All language subtitles for Thanneer Mathan Dinangal.2019.1080p.HDTV.AAC.2.0.x264-Telly

হুহ, এই বুদ্ধিমত্তা?

একটু কমিয়ে চলো।

চল দোকান থেকে জুস খাবো।

এখানে বাকির খাতা খুলে ফেলি..

এটা খা।

তাহলে, এটা হলো প্রানী কোষ।

তোমাদের পাঠ্যবইয়ের ৪র্থ পাতায় আছে।

এই হলো প্লাজমা ঝিল্লির চিত্র।

ঝিল্লি মানে...

কিছুই বুঝতে পারছো না?

বুঝলে কি করে?

তোমার চেহারা দেখলেই বলে দেয়া যায়।

আমি একটা ব্যাপার বুঝি না।

আমার বিজ্ঞানের প্রতি কোন আগ্রহ নাই।

আসলে বিজ্ঞান বিষয়টা কি?

বসে পড়ো সবাই।

তোমাদের সকলকেই বলছি,

পদার্থ বিষয়টা খুবই কঠিন।

এখানে মানবিক এবং ব্যাবসা শাখায় অনেক ছাত্র আছে...

যারা কম নাম্বার পাওয়ায় বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হতে পারেনি...

তোমাদের মধ্যে কারো যদি সাইন্স ভালো না লাগে তাহলে অন্য বিভাগে যেতে পারো।

কর্তৃপক্ষ তোমার জায়গায় অন্য কাউকে ভর্তি করবে।

সবে তো মাত্র বছরের শুরু!

যদি বিভাগ পরিবর্তন করতে মন চায় করতে পারো।

কি করবে?

না ভাই।

করলে মা আমাকে শুলে চড়াবে।

মা কে বুদ্ধি করে কোনভাবে মানিয়ে নাও।

এখানে নির্বোধের মতো দুই বছর...

বসে থাকার চেয়ে ভালো হবে না?

আমাকে এখান থেকে সরানোর এতো ইচ্ছা কেন?

মনে হয় তুমি এখানে থাকলে
খুব সমস্যা হবে আমার।

ধুর।

জিজ্ঞেসা করলাম মানবিকে যাবে কিনা,
তোমার ইচ্ছা।

জিজ্ঞেসা করতে পারি না!

কি হচ্ছে ওখানে?

দুইজন দাড়িয়ে যাও।

কি সমস্যা তোমার?

কিছু না ম্যাডাম, আমরা ক্লাস পরিবর্তন করা নিয়ে কথা বলছিলাম।

শালারে মাইর দেয়া উচিত না?

কে জানে! খচ্চর একটা।

দেখ শালারে।

কোথা থেকে এসেছে এই মাল?

হায় ঈশ্বর, মহারাজা আপনি মানবিক শাখায় কি করছেন ?

মজা নেয়া বাদ দে,
আমি হয়তো মানবিকে ফিরে আসবো।

ম্যাডাম বলেছে চাইলে বিভাগ বদলানো যাবে।

আছে নাকি কেউ বিজ্ঞান বিভাগে যাবে?

বহুত আছে।

আমার মনে ঐ যে...

ঐ ছেলেটা।

ঐখানে।

আরে বই ধরে আছে যে।

ও ঠিক আছে?

কেউ একজন হইলেই হবে আমার।

তাহলে কথা বলে আয়।

এখান থেকে ভাগা শালারে।

কথা বলে দেখ...

কার্মেল স্কুল থেকে এসেছে।

সারাদিন পার্ট নেয়।

ভালো লাগে না ওরে।

তুই বলে...

দেখতে পারিস।

হ্যালো।

হ্যালো।

হ্যালো

তুমি কি ক্লাস পরিবর্তন করবে?

বিজ্ঞান বিভাগে যাবে?

কেন? বিজ্ঞান বিভাগে কি কোন
মহামারী দেখা দিয়েছে নাকি?

না মানে...

বিজ্ঞান বিভাগ ভালো লাগে না আমার।

তাই শিক্ষক বললো চাইলে বিভাগ চেঞ্জ করতে পারি।

সাইন্স বলতে বায়ো সাইন্স নাকি কম্পিউটার সাইন্স?

বায়োলজি।

আচ্ছা চলো যাওয়া যাক।

আরে দাড়াও, এখনো কিছু কাজ বাকি আছে।

আগে সেগুলো করতে দাও।

দাড়াও।

বিজয়ী হয়ে ফিরে এসো।

কেমন ছিলো?

- রাজি হয়েছে।
- সত্যি?

কি বলদ রে বাবা!

কি ভাবটাই না নিলো...

আবার আমারে ডায়লগ ও মেরে দিলো।

আমার জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছিলো...

এটা করতেই হতো।

দেখিস অন্য কেউ জেনো আবার এর সাথে চুক্তি না করে।

আচ্ছা ঠিক আছে।

- ও তোদের পাশে বসে তাই না?
- হ্যাঁ।

দূর হ এখান থেকে।

গান্ধীজির ডান্ডি পদযাত্রার সময় থেকে
এর প্রচলন শুরু হয়েছে।

বুঝেছো?

ওর কাছ থেকে পেন্সিন কাটার চাও।

আমার কাছেই তো আছে।

তোরটা লাগবে না। ওর কাছে জিজ্ঞাসা কর।

এক মিনিট।

ও তো অনেক মনোযোগী।

আমাকে ডেকেছিলে?

