবে।

আমি যদি এক মিলিয়ন ডলার পেতাম!

হট ডগ!

থামো, ক্যাপ্টেন কুক!
তোমার সমুদ্রযাত্রার নেশা কি এখনো আছে?

তুমি কি ফরাসী ভাষা বলতে পারো, মিস্টার?

হেই জর্জ, আমাদের জন্য কিছু ছবি বা পোষ্টকার্ড পাঠিও,
ঠিক আছে?

হেই, জর্জ,
কোনো অচল মুদ্রা নিয়ে নিওনা ভুল করে আবার।

হেই, জর্জ,
তোমার সুটকেস দেখি ফুটা।

হাই, আর্নি!

- হেই, জর্জ।
- হাই, বার্ট।

- জর্জ...
- হেই, আজকে আমি একজন ধনী পর্যটক।

- কেমন হয় আজকে গাড়িতে করে আমাকে বাড়িতে নিয়ে গেলে?
- দারুন হবে।

আসুন, মহাশয়, আরাম করে বসে পরুন।

আমি আমার টুপি পরে নিলাম।

- গুড আফটারনুন, মিস্টার বেইলী।
- হ্যালো, ভায়োলেট।

হেই, তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে।
ড্রেসটাতে তোমাকে খুব মানিয়েছে।

এই পুরানো জিনিস সুন্দর লাগছে!

যখন এই ড্রেসটি পরি তখন আমাকে কেমন
দেখাচ্ছে সেটা নিয়ে মোটেও চিন্তা করি না আমি।

- তুমি কি আসলে...
- ওহ, হ্যাঁ।

তুমি আসবে নাকি বার্ট? চলো তোমাকে
পুরো শহরটা ঘুরিয়ে দেখাই।

না, ধন্যবাদ। আমি বাড়ি যাচ্ছি।
দেখি আমার স্ত্রী কি করছে।

সংসারী টাইপের মানুষ।

জর্জ! হ্যারি!

তোমরা কি থামবে!
পুরো ঘর কাঁপিয়ে দিচ্ছো একেবারে!

আহ, তাদের বাঁধা দিও নাতো!
আমার ইচ্ছা হচ্ছে আমিও ওদের সঙ্গে শুরু করি।

কিন্তু হ্যারি তো ওর ডিনার স্যুট ছিঁড়ে ফেলবে!
জর্জ!

এজন্যেই বলি বাচ্চা হলে মেয়ে হওয়াই ভালো।

কিন্তু যদি সব মেয়েই হয়,
তাহলে তো কোনো...

আহ, বাদ দাও তো।

জর্জ! হ্যারি!
এক্ষুনি খেতে এসো।

সব একদম ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে,
কতক্ষণ ধরে আমরা অপেক্ষা করবো!

আসছি, মা !

- এই নাও তোমার উপহার, বাবা।
- পাগল দুইটা!

- জর্জ, খেতে বসো।
- আমি খেয়েছি।

তো, গ্র্যাজুয়েট শেষ করার অনুষ্ঠানে যাবার
জন্য গোছানো শেষ?

- দেখো!
- কিচ্ছু হয়নি।

এটা জর্জের টাক্স অ্যানি,
আমাদের পাইগুলো কি রেডি?

যদি আমার গায়ে হাত দাও, তাহলে
এই ঝাড়ু দিয়ে কষে পিটাবো।

অ্যানি, আমি তোমার প্রেমে পড়ে গেছি গো৷
দেখো বাইরে কি সুন্দর চাঁদ।

বেইলী বোর্ডিং হাউজে এটাই আমার শেষ খাবার
হতে চলেছে।

তোমরা আমার প্রেশার বাড়িয়ে দিলে!

বাবা, তোমার গাড়িটা আমাকে দেবে একটু? অনেকগুলো
প্লেট আর জিনিস নিতে হবে।

- কিসের প্লেট?
- ওহ, মা,

বুঝোনা কেন আমি হলাম খাদ্য কমিটির চেয়ারম্যান
এরজন্য শুধু কয়েক ডজন প্লেট দরকার।

ওহ, না, না হ্যারি।
এখন আমার সেরা হ্যাভিলেন্ড (একধরণের দামী প্লেট) গুলো দিবনা।

কয়েকটা প্লেট দাওনা, মা।

আশা করি তোমার যাত্রা সফল হবে, জর্জ।
বিলি আর আমি তোমাকে খুব মিস করব।

আমিও তোমাদেরকে খুব মিস করব বাবা।
কি ব্যাপার? তোমাকে খুব ক্লান্ত দেখাচ্ছে যে।

- ওহ, আজকে আবার পটারের সাথে লেগেছিল।
- ওহ।

আমি ভেবেছিলাম তাঁকে বোর্ড অফ ডিরক্টরে
নিলে সে আমাদেরকে কিছুটা ছাড় দিবে।

এই অর্থলোভী বুড়োটার সমস্যাটা কি?

ও একটা অসুস্থ মানুষ।
হতাশ এবং অসুস্থ।

আর তাঁর মন এমনকি আত্মাও অসুস্থ,
যদি সেটা থেকে থাকে আরকি।

অন্যদের কাছে যদি এমন কিছু থাকে যা তাঁর নিজের কাছে নেই,
তাহলে ও তাদেরকে ঘৃনা করা শুরু করে।

আমার তো মনে হয় উনি আমাদেরকে সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করে।

যাও! যাও!
থাকো তুমি, বাবা।

যাও!

- হ্যারি, তোমার কাছে কি ম্যাচ হবে?
- হাঁসালে আমাকে।

গাড়ীর ভেতরে এগুলো রেখে আসো আমি
ততক্ষণে তোমার টাই আর স্টাড ঠিক করে দিচ্ছি।

- তাড়াতাড়ি, জলদি করো।
- ঠিক আছে, মা।

- তুমি পরে আসছ?
- মোটেও আসছি না আমি।

- তুমি পরে আসছ, জর্জ?
- মানে কি!

- এখানে থাকলে বোরিং হতে হতে মরবে কিন্তু।
- এরচেয়ে ভালো মৃত্যু দরকার নেই আমার।

অনেক সুন্দরী মেয়ে আছে, আর আমরা ঐ
নতুন ফ্লোর আজ রাতে ব্যবহার করব।

- আশা করি সব ভালোভাবেই শেষ হবে।
- কোন মদ খাবেনা আজ, ছেলেরা!

- অল্প একটু খাবো বাবা।
- না, একফোঁটাও না।

ধুর!

ছেলেরা আছে, মেয়ে আছে সাথে গানবাজনাও আছে...
এর মধ্যে আবার মদ কেন?

বাবা, আমি যখন হাই স্কুল থেকে স্নাতক
শেষ করেছিলাম তখন আমিও কি এমন করেছিলাম?

অনেকটা করেছিলে।

জানো জর্জ, আমি চেয়েছিলাম হ্যারিকেও
তোমার সাথে কলেজে পাঠাবো।

তোমার মা আর আমি এটা নিয়ে
সারারাত আলাপ করেছি।

আমরা সবকিছু ভেবেও রেখেছি।

হ্যারি বিল্ডিং এন্ড লোনে আমার
চাকরিটা নিবে, সেখানে চার বছর কাজ করবে।

তারপর সেও যাবে।

- ও ওই কাজের জন্য অনেক কমবয়সী।
- আমি যত কমবয়সী ছিলাম তার চেয়ে তো আর কম না।

হয়তো তুমি একটু বড় হয়েই জন্মেছিলে, জর্জ।

কিভাবে?

আমি বলেছি, তুমি মনে হয় বড় হয়েই জন্মেছিলে।

আমার মনে হয়, তুমি কলেজ থেকে বেরিয়ে
কি করবে তা আগেই ঠিক করে রেখেছিলে।

ওহ ভালো, আপনি জানেন তো আমি সবসময় কি
নিয়ে কথা বলতাম...বিভিন্ন জিনিস তৈরি করা...

নতুন ভবন নকশা...
আধুনিক শহর পরিকল্পনা...

- সে সব জিনিস, যেসব নিয়ে আমি আগেও অনেক বলেছি।
- ৩০ হওয়ার আগেই এক মিলিয়নের মালিক হতে চাও নাকি।

না, অন্তত আমি এর অর্ধেক নগদ করতে চাই এখন।

এটা শুধুই একটি স্বপ্ন, কিন্ত...

এরপর নিশ্চয়ই আর 'বিল্ডিং এন্ড লোন' এ ফিরে
আসার কথা আর চিন্তা করবেনা, তাই না?

আসলে...আমি...কেন, অ্যানি,
একটা চেয়ার নিয়ে এখানে বসে পড়ছনা কেন?

তারপর আরো আরাম করে বসে আমাদের
সব কথা শুনতে পারতে।

শোনার মত কিছু হলে তাই করতাম।

তাই নাকি?

- আমি বুঝতে পারছি এই আলোচনা করার সময় না এখন।
- ওহ, এখন, বাবা। আমি, আমি...

আমি পারবনা বাবা। আমি আমার বাকী জীবনটা ওই পুরোনো
অফিসে হাতপা গুটিয়ে বসে থাকতে পারবোনা...

ওহ, আমি দুঃখিত, বাবা,
আমি আসলে এভাবে বলতে চাইনি,

কিন্তু এই খুচরা পয়সার ব্যবসা আর
এভাবেই পুরো জীবনটা কাটিয়ে দেয়া...

একটা চুরুট কেনার জন্যে কিভাবে ৩ সেন্ট বাচাঁনো যায় এই চিন্তা করা...
আমি সত্যি পাগল হয়ে যাবো।

আমি...আমি আরো বড় কিছু করতে চাই,
আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু।

আসলে জর্জ, আমার মনে হয় অল্প হলেও
আমরা মানুষের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু করছি।

মৌলিক কিছু চাহিদা নিশ্চিত করছি।

এই সময়টাতে একটি মানুষের তার নিজস্ব ছাদ,
দেয়াল আর ফায়ারপ্লেস থাকাটা অনেক কঠিন একটি ব্যাপার।

আর আমরা তাদের সাহায্য করছি,
আমাদের এই জীর্ণ ছোটখাট অফিসে বসেই।

আমি জানি বাবা...আমি...আসলে... আমি, আমি...
আমি...আমি নিজেও এভাবেই ভাবতে চাই...

কিন্তু আমি... আমি শুধু কৃপণের মত অল্প
কিছু পয়সা বাঁচিয়ে চলেছি...

আমার বন্ধুদের প্রায় সবারই
ইতোমধ্যে কলেজের পাঠ শেষ।

আমি, আসলে...আমার মনে হয় আমি যদি এর থেকে
এখনই বের না হই তাহলে এখানে একেবারে আটকে যাবো।

হ্যাঁ, হ্যাঁ...তুমি ঠিকই বলেছ, বাবা।

আমি কি বলতে চাইছি তুমি নিশ্চয়ই সেটা বুঝতে
পারছ, তাই না বাবা?

এই শহরের কোনো মানুষে ততক্ষণ পর্যন্ত কিছু হবেনা
যতক্ষণ না সে পটারের কাছে নতজানু হচ্ছে।

আমি জানি যে, তুমি প্রতিভাবান।

তুমি ভাল করে পড়াশোনা করে তারপর
এখান থেকে চলে যাও।

বাবা, তুমি একটা জিনিস জানো?

আমি মনে করি তুমি একজন মহান মানুষ।

কিছু শুনতে পেলে, অ্যানি?

আমি শুনেছি।
তোমার মত মাথামোটারা এটা প্রায়ই বলে।

আমি বুড়ো অ্যানিকে অনেক মিস্ করবো।

বাবা, আমার মনে হয় এখন কাপড় পালটে
হ্যারির পার্টিতে যাওয়া উচিৎ।

ভাল সময় কাটাও, বাছা।

এই যে নিন৷

জর্জ! হ্যালো!

আপনারা আমার ছোট ভাই জর্জকে চিনেনতো, তাইনা?
আমি তাকে কলেজে পাঠাচ্ছি।

- হ্যালো, জর্জ!
- হেই!

ওহ, স্যাম ওয়েইনরাইট।

কেমন আছ তুমি?
কখন এলে তুমি?

আহ, বিকালে এসেছি...ভাবলাম এই
বাচ্চাদেরকে কিছু শিখিয়ে দিয়ে যাই।

ওল্ড কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েট শেষ করেছো, তাই না?

হ্যাঁ ওল্ড জো কলেজ ওয়েনরাইট,
সবাই আমাকে এখন এই নামেই ডাকে।

ভালো, আনাড়ি ভাব কেটে যাচ্ছে মনে হচ্ছে...
যাক অবশেষে মনে হয় তুমি সব গুছিয়ে নিচ্ছো।

- ইয়েস।
- আরে, হেই!

হ্যারি!
তোমাকেই তো আমি খুঁজছি।

- কোচ তোমার ব্যাপারে শুনেছে।
- তাই নাকি?

হ্যাঁ, তিনি তোমার সব খেলা দেখেছেন
আর তোমাকে নেয়ার জন্যে উন্মুখ হয়ে আছেন।

তিনি আমাকে দেখতে বলেছেন যে তুমি
আমাদের সাথে আসছো কিনা।

ঠিক আছে, কিন্তু তার আগে আমার কিছু
টাকার ব্যবস্থা করা দরকার।

খুব ভালো, তাহলে তাড়াতাড়ি করো। আমাদের
তোমার মত কিছু সফল মানুষের দরকার।

এই ভাঙ্গাচোরা বুড়োর মত কাউকে নয়!

- হাউ-হেউ!
- হি-হাউ!

স্বাগতম! জর্জ!

হ্যালো, মিঃ পার্টজ, কেমন আছেন আপনি?

এই ফ্লোরের নিচে একটা পুল স্থাপন
করার বুদ্ধিটি বেশ ভালো হয়েছে।

আমাদের আরেকটা বিল্ডিং বানানোর
খরচ থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।

এখন, হ্যারি, স্যাম, যত খুশি আনন্দ করো!

এখানে প্রচুর খাবার আর পানীয় আছে।

- চারপাশে অনেক সুন্দরী মেয়েরাও আছে।
- আরে, জর্জ...

- হ্যালো, ভায়োলেট। কি খবর তোমার...
- হ্যালো। আমার মুল্য কত?

- জর্জ...
- আরে মার্টি। দারুন! একেবারে পুরোনো দিনগুলোর মত লাগছে।

- মার্টি!
- তোমাকে দেখে খুব ভালো লাগছে।

- আমার একটা উপকার করবে, জর্জ?
- কি?

- আসলে, আমার ছোট বোন ম্যারির কথা মনে আছে?
- ওহ, হ্যাঁ, হ্যাঁ।

"মা তোমাকে ডাকছে, মার্টি।"
"মা তোমাকে ডাকছে।" মনে আছে?

তার সঙ্গে নাচবে একটু?

আহ, আমি? তা...এই বাচ্চাদের সাথে
মিশে ইতিমধ্যে অনেক বোকামি করে ফেলেছি।

আহা, চলো এখন। একটু চালু হওতো!

তার সঙ্গে একবার শুধু নাচো আর তাতেই
ওর এটা সারা জীবনের একটা স্মরণীয় ঘটনা হয়ে থাকবে।

- ওহ, যাও!
- হেই, সিস!

বেশি দেরি করোনা, মার্টি!
আমি নার্সের মত ভিজতে পারবনা এই...

এর পরের যতটুকু মনে পড়ে,
একজন এসে আমাকে ঠ্যালা দিলো।

সে জন্যই তো আমি একেবারে সামনে এসে পড়লাম।

যদি তা না হতো,
তাহলে এমন কিছুই হতো না।

পরে অবশ্য আমি ওকে খুঁজে বের করতে চেয়েছিলাম,
কিন্তু পাইনি।

কেউই তোমাকে বলবে না ওটা...
ওটা কে ছিল, কারন তারা ভয় পেত।

- তুমি বুঝতে পারছ আমি কার কথা...
- জর্জকে চিনতে পারছো?

- এ হচ্ছে ম্যারি। ঠিক আছে, আমি এখন আসি।
- ভালো...ভালো...ভালো...

এখন আমার গল্পতে ফিরে চলি চলো...

আরে, ওর সাথে তো আমি নাচবো!

আহ-হা, মানুষকে বিরক্ত করা বন্ধ করছনা কেন?

আসলে! দুঃখিত! হেই!

- হ্যালো।
- হ্যালো।

- তুমি এমনভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছো যেন চিনতে পারছো না।
- আসলে... চিনতে পারছিনা।

তুমি প্রায় প্রতিদিনই রাস্তায় আমাকে
পাশ কাটিয়ে চলে গেছো।

- আমি?!
- হ্যাঁ।

ঐটা ছিল ম্যারি হ্যাচ নামের একটা বাচ্চা মেয়ে,
তুমি না।

ও-ইয়েস, ও-ইয়েস, ও-ইয়েস!

এখন হবে বড় চার্লসটন প্রতিযোগিতা!

কি পুরষ্কার? একটি প্রেমময় কাপ!

যারা শেষ পর্যন্ত টিকে থাকবে সেই
জুটিই হবে বিজয়ী, চলো শুরু করা যাক!

- আমি এই সবে খুব একটা ভালো নই।
- আমিও না।

ঠিক আছে. তাহলে আমাদের হারানোর কিছু নেই।

আরে, তুমিতো বেশ করছো!

কি ব্যাপার, ওথেলো,
হিংসা হচ্ছে নাকি?

তুমি কি জানো এই ফ্লোরের নিচে একটা সুইমিং পুল আছে?

আর সাথে এটাও কি জানো যে,
তোমার পিছনের সুইচটা টিপলে ফ্লোরটা খুলে যাবে?

আর এটাও কি জানো যে,
জর্জ বেইলী ঠিক ঐ ফাটলের উপরে আছে?

আর সেই চাবিটি আমার কাছে আছে?

পিছনে সরে যান, সবাই!
সরে যান!

সবাই আমাদেরকে বাহবা দিচ্ছে।
আমরা দারুন করছি মনে হয়।

সরে যাও! ওহ ...

♪ বাফেলো গালস,
আজ রাতে কি আসতে পারো না? ♪

♪ আজ রাতে কি আসতে পারো না?
আজ রাতে কি আসতে পারো না? ♪

♪ বাফেলো গালস,
আজ রাতে কি আসতে পারো না? ♪

♪ আর চাঁদের আলোয় ♪

♪ নাচো ♪

- হট ডগ! খুব সুন্দর।
- দারুন।

আমি হ্যারিকে বলেছিলাম আমি
মনে হয় বিরক্ত হয়ে যাবো।

তুমি লকার রুমের মধ্যে ওই
যুদ্ধটা দেখতে পারতে।

আমি তিনটা মানুষকে মেরে অজ্ঞান করে দিয়েছি।

তোমার ভেজা কাপড়গুলো আমাকে দাও।

আমাকে কি তোমার মত অদ্ভুত দেখাচ্ছে?

আমি জানি আমি ফুটবল খেলোয়ার টাইপের না।

আসলে...তোমাকে চমৎকার দেখাচ্ছে!

তুমি জানো, এটা আমি না হয়ে যদি অন্য কেউ হতো,
তাহলে বলত তুমি শহরের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে।

তাই নাকি, তো তুমি বলতে না?

কি জানি, আমি জানি না আসলে হয়তো বলতাম।
তোমার বয়স কত আসলে?

- আঠারো বছর।
- আঠারো?!

কিভাবে! গত বছরই তো তোমার
বয়স সতেরো ছিল!

এটা কি খুব অল্পবয়েসী নাকি খুব বেশি বুড়ো?