কাটার আছে?

কাটার মানে?

আরে পেন্সিল কাটার...

ওহ পেন্সিল কাটার।

আমার কাছে নেই, দুঃখিত।

নেই বললো।

আরে ঐদিকে, গরুর পাশে।

এটা টেস্ট বল।

এখন ব্যাট কর তো।

আমার কিছু বলার আছে।

কি?

আমার মনে হয় না এখন আর
আমি এখানে খেলতে পারবো।

কেন কি হইছে?

আমি বিজ্ঞান বিভাগে চলে এসেছি।

অনেক পড়ালেখা করতে হবে।

- কার জন্য?
- আমার জন্য।

আরো অনেক কিছু

তার মানে আসন্ন টুর্নামেন্টে খেলবি না?

আমি খেলতে পারবো না।

তুই পল্টি মারতেছিস এখন?

তুই ভালো করেই জানিস আমরা
খেলার জন্য ৫০০ টাকা দিয়েছি।

এখন থেকে আমি শুধু স্কুলের হয়ে খেলবো।

এলাকায় আর কোন খেলাধুলা খেলবো না।

চলে যেতে চাইলে যেতে দাও, কি সমস্যা?

স্টাম্প কেন নিচ্ছিস? রেখে গেলে কি হবে?

- স্টাম্পগুলো তো আমার, তাই না?
- হ্যাঁ।

আমি তো এখানে আর খেলবো না।

-তাই এগুলো নিয়ে গেলেই ভালো হয়।
- তাহলে নিয়ে যা।

স্টাম্প নিয়ে আয়।

- ব্যাটও তো তোর?
ব্যাটও নিয়ে যা?

- ঠিক বলেছো।

ব্যাটও নিয়ে যাবি?

আমাদের তোর কখনো প্রয়োজন হতে পারে।

না, আমাদের আর কখনো দেখা হবে না।

এখানে এই এলাকায় খেলে বড় হয়েছিস তুই।

ব্যাটের কথা কেন বলতে গেলি?

ব্যাটের কথা ভুলেই গেছিলো।

- আরেকটা ব্যাট নিয়ে আয়।
- ধুর শালা অকর্মা।

আরেকটা ব্যাট নিয়ে আয়।

ওরে আর ব্যাটিংই দিবি না।

- আর ব্যাট কোথায়!

ব্যাট কই?

আর ব্যাট নাই?

মা...

মা...

টেবিলে চিড়া আর চা রাখা আছে।

মা আজকে থেকে পড়ালেখা শুরু করবো ভাবছি।

ভালো কথা।

মা আজকে থেকে আমারে এক গ্লাস করে দুধ দিবা?

আর কি লাগবে?

আচ্ছা দুধ লাগবে, সকালে ৫ টার সময় উঠায়া দিলেই হবে?

জয়সন আমারে রাগাস না।

এখান থেকে দূর হ,
হাতে কিন্তু ছুড়ি আছে।

আজকেও সারডিন মাছ?

জাইসন।

জাইসন।

কি লাগবে বলো?

অনিশ ফোন দিয়েছিলো, তুই নাকি
ব্যাট আর স্টাম্প নিয়ে এসেছিস?

তো কি হইছে? আমাদের জিনিস নিয়ে এসেছি?

আমাদের?

ঐটা আমার।

সিজু চেট্টা আমাকে দিয়েছিলো।

মাঠে দিয়ে এসেছিলাম না।

তো কি হইছে? আমি নিয়ে এসেছি।

কি বললা?

কি হইছে?

কি?

ধুর বাল।

চিল্লাচ্ছিস কেন?

ভাবতেছি আমিই নিয়ে নিবো।

জয়সন তুই কি এবার চুল দাড়ি কাটবি?

তোরে দেখলে মানুষ ভয় পেয়ে যায়।

দুনিয়ার মানুষ এখানে কেন মরতে আসে?

ভাই দুইটা তরমুজ আর দুইটা পাউরুটি।

-কতক্ষণ লাগবে?
-হয়ে যাবে এক্ষুনি।

এই দোকানে কোন ফ্যান নাই।

-এখানে অনেক সুন্দর বাতাস আসে।
-তাই নাকি?

আরো চিনি লাগবে?

হ্যাঁ।

মজা না?

এই দোকানের খোঁজ কিভাবে পেলে?

ওখান থেকে তো দেখা যায়।

-মধ্যাকর্ষণের জন্য ত্বরণের...
- প্রতি সেকেন্ডে ৯.৮।

সত্যি নাকি? এটা তো সবাই জানে।

এই সমস্যাটা একটু বুঝায়া দিবি?

আমরা তো একই ক্লাসে পড়ি,
আমার সমস্যা না থাকলে তোমার থাকে কেন?

বসো সবাই।

সারপ্রাইজ ক্লাস টেস্ট নিবো আজকে।

দেখা যাক কে কে ঠিকমত পড়া পড়ে আসছে।

ম্যাডাম পরিক্ষার খাতা তো নাই।

খাতার থেকে পাতা ছিড়ে পরিক্ষা দাও।

প্রশ্ন জানার পরেও লেখতে পারি না...

আর উনি আসছে সারপ্রাইজ টেস্ট নিতে।

-কিছু পারস?
- কিছুই পারি না।

ম্যাডাম আরো তো পাঁচ মিনিট আছে,
আমি ততক্ষণ কেমিস্ট্রি পড়ি?