ওহ, সেরকম কিছু না।
ঠিক যে বয়সটা তোমাকে মানায়।

- হ্যাঁ, স্যার,
- জামাকাপড় ছাড়া তোমাকে বুড়ো দেখায়।

না মানে, কাপড়ছাড়া...বুড়ো দেখায়।

নাহ...মানে...আমি বলছিলাম...
কমবয়স্ক...তোমাকে...

- ওহ, হো!
- ওহ, হো!

- ওহ, না। আমি চাই...
- স্যার, আমার ট্রেন, দয়া করে!

আমাকে কিছু একটা...বোকার মত করে দিয়েছে।

এইযে আপনার গাড়ি, মহামান্য।

- আপনি আমার হাতে চুমু দিতে পারেন।
- উমমম...

হেই

হেই, ম্যারি।

♪যখন আমি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম ♪

♪হেঁটে যাচ্ছিলাম,
আর হেঁটে যাচ্ছিলাম...♪

ঠিক আছে, তাহলে আমি ওই পুরোনো
গ্র্যানভিল হাউজের দিকে একটা পাথর ছুঁড়ে মারছি।

ওহ, না, এই কাজ করোনা!
আমি আমি ওই পুরাতন বাড়িটি পছন্দ করি।

না। দেখো...তুমি কিছু একটা মনে মনে
চাও আর জানালার গ্লাস ভাঙ্গার চেষ্টা করো।

এরকম নির্ভুল নিশানা আজকাল খুব একটা পাবেনা।

ওহ, জর্জ, এমন করোনা।

এটা খুব প্রেমময় জায়গা।
এই পুরাতন জায়গাটি।

আমি এখানে বাস করতে চাই।

- এখানে!?
- হ্যাঁ।

আমিতো মরে ভূত হয়ে গেলেও
এখানে থাকতে চাইবোনা।

দ্বিতীয় তলায় একটা জানালা আছে, দেখেছো?

- তুমি কি চাও, জর্জ?
- আমি...একটি না। আমি অনেককিছু চাই।

ম্যারি, আমি জানি কাল থেকে আমি কি করবো...

আর পরের দিন এবং পরবর্তী
যে বছর এবং তার পরের বছর আমি কি করতে চাই।

আমি এই পুরোনো শহরটার ধূলো
গা থেকে ঝেড়ে ফেলছি...

এবং আমি পুরো পৃথিবীকে দেখবো।

ইতালি, গ্রীস, পার্থেনন মন্দির...কলোসিয়াম।

তারপর আমি এখানে ফিরে আসবো
আর দেখবো এরা কি জানে।

আর তারপর আমি কিছু জিনিস বানাবো।

আমি এখানে এয়ারফিল্ড বানাবো।

আমি একশ তলার বিশাল উঁচু বিল্ডিং বানাবো।

আমি এক মাইল দীর্ঘ বিশাল ব্রীজ বানাবো।

তো, তুমিও কি পাথর মারতে চাও?

আরে, ভাল নিশানাতো!

তুমি কি চাও, ম্যারি?

♪ বাফেলো গালস,
আজ রাতে কি আসতে পারো না? ♪

♪ আজ রাতে কি আসতে পারো না?
আজ রাতে কি আসতে পারো না? ♪

♪ বাফেলো গালস,
আজ রাতে কি আসতে পারো না? ♪

♪ আর চাঁদের আলোয় নাচবো। ♪

পাথর ছোঁড়ার সমই তুমি কি চেয়েছিলে?

- ওহ, না।
- আরে আমাকে বলো।

আমি যদি তোমাকে বলি,
তাহলে এটা কখনো সত্যি হবেনা।

তুমি কি চাও, ম্যারি?

কি চাও তুমি?

তুমি কি চাঁদটা চাও??!

শুধু বলো তারপর দেখো আমি একটা
দড়ি দিয়ে টেনে চাঁদকে নিচে টেনে নিয়ে আসবো।

আরে, এটা তো দারুন বুদ্ধি।

- আমি তোমাকে চাঁদটা এনে দেবো, ম্যারি।
- আমি ওইটা নেব৷ এরপর কি?

তারপর তুমি ওটাকে গিলে খেয়ে ফেলতে পারো,

আর সব শেষ হয়ে যাবে, দেখবে?

এরপর চাঁদের আলো তোমার হাত
আর পায়ের আঙ্গুল দিয়ে ঠিকরে বের হবে...

আর তোমার চুলের আগা দিয়ে।

আমি কি খুব বেশী কথা বলছি নাকি?

অবশ্যই!

তুমি তাকে চুমু খাবে নাকি
শুধু বকবক করেই যাবে?

কি বললেন?

আমি বলছি তুমি তাকে চুমু খাবে নাকি
শুধু বকবক করেই যাবে?

ওকে আমি চুমু দিই এটা চান আপনি, তাই না?

আহারে, নিজের যৌবনের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে এই ছোকরা!

হেই মিস্টার, আরে, দাঁড়ান।
এইযে মিস্টার, এখানে ফিরে আসুন।

আমি আপনার টাক মাথায় এমন চুমু দিব যে
আপনার টাকমাথায় আবার নতুন চুল গজাবে।

আপনি কি...

ম্যারি?

ঠিক আছে, আমি হার মানলাম।
কোথায় তুমি?

এইযে এখানে, এই ঝোপের মধ্যে।

এই নাও, ধরো।

এক মিনিট। আমি কি করছি?

এটা খুবই মজার অবস্থা!

- আমাকে আমার জামা ফেরত দাও প্লিজ।
- দিচ্ছি দাঁড়াও।

একজন মানুষের জীবনে সাধারণত
এমন ঘটনা ঘটেনা।

আমার জামাটা দাও বলছি।

অন্তত বেডফোর্ড ফলসে না।

- আউচ! ওহ!
- কি মজা।

- জর্জ বেইলী!
- দাঁড়াও একটু চিন্তা করে নিই।

আমার জামা দাও বলছি!

আমি এমন একটি ঘটনা বইয়ে পড়েছি,
কিন্তু কখনো..

তোমার লজ্জা হওয়া উচিত!
আমি তোমার মাকে সব বলে দিবো!

আমার মা রাস্তার ওপারে থাকে।

তাহলে আমি পুলিশ ডাকবো!

তারা শহরের মাঝে থাকে,
আর তারা আমার পক্ষই নেবে।

তাহলে, তাহলে,
তাহলে আমি চিত্কার করবো!

তাহলে হয়তো আমি টিকেট বিক্রি করতে পারবো।

আসুন দেখুন, না, হলোনা, কথা হলো...
কিভাবে এই পোশাক বিক্রি করা যায়...

পেয়েছি৷ আমি তোমার সাথে একটা
চুক্তি করতে চাই, ম্যারি।

জর্জ!
জর্জ!

জর্জ! দ্রুত বাড়ি চলো।

তোমার বাবা স্ট্রোক করেছেন!

কি বললেন?!

ম্যারি! ম্যারি, আমি দুঃখিত.
আমাকে এক্ষুনি যেতে হবে।

তাড়াতাড়ি চলো জর্জ!

- ডাক্তার পেয়েছেন?
- হ্যাঁ। ক্যাম্পবেল ওখানে আছে।

আমার মনে হয় তোমাকে যে জন্যে দরকার ছিলো সে কাজ শেষ হয়েছে, জর্জ,
জানি তোমাকে ট্রেন ধরতে হবে।

আমার জন্যে নিচে একটা ট্যাক্সি অপেক্ষা করছে।

আমি বোর্ডকে এটা জানাতে চাই যে জর্জ
তাঁর ইউরোপযাত্রা বাতিল করেছে...

গত কয়েক মাসের জন্য এখানের
কাজ দেখভাল করার জন্য।

আপনার স্কুলযাত্রা শুভ হোক, জর্জ।

- ধন্যবাদ.
- শুভকামনা থাকলো!

এখন আমরা সভার আসল বিষয়
নিয়ে আলোচনায় আসি...

আমাদের প্রিয় বন্ধু পিটার বেইলীর
একজন উত্তরাধিকারী নিযুক্ত করতে হবে।

চেয়ারম্যান সাহেব, আমি আমার
শেয়ার নিয়ে নিতে চাই।

- এক মিনিট অপেক্ষা করুন।
- কি জন্য?

আমি দাবি করছি যে এই শহরের জন্য
এই প্রতিষ্ঠানের আর কোন প্রয়োজন নেই।

অতএব, চেয়ারম্যান সাহেব, আমি এই প্রতিষ্ঠান
বাতিল করে দেয়ার জন্য পদক্ষেপ নিতে চাই...

এবং এর সম্পদ এবং দায় গ্রাহকদের
মধ্যে বন্টন করে দিতে চাই।

পটার, তুই হচ্ছিস একটা উজবুক, মাথামোটা...

আমি ওর ঘাড় মটকাতে চাই,
আমাকে সাহায্য কর, জর্জ,

- আপনারা শুনেছেন এই শকুন...
- চেয়ারম্যান সাহেব

এটা খুব শীঘ্রই হয়ে গেলোনা... পিটার বেইলীর মৃত্যুর
পর এই বিল্ডিং এন্ড লোন নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া...

পিটার বেইলী মারা গেছেন তিন মাস আগে।

আমি মিঃ পটারকে সমর্থন করি।

খুব ভাল। এক্ষেত্রে, আমি অনুরোধ করবো
দুই নির্বাহী কর্মকর্তা যাতে পদত্যাগ করেন।

কিন্তু আপনি যাওয়ার আগে,

আমি নিশ্চিত সম্পূর্ণ বোর্ড গভীরভাবে দু:খ প্রকাশ করছে...

- পিটার বেইলীর মৃত্যুতে।
- অসংখ্য ধন্যবাদ।

তাঁর বিশ্বাস ও সততার জন্যই এই প্রতিষ্ঠানের
এতো অগ্রগতি হয়েছে।

আমি আরো কিছু যোগ করতে চাই,

আমি বলবো যে মানুষের কাছে...
পিটার বেইলীই ছিল বিল্ডিং এন্ড লোন।

শুনে ভালো লাগলো,পটার,
যে আপনি এই কথা বলছেন।

আপনার কারণেই সে মৃত্যুবরণ করেছেন।

পিটার বেইলী ব্যবসায়ী ছিলেননা।

এটাই তাকে হত্যা করেছে। আমি তাঁকে কোন
অসম্মান করতে চাইনা, ঈশ্বর তাঁর আত্মাকে শান্তি দিন।

শুনেছি তিনি একজন উচ্চ আদর্শবান মানুষ ছিলেন।

কিন্তু কূট বুদ্ধি ছাড়া, আদর্শ
এই শহরকে ধ্বংস করে দিতে পারে।

এখন, আপনারা দেখুন এই আর্নি বিশপের
ঋণ নিয়ে কি হয়েছে...

আপনারা জানেন ওই গর্দভটা সারাদিন ট্যাক্সি
নিয়ে এক জায়গায় বসে ঝিম পারে।

আমি শুনেছি ব্যাংক ওকে কোনো ঋণ দিতে রাজি হয়নি,
কিন্তু সে এখানে আসে....

আর আমরা তাকে একটি বাড়ি বানিয়ে দিচ্ছি
যার মূল্য পাঁচ হাজার ডলার!

- কেন?
- মানে, ওই কাজটি আমিই করেছি, মিঃ পটার।

ওর সব কাগজপত্র এখানেই আছে।

তার বেতন, বীমা। আমি ব্যক্তিগতভাবে
তার চারিত্রিক সত্যায়নপত্র দিতে পারি।

- তোমার বন্ধু?
- হ্যাঁ, স্যার।

দেখুন আপনারা, আপনি যদি এখানাকার কিছু
কর্মচারীর সাথে পুল খেলতে পারেন তাহলে...

আপনি এখানে এসে ঋণ নিতে পারবেন।

এতে করে আমরা কি পাবো?

একটি মিতব্যয়ী শ্রমিকশ্রেণীর
পরিবর্তে একটা অকর্মা, অলস শ্রেণীর শ্রমিক পাবো আমরা।

আর এসবের মূলে আছে উল্টাপাল্টা চিন্তা করা
পিটার বেইলীর মত স্বপ্নদ্রষ্টারা...

সবাইকে জড়ো করে এখানে আর তাদের মাথায় ঢুকিয়ে দেয়
সব উল্টাপাল্টা চিন্তাভাবনা ।

- এখন, আমি বলবো যে...
- এক মিনিট। আমি...

এক মিনিট।
দেখুন মিঃ পটার,

আপনি বলেছেন আমার বাবা ব্যবসায়ী ছিলেননা,
আপনি ঠিক বলেছেন, আমি জানি এটা।

কেন তিনি এই সস্তা বিল্ডিং এন্ড লোন
শুরু করেছিলেন, আমি জানিনা সেটা।

কিন্তু আপনারা কেউ তাঁর চরিত্র
নিয়ে খারাপ কিছু বলতে পারেননা।

কারণ তার সারাজীবন ছিল...

কেননা, পঁচিশ বছর ধরে তিনি এবং
আঙ্কেল বিলি একই জিনিস শুরু করছিলেন।

তিনি কখনো একবারও নিজের চিন্তা করেননি।
তাই না, আঙ্কেল বিলি?

তাঁর কাছে যথেষ্ট টাকা জমা না থাকায়
হ্যারিকে স্কুলে পাঠাতে পারেননি, আমাকে পাঠিয়েছেন শুধু।

কিন্তু তিনি কিছু মানুষকে সাহায্য করেছেন
আপনার বস্তি ছাড়ার জন্যে, মিঃ পটার।

এতে কি তার কোন দোষ আছে?

কেন...এখানে,
আপনারা সবাই তো এখানে ব্যবসায়ী।

এটা কি তাদেরকে ভাল নাগরিক বানাতে সাহায্য করেনা?
এটা কি তাদেরকে ভাল ক্রেতা বানাতে সাহায্য করেনা?

এইযে আপনি - আপনি কি বললেন যেন...
কি যেনো বললেন আপনি এক মিনিট আগে...

তাদেরকে ভালো থাকার স্থানের কথা চিন্তা করার আগে
অর্থ সঞ্চয় করার কথা চিন্তা করতে হবে এবং অপেক্ষা করতে হবে।

অপেক্ষা! কিসের জন্য অপেক্ষা?

তাদের ছেলেমেয়ে বড় হওয়া এবং
তাদেরকে ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্যে?

যতদিন না পর্যন্ত তারা বুড়ো
আর নিঃস্ব না হয়ে যায়...

আপনি জানেন একজন পরিশ্রমী মানুষের
পাঁচ হাজার ডলার জমাতে কতদিন সময় লাগে?

শুধু এটা জেনে রাখুন, মিঃ পটার,
আপনি যে নিষ্কর্মাদের কথা মাত্র বললেন...

তারাই সমাজের সবচেয়ে বেশি কাজ করে,
টাকা দেয়, একসাথে সবাই জীবনযাপন করে আর একসাথেই মরে।

ঠিক আছে, এটা খুব বেশী হয়ে যায় না...তাদের
এই কাজ করা, খরচ করা, বাঁচা-মরা...

কয়েকটা ভালো ঘর এবং একটি গোসলখানার জন্য?

যাইহোক, আমার বাবা এরকম ভাবেননি।

মানুষকে সবসময় তিনি মানুষই মনে করতেন,

কিন্তু আপনার কাছে...তারা ভঙ্গুর, হতাশ...
আর গবাদি পশু ছাড়া কিছুই নয়।

আমার মতে... তিনি অনেক ধনী মানুষ হিসেবে মারা
গেছেন, যা আপনি কখনো হতে পারবেন না।

আমি তোমার কথা শুনতে আগ্রহী নই।
আমি বিল্ডিং এন্ড লোনের কথা বলছি।

আমি খুব ভাল করেই জানি আপনি কি নিয়ে কথা বলছেন।

আপনি এমন কিছু নিয়ে কথা বলছেন যেটা আপনি ঠিকমত পাচ্ছেন না,
আর সেটাই আপনাকে কুরে কুরে খাচ্ছে।

আমি জানি, আপনি এটা নিয়েই কথা বলছেন।

ঠিক আছে, আমি মনে হয় খুব বেশি বলে ফেলেছি।

আসলে...আপনারা, আপনারা এখানকার বোর্ড।
আপনারা এটা নিয়ে যা করতে চান, করুন।

যদিও এখানে আর একটা ব্যাপার আছে।

এই শহরে ছোট একটি ঘোড়া চালিত প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন...

পটারের কাছে ভিক্ষা চাইতে যাওয়ার পরিবর্তে
যাতে মানুষ জায়গা পাওয়ার জন্যে এখানে আসতে পারে।

চলো, আঙ্কেল বিলি।

আবেগি কথাবার্তা।
আমি আমার মত জানাতে চাই।

সাব্বাশ বেটা, ওরে এই কথাগুলো শুনিয়ে
ভালো করেছ।

তুমি ওর বড় মুখ বন্ধ করে দিয়েছো।
ইশশ তোমরা যদি শুনতে।

কি হয়েছে?
আমরা অনেক চেঁচামেচি শুনলাম।

ভালোই, পঁচিশ বছর ব্যবসা করার পর
আজ আমাদের ভোট করে বাতিল করে দিচ্ছে।

ইচ্ছা হলে আসো, ইচ্ছা হলে ভাগো।

এটা দেখো।
"সাহায্য চাই- মহিলা।"

তুমি চাও আমি এখানে দাঁড়িয়ে থাকি, জর্জ?

আমি নিচে আসছি।

আরে, তুমি তোমার ট্রেন মিস্ করবে তো।

ইতিমধ্যে তুমি স্কুলে এক সপ্তাহ দেরী করে ফেলেছো।
জলদি যাও।

- কি হচ্ছে ভিতরে?
- আরে, বাদ দাও। এসব নিয়ে চিন্তা করোনা।

তারা আমাদের ব্যবসা থেকে ঊঠিয়ে দিচ্ছে।
কি হয়েছে তাতে?

আমি অন্য কাজ খুঁজে নিবো।
বয়স তো মাত্র পঞ্চান্ন।

- ছাপ্পান্ন।
- যাও, যাও।

হেই, দেখো, এমনিতেই তোমার জাহাজ মিস করেছো, এখন
কলেজও তো মিস্ করতে চাওনা, তাই না?

জর্জ!
জর্জ!

তারা পটারকে সমর্থন করেনি।
তাঁরা এটা চালু রাখতে চায়।

- হুররে!
- তুমি পেরেছো, জর্জ, তুমি পেরেছো।

তবে তাদের একটি শর্ত আছে,
মাত্র একটি শর্ত।

- কি সেটা?
- এটাই সবচেয়ে ভালো দিক।

তাঁরা জর্জকে এখানে কার্যনির্বাহী সেক্রেটারি হিসাবে নিযুক্ত করেছে,
তার পিতার জায়গাতে।

ওহ, না, না! কিন্তু, আঙ্কেল বিলি তো আছেন...

তুমি তাঁকে রেখে দাও।
তাহলেই ঠিক আছে৷

সেক্রেটারি হিসেবে তুমি যে কাউকে নিয়োগ করতে পারো।

ডঃ ক্যাম্পবেল...একটা কথা সরাসরি
বলে দিই।

আমি চলে যাচ্ছি।
আমি এক্ষুনি চলে যাচ্ছি।

আমি স্কুলে চলে যাচ্ছি।
এটাই আমার শেষ সুযোগ।

আঙ্কেল বিলি আছেন এখানে,
তিনিই এখন আপনাদের লোক।

কিন্তু, জর্জ, তাহলে তাঁরা পটারকে ভোট দেবে।

বুঝতে পারছি, বুঝতে পারছি, ও যায়নি।

ঠিক।

শুধু তাই নয়, সে তার স্কুলের টাকা দিয়ে
তার ছোট ভাই হ্যারিকে কলেজে পাঠিয়েছে।

হ্যারি একজন ফুটবল তারকা হয়ে গেলো।

অল-অ্যাম্যারিকান ফুটবলে ২য় বিভাগে চান্স পেয়েছিলো।

বুঝলাম, কিন্তু জর্জের কি হয়েছে?