সবাই লেখা বন্ধ করো।

সময় শেষ, কলম রেখে দাও।

মনে হচ্ছে আমাদের কাছে বন্ধুক ছিলো রাখতে বলছে।

হাত উপরে করবো?

জাইসন সবার খাতা নিয়ে আসো।

কি করতেছো তুমি?
-ম্যাডাম ও খাতা দিচ্ছে না।

সবাই সবার খাতা নিয়ে যাও।

জর্জ...

১২ পেয়েছো...

জাইসন

তিন...

তিন?

জাইসন তোমার থেকে আশা করিনি এমনটা

ক্লাসে সবথেকে চটপটে তুমি?

তাহলে এখানে নাম্বার কম পেলে কেন?

তোমার না একটা ভাই আছে?
খুব ভালো ক্রিকেট খেলে!

জয়সন।

এখন কি করে উনি?

পড়ালেখা শেষ, বেকার বসে আছে।

জিলনা।

উনিশ পেয়েছো।

আচ্ছা ওর কাছে কি এটা তিন নাকি তেত্রিশ?

ভাই তিন পাইছে।

মনে হয় ম্যাডাম ভুল করছে।

তার তো বিশের মধ্যে ত্রিশ পাওয়ার কথা ছিলো....

সবাই খাতা পেয়ে গেছো?

এবার সবাই সিট চেঞ্জ করে নাও।

ওর ভাবের কথা মনে আছে?

কি পার্ট টাই না দেখাতো?

সব ফুটুস।

তাহলে এবার ক্লাস ক্যাপ্টেন নির্বাচন করা যাক।

মেয়েদের থেকে কে হবে?

-ঐশ্বরিয়া...
-ঐশ্বরিয়া তুমি কি বলো?

আচ্ছা।

অসাধারণ।

আমাদের তো কেউ জিজ্ঞাসা করে না?
আমি তাকে মানি না।

এদের মতো মেয়েরা ঐতিহ্যগত ভাবে
ক্লাস ক্যাপ্টেন হয়ে আসছে।

এই কথাটাই বলতে চাচ্ছিলাম।
নবম দশমেও সে ক্লাস ক্যাপ্টেন ছিলো।

আমাদের এখন সুযোগ দিচ্ছে না কেন?

-আমাদের লিডার করার জন্য বলবো।
- চুপ করবি তুই?

তুই তোর মুখ বন্ধ রাখ।

নাহলে সুই দিয়ে তোর মুখ সেলাই করে দিবো।

ছেলেদের থেকে কে হবে?

লিন্টাপ্পান ম্যাম।

লিন্টাপ্পান ঠিক হবে না।

তাহলে ডেনিস।

ওর থেকে তুমিই ভালো ছিলে।

এই জন্যই আমার নাম আগে বলেছিলাম।

শরথ লিডার হবে, ঠিক আছে?

এ আবার কোন ক্ষেতের মুলা?

তোমার মতো পাশের ক্ষেতের মুলা।

কি দেখছিস এভাবে?

কি সমস্যা তোর?

নিজেরে সামলা।

দাড়া, আমি আসছি।

এরকম অদ্ভুত আচরণ করা বন্ধ করবি এবার?

আমি চাই না তোদের ক্লাসের মেয়েরা...

আমাদের সম্পর্কে জানুক।

তাই নাকি?

তোর চেহারা দেখলেই ওরা বুঝে ফেলে...

পাউরুটি খাবার জন্য ডাকছিস।

তোর এসব কান্ড দেখে কির্তি সহ সকলে হেসেছে।

- আমারে দেখতে কি গোপাল ভাড়ের মতো লাগে?
- লাগে তো।

আচ্ছা এই কির্তিটা কে?

এদিকে এসে বস তাড়াতাড়ি,
বনরুটি হয়তো শেষ হয়ে গেছে।

ধুর ভাই!

আজকে একটা ক্লাস টেস্ট হইছে।

আমি ফেল করেছি।

বনরুটির দাম আধা পয়সা বেড়ে গেছে।

তুই কি আমার কথা শুনবি?

আচ্ছা।

কি করবো এখন? আমি তো মনে করেছিলাম আমি
ভালোভাবে পড়ালেখা করছি।

আহা।

মেনে নে তুই অতটা ভালো ছাত্র না।

এরা আবার কোথা থেকে এলো?

এদিক থেকে, দেখোনি?

আমরা নাহয় পড়ালেখা করি না তাই ফেল করেছি,
তুই তো প্রচুর পড়ালেখা করিস তাও ফেল!

কারন তুমি একটা মাকাল ফল।

তোমরা কি চুপ করবে?
একটু একা থাকতে দাও আমাকে।

কখনোই না, মনে আছে ক্লাসে কি ভাবটা ধরছিলা?

পারলে সানগ্লাসের সাথে মাথায় একটা মুকুটও পড়তি।

একটা বিষয় মাথায় রাখ,
এখন থেকে আমার পাশে বসবি।

আর তোর আরেকপাশে লিন্টাপ্পান,
ভাব ধরলে মেরে ভর্তা বানিয়ে দিবো।

এখন তাহলে কি করতে পারি?

আমাদের জন্য তরমুজের অর্ডার দাও।

হ্যাঁ।

চারটা তরমুজ।

তরমুজ, ভালো হবে।

এখন আমি কি করবো?

তেমন কিছুই না, ভাব ধরা বাদ দিয়ে দিবি।

নাহলে তোরে চিপায় ফেলে মাইর দিবো।

এখন থেকে আর কোন ধরনের ভাব ধরা যাবে না।

আচ্ছা। পরিক্ষার ব্যাপারে কি কথা বলা যাবে না?

মেলবিন তোদের ক্লাসে সুন্দরী মেয়ে আছে?

তুই কি তাহলে?

আজব মাল একখান,
খালি অদ্ভুত ইশারা করতে পারস?

আমার টাকায় বনরুটি খাচ্ছিস...

আবার আমার সাংকেতিক ভাষা নিয়েও কথা বলছিস।

ব্যাটা গিরগিটি!

ঘন্টা বাজছে অনেকক্ষণ হয়েছে।

এতো তারাহুরো করার কিছু নেই।

ওখানে কেউ মারা যাচ্ছে না।

জাইসান।

-হাই
-হাই।

এখানে কি করছো?

এইতো কেনাকাটা... করতে এসেছি।

এই হলো জাইসন, তোমাকে বলেছিলাম না ওর কথা?

হ্যাঁ বলেছেলে তো, সারাক্ষন হাসিখুশি থাকে।

হ্যাঁ।

একাই এসেছো?

না বাবা এসেছেন।

আচ্ছা আসছি তাহলে।

আচ্ছা আসছি।

বুস্ট?

রেখে দে ওখানেই। অনেক দাম ওটার।

জাইসন তুমি স্টপওয়াচ ধরো,
আমি দোলনের হার পরিমাপ করবো।

কোন দিকে তাকিয়ে আছিস?

থামার হার নোট করেছিস?

স্টপওয়াচ তো চলে না।

কই দেখি।

জাস্টিন এটা কি?

ছাগলের গলার ঘন্টার মতো মনে হচ্ছে।

তাই না?

কি?

চলো করা যাক।

সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এখানে কারা কারা ক্রিকেট খেলতে পারে?

যারা ক্রিকেট খেলতে আগ্রহী তারা
এই ক্লাস শেষ হবে মাঠে থাকবে।

মাঠে বাছাই করা হবে।

আর যারা অনিচ্ছুক?

স্যার, বিজ্ঞান বিভাগের ছেলেরা এখানে আছে।

তোমরা অপেক্ষা করো আমি ডাকবো।

কি হইছে রে?

কে জানে?

আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে ক্লাসের
কোন মেয়েরে কার ভালো লাগে।

কেন?

কেন না?

এই ব্যাপার নিয়ে কখনো যেনো
আমাদের মধ্যে মারামারি না হয়।

আমার পছন্দের কথা আমি আগে বলবো।

কির্তিই হবে।

হ্যাঁ কির্তি।

আচ্ছা ও তোরই থাক।
আমাদের কারোই ওকে পছন্দ না।

কেন ওর কি সমস্যা?

সে আমাদের সাথে ক্লাস ফাইভ থেকে পড়তেছে।

আগে অতটা সুন্দর ছিলো না।

ইদানিং তারে একটু সুন্দর সুন্দর লাগে।

ক্লাস নাইনের ছবিতে ওরে দেখতে জঘন্য ছিলো।

কিন্তু এখন তো সুন্দর লাগে?
তাতেই চলবে।

আচ্ছা তোরটা বল?

আমার তো আগে থেকেই ঠিক করা আছে।

কে?

তুই জানিস না? সে আমাদের পাশেই থাকে।

কি নাম?

নাম? .. আম্বিকা।

আম্বিকা??

আমরা মেয়ের নাম জিজ্ঞাসা করছি,
মেয়ের মায়ের নাম না।

আরে মেয়ের নামই আম্বিকা।

-এরকম আদি যুগের নাম কেউ রাখে।
- তারা রাখে তুই জানিস না আরকি।

-কির্তির আরেকটা সমস্যা আছে।
- আমার শোনা লাগবে না।

- আরে শুনেই তো দেখ।
- শুনতেই হবে।

দোস্ত তুই যাকে ভালোবাসিস,
সে তার ব্যাপারে মন্তব্য করতেছে।

ভাই ও একটা খাটাশ টাইপ মেয়ে।

সারাদিন নাকের মধ্যে আঙ্গুল দিয়ে রাখে।

সে নাকের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে রাখে আর ঐসব করে।

তাই নাকি? তুই করিস না?

আমরা তো ছেলে? মেয়েদের কি এমন করা উচিৎ?

আমি তাকে ভালোবাসতে চাই ঘৃণা করতে না।

মনে হয় সে তোকে ভালোবাসার জন্য বসে আছে।

সবাই কি তোর নিনুর মতো নাকি?

নিনু কে?

ভাই...

না জানার ভান করিস না...

আমরা সবাই এই ব্যাপারে জানি।

কমার্সের ছেলেরা তোর ঘুরাঘুরির ব্যাপারে বলেছে।

আমি সেখানে বই আনতে গেছিলাম বুঝলি।

সাইন্সে পড়া ছেলের কমার্সের বই লাগে?

আরে ভাই মালায়ালাম বই।

তো কি হইছে?

কমার্সের সবচেয়ে সুন্দরি মেয়ে নাকি?