জর্জের বয়স আর চার বছর বাড়লো,
এখন সে হ্যারি ফিরে আসার জন্য অপেক্ষা করছে...

সে এলেই বিল্ডিং এন্ড লোনের দায়িত্ব তার উপর ছেড়ে দিবে।

যারা ভ্রমণ করতে ভালোবাসে তাদের
জন্য ওখানে অনেক কাজ আছে।

এই দেখো, এইযে...

ভেনেজুয়েলা তেল ক্ষেত্রে লোক চাচ্ছে তারা,
নির্মাণ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন লোক।

এই যে ইয়ুকুন, এখানে লোক দরকার...
ইঞ্জিনিয়ারিং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মী চাই তাদের।

ওই দেখো আসছে!

তুমি জানো বিশ্বের সবচেয়ে তিনটি
উত্তেজনাপূর্ণ শব্দগুলো কি?

- হ্যাঁ।
- সকালের নাস্তা দেওয়া হয়েছে, দুপুরের খাবার দেওয়া হয়েছে, রাতের খাবার দেওয়া হয়েছে...

না, না, না, না!

- জাহাজের অ্যাঙ্কর চেইন, মোটরগাড়ির হর্ণ আর ট্রেনের হুইসেল।
- বাদাম খাবে?

এই যে প্রফেসর চলে এসেছে।

- অধ্যাপক অল অ্যাম্যারিকান ফুটবলার বেইলি না!
- আরে, এটা সেই ভূগোলবিদ জর্জ বেইলী না!

কি? কোনো কুকুর নেই? কোনো স্লেজগাড়ী নেই?

আঙ্কেল বিলি, তুমি একটুও বদলাওনি।

- এখানে কেউই বদলায়না, তুমি জানোনা!
- তোমাকে দেখে ভালো লাগছে খুব।

- মা কোথায়?
- বাসায়, চর্বির মাংস রান্না করছে।

- আসো, চলো।
- দাঁড়াও! দাঁড়াও, দাঁড়াও, এক মিনিট।

জর্জ, আঙ্কেল বিলি,
তোমাদের রুথের সাথে পরিচয় করিয়ে দিই।

- হ্যালো।
- কি অবস্থা?

- ওর নাম রুথ ডেকিন।
- রুথ ডেকিন বেইলী, এখন থেকে এটাই আমার নাম।

তাইতো।

আমি তোমাকে টেলিফোনে বলেছিলাম না একটা সারপ্রাইজ দিবো।
এই সেই সারপ্রাইজ। আমার স্ত্রী।

মানে...তুমি কি কাম সেরে ফেলছ... স্ত্রী।

আরে, কি খবর শুনালে...
অভিনন্দন।

আরে আমি কি করছি?
অভিনন্দন!

ওরা বিয়ে করেছে...
তুমি কাউকে বলোনি কেন?

...ওহ, আমি অপেক্ষা করতে পারছিনা
টিলি'র মুখ দেখার জন্যে।

- তোমরা কি সত্যিই বিয়ে করেছো?
- কেন, সত্যিই...

তোমার মত সুন্দরী মেয়ে আমার এই হাবলাকান্ত
ভাইকে বিয়ে করতে গেলে কেনো?

বলছি তোমাকে।
ও এখন সম্পুর্ন বেতনভোগী।

আমার বাবা ওকে একটা চাকরি দিয়েছে।

ওহ, সে তোমাকে সাথে একটা চাকরিও পেয়েছে?
খুব ভালো, হ্যারি'র জয় হোক।

আসলে...জর্জ...ওই চাকরিটা...
রুথ হঠাৎ করে বলে ফেলেছে...

আমি কখনো বলিনি ওই চাকরিটি করবো।

তুমি ৪ বছর ধরে এখানে বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছো, আর...

যাইহোক, আমি তোমাকে হতাশ করবোনা, জর্জ।

আমি চাই...ওহ, এক মিনিট দাঁড়াও।
আমি ব্যাগ নিতে ভুলে গিয়েছিলাম।

আমি এখনই আসছি।

এটা আমার জন্য একটা সারপ্রাইজ ছিলো। এটা
হচ্ছে মিসেস বেইলী, আমার ভাতিজার স্ত্রী।

পরিবারের পুরনো বন্ধুরা।

- ওহ, অবশ্যই, আমি তোমাদের কথা বলতে শুনেছি।
- আমি তোমাকে জানাতে চাই যে...

আমরা এই উপলক্ষে শহরে এতবড় পার্টি দিবো যে
যেটা আগে কখনো হয়নি।

এই নাও, পপকর্ণ খাও।

জর্জ, জর্জ, জর্জ,
হ্যারি সবসময় তোমাকে নিয়েই কথা বলে।

রুথ... আসলে এই...
ও কিসের চাকুরী করে?

ওহ... আসলে আমার বাবা বাফেলো'তে একটা
গ্লাস কারখানার মালিক।

তিনি চান হ্যারি ওখানের গবেষণার কাজটি সামলাক।

- তা... চাকরিটা কি ভালো?
- ওহ, হ্যাঁ, খুব ভালো চাকরি।

- টাকা বেশিনা...কিন্তু ভবিষ্যত ভালো, বুঝতেই পারছো তুমি।
- বুঝতে পারছি।

হ্যারি গবেষণার কাজে দারুন অভিজ্ঞ।

- আমার বাবা ওর প্রেমে পড়ে গেছেন।
- তুমিও পরেছো।

ওরে, ওরে, ওরে,

আমার কি যে খুশি লাগছে।
আমি পটারের চোখে থুতু দিয়ে আসতে ইচ্ছা করছে।

আমি সেটা করবোই।
আমি সেটা করবোই।

কি বললে তুমি? হাহ?

ওহ, মনে হয় আমার এখন বাসায় চলে যাওয়া উচিত।

আমার টুপি কোথায়? আমার টুপি...

ওহ! ওহ, ধন্যবাদ জর্জ,
কোনটা আমার?

- মাঝেরটা।
- ওহ, ধন্যবাদ বুড়ো খোকা।

এখন, তুমি যদি আমাকে সঠিক দিকটা দেখিয়ে দাও...
দেবে...জর্জ ?

- ঠিক ওইখানে।
- ওহ...মাঝের বিল্ডিং দিয়ে যেতে...

এখন তুমি এইদিকে ঘুরো আর সোজা হাঁটতে থাকো।

এই দিকে, তাই তো?

♪ আমার বাগানের ফুটন্ত আইরিশ গোলাপ... ♪

আমি ঠিক আছি, আমি ঠিক আছি।

♪ যে মিষ্টি ফুলের মত গন্ধ ছড়াচ্ছে... ♪

হ্যালো, মা।

এটা এমনিতেই।

- কেমন লাগলো ওকে?
- ওহ, ভালোই।

মনে হচ্ছে ও হ্যারিকে আগলে রাখতে পারবে।

ওকে বেডফোর্ড ফলস থেকে দূরে রাখবে।

তুমি জানো ম্যারি হ্যাচ স্কুল থেকে ফিরে এসেছে?

- উহ-হাহ।
- তিন দিন আগে এসেছে।

হুমমম...

- ম্যারি অনেক ভালো মেয়ে।
- হুমমম।

ও তোমাকে সব ব্যাপারে সাহায্য করতে পারবে, জর্জ।

- হুমমম...
- ওহ, এই হুম হুম বন্ধ করো তো।

হুমমম।

আমাকে একটি ভাল কারণ দেখাতে পারবে
যার জন্যে তুমি ম্যারিকে ফোন করোনা?

- অবশ্যই - স্যাম ওয়েনরাইট।
- তাই?

- হ্যাঁ, স্যাম ম্যারির জন্যে পাগল।
- তো কি হইছে...ম্যারিতো ওর জন্যে পাগল না।

ভালো কথা, তুমি কিভাবে জানো সেটা?

- মানে, সে কি তোমার সাথে আলোচনা করেছে এ নিয়ে?
- না।

- তাহলে, তুমি কিভাবে জানো?
- আমারতো চোখ আছে, তাইনা?

তুমি আশেপাশে থাকলে ও
কেমন জোনাকির মত জ্বলে।

ওহ...

আর, স্যাম ওয়েনরাইট থাকে দূর নিউইয়র্কে
আর তুমি থাকো বেডফোর্ড ফলস-এ।

আর ভালবাসা এবং যুদ্ধে সবই ন্যায্য।

ভালো, আমি অবশ্য যুদ্ধের ব্যাপারে জানিনা।

মায়ের মন, আমি অবশ্য দেখতে পাচ্ছি...

- তুমি আমাকে দূরে ঠেলে দিতে চাচ্ছো, না?
- উহ-আহ।

ভালো, এই যে তোমার হ্যাট,
তুমি যেটা খুঁজছো।

ঠিক আছে , মা,
ওহ...মাঝের বিল্ডিং দিয়ে যেয়ে...

ভাবছি বাইরে গিয়ে ওই মেয়েটাকে খুঁজে
বের করে আবেগপ্রবণ হয়ে একটা কোলাকুলি করবো।

ওহ, জর্জ...

এখন, তুমি যদি আমাকে সঠিক দিকটা দেখিয়ে দাও...

এই দিকে?

শুভরাত্রি, মিসেস বেইলী।

- মাফ করবেন...
- একটু দাঁড়ান...

আমার মনে হয়....আমার একটা ডেট আছে এখন।

কিন্তু, আশেপাশেই থাকো তোমরা,
যদি প্রয়োজন হয়... ঠিক আছে?

আমরা তোমার জন্য অপেক্ষা করছি, বেবি।

- হ্যালো, জর্জি-পর্জি!
- কি?

- হেই... কি অবস্থা তোমার?
- এইতো।

- কোথায় যাচ্ছো?
- ওহ, আমি... সম্ভবত লাইব্রেরিতে পর্যন্ত গিয়ে থামবো।

জর্জি...বিভিন্ন জিনিস নিয়ে পড়াশোনা
করতে করতে কি তোমার কখনোই ক্লান্তি আসে না?

- আসে। আজ রাতে তুমি কি করছো?
- কিছুই না।

চলো আজ রাতটা বেশ মজা করি।
তুমি রাজি, ভায়োলেট?

ওহ, আমি রাজি। জর্জি।
কি করবো আমরা?

চলো মাঠে যাই, জুতা খুলে খালি
পায়ে ঘাসের মধ্যে দিয়ে হাঁটি।

কি!?

তারপর ঝর্ণার ওপরে যাবো।
ওখান থেকে চাঁদের আলো খুব সুন্দর লাগে দেখতে।

ওখানে একটা সবুজ পুলও আছে।

আর আমরা আহ...ওখানে সাঁতার কাটতে পারি।

তারপর আমরা বেডফোর্ড পাহাড়ে উঠবো,

পাইনের গন্ধ শুঁকবো আর চূড়ায় উঠে সূর্যোদয় দেখবো।

আর আমরা সেখানে সারা রাত কাটাবো,

আর এটা নিয়ে সবাই বলাবলি করবে...
সাথে একটি ভয়ঙ্কর গুজবও রটবে তোমাকে আমাকে নিয়ে...

জর্জি, তোমার কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে!?

আমি খালি পায়ে ঘাসের মধ্যে হাঁটবো!?

- এখান থেকে বেডফোর্ড পাহাড় দশ মাইল দূরে।
- শশশশ...

- যে কারণে তুমি...
- ঠিক আছে, কথাগুলো ভুলে যাও।

তুমি কি করছো, পিকেটিং করছো নাকি?

হ্যালো, ম্যারি।

আমি এদিক দিয়েই যাচ্ছিলাম।

হ্যাঁ, দেখলাম আমি।

- তুমি কি করবে ঠিক করতে পারলে?
- কি?

তুমি কি করবে তা ঠিক করতে পারলে?

- কি ব্যাপারে?
- ভিতরে আসার ব্যাপারে।

তোমার মা এইমাত্র আমাকে ফোন করে বললেন
তুমি আমার এখানে আসছো।

আমার মা তোমাকে ফোন করেছে?
উনি কিভাবে জানেন?

- তুমি কি তাঁকে কিছু বলোনি?
- আমি কাউকেই কিছু বলিনি।

আমি শুধু হাঁটার জন্য বেরিয়েছিলাম আর
কিভাবে যেনো এদিকটা দিয়েই যাচ্ছিলাম, বুদ্ধু একটা আমি।

তুমি কি...
হাঁটার জন্য বেরিয়েছিলাম। ঠিক আছে।

- আমি নিচে আছি, মা।
- ঠিক আছে।

ঠিক আছে, এবার বলো তুমি কি ভিতরে আসবে নাকি না?

ঠিক আছে...আমি এক মিনিটের জন্য আসতে পারি।
কিন্তু আমি...

আসলে, আমি কাউকেই বলিনি যে এখানে আসবো।

- তুমি কবে এলে?
- মঙ্গলবারে।

এই জামাটা কোথায় পেলে তুমি?

- তোমার পছন্দ হয়েছে?
- ভালোই লাগছে।

আমি ভেবেছিলাম তুমি নিউইয়র্কে থেকে যাবে।
স্যাম, এঞ্জিদের মতো।

আমি সেখানে ছুটিতে কিছু কাজ করেছি, কিন্তু ...

আমি ঠিক জানিনা...
আমি-আমি মনে হয় বাড়ির জন্য পাগল।

বাড়ির জন্য পাগল!? বেডফোর্ড ফলসের জন্যে!?

হ্যাঁ, এখানেই তো আমার পরিবার, আর...
সবকিছু।

বসবেনা তুমি?

ঠিক আছে, এক মিনিটের জন্যে।

আমি - এখনও আমি বুঝতে পারছিনা।
তুমি জানো আমি এখানে আসবো এটা কাউকেই বলিনি।

তুমি কি তাহলে চলে যাবে?

না, আমি এতটা অভদ্র না।

ঠিক আছে, তাহলে বসো।

এটা কি?

মজার জিনিস, তাই না?

আমি এখনো এখানে পাইন পাতার গন্ধ পাচ্ছি।

ধন্যবাদ৷

♪আর নাচবো...

কি হলো?

ওহ, হ্যাঁ, হ্যাঁ...

ঠিক আছে, আমি...

তোমার ভাই আর রুথের ব্যাপারটা
দারুন হলো, তাইনা?

ওহ...হ্যাঁ, হ্যাঁ। ঠিক আছে৷

ওকে তোমার পছন্দ হয়নি?

অবশ্যই ভাল লেগেছে।
সে খুবই আকর্ষণীয় মেয়ে।

এটা সাধারণ একটা বিয়ে, তুমি তো এসব জিনিষ
নিয়ে খুব একটা আগ্রহ পাওনা, তাই না?

না। বিয়ে জিনিসটা তোমাদের জন্য খুব ভালো,
হ্যারি এবং মার্টি, স্যাম এবং তুমি।

ম্যারি! ম্যারি!

নিচে তোমার সাথে কে কথা বলছে?

এটা জর্জ বেইলী, মা।

জর্জ বেইলী!? কি চায় ও?

আমি জানি না।

কি চাও তুমি?

আমি?

না, কিছুনা।
আমি এখানে একটু গা গরম করতে এসেছি।

ও আমার সাথে প্রেম করছে, মা।

তুমি তাঁকে এক্ষুনি বাড়ি ফিরে যেতে বলো,
আর তুমিও ঘর থেকে বের হবেনা।

স্যাম ওয়েনরাইট নিউ ইয়র্ক থেকে আজরাতে
তোমাকে ফোন করবে।

কিন্তু তোমার মায়ের...

তুমি জানো আমি এখানে আসিনি...

তাহলে কি জন্যে এখানে এলে?

আমি জানি না, তুমিই বলো।

তুমিই তো এমন ভাব করছো যেন তুমি সবকিছু জানো।

- তুমি আমাকে বলো সেটা।
- তাহলে তুমি বাড়ি ফিরে যাচ্ছোনা কেন?

আমি এখনই চলে যাচ্ছি। আমি জানি না
কোন দুঃখে প্রথম এই বাড়িতে এলাম।

- শুভরাত্রি৷
- শুভরাত্রি!

ম্যারি! ম্যারি!

- ফোন এসেছে। এটা স্যাম!
- আমি ধরছি।

তুমি কি এমন কাজ করছো যে ফোনের আওয়াজ
শুনতে পাচ্ছোনা?

ম্যারি, ও তোমার অপেক্ষা করছে!

হ্যালো।

আমি আমার টুপি ফেলে গিয়েছি।

হেই, হ্যালো স্যাম, কেমন আছ তুমি?

ও...আমি বেশ ভালো আছি, আবার তোমার কণ্ঠ শুনতে
পেরে ভালো লাগছে।

ওহ, ভালো, তুমি খুব ভালো, স্যাম।

এখানে তোমার এক পুরোনো বন্ধু আছে।
জর্জ বেইলী।

তুমি বুড়ো জর্জের কথা বলছো?

হ্যাঁ, সেই বুড়ো জর্জ।

দাও তো ওকে।

এক মিনিট অপেক্ষা করো।
আমি জর্জকে ডেকে দিচ্ছি। জর্জ!

ও জর্জের সাথে কথা বলতে চায়না।
পাগল নাকি তুমি!

সে কথা বলতে চায়, আমাকে বললো মাত্র।

জর্জ!
জর্জ, স্যাম তোমার সাথে কথা বলতে চায়।

- হাই, স্যাম।
- আরে, জর্জ পাগলা নাকি!

হেই, তুমি আসলেই খুব ভালো বন্ধু।

তুমি ওখানে কি করছো?
আমার প্রেমিকাকে চুরি করতে চাচ্ছো নাকি?

মা...মানে কি? কেউ ই তোমার প্রেমিকাকে
চুরি করতে চাচ্ছেনা।

এইযে... এইযে ম্যারি।

না, না, এক মিনিট, এক মিনিট,
আমি তোমাদের দুজনের সাথেই কথা বলতে চাচ্ছি।

- এই নাও কথা বলো।
- ম্যারিকে বলো অন্য লাইনে ধরতে।

- তুমি ওকে বলো।
- মা অন্য লাইনে আছে...

আমি কিছু শুনছিনা!

আমরা খুব ভালভাবেই শুনতে পাচ্ছি, বলে যাও।

আমরা তোমার কথা শুনতে পাচ্ছি, স্যাম।

দেখো, আমার কাছে একটা ভালো প্রস্তাব আছে যেটা
আমাদের সবাইকে ধনী হতে সাহায্য করবে।

জর্জ, তোমার মনে আছে মার্টিনের বারে

তুমি বলেছিলে যে তুমি পত্রিকাতে পরেছ কোথায়
যেন সয়াবিন থেকে প্লাস্টিক তৈরি করা হচ্ছে?

জেলি বিনস থেকে?

চুপ করবে তুমি?

না, আসলে বলতে চাচ্ছিলাম জেলি থেকে —
... সয়াবিন তৈরি হচ্ছে?

হাহ? হ্যাঁ, হ্যাঁ ...
সয়াবিন, হ্যাঁ।

শোনো,
বাবার আইডিয়াটা পছন্দ হয়েছে।

বাবা রোচেস্টারের বাইরে একটি ফ্যাক্টরি তৈরি
করতে চায়।

তুমি কি বলো?