আমি দেখছি তোকে তার পিছনে ঘুরঘুর করতে?

এই কাজ করেছে।

তো কি সমস্যা?

নিনু আসলেই সুন্দর। ওর বড় বোনরে দেখেসিস?

তার থেকেও সুন্দর।

হ্যাঁ নিনু সুন্দর।

কিন্তু তোদের ওর পিছে ঘুরে লাভ নেই।
ওকে পাবি না তোরা।

- আহ!
- পোড়া পোড়া গন্ধ আসছে।

কষ্ট পায় না।

খেলা দেখ।

- আজকে কি ঠিকানা বাসে করে এসেছিস?
- হটাৎ এই কথা কেন?

বাসের ড্রাইভাররে দেখেছিলি?

না

কি সুন্দর দেখতে।

গাড়িও জোরে চালায়।

রোগী দেখতে গেলেন।

কি?

আমারেও একটু শিখাও।

তুই এসব হজম করতে পারবি না।

তুই অন্য কিছু খুঁজে নে।

শালা কুত্তা।

মিডেল স্টাম্প উড়ে যাবে।

আমার মাথায় তেল দেয়া নিয়ে
তোমার টেনশন করার দরকার নেই।

তাহলে কি কোন ছেলে মানুষ ডাকবো?

খারাপ হয়ে যাচ্ছে চুল?

হ্যাঁ।

মা জোর করে দিয়ে দেয়।

ভালো কথা, সুরজ না আমার নাম্বার চেয়েছে।

-নাম্বার দিয়ে দিবো নাকি?
- তোমার ইচ্ছা।

সামনের সপ্তাহে আমার একটা নাচের অনুষ্ঠান আছে।

এখনো একটুও নাচ শিখতে পারলাম না।

এই নিয়ে চিন্তায় আছি।

এই জন্য নিউটনের মুখে মোছ আকাচ্ছো?

উনি রবার্ট হুক, নিউটিন না।

আমাদের ক্লাসের জাইসন রে চিনো না?

ও তো তোমার উপর থেকে চোখই সড়াতে পারে না।

ভিগিল স্যাররে দেখ।

সকালে ব্রাশ করার পরে মুখ ধুতে ভুলে গেছে...

দেখ মুখে এখনো ফেনা লেগে আছে।

আর ম্যাডামের দিকেই দেখ,
মনে হচ্ছে সকালে পেস্ট তার মুখের উপরে পড়েছে।

এ আবার কোন খেতের মুলা, ভাব দেখাচ্ছে?

এরে চিনিস না?

এর সাথে আমি আগেও খেলেছি।

ব্যাটা খবিশ আক্রমণাত্মক বোলিং করে সবসময়।

সবসময় তোর কান বরাবর বল মারবে।

সর এখান থেকে।

- আমরা কারা?
- ইয়েস।

বেঁচে থাকতে তাইলে সরে দাড়া।

-কি হইছে?
- ক্লান্ত লাগতেছে।

ঈশ্বর।

একটা কথা বল তো।

আমাদের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর কে রে?

আমাদের মধ্যে কেউই না।

আমারে কেমন হয়?

নিজেরে কি মনে করিস?

সাধারন ছেলে তুই।

সারাদিন খালি হাসিস।

ধুর কি কস। ও তো ঠিকই আছে।

দেখ জর্জ বোলিং করতেছে।

চল দেখে আসি।

এই বুদ্ধুদের আবার কি হইলো?

-ম্যাডাম নতুন স্টাম্প নিয়ে আসবো?
-কিসের জন্য?

আগের গুলি তো ভেঙে ফেলছে।

যাদের হয়ে গেছে ক্লাসে চলে যাও।

রেজাল্ট কখন দিবেন?

নোটিশ বোর্ডে দেয়া থাকবে।
ক্লাসে চলে যাও এখন।

এই তুমি জর্জ না?
-হ্যাঁ।

ধুর...

ভাঙ্গা স্টাম্পগুলি দেখ।

এখন কি ক্লাস চলে রে?

আমারো তাই মনে হয়।

ইনি হলেন রাভি পদ্মাবান।

সিসিলি মিস ছুটিতে আছেন।

কোথায় ছিলে তোমরা?

ক্রিকেট সিলেকশনের জন্য গিয়েছিলাম।

ভিতরে আসো।

এখন থেকে মালায়ালাম ক্লাস রাভি স্যার নিবেন।

তাহলে রাভি স্যার ক্লাস শুরু করুক।

- শুভকামনা রইলো।
- নমস্কার।

আমার নাম রাভি।
রাভি পদ্মাবার।

ত্রিপুনিথুরার কাছে থাকি।

আমাকে তোমাদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

লুকায়িত প্রিন্সিপাল স্যার সহ তোমাদের সকলকে আমার সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে।

কিন্তু আমার বক্তৃতা দেয়ার কোন ইচ্ছে নেই।

বক্তৃতা হলো একমুখী যোগাযোগ ব্যাবস্থা।

আর আমার প্রয়োজন দ্বিমুখি যোগাযোগ ব্যাবস্থার।

কি হচ্ছে এখানে?

সবাই চুপ করো।

তোমরা যেকোন কিছু বলতে পারো।

আমরা আলোচনা করতে পারি, বিতর্কও করতে পারি।

আর এই ধরনের যোগাযোগ টাই আমি চাচ্ছি।

বেশ ভালো।

তাহলে সবাই প্রস্তুত?