রোচেস্টার? ভালো, রোচেস্টারে কেন তৈরি করবে?

কেন নয়?
এরচেয়ে ভালো কোন জায়গার কথা তোমার জানা আছে?

আমি জানিনা ...
আমি শুধু ...

এখানে কেন তৈরি করছেনা?

তোমার মনে আছে ...
সেই পুরাতন যন্ত্রপাতির কাজের কথা?

হ্যাঁ, তোমার বাবাকে বলো সে এগুলো এখান
থেকে পেতে পারে

যত শ্রমিক লাগে তাও পেতে পারে।

এখানে কাজ বন্ধ হবার পর থেকে
শহরের প্রায় অর্ধেক মানুষের কাজ চলে গিয়েছে

তাই না? ঠিক আছে, আমি বলবো তাহলে।

হেই, শুনে ভালোই মনে হচ্ছে।

ওহ, আমি জানতাম তুমি আসবে।

এখন আসল কথা হলো,

ম্যারি... ম্যারি, তুমিও শুনছো তো!
এখন শোনো, তোমার কাছে কি কোন টাকা আছে?

- টাকা? হ্যাঁ, অল্পকিছু আছে।
- ভালো, এখন শোনো,

আমি চাই তোমার কাছে যত টাকা আছে
সব আমাদের শেয়ারে ঢালো।

আর জর্জ, তোমার জন্য আমার কাছে একটি ভালো কাজ আছে,

যদিনা তুমি এখনো ওই বিল্ডিং এন্ড লোন
নিয়ে পরে না থাকো।

শুনো, রেডিওর পরে এটাই সবচেয়ে বড় আবিষ্কার।
আর আমি তোমাকে এটার মুল জায়গায় দায়িত্ব দিতে চাই।

ওহ, ম্যারি... ম্যারি...

হ্যাঁ, আমি--আছি।

তুমি কি ওকে বলবে যে আমি ওকে
জীবনের সবচেয়ে বড় সুযোগ দিচ্ছি?

জীবনের সবচেয়ে বড় সুযোগ।

ও বললো এটা তোমার
জীবনের সবচেয়ে বড় সুযোগ।

তুমি এখন আমার কথা শুনো,

আমি কোন প্লাস্টিক চাইনা।
আমি ওর বড় দায়িত্ব নিতেও চাইনা।

আর আমি কাউকে বিয়েও করতে চাইনা,
বুঝতে পারছো তুমি?

আমি সেটাই করবো যেটা আমি করতে চাই।

আর তুমি...আর তুমি...

- ওহ, ম্যারি...ম্যারি...
- জর্জ...জর্জ...জর্জ...

ম্যারি... তুমি কি? তুমি...

এইতো ওরা আসছে! এইতো ওরা আসছে!

বিদায়

প্রথমে হ্যারি গেল, এখন জর্জ।

এনি, শুধু আমরা বুড়োরাই থেকে গেলাম।

আপনি আপনার কথা বলুন মিসেস বি।

যদি আপনারা এখানে কোন অপরিচিত লোককে দেখতে
পান, সেটা হলাম আমি।

হেই, দেখো!
কে যেন আমাদের গাড়ি চালাচ্ছে।

পুলিশ বার্ট এটা পাঠিয়েছে।

সে বলেছে তোমরা সুখের সাগরে ভেসে যাও।

- ওহ, দেখো এটা, বুড়ো বার্ট এটা পাঠিয়েছে। শ্যাম্পেইন!
- বুড়ো বার্ট আসলেই ভালো।

এখন বলো, হানিমুনে তোমরা কোথায় যাচ্ছো?

আমরা কোথায় যাবো?

দেখো এটা।
কত টাকা, আর্নি!

গুনে দেখো তো, ম্যারি।

মনে হচ্ছে আমি কোন ধনীর স্ত্রী।
দেখো!

তুমি জানো আমরা কি করবো?
কাজকাম সব ছেড়ে দিবো।

নিউ ইয়র্কে এক সপ্তাহ থাকবো,
বারমুডায় এক সপ্তাহ কাটাবো।

সবচেয়ে বড় হোটেলে উঠবো,
সবচেয়ে পুরাতন শ্যাম্পেইন অর্ডার করবো,

সবচেয়ে দামী ক্যাভিয়ার খাবো, সুন্দর মিউজিক শুনবো,
সবচেয়ে সুন্দরী বউ এর সাথে!

ওয়াও!
তাই নাকি! তারপর কি করবে?

- তারপর কি করবো, হানি?
- তারপর, কে পরোয়া করে?

এই তো,
এসো, এসো, এসো!

এখন না তাকালেও পারো, মনে হচ্ছে ব্যাংকের সামনে কিছু
মজার ঘটনা ঘটছে, জর্জ।

আমি এরকম কাহিনী জীবনেও দেখিনি, কিন্তু ঘটনা
দেখেই বোঝা যাচ্ছে ব্যাংকের সময় ফুরিয়ে আসছে।

হেই, আর্নি, ব্যাংকের কাছে যদি টাকা পেয়ে থাকো
শীঘ্রই আসো।

- জর্জ, এখানে নেমো না, চলো যাই।
- আমি এখুনি আসছি সোনা।

- ওহ,
- প্লিজ, যেওনা জর্জ।

আমি এক মিনিটের মাঝেই আসছি ম্যারি।

হ্যালো, কি অবস্থা সবার?
মিসেস থম্পসন, কেমন আছেন?

চার্লি?
কি হয়েছে তোমাদের, ভিতরে ঢুকতে পারছনা?

কি হচ্ছে, আঙ্কেল বিলি?
ছুটি চলছে নাকি?

জর্জ...

সবাই ভিতরে আসুন।
সব ঠিক আছে।

ভিতরে চলে আসুন।

দেখুন,
আপনারা বসছেন না কেন?

ওখানে অনেক সোফা পাতা আছে।

নিজের বাড়ির মত ভাবতে পারেন।

জর্জ, এক মিনিট একটু ভিতরে আসবে?

- তুমি আমাকে ফোন করনি কেন?
- আমি করেছিলাম, কিন্তু ওরা বলল তুমি চলে গিয়েছ।

পুরা জগাখিচুড়ি অবস্থা, জর্জ।
পুরাই জগাখিচুড়ি অবস্থা।

এখন বলো, কি হয়েছে?
এটা কীভাবে শুরু হলো?

ঠিক আছে, তুমি জানোনা এগুলো কীভাবে শুরু হয়?
আমি শুধু জানি যে ব্যাংক সব লোন ফেরত চেয়েছে।

- কখন?
- এক ঘণ্টা আগে।

- আমাদের সব টাকাপয়সা ওদের দিয়ে দিতে হয়েছে।
- সব টাকা?

প্রত্যেক পয়সা যা ওদের কাছ
থেকে আমরা নিয়েছিলাম।

হায়রে খোদা!

আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম, জর্জ,
তারপর আমি দরজা বন্ধ করে দিয়েছি। আমি...আমি..

পুরো শহর একেবারে পাগল হয়ে গেছে।

ইয়েস, হ্যালো?

জর্জ, পটার ফোন করেছে।

- হ্যালো?
- জর্জ,

শহরে একটা গুজব শুনলাম তুমি তোমার অফিস নাকি
বন্ধ করে দিয়েছ?

ওহ, ভালো, শুনে খুব খুশি হলাম।
তুমি ঠিক আছো তো, জর্জ?

- তোমার কি পুলিশের কোন প্রয়োজন আছে?
- পুলিশ? পুলিশ কেন?

জানো, মাঝেমাঝে জনগন ক্ষেপে গেলে
কি অবস্থা হয়।

জর্জ, তোমার এই সমস্যার সমাধানের জন্য আমি
যে কোন কিছু করতে প্রস্তুত।

আমি এইমাত্র ব্যাংককে গ্যারান্টি দিলাম যে
ওদের যা টাকার প্রয়োজন সেগুলো তারা পেয়ে যাবে।

তারা এক সপ্তাহের জন্য ব্যাংক বন্ধ করবে,
তারপর আবার খুলে দিবে।

সে ব্যাংকের সাথে কথা বলেছে।

আমার হয়তো এতে কোন লাভ হবেনা, কিন্তু আমি তোমার
লোকদের টাকাপয়সার গ্যারান্টি দিতে চাই।

শুধু ওদেরকে বলো যে ওদের শেয়ার আমার কাছে নিয়ে আসতে,
আমি প্রতি ডলার শেয়ারে পঞ্চাশ সেন্ট করে দিবো।

তুমি কি শয়তানির কোন সুযোগ ছাড়তে চাওনা,
তাইনা পটার?

নাকি এবার আমাকে একটু শান্তিতে থাকতে দিবে।

তুমি যদি ছয়টার আগেই ব্যাংক বন্ধ করে দাও তাহলে
আর কোনদিনও ব্যাংক খুলতে পারবেনা।

জর্জ, তোমার বিয়েটা কি সুন্দর হয়েছিল?
খোদা, আমি সত্যিই ওখানে থাকতে চেয়েছিলাম।

হ্যাঁ...

তুমি এটা এখন খুলে ফেলতে পারো।

আসলে ব্যাপারটি যতটা ঘোলা মনে হচ্ছিল ব্যাপারটি
ততটা ঘোলাটে নয়।

আপনাদের জন্য একটি খবর আছে।

আমি মাত্র পটারের সাথে কথা বললাম, পটার বললো
ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করবে বলে গ্যারান্টি দিয়েছে।

ব্যাংক আবার পুনরায় সামনের সপ্তাহ থেকে খুলবে।

কিন্তু জর্জ, আমি তো আমার টাকা এখানে রেখেছিলাম।

সে কি এই জায়গার কোন গ্যারান্টি দিয়েছে?

না, চার্লি।
আমি এই ব্যাপারে তার সাথে কথা বলিনি।

- আমাদের এখানে পটারকে কোন দরকার নেই।
- আমার টাকা আমার এখুনি লাগবে।

না, কিন্তু... তোমরা এই জায়গাটাকে
নিয়ে ভুল চিন্তাভাবনা করছো।

তোমরা ভেবেছ তোমাদের টাকা নিয়ে
আমি সিন্দুকে ভরে রেখেছি।

আসলে, এখানে কোন টাকা নেই।

ঠিক আছে, তোমার টাকা আছে তোমার জো'র বাসায়...
যেটা তোমার পাশের বাসা।

কেনিডি হাউজে আছে, মিসেস ম্যাকলিনের হাউজে আছে,
এভাবে আরো একশ হাউজে আছে।

তোমরাই তাদেরকে বাড়ি করার জন্য
তাদেরকে ধার দিয়েছ টাকা,

আর তারা এটা তখন ফেরত দিবে যখন
তাদের সম্ভব হবে।

এখন তোমরা কি করতে পারো?
জোর জবরদস্তি করবে?

আমার এখানে দুইশ বিয়াল্লিশ ডলার আছে...

আর এই টাকার জন্য তো কেউ আর
মারা যাচ্ছেনা।

ঠিক আছে, টম।
তুমি এখানে সাইন করো

- তুমি তোমার টাকা ৬০ দিনের মধ্যে পেয়ে যাবে।
- ৬০ দিন?

হ্যাঁ, তুমি এটাই রাজি হয়েছিলে যখন তুমি
এখানে শেয়ার খাটিয়েছিলে।

- টম...টম... তোমার টাকা পেয়েছ?
- না।

আমি পেয়েছি, বুড়ো পটার প্রতিটি এক ডলারের শেয়ারে
পঞ্চাশ সেন্ট করে দিচ্ছে।

- পঞ্চাশ সেন্ট করে দিচ্ছে!
- হ্যাঁ, নগদ!

- এখন বলো, তোমার কি বলার আছে?
- দেখো, টম

তোমরা যে চুক্তি করেছিলে তার উপর তোমাদের বহাল
থাকতে হবে।

- আমাদেরকে ৬০ দিন সময় দাও।
- ঠিক আছে, র্যান্ডল

- আপনি কি পটারের কাছে যাচ্ছেন?
- কিছু না পাওয়ার থেকে কিছু পাওয়া তো ভালো।

টম! টম!

র্যান্ডেল, দাঁড়াও একটু...

শুনো...আমার কথা একটু শুনো।

আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি এমন করবেন না।

পটার এই বিল্ডিং এন্ড লোনকে গ্রাস
করে নিবে।

এরপর থেকে আপনারা এই শহরে আর কোন
সুন্দর বিল্ডিং তৈরি করতে পারবেন না।

সে ইতিমধ্যেই ব্যাংক কব্জা করে ফেলেছে।
বাস লাইনও তার কব্জাতে।

ডিপার্টমেন্টাল স্টোরও তার কব্জাতে।
এখন সে আমাদের পিছু লেগেছে।

কেন? এটা খুবই সহজ ব্যাপার।

কারন আমরা তার ব্যাবসাতে নাক গলিয়েছিলাম।

আর সে চায় তোমরা তার চাকর হয়ে থাকো...

আর সে যেমন ইচ্ছা ভাড়া বরাদ্দ করবে তোমাদের তাই দিতে হবে।

জো, তুমি তো পটারের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতে,
তোমার কি মনে আছে?

তোমার কি মনে নেই সে কেমন ভাড়া আদায় করতো?

এইযে, এড, তোমার তো গতবছরের কথা মনে আছে,
যখন তোমার দিনকাল ভালো যাচ্ছিল না।

তুমি তোমার টাকা পরিশোধ করতে পারোনি।

এরজন্য তুমি কি তোমার বাড়ি হারিয়েছ?
তুমি কি মনে করো পটার তোমাকে এই সুযোগ দিত?

তোমরা কি বুঝতে পারছনা কি ঘটছে?

তোমরা কি দেখতে পাচ্ছনা সে কি চাচ্ছে?

পটার কিছু বিক্রি করছে না।
সে কিনছে।

কেন? কারন আমরা সবাই ঘাবড়ে আছি আর
সে ঘাবড়ে নেই।

সে এরজন্যই চালাকি করছে।

এখন, আমরা এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবো।

আমাদের একত্রে থাকতে হবে, আমাদের একে
অপরকে বিশ্বাস করতে হবে।

কিন্তু আমার স্বামী গত একবছর যাবত কোন কাজ
করছেনা তাই আমার এখন টাকার দরকার।

- ব্যাংক যতক্ষণ পর্যন্ত খুলছেনা ততদিন আমরা চলবো কীভাবে?
- আমার ডক্টরের বিল দিতে হবে।

- আমার টাকার দরকার।
- শুধু বিশ্বাসের উপর ভরসা করে তো আমাদের ছেলেপেলের খাওয়াতে পারবনা।

তোমাদের কত টাকা দরকার?

হেই! আমার কাছে দুইহাজার ডলার আছে।

এখানে দুইহাজার ডলার আছে, তোমরা এটা
ভাগ করে নিতে পারো ব্যাংক খোলার আগ পর্যন্ত।

ঠিক আছে, টম,
তোমার কত টাকার দরকার?

আমার দুইশ বিয়াল্লিশ ডলার লাগবে।

আরে টম, ব্যাংক খোলার আগ পর্যন্ত যা লাগে
তাই নাও এখন।

আমার পুরো দুইশ বিয়াল্লিয়াশ ডলারই লাগবে।

- এই নাও।
- তারমানে আমার একাউন্ট বন্ধ হয়ে গেল?

তোমার একাউন্ট এখনো আছে,
এটা শুধু ধার হিসাবে নাও।

ঠিক আছে, এড, আপনি বলুন এবার।

- এখানে আমার ৩০০ ডলার আছে, জর্জ।
- ঠিক আছে, এড..

ব্যাংক খোলার আগ পর্যন্ত আপনার
কত প্রয়োজন?

- আসলে, আমার মনে হয় বিশ ডলার হলেই চলবে।
- বিশ ডলার, এইতো সুন্দর!

সুন্দর। ধন্যবাদ এড।

ঠিক আছে মিসেস থম্পসন,
আপনার কত প্রয়োজন?

- কিন্তু এটা তো আপনার নিজস্ব টাকা, জর্জ।
- এটা নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই।

- আপনার কত প্রয়োজন?
- আমারও বিশ ডলার হলেই চলবে।

- বিশ ডলার।
- আমি একটি পেপারে সাইন করে দিতে চাই।

এর কোন প্রয়োজন নেই।

আমি আপনাকে চিনি—আপনি যখন পারবেন তখন পরিশোধ করবেন।

ঠিক আছে, মিসেস ডেভিস বলুন কত প্রয়োজন?

- আমি কি সাড়ে সতের ডলার পেতে পারি?
- সাত...

আপনার উপর ঈশ্বরের আশির্বাদ পরুক, অবশ্যই আপনি এটা পাবেন,
আপনার কাছে পঞ্চাশ সেন্ট ভাংতি হবে?

- সাত...
- আমরা এটা করতে পেরেছি, জর্জ।

- তারা আজ আমাদের ব্যাংক বন্ধ করতে পারবেনা!
- ছয়, পাঁচ, চার,

তিন, দুই, এক...

হুররে!

আমরা এটা করতে পেরেছি, দরজা বন্ধ করো আর্নি।
আমরা এটা করতে পেরেছি।

দেখো, আমরা এখনো ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছি।
আমাদের কাছে এখনো দুই ডলার অবশিষ্ট আছে।

ঠিক আছে, চলুন উপভোগ করা যাক!

কিছু গ্লাস নিয়ে এসো, টিলি।

আমরা হলাম ব্যাবসায়ের জাদুকর।

আসলেই অস্থির।

এই দুজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তির জন্য
একটা ট্রে নিয়ে আসুন।

ওগুলো পরে দেখা যাবে।
টোস্ট হয়ে যাক।

টোস্ট! মামা ডলার আর পাপা ডলারের জন্য!

তোমরা যদি এই বিল্ডিং এন্ড লোনকে টিকিয়ে রাখতে
চাও,

- তোমরা তাড়াতাড়ি বাচ্চা পয়দা করো।
- ইশ! ওগুলো যদি খরগোশ হতো!

আমারও সেটাই মনে হয়।

ঠিক আছে, চলুন ওদেরকে নিরাপদ কোথাও রেখে দেখি
বাচ্চাকাচ্চা হয় কিনা!

- দেখো, দেখো, বিয়ের সিগারেট!
- অহ-হো বিয়ে!

হায়রে খোদা, আমি তো বিবাহিত!
ম্যারি কোথায়? ম্যারি...

আহারে বেচারি ম্যারি।

আমাকে ট্রেন ধরতে হবে,
কিন্তু ট্রেন তো চলে গেছে।

আর্নি কি এখনো ট্যাক্সি নিয়ে অপেক্ষা করছে?

জর্জ, তোমার ফোন এসেছে।

তুমি কি আমার স্ত্রীকে ফোনে ধরতে পারবে?
সে নিশ্চয় তার মায়ের কাছে আছে।

- মিসেস বেইলি ফোন করেছে।
- আমার মিসেস বেইলিকে চাইনা।

আমি আমার বউ মিসেস বেইলিকে চাই,
ওহ...ওই তো আমার বউ!

আমি কথা বলছি।

ম্যারি! হ্যালো, শুনো প্রিয়া।
আমি দুঃখিত...

কি? বাড়িতে ফিরে আসবো? কোন বাড়িতে?

থ্রি-টুয়েন্টি সিকেমোর?
ঠিক আছে, আসলে...

ওটা কার বাড়ি?
কি? ওয়াল্ডোফ হোটেল?

হেই, এটা কোম্পানির পোস্টার,
কোম্পানি এটা মোটেও পছন্দ করবেনা।

সামনে সপ্তাহে একটি টিকেট ধরিয়ে দিলে কেমন লাগবে?