সবাই চুপ কেন?
তোমরা কি প্রস্তুত নও?

আজকে কি কেউ খাবার খাও নি?

খেয়েছি।

তাহলে বলো আমরা প্রস্তুত...

প্রস্তুত।

অসাধারণ, তাহলে শুরু করা যাক।

তোমাদের একটা গল্প বলি।

একজন বুদ্ধের গল্প।

গল্প শেষে আমরা আলোচনা করবো
গল্প থেকে আমরা কে কি বুঝেছি।

ঠিক আছে?

আচ্ছা স্যার

একদা একসময় এক বুদ্ধু মাস্টার...

ধ্যানে মগ্ন ছিলেন।

তার ধ্যান করার সময়...

একটা শামুক তার সাম্নে দিতে চলে যাচ্ছিলো

শামুকের চলার শব্দ শুনে...

মহাগুরু তার ধ্যান থেকে উঠে গেলেন

জানো বুদ্ধু শামুককে কি বলেছিলো?

হে শামুক, তুমি আমার ধ্যান ভাঙ্গালে কেন?

তখন শামুকটা বললো ...

" হে মহান বুদ্ধু!

আপনার শিষ্যরা হয়তো আপনার খাবার এনে দিবে।

কিন্তু আমার খাবার তো আমার
নিজেকেই ব্যাবস্থা করতে হবে"

কে কথা বললো?

কে হাসলো?

তুমি কি কিছু বলতে চাও?

না মানে বলতে চাচ্ছিলাম এটা সত্য ঘটনা।

তার মানে তুমি বলতে চাচ্ছো এটা সত্য ঘটনা?

নাম কি তোমার?

জাইসন।

জাইসন।

জাইসন।

-জাইসন তুমি কি খুব বুদ্ধিমান।
- হ্যাঁ।

একটু বেশিই বুদ্ধিমান না?

কিন্তু আমার ভালো লেগেছে।
এই ধরনের ছেলেদের আমার খুব ভালো লাগে।

এই ধরনের যোগাযোগ আমি চাচ্ছিলাম।

এই ধরনের যোগাযোগ হয়তো আসতে পারে
জাইসানের মতো বুদ্ধিমান ছেলের থেকে ...

বা হাবাগোবা কোন ছেলের থেকে।

যেভাবেই আসুক,

তোমরা মন খুলে আমার সাথে কথা বলতে পারো।

আমার সাথে তর্ক করতে পারবে...

পারবে আমার সাথে বিতর্ক করতে....

এমনকি আমার কথার মাঝে কথাও বলতে পারবে...

এসব আমি পছন্দ করি

এবং...

ব্যাপারগুলো আমি উপভোগ করি...

এমনকি একটু আগে জাইসনের বলা উদ্ভট জোকক্স।

তাহলে আমরা কোথায় ছিলাম?

শামুক।

অসাধারণ ক্লাস

নতুন স্যার একদম ফাটিয়ে দিয়েছে

এখন একটু প্রশান্তি পাচ্ছি।

বাচ্চারা খুব আগ্রহী ছিলো।

কিন্তু সে আমাকে অলস লোক বলেছে।

জ্ঞানী লোক এমনই হয়,
দেখেই বুঝে ফেলে।

আপনার মতো লোক সেটা বুঝবে না।

ঠিক বলেছেন।

আমার তো ভালো লেগেছে।

ফাদারের কাছে উনার নামে প্রশংসা করবো।

আমি আর রাভি কিন্তু প্রায় একই।

তাতো অবশ্যই।

কি ধরনের জোকারি এটা?

ধুয়ে ফেলো।

জঘন্য।

গল্পটা শুনেছিস?

শামুক সামনে দিয়ে যাবার সময় তার ধ্যান ভেঙ্গে যায়।

শামুক কি বুলেট বাইকে করে যাচ্ছিলো?

বোকা এর মানে বুঝতে পারলি না?

ঐ বুদ্ধুর এতোটাই গভীর ধ্যানে মগ্ন ছিলো...

যে একটা শামুকের চলার গতিও তার কানে এসেছে।

তোরাও তো...

আজব তো, তোরা তাকে কিভাবে পছন্দ করলি?

অসাধারণ শিক্ষক,
দেখিস না ক্লাস কিভাবে মাতিয়ে রাখে সবসময়।

আমার লাইফে এরকম শিক্ষক কখনই দেখিনি।

-তার মধ্যে কি সমস্যা আছে?
- কি সমস্যা নেই?

সে তোরে সবার সামনে ধরছে তাই তাকে অপছন্দ তোর।

উনি অনেক জ্ঞানী।

সতিশ স্যার তার থেকেও জ্ঞানী।

আমরা সবাই তাকে পছন্দ করি।
আচ্ছা তোর সমাস্যা কোথায়?

তোদের মতো লোকের সাথে কথা বলে লাভ নেই।

সর্যি স্যার, আমার ভুল।

না না সর্যি, আমার ভুল।

আচ্ছা ঠিক আছে।

- আমরা দুইজন তো একই জায়গার।
- হ্যাঁ।

ইন্য শিক্ষকদের দিকে দেখ...

কেউ কেউ জ্ঞানী কিন্তু সুন্দর না।

কিছু আছে সুন্দর কিন্তু মাকাল ফল।

কিন্তু রাভি স্যাররে দেখ বুদ্ধি সৌন্দর্য দুইটাই আছে।

সত্যিই। সৌন্দর্যও আছে সাথে শক্তিও আছে।

আরেকটা কথা?

আরেকবার?

মেয়েরা উনাকে পছন্দ করে কেন?

করবে না কেন?
দেখতে শুনতে ভালো।

মেয়েরা উনাকেই কেন পছন্দ করবে?
ভিজয় স্যার তো আছে?

সতিশ স্যারও তো দেখতে শুনতে ভালো?

জঘন্য ছিলো।

আমাদের মরে যাওয়া উচিত ছিলো তোর কথা শুনে।

সেটাই কর। আমার তো আম্বিকা আছে।

ঈশ্বরের কি লীলাখেলা।

সাইন্স কমার্স দুইদলেরই একই মত।

-রাভি স্যার হলেন সেরা।
- সেরা?

হ্যাঁ সেরা

ভাইয়েরা আমার।

এই ব্যাপারে আমি কোন তর্ক করতে চাই না।

কি হইছে?

ক্রিকেট সিলেকশনের ফল প্রকাশ পেয়েছে।

নোটিশ বোর্ডে নাম দেয়া আছে।

আমরা তিনজনই সিলেক্টেড।
চল দেখে আসি।

তুই কি মুখ খুলে কথা বলবি?

বলবো।

আয়তো এখন।

ম্যাডাম...

আমার নাম কেন লিস্টে নেই?

জর্জ কতবার বলেছি লাইন লেন্থ ঠিক করে বল করতে।

স্টাম্প ভাংতে পারলেই কি বোলার হওয়া যায়?

বুঝেছো, পরের বার চেষ্টা করো।

এটা কিন্তু ঠিক হয় নাই ম্যাডাম।

মাঠে ভাব দেখানোর আগে ভাবার দরকার ছিলো তোমার

স্যার।

আমার কথার ব্যাপারে কি ভাবলেন?

কি?

আগামী মাসে আমি ছুটি যাচ্ছি।

আপনাকে একটু স্টোরটা দেখতে বলেছিলাম।

ল্যাবের দায়িত্বের পরে,
অসম্ভব হয়ে পরতেছে।

স্যার এখন পিছু হটবেন না প্লিজ।

আগামী মাসে তো, তখন দেখা যাবে।

স্যার দয়া করে ব্যাপারটা একটু সিরিয়াস ভাবে দেখবেন।

আপাতত বাদ দাও।

দেখবো বলছি তো।

ভাই...

নিয়েছিস?

শালা গরু, নিজে চাইলে কি হতো?

আমি নিজেই মনিষার কাছে চাইছি,
কি ভাববে সে?

আরে ওর কাছে গেলে আমি ভয়ে গুলিয়ে ফেলি।

তোতলাতে থাকি, কথাও ভুলে যাই।

এটাই কি সত্যিকার ভালোবাসার লক্ষন?

সেদিন এই ব্যাপারে রাভি স্যারকে
জিজ্ঞাসা করা উচিৎ ছিলো তোর।

নাম্বারটা বল।

এই নে।

দোস্ত কির্তির ঠোঁটের উপরে হালকা লোম আছে,
জিনিসটা সেদিন ফিজিক্স ল্যাবে খেয়াল করছি

গোফ?

আরে ভাই এটা গোফ না।
সব মেয়েদেরই থাকে এটা।

আমার প্রেমিকার কানের পাশে লোম আছে।

কানের পাশে? তুই কি অভিনেত্রী জায়ান এর সাথে প্রেম করতেছিস?

বলদের কথা শুনছো।

কিছু কিছু মেয়েদের এরকম লোম থাকে।

তোর মতো মাকাল ফল তো
মেয়েদের ব্যাপারে এসব জানবে না।

তোর ভাই আসছে।

জয়সন।

-এদিকে আসো।
-উনি মনে হয় আসবে না।

চলে এসেছে।

এখন তো তোমার বাসায় থাকার কথা?

কোথায় গেছিলে?

অন্তো আর টেসি বাসায় এসেছে।

মুরগি নিয়েছো?

সেটা বাবা আনবে,
আসবি কিনা বল?

আসবো।

তুইও আয়।

তিনজন?

তিনজন নিয়ে চালাতে পারবা না?

চলো।

তোকে এখানে নামিয়ে দিবো।

-শোনো বাবা।
-হ্যাঁ আঙ্কেল।

আমরাও খিস্টান,
আমরাও তো চার্চে যাই।

তার মানে তো এই না আমাদের
২৪ ঘন্টা চার্চে থাকতে হবে?

আমি বাবাকে বলেছিলাম।

বাবা কিচ্ছু বলেনি।

উনি চুপ করে থাকে।

- তুমি জানেন কেন চুপ থাকে?
-কেন?

বাবা আমাকে ভয় পায়।

ঈশ্বর, আপনি আসলেই।

জাইসন খাবার টেবিলে বসলি না কেন?