- তোমার মনে কি রোমান্টিকতা বলতে কিছু নেই?
- অবশ্যই আছে, কিন্তু আমি সেটা প্রকাশ করিনা।

লিভার পিলস!

হানিমুনে লিভার পিলস আবার কে দেখবে?

আমরা চাই একটি রোমান্টিক জায়গা, এমন রোমান্টিক জায়গা
যেখানে জর্জ যেতে চায়।

- হেই বার্ট, ও চলে এসেছে।
- জলদি করো, তাড়াতাড়ি করতে হবে, ও চলে এসেছে।

- কে এসেছে?
- বর চলে এসেছে, হাঁদারাম।

আজ ওদের হানিমুন,
জলদি মইটি নিয়ে এসো।

ওরা কি হাঁস নাকি?

- মইটা এখানে লাগাও।
- ঠিক আছে, ঠিক আছে।

- জলদি করো, জলদি, জলদি।
- জলদি করছিই তো!

হাই...জিও...
শুভ সন্ধ্যা স্যার।

ভিতরে আসুন, মসিয়ে।

- ভিতরে আসুন।
♪ হাওয়াইয়ের দীপপুঞ্জে স্বাগতম ♪

♪ যেখানে নীল আকাশ আমাকে ডাকছে ♪

♪ যেখানে পরিষ্কার বাতাস আর স্বর্নালী চাঁদের আলো আছে, ♪

♪ যেখানে পামের সারিকে মাড়িয়ে দিয়ে যাচ্ছে ♪

বাড়িতে স্বাগতম, মিস্টার বেইলি।

আসলে, আমি...

ম্যারি, তুমি কি ...

♪ আমি তোমাকে সত্যিই ভালবাসি, ♪

♪ সত্যিই ভালবাসি, প্রিয়তমা ♪

♪ জীবনে আছে অনেক ছায়া, ♪

ওহ, ম্যারি...

♪ জীবনে আছে কান্না ♪

মনে আছে যেদিন আমরা এই পুরনো বাড়ির
কাঁচ ভেঙেছিলাম?

♪ সব স্বপ্নে পরিণত হয়ে যাবে, ♪
- সেদিন আমি এটাই চেয়েছিলাম।

♪ যখন আমি অনুভব করি তুমি কাছে আছো, ♪

- সোনা, তুমি আসলেও অসাধারণ!
♪ আমি তোমাকে সত্যিই ভালবাসি, ♪

♪ সত্যিই, প্রিয়তমা ♪

- মার্টিনি, তোমরা নতুন বাড়ি ভাড়া নিয়েছ?
- ভাড়া?

- আপনি শুনেছেন মিস্টার বেইলি ও কি বলে?
- কি বলে?

আমি এই বাড়ির মালিক।

আমি, গুইসেপ্পি মার্টিনি,
এই বাড়ির মালিক আমি।

এখন আর আমরা পটারের জমিতে
শুকরের মত বাস করবনা।

জলদি করো, মারি!

জলদি... বাচ্চাদের নিয়ে এসো।

এটা তো পুরো স্বপ্নের মত!

বাচ্চাদের গাড়িতে উঠাও।

অনেক ধন্যবাদ, মিস্টার বেইলি।

ঠিক আছে, বাচ্চারা, এসো।

ভিতরে যাও।

সবাই যার যার জায়গায় যেয়ে বসো।

ছাগলটাকেও ঢুকাও!

তোমাদের ছাগলও আছে নাকি!

- ঠিক আছে, বিদায়।
- বিদায় সবাইকে!

সবাই এসেছে।

মিঃ এন্ড মিসেস মার্টিনি, আপনাদের বাড়িতে স্বাগতম।

ভালোমানুষ জর্জ!
সবসময় বক্তৃতা দেয়ার সুযোগ খোঁজে।

হি-হা!

- স্যাম অয়েনরাইট!
- ওহ, সে আবার কে!

এই যে রুটি! এই ঘরে ক্ষুধা বলতে
কিছু থাকবেনা।

লবণ! এটা এর জন্য যে তোমাদের জীবন যাতে সারাজীবন
স্বাদপূর্ণ থাকে!

আর ওয়াইন!! যাতে সারাজীবন খুশি আর সৌভাগ্য
আমাদের সাথে থাকে।

মার্টিনি প্রাসাদে স্বাগতম!

দেখুন মিস্টার পটার,
এতে আমার নাক গলানো উচিৎ না।

আমি শুধু ভাড়া সংগ্রাহক মাত্র!

কিন্তু এই বেইলি পার্কের বিষয়টি আর হেসে
উড়িয়ে দেয়ার সুযোগ নেই, দেখুন একবার।

কংগ্রেসম্যান ব্ল্যাক আপনার সাথে দেখা করতে চায়।

কংগ্রেসম্যানকে অপেক্ষা করতে বলো।
বলতে থাকো।

পনের বছর আগে বড়জোর ছয়টি বাড়ি
এখানে সেখানে ছিল।

এইটা হচ্ছে পুরাতন কবরস্থান,
ঝুমকা বন, ডেইজি ফুলের বাগান,

আমি নিজেও এখানে খরগোশ শিকার করতে যেতাম।

কিন্তু এখনকার অবস্থা দেখুন,

প্রায় ডজনখানেকের মত নতুন বাড়ি
এখানে দেখা যাচ্ছে।

এর নব্বই শতাংশই তাদের দখলে যারা
আপনার হয়ে একসময় ভাড়া খাটত!

আপনার পটার ফিল্ডের অবস্থা এখন
এমন হয়ে গেছে।

আর কিছু এলাকার পাগলছাগল এখানে
কিছু বাড়ি বানিয়েছে।

ওহ, তাই নাকি?

যদিও তারা জানে যে বেইলি এখান থেকে
তেমন কোন সুযোগ সুবিধা পাবে না।

আপনি খুব ভালো করেই জানেন কেন,

বেইলিরা সব বোকার হদ্দ।

এই বাড়িগুলোর মুল্য বিল্ডিং এন্ড লোন করতে
যা খরচ হয়েছে তার দ্বিগুণ।

- আমি যদি আপনার জায়গায় থাকতাম...
- ভালো, কিন্তু তুমি আমার জায়গায় নেই।

যেমনটি আমি বলছিলাম, এতে আমার নাক গলানো উচিৎ না।

কিন্তু আজকাল যুবক ছেলেপেলেরা সবাই জর্জ
বেইলির কাছে কাজ খুঁজতে যাচ্ছে।

এই বেইলি পরিবার অনেকদিন ধরে আমার
মাথার উপরে উঠে বসছে।

- জ্বী স্যার?
- ভিতরে পাঠিয়ে দাও।

আমরা এসেছি শহরের নতুন ফ্যাক্টরিটি একটু দেখতে...

- আর তারপর আবার ফ্লোরিডায় ফিরে যাবো।
- ওহ...

- তুমি তোমার বন্ধুদের আমাদের সাথে আসতে বলছ না কেন?
- তাইতো, অবশ্যই।

হেই, তোমরা আমাদের সাথে আসছনা কেন?

আমার ভয় হচ্ছে, আমি তোমাদের সাথে
যেতে পারবনা স্যাম।

এখনো এই বাড়ি আঁকড়ে ধরে আছো, তাইনা?

জেন, জানো আমি জর্জকে প্লাস্টিক ফ্যাক্টরিতে নিচ তলা
দেয়ার জন্য অফার করেছিলাম আর ও সেটা ফিরিয়ে দিয়েছিল।

- আহ, এখন ওইসব কথা তুইলনা।
- আমি ওসব কথা তুলছিনা।

ঠিক আছে, আমাদের এখন যাওয়া লাগবে।

তোমাদের সাথে দেখা হয়ে খুব ভালো লাগলো, ম্যারি।

- তোমাদের সাথে দেখা হয়েও ভালো লাগলো।
- বিদায়।

- বিদায়, জর্জ।
- দেখা হবে, জর্জ।

- আবার দেখা হবে।
- বিদায়, স্যাম।

- দেখা হবে, ম্যারি।
- দেখা হবে, স্যাম, আনন্দে থেকো।

আমাদের রাখার জন্য ধন্যবাদ।

ফ্লোরিডা! হি-হা!

হি-হা!

ধন্যবাদ, স্যার।

জটিল সিগারেট, মিঃ পটার।

তোমার পছন্দ হয়েছে? তোমার জন্য এক প্যাকেট পাঠিয়ে দেব।

আমার বিশ্বাস দেরীতে হোক বা তাড়াতাড়ি হোক
আমি জানতে পারবো

আপনি আমাকে কেন এখানে ডেকেছেন?

জর্জ, তোমার ব্যাপারে আমার এই জিনিসটা খুব ভালো লাগে।

জর্জ, আমি একজন বুড়ো মানুষ আর অধিকাংশ
লোকজনই আমাকে ঘৃণা করে।

আমিও ওদের পছন্দ করিনা,
ব্যাপারটি তাহলে সমান সমান হয়ে গেল।

তুমিও ভালমত জানো, এই শহরের প্রায় সবকিছুই
আমি চালাই...

কিন্তু বেইলির বিল্ডিং এন্ড লোন আমার কব্জায় নেই।

তুমি এটাও খুব ভালো করে জানো যে, অনেক বছর ধরে আমি
ওটা কব্জা করতে বা ওটাকে শেষ করে দিতে চেয়েছি।

কিন্তু সেটা করতে আমি সক্ষম হইনি।

তুমি আমাকে থামিয়েছ।

বস্তুত, তুমি আমাকে হারিয়েও দিয়েছ।

আর এই শহরের যে কেউ বলবে
এটা সেই মাপের একটি কাজের মত কাজ।

এই হতাশার মধ্যেও হঠাৎ আমার মনে হলো,

শুধু তুমি আর আমিই ছিলাম এমন ব্যাক্তি
যারা প্রচুর দুর্যোগের সময়েও মাথা ঠাণ্ডা রেখেছিলাম।

তুমি বিল্ডিং এন্ড লোনকে বাঁচিয়ে রেখেছিলে,
আর বাকিগুলো আমি আমার কব্জায় রেখেছিলাম।

ভালো, তবে বেশীরভাগ লোকই বলবে
যে তুমি ওগুলো চুরি করে কব্জা করেছ।

হিংসুটেরা তো ওটা বলবেই, জর্জ।
অনেক নিন্দুক আছে এগুলো বলার জন্য।

এখন শোনো, আমি আমার দিকটি খুব ভালো
করে ফুটিয়ে তুলেছি।

এখন তোমার দিকটি দেখা যাক।

যুবক মানুষ, সাতাশ আটাশ বছর বয়স হবে,
বিবাহিত, বলা যায়...সপ্তাহে চল্লিশ ডলার ইনকাম করো।

- পঁয়তাল্লিশ!
- পঁয়তাল্লিশ, পঁয়তাল্লিশ।

এছাড়াও, তোমার মায়ের দেখাশোনা করতে হয়...

নিজের বিল ভরা লাগে, সবকাজ শেষে হয়তো দশ
ডলার মত বাঁচিয়ে রাখতে পারো।

যদি একটি বা দুইটা বাচ্চা হয় তাহলে তুমি
সেটাও বাঁচাতে পারবে না।

এখন, যদি এই সাতাশ আটাশ বছর বয়সী লোকটি কোন
বোকার হদ্দ হতো

তাহলে আমি বলতাম,
সে ভালোই কাজ করে যাচ্ছে।

কিন্তু জর্জ বেইলি কোন বোকার হদ্দ না।

সে বুদ্ধিমান।
স্মার্ট, উচ্চাকাঙ্ক্ষী যুবক,

যে নিজের কাজকে ঘৃণা করে, যে বিল্ডিং এন্ড লোনকে ঘৃণা
করে, যতটা ঘৃণা আমি করি।

এমন একজন যুবক লোক যে জন্মের পর থেকেই
এই শহর থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিল।

সেই যুবক লোক... যাকে সবার মাঝে আলাদা করে
চেনা যায়, সেটা মাথায় রেখো,

যে বসে বসে দেখছে যে তার বন্ধুরা কোথা থেকে
কোথায় পৌঁছে গেছে,

কারন সে ফেঁসে গেছে।

ঠিকই শুনেছেন, স্যার, যে অনেক পাগল ছাগলের
জীবন উন্নত করতে যেয়ে নিজের জীবনের মধ্যে একেবারে ফেঁসে গেছে।

সঠিক ছবি আঁকলাম
নাকি অতিরঞ্জিত লরে ফেললাম?

আপনার মতলবটা কী?

- আমার মতলব? তোমাকে ভাড়া করা।
- আমাকে ভাড়া করা?

আমি চাই তুমি আমার যাবতীয়
লেনদেন ও সম্পত্তি দেখাশুনা করো।

জর্জ, এরজন্য তুমি প্রতি বছরে ২০,০০০ ডলার করে বেতন পাবে।

২০,০০০০...
প্রতি বছর ২০,০০০ ডলার?

শহরের সবচেয়ে বিলাসবহুল
বাড়িতে থাকতে পারবে।

বউকে দামি দামি কাপড় কিনে দিতে পারবে।

ব্যবসার কাজে নিউ ইয়র্ক ঘুরতে পারবে,
ইউরোপেও যেতে পারবে।

কী, রাজি তো, জর্জ?

রাজি?

আপনি কি আমাকে বলছেন নাকি অন্য কাউকে ?

আরে আমি, মনে নেই আমাকে?
আমি জর্জ বেইলি।

হ্যাঁ, জর্জ বেইলি,
যার জাহাজ কেবল ভিরলো...

বিদেশ যাওয়ার ধান্ধায় আছে যে।

যাস...শালা!

বেশ, বিল্ডিং আর লোনের কী করবেন?

বিভ্রান্ত করলি, ব্যাটা!
সফলতা নিয়ে তোমার সন্দেহ আছে?

তিন বছরের চুক্তিতে বাৎসরিক
২০,০০০ বেতনের প্রস্তাব দিচ্ছি, আজ থেকেই শুরু।

রাজি হবে, নাকি না?

মিঃ পটার, আমি...

খুব ভালো প্রস্তাব, কিন্তু আমি...

ভেবে দেখার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় দেবেন?

হ্যাঁ, হ্যাঁ, কেন নয়।

বাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সাথে পরামর্শ করে দেখো।

- তাই হবে।
- হ্যাঁ।

যথাসময়ে কাগজপত্র প্রস্তুত থাকবে।

- ধন্যবাদ, স্যার।
- ওকে, জর্জ?

ঠিক আছে, মিঃ পটার।

না, না, না, দাঁড়ান।
একটু দাঁড়ান।

২৪ ঘণ্টারও দরকার নেই,
কারো সাথে কথা বলারও দরকার নেই।

সিদ্ধান্ত এখনই দেবো!
আমি রাজি নই, না!

মাইরালা!

এখানে বসে বসে ছড়ি ঘুরালেই...

সবাই কি আপনার আর
আপনার টাকার গোলাম হয়ে যাবে?

তা হবে না, মিঃ পটার।

পুরো পৃথিবী উলটে গেলেও...

আমি বলে যাবো,
আপনি এক জঘন্য কীট ছাড়া কিছু নন।

আর আপনিও এর বাইরে নন।

আপনারা কেউই নন।

তুমি কি শহরের
সবচেয়ে দামি বাড়িতে থাকতে চাও?

বউকে দামি দামি পোশাক দিতে পারবে।

বছরে কয়েকবার
ব্যবসায়ের কাজে নিউ ইয়র্ক যেতে পারবে।

ইউরোপেও যাওয়া লাগতে পারে।

জানি কালকে কী করবো...

পরের বছর,
এভাবে বছরের পর বছর।

এই নোংরা শহরের মায়া ত্যাগ করে
বিশ্ব ভ্রমণে বেরিয়ে যাবো...

তারপর অনেককিছু তৈরি করবো।
বিমানঘাঁটি তৈরি করবো।

শততলা বিশিষ্ট
আকাশচুম্বী অট্টালিকা বানাবো।

এক মাইল দীর্ঘ সেতু বানাবো।

কী চাও তুমি?

কী চাও?
আকাশের চাঁদ এনে দেবো?

যদি তাই চাও,
দড়ি দিয়ে বেঁধে...

... চাঁদটিকে নিচে নামাবো।

প্রিয়তমা
আজ কি তুমি আসবে না...

আজ কি তুমি আসবে না...
আজ কি তুমি আসবে না...

প্রিয়তমা
আজ কি তুমি আসবে না...

আর...

- হাই।
- হাই।

ম্যারি হ্যাচ!

আমার মতো গর্দভকে
কেন তুমি বিয়ে করতে গেলে?

বুড়ো হওয়া থেকে বাঁচাতে।

স্যাম ওয়েনরাইট বা
অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারতে।

আর কাউকেই আমার পছন্দ নয়।

তোমার মতো কাউকেই
আমি চেয়েছি।

মধুচন্দ্রিমায় নিয়ে যাইনি।

কথা দিয়েও কথা রাখতে পারিনি...
কী?

সন্তান হবে।

তুমি, তুমি, তুমি, তুমি, তুমি,
মা হবে?

জর্জ বেইলি বাবা হবে।

বাবা হবো আমি!

মানে তুমি...

মানে তুমি, তুমি, তুমি...

কী হবে, ছেলে নাকি মেয়ে?

উম্ম...

ইতোমধ্যেই হয়তো বুঝে গেছো,
জর্জ বেইলি বেডফোর্ড ছাড়েনি।

না!

ম্যারি সন্তান প্রসব করলো,
ছেলে সন্তান।

তারপর একটি মেয়ে সন্তান।

দিনের পর দিন খাটাখাটনি করে
বাড়িটিকে যত্ন করে রাখলো।

রাতের পর রাত,
জর্জ অফিস থেকে দেরি করে বাড়ি ফেরে।

পটার তাঁকে নাস্তানাবুদ করলো।

একসময় যুদ্ধ শুরু হলো...

বেইলির মা এবং মিসেস হ্যাচ
রেডক্রসের সেলাই কাজে যোগ দিলো।

ম্যারি আরও দু’সন্তানের মা হলো।

স্যাম ওয়েনরাইট বিমানের প্লাস্টিক ছাউনি তৈরি করে।

পটার হয়ে গেলো ড্রাফ্ট বোর্ডের প্রধান।

এক-এ... এক-এ... এক-এ...

গাওয়ার এবং আঙ্কেল বিলি যুদ্ধ বন্ড বিক্রয় করে।

উত্তর আফ্রিকায় আহত
সৈন্যরা রৌপ্য পদক অর্জন করে।

ট্যাক্সি চালক, আর্নি,
ফ্রান্সে গেছে প্যারাসুটে করে।

মার্টি রেমাগান সেতু দখলে সাহায্য করেছে।

হ্যারি, হ্যারি, বেইলির সেরা।

নৌ-বৈমানিক ১৫ টি বিমান
ভূপাতিত করেছে।

সৈন্য বোঝাই দু’টি সংঘর্ষে ধ্বংস হয়েছে।

- হ্যাঁ, কিন্তু জর্জ...
- জর্জ?

বাকিতে...
জর্জ বেডফোর্ডে লড়াই সংগ্রাম করলো।

দাঁড়াও, দাঁড়াও, শান্ত হও।

তোমরা কি জানো না যুদ্ধ চলছে?

বিমান হামলার ওয়ার্ডেন...

সংবাদপত্রের গাড়ি...জঞ্জাল পরিষ্কার...
গাড়ির চাকা...

বিজয়ের দিনে সকলের
সাথে কাঁদে ও প্রার্থনা করে।

জাপানের বিজয়েও কেঁদেছে, প্রার্থনা করেছে।

জোসেফ, আজকের ঘটনাটি দেখাও।

জ্বি, স্যার।

বড় দিনের আগের দিন সকালে
১০ টার দিকে, বেডফোর্ডে একটি শরৎ এর দিন ।

হাই, আর্নি, পড়ে দেখো।

আবারো শুরু হবে।

শুরু হবে মানে?
শিরোনাম পড়ে দেখো।

জানি, জানি,
কথার ফুলঝুরি শুরু হবে।

কমান্ডার হ্যারি বেইলি!

মিঃ গাওয়ার, দেখুন তো...

২য় পৃষ্ঠায়।
আপনি নিয়ে যান।

এটি আপনার জন্য,
এটি আপনার জন্য।

- ধন্যবাদ।
- আবার দেখা হবে।

নামের বানান সঠিক করে লিখবে।

হ্যালো, বিলি, খবর কী?

আরে সবাই আজ খবর পড়ে দেখুন!

জর্জ! ওয়াশিংটন থেকে হ্যারি ফোন করেছে।

- হ্যারি! জানো কী!
- আগে কথা বলে দেখো।

নায়কের জন্য বরাদ্দ করে রাখবো।

হ্যারি...

হ্যাঁ, অন্তত সাতবার বলেছো।

অভিনন্দন!

আম্মু কেমন আছে?

আছে?

তোমরা জানো...

আম্মু রাষ্ট্রপতির স্ত্রীর সাথে বসে
লাঞ্চ করেছে।

মার্থা শুনলে খুব হিংসা করবে।

- কী খাচ্ছে তাঁরা?
- তাঁরা কী খাচ্ছে?

হ্যারি, তোমাদের কী খাওয়াচ্ছে?

ওহ, তাই নাকি?

আজ বিকেলে বিমানে করে আম্মুকে পাঠাবে।

বিমানে?

বিলি আঙ্কেল?

- বিলি আঙ্কেল এসেছে?
- না, ব্যাংকে গেছে।

না, তিনি এখন নেই,
শোনো, হ্যারি...

- জর্জ...
- ... আগে বলো।

... জর্জ, লোকটি আবার এসেছে।

- কোন লোক?
- ব্যাংক পর্যবেক্ষক।

ওহ, ওহ, উহ!

হ্যারি, ইউস্টাসের সাথে কথা বলো।

একটু পরেই আসছি...

- হ্যারি...
- শুভ সকাল, স্যার।

আমি কার্টার,
ব্যাংক পর্যবেক্ষক।

- মিঃ কার্টার, শুভ বড় দিন।
- শুভ বড় দিন।

একটু উত্তেজিত হয়ে পড়েছি...

আমার ভাইকে বিরাট সম্মাননা দেয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি নিজ হাতে দিয়েছে।

হ্যাঁ, সম্মাননা নিজ হাতেই দেয়।

নিশ্চয়ই আপনার বছরটি ভালো কেটেছে?

ভালো বছর?

বেশ, আপনার আর আমার মাঝে ভালো কেটেছে।

হ্যাঁ, ভালো তো।

আহ, এদিকে আসুন, মিঃ কার্টার।

দীর্ঘ সময়ের বিপরীত প্রস্তাবে
মোটেও আমি অবাক হইনি।

জর্জ, লাইন ধরে রাখবো?

না, না, সে বিলি আঙ্কেলর সাথে কথা বলবে,
ধরে রাখো।

আপনি যদি চান,
আজ রাতেই সব শেষ করতে চাই।

এলমিরাতে পরিবারের সাথে
বড় দিন উদযাপন করতে চাই।

কোনো সমস্যা নেই, মিঃ কার্টার।

ভেতরে আসুন,
সব ঠিক হয়ে যাবে।

ডিসেম্বরের ২৪ তারিখ...

৮,০০০

শুভ বড় দিন, মিঃ পটার ...

আরে, শুভ সকাল, মিঃ পটার?

খবর পড়েছেন?

ওহ, বেশ, বেশ, বেশ,
হ্যারি বেইলি পদক জিতেছে।

বেইলির ছেলে বলেই সম্ভব?

বেইলির পরিবারকে আপনি
দমিয়ে রাখতে পারবেন না, মিঃ পটার।

কুঁড়ে জর্জ শুনে কী বলেছে?

ঈর্ষা হচ্ছে খুব?

সে কেবল তিনটি সুযোগ হারিয়েছে।

অবশ্য, জর্জ গেলে
আরও দুটি পদক নিয়ে আসতো।

কানে সমস্যা।

হ্যাঁ, মিঃ পটার, জর্জের মতো সফলদের
বেকার থাকা উচিৎ ছিলো।

জার্মানি বা জাপানে তো আর হয় না।

- শুভ সকাল, মিঃ বেইলি।
- শুভ সকাল, হর্যাস।

- কিছু কী ভুলে গেছেন?
- হুহ?

- কিছু ভুলে গেছেন।
- কী?

- টাকা জমা দিলে টাকা কই?
- ওহ, হ্যাঁ, এনেছি তো।

টাকা জমা দিতে হলে টাকা দিতে হয়।

হুহ? ওহ, ভুলে গেছি...

এনেছিলাম তো...

- আঙ্গুলের মাথায় কী?
- আমি তো...

বেইলি...

ওপাশে নিয়ে চলো, জলদি।

জলদি করো।

আগের জায়গায়।

আপনি নিশ্চিন্তে বাড়ি যেতে পারেন, মিঃ কার্টার।
বইগুলো আমি পাঠিয়ে দেবো।

ওহ, হ্যালো, ভা...

জর্জ, একটু কথা বলা যাবে?

কেন নয়?
আসো, অফিসে আসো।

বিলি আঙ্কেল, হ্যারির সাথে কথা বলুন।
সে লাইনে আছে।

জলদি, বিলি আঙ্কেল,
সুদূর ওয়াশিংটন থেকে।

হেই, হ্যারি ফোনে আছে।

আপনার ভাতিজা হ্যারি, ভুলে গেলেন?

লাইনে আছে, কথা বলুন।

হ্যালো, হ্যাঁ, হ্যারি।

হ্যাঁ, সব ঠিক আছে।

বিরাট ঝামেলা হয়ে গেছে।
৮,০০০ ডলার হারিয়ে ফেলেছি...

কোথায় যেনো রেখেছি।

এই নাও।

চরিত্র?

যদি চরিত্র ভালো থাকতো...

এই শহর ছেড়ে অন্য চরিত্র গ্রহণ করে
নতুন করে শুরু করতে পারো।

না, জর্জ, দিও না...

- তোমার এখন টাকার দরকার তাই না?
- দরকার, কিন্তু...

আরে লাগবে, পশম আর টুপি কিনতে?

নিউ ইয়র্ক যাবে?

খাবার বা ভাড়ার ওপরেও কর নেয়।

বেডফোর্ডে শরতে যেমন নেয়।

- হ্যাঁ, নিশ্চয়ই।
- ঋণ হিসেবে হলেও।

এটাই আমার ব্যবসায়,
বিল্ডিং অ্যান্ড লোন।

চাইলে চাকরিও পেতে পারো।

শুভ কামনা রইলো।

তোমার সাথে পরিচিত হয়ে
আমি গর্বিত, জর্জ বেইলি।

নিউ ইয়র্ক যাচ্ছো তাহলে?

হ্যাঁ, নিশ্চয়ই যাবো।

শুনে খুশি হলাম।

হুম...

- শুভ বড়দিন, ভায়োলেট।
- শুভ বড়দিন, জর্জ।

- মিঃ বেইলি।
- ওহ, মিঃ কার্টার।

দুঃখিত, আমি আসছি।

- বিলি আঙ্কেল এসেছে?
- হ্যাঁ, অফিসে আছে।

আঙ্কেল... কী হয়েছে?

ব্যাংক পর্যবেক্ষক এসেছেন...

- এখানেই?
- হ্যাঁ।

প্রদেয় হিসাবের পরিমাণ চায়...

- কী হয়েছে আপনার?
- এদিকে আসো।

- ইউস্টাস।
- কী?

এদিকে আসো।

গতরাতে বিলি আঙ্কেলর কাছে
নগদ টাকা দেখছো?

বন্ধ করার আগে
উনার টেবিলে গুনতে দেখেছি।

আচ্ছা, কিছু কিনেছেন নাকি?

- না, কিছুই না।
- আচ্ছা, ঠিক আছে।

যেখানে যেখানে গিয়েছেন
সবজায়গায় খুঁজে দেখবো।

ঠিক আছে, এদিকে আসুন।

খাম কি পকেটে রেখেছেন?

হ্যাঁ, মনে হয়...

মনে হয়!
আর কোনো “মনে হয়” শুনতে চাই না।

টাকাগুলো ফিরে পেতে হবে!

- আমি হলাম অপয়া...
- বুঝতে পারছেন পরিণাম কী হবে...

মনে করে দেখুন।
আপনার কি কোনো গোপন পকেট আছে?

কথা শুনুন!
মনে করুন! ভেবে দেখুন!

আর পারছি না, জর্জ।
আর পারছি না, সহ্য করতে...

টাকা কোথায় রেখেছিস
বুড়ার বাচ্চা?

টাকা কোথায়?

পরিনাম কি হবে ভেবেছেন?

দেউলিয়া, কেলেঙ্কারি, জেল খাটা!

বুঝতে পেরেছেন?

আমাদের একজনকে কারাগারে যেতে হবে!

আমি তো যাবো না।

হ্যালো, সোনা...

হ্যালো আব্বু।

কেমন হয়েছে?
আমরা এখন...

মঙ্গল হোক!

ফুলের মালা এনেছো?

- বড়দিনের জন্য ফুলের মালা?
- কীসের মালা?

বড়দিন উপলক্ষে জানালায় ঝুলাবো।

না, অফিসে রেখে এসেছি।

- তুষার পড়ছে?
- হ্যাঁ, কেবলই শুরু হলো।

- কোট আর টুপি কোথায়?
- অফিসে রেখে এসেছি।

- ব্যাপার কী?
- কোনো ব্যাপার নেই, সব ঠিক আছে।

আসো পীট, তুমি বড় হয়েছো।

তারাটি ওপরে রাখো।

একদম ওপরে।

এই তো।

ঠিক আছে।

ঐ খালি জায়গায় রাখো।

এই তো।

হ্যারি দারুণ করেছে না?

আমরা বিখ্যাত হয়ে গেছি, জর্জ।

সারাদিন অন্তত ৫০ টি ফোন পেয়েছি
প্যারেড আর খাবার সম্পর্কে।

তোমার আম্মুও খুব আনন্দিত...

ওটা কি বাজাতেই হবে?

আজরাতের উৎসবের জন্য
চর্চা করতে হবে, আব্বু।

আম্মু বলেছে মধ্যরাত পর্যন্ত
আমরা জেগে থেকে মজা করতে পারবো।

তুমি গাইতে পারো, আব্বু?

জলদি ওঠে দাঁড়ি কেটে আসো।

অতিথিরা এসে পড়বে।

অতিথি! কোনো অতিথিকে দেখতে চাই না।

আমার সাথে রান্না ঘরে আসো,
রাতের খাবার খাবো।

দাঁড়াও, শুনে যাও।

খুব ব্যস্ত দিন কেটেছে?

বেইলির দুঃখের একটি দিন কেটেছে।

আব্বু, পাশের বাসার ব্রাউনরা নতুন গাড়ি কিনেছে,
দেখতে যাবে?

আমাদের গাড়ির কী হয়েছে?
ওটা কি চলে না?

চলে, আব্বু।

শোনো, আমার কথা শোনো।

কী কথা শুনবো?

আমার ঢেঁকুর ওঠেছে!

ঠিক আছে, সোনা, এখন যাও।

উপর তলায় গিয়ে দেখো জুজু কী চায়।

জুজু, কী হয়েছে জুজুর?

সর্দি লেগেছে, শুয়ে আছে এখন।

স্কুল থেকে ফেরার পথে ঠাণ্ডা লেগেছে।

উপহার হিসেবে একটি ফুল পেয়েছে...

নষ্ট যেনো না হয়,
সেজন্য কোটের বোতাম লাগায়নি।

- কী হয়েছে, গলায় ব্যাথা?
- শুধু সর্দি।

- ডাক্তার বলেছে খারাপ কিছু না।
- ডাক্তার?

- ডাক্তার এসেছে?
- হ্যাঁ, উনাকে আসতে বলেছি।

- তিনি বলেছেন চিন্তার কিছু নেই।
- গায়ে জ্বর এসেছে?

- কী করলে?
- তেমন নয়, ৯৯.৬ ডিগ্রী।

- ঠিক হয়ে যাবে।
- এতো চাপ আর ভালো লাগে না।

সব কয়টা নিউমোনিয়া হয়ে মরে না কেন?

পুরান গুদামের মতো!
রেফ্রিজারেটরের ঠাণ্ডার মতো!

কেন আমরা ছোটো, ফালতু পুরনো শহরে থাকি?

জর্জ, কী সমস্যা হয়েছে?

কী সমস্যা? কী সমস্যা?

তুমি একে সুখী পরিবার বলো?

এতো বাচ্চা-কাচ্চা নিলা কেন?

আব্বু, 'ফ্রাঙ্কিন্সেন্স' বানান করে কীভাবে?

জানি না,
তোমার আম্মুকে জিজ্ঞেস করো।

- কোথায় যাচ্ছো?
- জুজুকে দেখতে।

আব্বু নিজেই তো আমাকে
নাটক লিখতে বলেছে।

ফ্রা-ঙ্কি-ন-সে-ন্স...

হাই, আব্বু...

- কী হয়েছে তোমার?
- একটি ফুল জিতেছি।

দাঁড়াও,
কী করবে এখন?

ফুলকে পানি খাওয়াবো।

আচ্ছা, ঠিক আছে,
আব্বুর কাছে দাও।

আমি পানি খাওয়াবো, দাও।

- ঝরে গেছে, আব্বু... লাগিয়ে দাও।
- হ্যাঁ, ঠিক আছে...

এখন, লাগিয়ে দেবো।

এখন ঠিক আছে।
একটু পানি খেয়ে নিক।

- এখন একটি কথা রাখবে?
- কী?

ঘুমাবে?

ঘুম আসছে না।
ফুলের দিকে তাকিয়ে থাকবো।

জানি, জানি,
তবুও ঘুমাতে হবে...

ফুল নিয়ে স্বপ্ন দেখো,
দেখবে একটি বাগান হয়ে যাবে।

- সত্যি?
- অবশ্যই।

- টেলিফোন!
- যাচ্ছি আমি।

হ্যালো...

হ্যাঁ, মিসেস বেইলি বলছি।

ওহ, ধন্যবাদ, মিসেস ওয়েলচ।
ঠিক হয়ে যাবে।

ডাক্তার বলেছে
বিশ্রাম নিলেই সুস্থ হয়ে উঠবে।

- জুজুর শিক্ষিকা নাকি?
- হ্যাঁ।

আমি কথা বলবো।

হ্যালো, মিসেস ওয়েলচ?

জর্জ বেইলি বলছি,
জুজুর বাবা।

বলুন তো, আপনি কোন ধরণের শিক্ষিকা?

কেন তাঁকে অর্ধ-নগ্ন করে বাড়িতে পাঠিয়েছেন?

যদি তাঁর নিউমোনিয়া হয়ে যেতো?

- জর্জ!
- এ কেমন কাজ?

শিক্ষক রাখতেও আমরা কর দেই,
আপনার মতো ফালতু শিক্ষিকা রাখার জন্য?

মূর্খ, গাধা, উদাসীন মানুষ,
যে আমার মেয়েকে কাপড় ছাড়া পাঠিয়েছে?

আপনার কি মনে হয়,
আমার মেয়ের ভালো কাপড় নেই।

সে দামি কাপড় পড়তে পারে না...

মূর্খ মেয়েছেলে...

হ্যালো, মিসেস ওয়েলচ,
দয়া করে মাফ করে দিবেন।

হ্যালো... হ্যালো...

- তিনি কষ্ট পেয়েছেন।
- ওরে ফাঁসিতে ঝুলাবো।

নিজেকে কী ভেবেছো?

কী বলে?

হ্যালো, কে আপনি?

ওহ, মিঃ ওয়েলচ?

বেশ তো, মিঃ ওয়েলচ...

আপনার বউ সম্পর্কে
কিছু কথা বলার একটু সুযোগ দিন।

- জর্জ...
- আমাকে কথা বলতে দিবে?

হ্যালো?

হ্যালো? কী?
ওহ, আপনি, হুহ?

আচ্ছা, মিঃ ওয়েলচ।
যতো লোক পারেন নিয়ে আসবেন।

হ্যালো, কোনো...

ওহ...

আব্বু, “হ্যালেলুজাহ” বানান করে কীভাবে?

আমি কী জানি?
আমি কি ডিকশনারি?

টমি, সোজা হয়ে দাঁড়াও!

জেনি, ফালতু বাদ্য এখনো শেখা হয়নি?
বারবার বাজাচ্ছো?

থামো! থামো বলছি!

আমি দুঃখিত, ম্যারি।

জেনি, আমি দুঃখিত।

এমন করতে চাইনি...

তুমি প্রাকটিস করো।

পীট, মাফ করে দাও।

খুব দুঃখিত।

কিছু বলতে চাও?

না, আব্বু।

কী হয়েছে তোমাদের?

জেনি, বাজাও,
বাজাতে বলেছি।

- বাজাও বলছি।
- ওহ, আব্বু...

জর্জ, বাচ্চাদের সাথে এমন করছো কেন?

কেন তুমি...

ম্যারি...

বেডফোর্ড, ২৪৭ লাইন দিন...

- আব্বু কি বিপদে পড়েছে?
- হ্যাঁ, পীট।

- তাঁর জন্য দোয়া করবো?
- হ্যাঁ, জেনি, দোয়া করতে হবে।

- আমিও যাবো?
- হ্যাঁ, টমি, তুমিও যাও।

হ্যালো, বিলি আঙ্কেল?

ভীষণ বিপদে পড়েছি, মিঃ পটার।

আপনার সাহায্য দরকার।

একটি দুর্ঘটনায় পড়ে দেউলিয়া হতে বসেছি।

আজ ব্যাংক পর্যবেক্ষক এসেছে।

শীঘ্রই আমাকে ৮,০০০ ডলার জমা দিতে হবে।

ওহ, এজন্যেই রিপোর্টাররা তোমাকে খুঁজছে?

- রিপোর্টার?
- হ্যাঁ।

তোমার “বিল্ডিং অ্যান্ড লোন”
থেকেই তো ফোন করেছে।

প্রধান কার্যালয় থেকেও একজন করেছে।

তোমাকে খুঁজছিলো।

দয়া করে বাঁচান, মিঃ পটার।

সাহায্য করুন, প্লীজ?

বুঝতে পারছেন
আমার পরিবারের কী হবে?

যেকোনো সুদে আমি নিতে রাজি আছি...

যদি “বিল্ডিং অ্যান্ড লোন” কিনতে চান...

জর্জ, হিসাবের
গরমিলের জন্যে হয়নি তো?

না, হিসাবে কোনো গরমিল নেই।

৮,০০০ ডলার হারিয়ে ফেলেছি।

কোথাও খুঁজে পাইনি।

তুমিই ৮,০০০ ডলার ভুল জায়গায় রেখেছো?

জ্বি, স্যার।

পুলিশকে জানিয়েছো?

না, স্যার।
আমি চাই না ব্যাপারটি জানাজানি হোক।

হ্যারি আসছে কালকে...

তাঁরা হয়তো সন্দেহ করবে।

কী করছিলে তুমি, জর্জ?

কোম্পানির টাকা দিয়ে জুয়া খেলেছো?

না, স্যার, না, কখনোই নয়।

তাহলে কী মেয়েবাজি করেছো?

সারা শহর জানে
তুমি ভায়োলেট বিককে টাকা দিয়েছো।

- কী!
- আমি অবশ্য বিশ্বাস করিনি।

আমার কাছে কেন এসেছো?

স্যাম ওয়েনরাইটের কাছে গিয়ে টাকা চাওনা কেন?

তাঁকে এখন পাচ্ছি না,
সে ইউরোপে গিয়েছে।

তোমার অন্য বন্ধুরা?

তাঁদের কাছে এতো টাকা নেই, মিঃ পটার।

আপনি ছাড়া সাহায্য করার মতো
এই শহরে আর কেউ নেই।

তাই নাকি!

এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেছি দেখছি।

কোন ধরণের বন্ধক আমি পেতে পারি, জর্জ?

- শেয়ার আছে?
- না, নেই।

বন্ড? আবাসন?
অন্য কোনো সম্পদ?

কিছু জীবন বীমা আছে,
১৫,০০০ ডলারের বীমাপত্র।

বেশ, জমা দিয়েছো কতো ডলার?

- ৫০০ ডলার।
- ৫০০ ডলার!

বিনিময়ে তুমি ৮,০০০ ডলার চাও?

মনে করে দেখো...

তোমার দাম্ভিকতা বেড়ে গিয়েছিলো!

মনে হয়েছে যেনো তুমি বিশ্ব জয় করে ফেলবে।

একবার তুমি আমাকে
বিকৃত, হতাশ বুড়ো বলেছিলে।

তবে কি তুমি বিকৃত, হতাশ যুবক?

হাতজোড় করে আমার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছো?

কোনো বন্ধকী, শেয়ার, বন্ড ছাড়া...

জীবন বীমার মাত্র ৫০০ ডলার নিয়ে?

তোমার তো মরে যাওয়াই ভালো।

তোমার পিরিতের বন্ধুদের কাছে চাও গিয়ে...

৮,০০০ ডলার চাইতে পারবে

তাদের কাছে যেয়ে?

সবাই দূরদূর করে তাড়িয়ে দেবে।

তোমার জন্যে আমি যা করতে পারি...

...পর্যবেক্ষক থাকা পর্যন্ত...

তোমার “বিল্ডিং অ্যান্ড লোন”র
শেয়ার ধারক হতে পারি।

তোমার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারি।

তহবিলের টাকা আত্মসাৎ,
হিসাবের গরমিল আর কুকর্মের জন্য...

ঠিক আছে, জর্জ, চলে যাও।

এই ছোটো শহরে
বেশিদিন লুকিয়ে থাকতে পারবে না।

বিল? পটার বলছি।

ওয়াও! শুভ বড়দিন!

- তুমি আসায় ভালো লাগছে।
- ধন্যবাদ।

- পায়েস হবে এখানে?
- সব কিছু আছে।

খোদা...

হে, খোদা...

পরম করুণাময়...

আমি ধার্মিক নই
কিন্তু তোমার প্রতি বিশ্বাস আছে।

নিশ্চয়ই শুনতে পাচ্ছো,
আমায় পথ দেখাও।

আমি এখন খাঁদের কিনারে দাঁড়িয়ে।

আমাকে পথ দেখাও, খোদা!

তুমি ঠিক আছো, জর্জ?

বাসায় দিয়ে আসা লাগবে?

এতো পান করছো কেন, বন্ধু?

বাড়ি যাও, মিঃ বেইলি।
বড় দিনের প্রাক্কালে...

বেইলি?
কোন বেইলি?

উনিই তো মিঃ জর্জ বেইলি।

আমার স্ত্রীর সাথে ওভাবে কথা বললে,
কাঁচা খেয়ে ফেলবো।

সে এক ঘণ্টা যাবৎ কেঁদেছে।

তোমার মূর্খ বাচ্চাদের সে হাতে-কলমে...

... পড়তে, লিখতে শিখিয়েছে,
আর তুমি তাঁকে ঝাড়ি মেরেছো?

ভাগো এখান থেকে, মিঃ ওয়েলচ!

দাঁড়াও।
মাল খাওয়ার টাকা বাকি আছে।

তোমার টাকা লাগবে না,
ভালো চাইলে ভাগো এখান থেকে।

- যাচ্ছি তো।
- আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে মেরেছো, যাও ভাগো!

ঠিক আছো, জর্জ?

লোকটি কে?

চলে গেছে, চিন্তা কোরো না।

তাঁর নাম ওয়েলচ,
আমার দোকানে আর আসতে দেবো না।

প্রার্থনার জন্য তো সেটাই পেয়েছি।

তাঁকে আর ঢুকতে দেবে না, বুঝেছো?

হ্যাঁ, ঠিক আছে।

আমার বীমাপত্র কোথায়?
ওহ, পেয়েছি।

- এভাবে যেও না, মিঃ বেইলি।
- আমি সুস্থ আছি।

না, না, না, সুস্থ হওয়া পর্যন্ত
বসে বসে বিশ্রাম নাও।

- আমি সুস্থ আছি।
- দয়া করে দাঁড়াও, যেও না!

কী করছো?

দেখো, কী করেছো?

আমার দাদার দাদা গাছটি লাগিয়েছিল।

ওই, ব্যাটা! ওই, ব্যাটা!

এদিকে আয়, মাতালের বাচ্চা!

গাড়ি সরা এখান থেকে!

হেই, কী সমস্যা তোমার?
দেখেশুনে চলতে পারো না!

বাঁচাও!

বাঁচাও! বাঁচাও! বাঁচাও!

বাঁচাও! বাঁচাও!

বাঁচাও!

বাঁচাও! বাঁচাও! বাঁচাও! বাঁচাও!

বাঁচাও!

বাঁচাও! বাঁচাও! বাঁচাও!

ফিটফাট অন্তর্বাস পড়ার অতো সময় নেই।

গত জন্মদিনে আমার স্ত্রী
এটি উপহার দিয়েছে।

এটি পড়েই মারা গেছি।

টম সয়ার'ও শুকিয়ে যাচ্ছে।

মার্ক টোয়াইনের
নতুন বই নিশ্চয়ই বের হয়েছে।

আপনি কীভাবে পড়ে গেলেন?

পড়ে যাইনি,
জর্জকে বাঁচাতে ঝাঁপ দিয়েছি।

কী?
আমাকে বাঁচাতে?

কেন বাঁচাইনি?
যা করতে যাচ্ছিলে, তা তো পারোনি?

- কী করতে যাচ্ছিলাম?
- আত্মহত্যা?

আত্মহত্যা মহাপাপ,
ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।

হ্যাঁ, আমি যেখান থেকে এসেছি, সেখানে নিয়মই নেই।

- এসেছেন কোথা থেকে?
- স্বর্গ থেকে।

বাঁচানো দরকার ছিলো
তাই আমিও ঝাঁপ দিলাম।

জানতাম, ডুবে যেতে লাগলে
তুমি আমাকে বাঁচাবে।

এবং সেটাই তুমি করলে,
এভাবে তোমাকে বাঁচালাম।

ভালোই তো!

ঠোঁট থেকে রক্ত ঝরছে, জর্জ।

সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা করে
প্রতিদানে চোয়ালে ঘা খেয়েছি।

ওহ, না, না, জর্জ।
প্রার্থনার প্রতিদানে আমিই এসেছি।

সেজন্যেই আমাকে আসতে হলো।

আমার নাম কীভাবে জানেন?

তোমার সম্পর্কে সব জানি।
আমার চোখের সামনেই তো বড় হলে।

- আপনি কি মনের খবর পড়তে জানেন?
- আরে, নাহ!

- কে আপনি?
- ক্ল্যারেন্স অডবডি, এ-এস-২...

অডবডি... এ-এস-২,
এ-এস-২ মানে কী?

দ্বিতীয় শ্রেণীর দেবদূত।

বিদায়, বন্ধু।

ওহ, ভাই রে...

মার্টিনি মদে কি দিয়েছিলো?

হেই, কী বললেন...

একটু আগে কী বললেন?

আমাকে বাঁচালেন কেন?

বাঁচানোর জন্যই আমাকে পাঠিয়েছে।
আমি তোমার অভিভাবক-দেবদূত।

একটুও অবাক লাগছে না।

টাকার জন্য আত্মহত্যা
খুব হাস্যকর ব্যাপার।

- মাত্র ৮,০০০ ডলার।
- হ্যাঁ, সেটাই বলতে যাচ্ছিলাম।

আপনি কীভাবে জানেন?

বললাম তো, আমি তোমার অভিভাবক-দেবদূত।

তোমার সম্পর্কে সবই জানি।

আপনার মতো আজব কিসিমের দেবদূত
আমার কপালে জুটলো!

ভুলে পড়ে গেছেন, তাই না?

আপনার পাখা কোথায়?

এখনো পাইনি।
সেজন্যই দ্বিতীয় শ্রেণীর দেবদূত।

জানি না পাখাবিহীন কোনো
দেবদূতের সাথে থাকা ঠিক হচ্ছে কি না।

ওহ, পাখা আমাকে অর্জন করতে হবে,
তুমি আমাকে সাহায্য করবে এই পাখা পেতে, করবে না?

- হ্যাঁ, কীভাবে?
- তোমাকে সাহায্য করার মাধ্যমে।

আপনি কেবল একভাবেই
সাহায্য করতে পারেন।

৮,০০০ ডলার দিতে পারবেন?

ওহ, না, না।
স্বর্গে অর্থের কোনো প্রচলন নেই।

তাই তো!
ভুলেই গিয়েছি।

তবে কী বক্ষদেশ দেখাতেই এসেছেন?

ওহ, বাজে কথা বলো না।

একটু দেরি করেই পেয়েছি।

আমার বেঁচে থাকার চেয়ে
মরে যাওয়াই ভালো।

দেখো, এভাবে বলা উচিৎ নয়।
এমন করলে আমি পাখা পাবো না।

যা করেছো সব না বুঝেই করেছো।

এসব যদি না ঘটতো...

হ্যাঁ, এসব না ঘটলে
সবার আসল রূপ দেখতে পেতাম না।

আমার স্ত্রী, বাচ্চা-কাচ্চা, বন্ধুরা।

দেখুন তো, আপনি অন্য
কারো কাছে যেতে পারেন কিনা?

নাহ, তুমি বুঝতে পারছো না।
আমার দায়িত্ব আমি পেয়ে গেছি।

একটু চুপ করবেন?

হুম... এতো সহজে হবে না।

বেশ, তোমার কি মনে হয়,
আত্মহত্যা করলেই সবাই খুশি হবে, হুহ?

জানি না,
হতেও পারে।

আমার জন্ম না হলেই বরং ভালো হতো।

- কী বললে?
- আমার জন্ম না হলেই ভালো হতো।

ওহ, এমন তুমি বলতে পারো না।

তুমি...

দাঁড়াও, একটু দাঁড়াও।

চরম বুদ্ধি!

তোমার কী মনে হয়?
হ্যাঁ, তাই হবে।

ঠিক আছে।

তোমার ইচ্ছাই গৃহীত হলো।

তোমার জন্ম হয়নি।

তোমার এতো হৈচৈ করার কারণ দেখছি না।

কী বললেন?

তোমার জন্ম হয়নি,
তোমার কোনো অস্তিত্ব নেই।

এই জগতের প্রতি তোমার কোনো মায়া নেই।

কোনো দুশ্চিন্তা নেই, কোনো দায়িত্ব নেই,
৮,০০০ ডলার পাওয়ার দরকার নেই।

পুলিশ নিয়ে পটারও আসবে না।

- এই কানে কিছু বলুন।
- এই কানে শুনবে না।

কী আজব কাণ্ড!

সেই ছোটবেলা থেকেই
এই কানে কিছু শুনি না।

ঠাণ্ডা পানিতে পড়ার জন্যেই এমন হয়েছে।

ঠোঁটের রক্তও বন্ধ হয়েছে, জর্জ।

আপনি কীভাবে জানেন?

হচ্ছে কী এসব?

তুষার পড়াও বন্ধ, তাই না?

কী হচ্ছে এসব?

একটু কড়া মদ পেলে ভালো হতো।

দেবদূতরা কি মদ খায়?

চলুন, ইতোমধ্যেই কাপড়গুলো শুকিয়ে যাবে...

এগুলো শুকনোই আছে।

আপনি কীভাবে জানেন?

চুলা দেখি অনেক গরম হয়েছে।

কাপড় পড়ে নিন,
পায়ে হেঁটে গাড়ির কাছে যাবো...

ওহ, দুঃখিত,
আমি হাঁটবো, আপনি উড়বেন।

উড়তে তো পারি না,
আমার যে ডানা নেই।

আপনার তো ডানা নেই,
ভুলেই গিয়েছিলাম।

কী হয়েছে?

আমার গাড়ি এখানেই ছিলো।

তোমার তো কোনো গাড়ি নেই।

আমার গাড়িটি এখানেই ছিলো,
কোনো বজ্জাত হয়তো নিয়ে গেছে।

- শুভ সন্ধ্যা।
- ওহ, এই যে, শুনুন...

আমার গাড়ি কোথায়?

- বুঝলাম না?
- গাড়ি, আমার গাড়ি।

আমার গাড়িই আপনার গাছে ধাক্কা দিয়েছে।

কীসের গাছ?
কীসের গাছ মানে?

এই যে গাছ,
ধাক্কা দিয়েছি।

ধাক্কার জোরে ছাল-বাকল ওঠে গেছে।

হয়তো অন্য কোনো গাছ।

ভয় পাইয়ে দিয়েছিলে।

পটার্সভিলার সবচেয়ে প্রাচীন বৃক্ষ।

পটার্সভিলা!
এটা বেডফোর্ড না?

পটার্সভিলা বলেছি।

যেখানে থাকি
সে জায়গার নাম জানি না নাকি?

সমস্যা কী তোমার?

বুঝলাম না,
পাগল কি সে হয়েছে, নাকি আমি...

...নাকি আপনি?

আমি নই!

হতে পারে মার্টিনির বারে রেখে এসেছি।
চলুন যাই, গ্যাব্রিয়েল।

- ক্ল্যারেন্স!
- ক্ল্যারেন্স! ক্ল্যারেন্স!

সংকোচ করবেন না, ভেতরে আসুন।

মার্টিনি আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু।

সীট খালি আসছে, বসে পড়ুন।

হ্যালো, নিক,
মার্টিনি কোথায়?

- মার্টিনি খাবেন?
- না, না, মার্টিনি...

- তোমার মনিব, কোথায় সে?
- দেখুন, আমিই মনিব।

আপনি কি পান করতে এসেছেন?

হ্যাঁ, বোরবন হুইস্কি,
জলদি করুন।

দিচ্ছি।

আর আপনার?

কেবল ভাবছিলাম...

বহুদিন যাবৎ ছুঁয়েও দেখি না...

দেখুন, মশাই, আমি তো
আপনার মন ঠিক করার জন্য দাঁড়িয়ে আছি।

বেশ তো।

ভাবছি, একটি ফ্ল্যামিং রাম পাঞ্চ হলে ভালো হয়।

না, এখন তো বেশি ঠাণ্ডা নেই।
ঠাণ্ডার ছিটেফোঁটাও নেই।

দাঁড়ান, একটু দাঁড়ান।

পেয়েছি।

হালকা ঝাঁজ,
দারুচিনির সাথে হালকা লবঙ্গ মেরে দিবেন।

গলায় পড়লেই চাঙা হয়ে উঠবে!

দেখুন, মশাই, আমরা কড়া মদ বিক্রি করি,
লোকজন এখানে মাতাল হতে আসে।

আপনার মতো কেউ এখানে
গলা পরিষ্কার করতে আসে না, বুঝেছেন?

নাকি বাম হাতের ঘুষি খেতে এসেছেন?

এসব কী বলছে?

নিক, নিক, উনাকে
আমার মতোই একটি দাও, ঠিক আছে।

ঠিক আছে।

কী হয়েছে তাঁর?

নিক তো এমন আচরণ করে না।

তোমার উদ্ভট কাহিনী তো
কেবল শুরু হলো।

ওহ, হ্যাঁ।

হেই, আপনি তো আমাকে
চিন্তায় ফেলে দিচ্ছেন।

- আপনি কি ঘুমান না?
- না।

ঘুমান না?

- বেশ, আপনার কাছে টাকা আছে?
- না।

নদীতে ঝাঁপ দেয়ায় অবাক হচ্ছি না।

নদীতে ঝাঁপ দিয়েছি তোমাকে বাঁচাতে,
যেনো পাখা অর্জন করতে পারি।

- ওহ, তাই তো।
- ওহ-উহ।

- একজন পেয়ে গেছে।
- কী পেয়েছে?

প্রতিবার ঘণ্টার আওয়াজ মানে,
কোনো দেবদূত পাখা পেয়ে গেছে।

দেখুন, পাখা পাওয়ার কথা
এখানে না বললেই ভালো হবে।

কেন?
তাঁরা কি দেবদূত বিশ্বাস করে না?

আহ...বিশ্বাস করে...

ওহ! তাহলে তাঁরা অবাক হয় কেন?

মাথায় একটু গণ্ডগোল আছে...

যাই হোক,
আপনার বয়স কতো, ক্ল্যারেন্স?

২৯৩ বছর হবে,
সামনের মে মাসে।

অনেক হয়েছে!

দুই রামছাগলকে
ঘাড় ধরে বের করে দাও।

কী সমস্যা, নিক?

আরেকটা জিনিস,
আমাকে নিক ডাকছেন কেন?

নিক তো তোমার নাম।

আবোল-তাবোল বকছেন কেন?
আপনাকে তো জীবনেও দেখিনি।

আরে, মাতালও এসেছে!
আসুন! আসুন!

আপনাকে না এখানে
ভিক্ষা করতে নিষেধ করেছি, হুহ?

মিঃ গাওয়ার!

মিঃ গাওয়ার!

এ কী অবস্থা আপানার...

মিঃ গাওয়ার!
আমি জর্জ বেইলি!

- আমাকে চিনেন না?
- না...না।

বের করে দাও!
ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করো!

মিঃ গাওয়ার, কী হয়েছে...

নিক, নিক...
উনি না ঔষধ-বিক্রেতা, মিঃ গাওয়ার?

আবারো সেই
আবোল-তাবোল শুরু করেছো?

একটি বাচ্চার বিষক্রিয়ার জন্য
২০ বছর জেল খেটেছে।

যদি তাঁকে চেনো,
নিশ্চয়ই তুমিও কারাগারে ছিলে।

এদেরকে ভদ্রভাবে ঘাড় ধাক্কা দিবে?

নিশ্চয়ই, এদিকে আসুন, মহাশয়েরা।

যা ভাগ!
বাহিরে শুয়ে থাক!

আসো!

তোমাকে পাখা দেবো!

দেখলে, জর্জ,
তোমার অস্তিত্ব নেই...

ক্যাপসুলে বিষ দেয়া থেকে বিরত রাখোনি...

মানে কী, আমি ছিলাম না?

আমার স্পষ্ট মনে আছে...

আরে! কী হচ্ছে এসব?

এ তো মার্টিনির দোকান ছিলো।

আচ্ছা, কে আপনি?

বললাম তো, জর্জ,
আমি তোমার অভিভাবক-দেবদূত।

হ্যাঁ, জানি,
আপনি তো বলেছেন।

কে আপনি, অন্যকিছু?

- সম্মোহনকারী?
- না, একদম না।

তাহলে সবকিছু আমার কাছে
উদ্ভট লাগছে কেন?

বুঝোনি, জর্জ?

কারণ, তোমার এখনো জন্ম হয়নি।

জন্ম না হলে, কে আমি?

কেউ না, তোমার কোনো পরিচয় নেই।

পরিচয় নেই মানে?
আমার নাম জর্জ বেইলি।

জর্জ বেইলি বলতে কেউ নেই।

কাগজপত্র নেই, কার্ড নেই, ড্রাইভিং অনুমতিপত্র নেই,
৪-এফ কার্ড নেই, বিমাপত্রও নেই।

ওখানেও নেই।

- কী?
- জুজুর ফুলের পাপড়ি।

তোমাকে বিরাট উপহার দেয়া হয়েছে, জর্জ...

তোমাকে ছাড়া পৃথিবী কেমন,
তা দেখতে পাবে।

দাঁড়ান, দাঁড়ান।

হয়তো আমি কোনো মজার স্বপ্ন দেখছি।

বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।

- বাড়ি? কীসের বাড়ি?
- চুপ করুন! বাদ দেন!

আপনি...আপনি বিরাট পাগল,
আমার মনে হয়।

আপনি নিজে পাগল,
আর আমাকেও পাগল বানাচ্ছেন!

যা মনে হচ্ছে।

বাড়ি ফিরে যাচ্ছি,
আমার স্ত্রী আর পরিবারকে দেখতে।

বুঝতে পেরেছেন?
আমি একাই যাচ্ছি!

কেমন হচ্ছে, জোসেফ?
ধন্যবাদ।

না, আমি পান করিনি!

আরে...আরে...

- “বিল্ডিং অ্যান্ড লোন” কোথায় গেলো?
- বিল্ডিং অ্যান্ড... কী?

বেইলি “বিল্ডিং অ্যান্ড লোন”,
এখানেই তো ছিলো।

অনেক আগেই ব্যবসা গুটিয়ে ভেগেছে।

লোকটি মিথ্যুক!

সে শহর তছনছ করে ফেলবে।

- আমি চিনি...
- হেই, ভায়োলেট।

শোনো, ভায়োলেট বিক!

- জানি, জানি...
- মেয়েটিকে আমি চিনি।

যা ভাগ ব্যাটা!

হেই, আর্নি, আর্নি...

আর্নি, বাড়ি নিয়ে চলো,
মাথা-মুথা সব আউলে গেছে!

- কোথায় যাবেন?
- ফাজলামি বাদ দাও।

আর্নি, সোজা বাড়ির দিকে যাও।

তুমি তো জানো,
৩২০, সায়ক্যামোর।

- জলদি করো।
- যাচ্ছি, ৩২০, সায়ক্যামোর?

- হ্যাঁ, জলদি যাও, জুজু অসুস্থ।
- ঠিক আছে, যাচ্ছি।

দেখো, আর্নি,
সোজাসুজি উত্তর দাও।

একটু মাতাল অবস্থায় আছি।

আমার কথা শোনো,
তুমি তো আর্নি বিশপ।

বউ-বাচ্চা সহ বেইলি পার্কে থাকো?
তাই না?

আমার স্ত্রীকে দেখেছেন?

দেখেছি মানে!
কয়েকশো বার তোমার বাসায় গিয়েছি।

দেখুন, কী যে বলছেন?

আমি পটার্স ফিল্ডে একটি খুপরি ঘরে থাকি,
আমার বউ সন্তানসহ তিন বছর আগেই ভেগেছে...

আর আপনাকে তো জীবনে প্রথম দেখলাম, বুঝেছেন?

বেশ, চুপ করে আমায়
বাড়ি নিয়ে চলো।

- এটাই সেই জায়গা?
- হ্যাঁ, সে জায়গাই তো।

গত ২০ বছর যাবৎ জায়গাটি পরিত্যক্ত।

কী অবস্থা, আর্নি?

জানি না, তবে
লোকটির ওপর নজর রাখতে হবে।

পাগল মনে হয়

ম্যারি! ম্যারি!

টমি! পীট! জেনি! জুজু!
কোথায় তোমরা?

তাঁরা কেউ নেই, জর্জ,
তোমার কোনো সন্তান নেই।

কোথায় তাঁরা?
কী করেছেন তাঁদের?

হাত ওপরে তোলো,
নড়ার চেষ্টা করবে না।

দু’জনই বেরিয়ে আসো।

বার্ট!
তোমাকে পেয়ে ভালোই হলো।

- পেছনে দাঁড়ান!
- বার্ট, বাড়ির এই অবস্থা কেন?

ম্যারি কোথায়?
বাচ্চারা কোথায়?

বার্ট, কে?

- বলুন, বলুন।
- বার্ট, আর্নি!

তোমাদের কী হয়েছে?

আমার বিয়েতেও তোমরা ছিলে।

দু’জনই নাচ-গান করেছিলে,
মনে নেই?

চলে যাওয়াই ভালো।

এবার শান্ত হন,
আপনাকে মানসিক ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই।

- সব ঠিক হয়ে যাবে...
- বার্ট, বুঝার চেষ্টা করো।

আর্নি, আমাকে
মায়ের বাসায় পৌঁছে দেবে?

বার্ট, শোনো!
এই যে লোকটি দেখছো...

সে নাকি দেবদূত,
আমাকে সম্মোহিত করে ফেলেছে।

মারতে চাই না...

পালাও, জর্জ!
দৌড়াও, জর্জ!

বাঁচাও! জোসেফ, বাঁচাও!

- চুপ কর, ব্যাটা!
- বাঁচাও! জোসেফ, বাঁচাও!

গেলো কোথায়? কোথায় গেলো?
এখানেই তো ধরেছিলাম।

গলা ভিজিয়ে আসি।

ওরা গেলো কীভাবে?
ওদের খুঁজতে হবে।

কে?

মা!

মা?
কী চাও তুমি?

মা, আমি জর্জ,
তুমিও আমায় চিনতে পারছো না?

জর্জ কে?

এখানে কোনো খালি কক্ষ নেই।

ওহ, মা!
আমাকে বাঁচাও।

কী সব আজগুবি ঘটনা ঘটছে।

জানি না, কী হয়েছে।
সবাই কেমন বদলে গেছে।

ভেতরে যেতে দাও।

- ঠিক হওয়া পর্যন্ত থাকতে দাও।
- ঠিক হওয়া পর্যন্ত?

পরিচিত ছাড়া অচেনা কাউকে
আমি থাকতে দেই না।

কী?
আমি তো তোমাকে চিনি।

তোমার...
তোমার দেবর, বিলি আঙ্কেল।

- চেনো তাঁকে?
- অবশ্যই চিনি।

- শেষ কবে দেখেছো?
- আজই দেখেছি তাঁর বাড়িতে।

মিথ্যে কথা।

ব্যবসা হারিয়ে সে পাগলা-গারদে আছে।

তোমারও সেখানেই যাওয়া উচিৎ।

অদ্ভুত, তাই না?

প্রতিটি মানুষের সাথেই
অনেক মানুষের পরিচয় থাকে...

যদি সে না থাকে,
বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি হয়।

এমন কথা আগেও শুনেছি।

আপনি আমাকে জাদু-মন্ত্র দিয়ে
কাবু করে ফেলছেন।

এ থেকে আমি বের হবোই,
বের হতেই হবে।

আমি জানি...

এসব শুরু হওয়ার আগে সর্বশেষ
মার্টিনির সাথে কথা বলেছি।

জানো সে কোথায় থাকে?

জানি, জানি,
সে বেইলি পার্কে থাকে।

তুমি কি নিশ্চিত, এটাই বেইলি পার্ক?

কোনো কিছুতেই আমি এখন নিশ্চিত নই।

আমার জানামতে এটাই বেইলি পার্ক।

ঘর-বাড়ি কোথায়?

তুমি তো তৈরি করোনি।

তোমার ভাই, হ্যারি বেইলি।

তুষারের স্তর ফেটে,
নয় বছর বয়সে ডুবে মরেছে।

মিথ্যে কথা, হ্যারি যুদ্ধে গেছে!

সে কংগ্রেশনাল মেডেল অব অনার পেয়েছে!

পরিবহনের সবাইকে সে রক্ষা করেছে।

পরিবহনের সবাই মারা গেছে।

হ্যারি তাঁদেরকে বাঁচায়নি,
কারণ, তুমিও হ্যারিকে বাঁচাওনি।

দেখলে, জর্জ,
তোমার জীবন কতো আনন্দের ছিলো!

একটি ভুল জীবনকে
কেমন বদলে দিয়েছে?

- ক্ল্যারেন্স...
- বলো, জর্জ?

- ম্যারি কোথায়?
- ওহ, আমি তো...

জানি না আপনি
কীভাবে এতোসব করছেন...

- বলুন, সে কোথায়?
- আমি...

জানলে বলুন,
আমার স্ত্রী কোথায়?

আমি কী করে বলবো?

প্লীজ, ক্ল্যারেন্স,
বলুন সে কোথায়?

- তুমি মেনে নিতে পারবে না, জর্জ।
- বলুন কোথায়?

সে বুড়ি হয়ে গেছে,
বিয়েও করেনি।

ম্যারি কোথায়?

- সে...
- কোথায়?

এখনই পাঠাগার বন্ধ করতে যাচ্ছে!

পাখা পেতে হলে
আরও কাঠখড় পোড়াতে হবে।

ম্যারি!

ম্যারি!

ম্যারি! ম্যারি! ম্যারি!

ম্যারি! আমি জর্জ!

চিনতে পারছো না?
কী হয়েছে?

- চিনি না, ছাড়ুন আমাকে!
- ম্যারি, শোনো!

এমন করো না,
প্লীজ, বাঁচাও আমাকে।

বাচ্চারা কোথায়?
তোমাকে চাই, ম্যারি!

আসো, ম্যারি! ম্যারি...

ছাড়ো আমাকে!

- ম্যারি, যেও না!
- ধরো ওকে!

টম! অ্যাড!

চার্লি!
ও আমার বউ!

- ম্যারি!
- ওরে পাগলা খাড়া!

- কেউ পুলিশকে খবর দে!
- বোতল দিয়ে বাড়ি মার!

গণ-ধোলাই দে হালারে!

ম্যারি! ক্ল্যারেন্স!

যা ভাগ!

- ক্ল্যারেন্স!
- কোথায় তুমি?

আরে, তুই!

সরে দাঁড়াও!

ক্ল্যারেন্স!

ক্ল্যারেন্স! ক্ল্যারেন্স!

বাঁচাও, ক্ল্যারেন্স!

ঠিক করে দিন...

...আমাকে ঠিক করে দিন।
যাই হোক না কেন, কিছু যায় আসে না।

আমাকে আমার
স্ত্রী-বাচ্চাদের কাছে ফিরিয়ে দিন।

সাহায্য করো, ক্ল্যারেন্স।

দয়া করুন!
আবারো আমি বাঁচতে চাই!

আবারো আমি বাঁচতে চাই!

মানুষের মতো বাঁচতে চাই!

দয়া করো, খোদা,
আমাকে বাঁচাও।

হেই, জর্জ।

জর্জ!

ঠিক আছো?
কী হয়েছে তোমার?

ভাগো, বার্ট!
না হয় আরেক ঘা লাগাবো! ভাগো!

অযথা চেঁচাচ্ছো কেন, জর্জ!

জর্জ?

বার্ট, আমাকে চিনেছো?

চিনেছি মানে?
মজা লুটো নাকি?

সারা শহরে তোমাকে খুঁজে বেড়াচ্ছি।

তোমার গাড়ি দেখলাম
গাছের সাথে ধুমরে-মুচড়ে গেছে, ভাবলাম হয়তো...

আরে! মুখে দেখি রক্ত ঝরছে!
তুমি সুস্থ আছো তো?

কী বললে...

মুখে রক্ত ঝরছে, বার্ট!
আমার মুখে রক্ত ঝরছে...

জুজুর ফুলের পাপড়ি, জুজু...
এই তো!

বার্ট!
তুমি কি জানো?

শুভ বড়দিন!

শুভ বড়দিন!

ম্যারি!

ম্যারি!

ইয়াআআআ!

ইয়াহহহহ!

হ্যালো, বেডফোর্ড ফলস!

- শুভ বড়দিন!
- শুভ বড়দিন!

শুভ বড়দিন, জর্জ!

শুভ বড়দিন, মুভি হাউজ!

শুভ বড়দিন, বাণিজ্য-কেন্দ্র!

শুভ বড়দিন,
পুরনো বিল্ডিং অ্যান্ড লোন!

হেই! শুভ বড়দিন, মিঃ পটার!

শুভ নববর্ষ তোমার জন্য...কারাগারে।

বাড়ি গিয়ে দেখো,
পুলিশ অপেক্ষা করছে।

ম্যারি!

ম্যারি!

ম্যারি!

হ্যালো, মিঃ ব্যাংক পর্যবেক্ষক,
কেমন আছেন?

- মিঃ বেইলি, হিসাবে ঘাটতি আছে।
- জানি তো, ৮,০০০ ডলার।

জর্জ, কিছু কাগজপত্র আছে।

আমার গ্রেফতারি পরোয়ানা,
কী চমৎকার না?

আমি কারাগারে যাবো!

শুভ বড়দিন! রিপোর্টার্স?

ম্যারি কোথায়?

ম্যারি! মান্ধাতার আমলের বাড়িটি দেখুন।

ম্যারি! ম্যারি! ম্যারি!

আমার স্ত্রীকে দেখেছেন?

- শুভ বড়দিন, আব্বু!
- শুভ বড়দিন, আব্বু!

আব্বুরা! পীট!

ওহ!

খোকা! জেনি! জেনি! টমি!

ওহ, তোমাদের মন ভরে দেখি!

হৃদয় দিয়ে দেখি!

- তোমাদের আম্মু কোথায়?
- বিলি আঙ্কেলকে নিয়ে তোমাকে খুঁজতে গেছেন।

- আব্বু!
- জুজু! জুজু!

আমার ছোট্ট সোনামণি!
কেমন আছো?

- ভালো! একটুও জ্বর নেই।
- একটুও জ্বর নেই...

শুকরিয়া!

- জর্জ! জর্জ!
- ম্যারি! ম্যারি!

জর্জ, সোনা আমার!
কোথায় ছিলে তুমি?

জর্জ, সোনা আমার!
কোথায় ছিলে তুমি?

- ওহ, জর্জ, জর্জ, জর্জ!
- ম্যারি! একটু ধরে দেখি।

একটু ছুঁয়ে দেখি,
ওহ, সত্যিই তুমি!

ওহ, জর্জ...জর্জ।

ভাবতেই পারবে না কী ঘটেছে।

তুমিও জানো না কী ঘটেছে।

আসো, জর্জ, আসো,
নিচে আসো, উনারা আসছেন।

- আসছি।
- আসো!

এদিকে আসো।

এখানে দাঁড়াও, গাছের সাথে।
নড়বে না, একটুও নড়বে না।

কী হচ্ছে?
কারা আসছে?

শুনেছি তাঁরা আসছে, জর্জ,
সত্যিই অবিশ্বাস্য!

- সত্যিই অবিশ্বাস্য!
- কারা আসছে?

কারা আসছে, আব্বু?

- কে, আব্বু?
- কে জানে!

আসো, বিলি আঙ্কেল,
সবাই ভেতরে আসো!

দারুণ না?
সবাই সাহায্য করেছে!

ম্যারি সব করেছে, জর্জ!
সব ম্যারি করেছে!

কয়েকজন লোককে
তোমার বিপদের কথা বলতেই...

...সবাই টাকা সংগ্রহে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।

কেউ কোনো দ্বিধা করেনি...কেবল বলেছেঃ
"জর্জের বিপদ তো আমাদেরও বিপদ...

ব্যাপার কী, জর্জ?
ব্যাংকে হিসাবের গরমিল?

এই যে, জর্জ,
শুভ বড়দিন!

সবাই ডানদিকে লাইনে দাঁড়ান।

শুভ বড়দিন!
খোদা তোমায় আশীর্বাদ করুন।

- মিঃ মার্টিনি!
- শুভ বড়দিন!

এখানে দাঁড়ান।

গানের বাক্স ভেঙে এনেছি!

মিঃ গাওয়ার!

পকেট হাতরে যা পেয়েছি
সব নিয়ে এসেছি।

আমি যাবো না, জর্জ।
সিদ্ধান্ত পালটে ফেলেছি।

এসব টাকা জমিয়েছি তালাকের জন্য,
যদি কখনো বিয়ে হয়!

এই যে, জর্জ,
ঘেঁটে-ঘুঁটে যা পেয়েছি।

এটা তোমার খেলার জন্য।

তুমি না থাকলে
আমার ঘরের ছাদও হতো না।

দাঁড়াও, একটু দাঁড়াও।

শান্ত হও, সবাই, চুপ করো।

- লন্ডন থেকে চিঠি পেয়েছি।
- ওহ!

মিঃ গাওয়ার জানিয়েছে
তোমার টাকার দরকার।

আমার অফিস থেকে
২৫,০০০ ডলার দিতে রাজি হয়েছে।

শুভ বড়দিন!
হি-হা - স্যাম ওয়েনরাইট।

মিঃ মার্টিনি, শরাবের কী অবস্থা?

♪ কান পেতে শোনো, দেবদূত গায় গান ♪

♪ নবজাত রাজার গৌরবে ♪

♪ পৃথিবীতে শান্তি নামুক খোদার করুনায় ♪

♪ ভালো-খারাপের মিলন-মেলায় ♪

♪ সকল জাতি জেগে উঠুক আনন্দে ♪

♪ মিলিত হোক আকাশের জয়ে ♪

♪ ছড়িয়ে যাক দেবদূতের প্রচারে ♪

♪ যীশু জন্মেছে বেথেলহামে ♪

হ্যারি বেইলি!

জর্জ, আমি এসে পড়েছি।

- হ্যারি! হ্যারি!
- একটু দেরি করে ফেলেছি।

ম্যারি, বিমানবন্দর থেকে
সোজা এখানে নিয়ে এসেছি।

গর্দভে সারা রাস্তা তুষারঝড়ে এসেছে।

হ্যারি, নিউ ইয়র্কে
তোমার ভোজোৎসব কেমন ছিলো?

মাঝপথে রেখে চলে এসেছি
ম্যারির টেলিগ্রাম পেয়ে।

আর্নি, এক পেগ দাও...

...আমার বড় ভাইকে।

শহরের সবচেয়ে ধনী ব্যাক্তি!

♪ কেউ কাউকে চিনবে না ♪

♪ মনে কিছুই আসবে না ♪

♪ সবাই যাবে ভুলে ♪

♪ পুরনো সেই দিনের কথা ♪

কী এটা?

এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর দেয়া
বড়দিনের উপহার।

দেখো, আব্বু...

শিক্ষক বলেছে, যখনই ঘণ্টা বাজে,
একজন দেবদূত পাখা পায়।

হ্যাঁ ঠিক,
ঠিকই বলেছো।

সাবাস, ক্ল্যারেন্স!

***Bangla Subtitle Release Date***
***14th February 2016***

♪ পুরনো সেই দিনের জন্য, প্রিয়তম ♪

♪ পুরনো সেই দিনের জন্য ♪

♪ আমরাও উদারতা দেখাবো ♪

♪ পুরনো সেই দিনের জন্য ♪

♪ আমরাও উদারতা দেখাবো ♪

♪ পুরনো সেই দিনের জন্য ♪

“মুভিটি বাংলা সাবটাইটেল দিয়ে উপভোগ করার জন্য ধন্যবাদ।”