না, ওখানে বসে বাবার ভাষণ
শুনার কোন ইচ্ছে নেই আমার।

খাওয়ার পরে কিছু থাকবে না।

আম্মা আমারে একটু দাও।

আর নেই।

ওদের খাবারের পরে বেঁচে থাকলে দিবো।

আড়াই কেজি আনতে বলেছিলাম,
এনেছে দের কেজি।

ওদের বললাম, দেয়াল যদি দিতেই হয়
আমার লাশের উপরে দিতে হবে।

বাবা সেখানে ঠায় দাড়িয়ে রইলো,
কিচ্ছু বলেনি।

আপনি ও না আঙ্কেল।

-খাবার খেয়েছো?
- হ্যাঁ।

জয়সন তুই এখনো কাজ করিস না?

টেসি খাবারটা তো খেতে দিবি।

একটু তো শান্তিতে থাকতে দে।

বাসায় মেহমান আসলে এতো কিছু একসাথে পাওয়া যায়।

সারাদিন টিভি দেখে কাটায়।

ওর বাবা আয়ের টাকায় সংসার চলতেছে।

ঈশ্বর সব জেনো ভালো হয়।

হ্যালো।

হ্যালো কির্তি?

হ্যাঁ।

বলো তো আমি কে ?

জাইসন? কি হইছে বলো?

তেমন কিছু না।

কালকে তো স্কুলে আসবে?

হ্যাঁ।

বায়োলজির নোটবুকটা নিয়ে আসবে?

হ্যাঁ অবশ্যই।

খাবার খাচ্ছো নাকি?

চালের পিঠা খাচ্ছি

শুনে লাগছে কোন ডাইনি হাড় চিবাচ্ছে।

কালকে আমি নোট নিয়ে আসবো।

আর কিছু বলবা?

না।

কালকে তাহলে দেখা হবে

আচ্ছা।

-জাইসিপ্পি
- কি?

দূর হ এখান থেকে।

হ্যালো।

কি হইছে?

আগের বার কল দেয়ার সময় দেখলাম কল ওয়েটিং?

শরত কল দিয়েছিলো।

কি?

আমাদের ক্লাসের শরত?

ও কি মাঝে মাঝেই কল দেয়?

হ্যাঁ দেয় তো।

কি ব্যাপারে কথা বলো?

তোমার জানতে হবে কেন?

ওহ! তাহলে আমার জানার মতো কোন কথা না?

জাইসন কি সমস্যা তোমার?

কি সমস্যা হবে?

আমি শুনলাম তুমি নাকি আমাকে ভালোবাসো।

কে বলেছে?

কে বলেছে সেটা কথা না,
ঘটনা সত্য নাকি?

জাইসন।

মাঝে মাঝে তোমার সাথে কথা বলি দেখে..

ভেবো না আমি তোমার প্রেমে পড়ে গেছি।

আমি মানুষটাই এরকম।

আরে এরকম না।

প্রথমে গ্রাফ একে নিবে।

তার পর গ্রাফের ভিতরে কারণ লিখতে হবে।

- বুঝছো
- কি?

আরে বুদ্ধু মা এসেছিলো।
বুঝতে পারছো কি বলছি?

বুঝতে পারছি।

আমি বলতে চাচ্ছিলাম...

তুমি আর আমি তো একই ক্লাসে,

সর্বোচ্চ এক থেকে দেড় বছর থাকবো।

এখন পড়ালেখার সময়।

- প্রেম করার জন্য....
- এসব উপদেশ বাণী দেয়া বন্ধ করবে?

জীবন সম্পর্কে জানতে হলে,

আমি তাহলে রাভি স্যারের ভাষণ শুনবো।

উনি এর থেকেও ভালো ভাবে বুঝাতে পারবেন।

তাহলে কি শুনতে চাচ্ছো?

আমি হ্যাঁ বা না শুনতে চাচ্ছি।

তাহলে শুনে নাও।
না।

ঠিক আছে?

আচ্ছা।

আচ্ছা।

এখানে ঘুমিয়ে পড়।

আমাদের জন্য রুমে থাকতে পারলা না?

না, খেলা থাকলে এখানেই ঘুমাই।

চাইলে রুমে ঘুমাতে পারো।

না সমস্যা নেই।

জয়সন, অন্তু তোমার জন্য গাল্ফে
একটা চাকরি জোগাড় করে দিবে।

টেসি আমারে একটা বালা বন্ধক দেয়ার জন্য দিয়ো তো?

আমার বাইকটা ঠিক করতে হবে।

চলো তো।

বালার কি হবে?

ছয়।

ভাই ছয় মারছে।

তো আমি কি করবো?
নাচবো এখন?

তোর আবার কি হলো?

শোন।

আমার মোবাইল আরেকবার ধরলে,
তোর কপালে শনি আছে।

জয়সন কারেন্ট চলে গেছে তো।

আন্তাপ্পা আগামীকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।

সত্যি নাকি?

তুই কি তারে প্রপোজ করেছিস?

হায় ঈশ্বর! পুরা ক্লাস জানে। আমি চলে গেলাম।

আরে কই যাবি।

-তুই তাকে বলিস নি?
- বলেছি।

তো কি হইছে?

কি হবে?

শুভ সকাল, রাভি স্যার।

সবাই বসে পরো।

তাহলে শুরু করা যাক।

তোমাদের মালায়ালাম বইয়ে...

ও.এন.বি এর লেখা একটা সুন্দর কবিতা আছে।

আজকে এই ব্যপারে আলোচনা করা যাক।

কিন্তু আজকে একটু অন্যভাবে শুরু করা যাক।

তোমাদের মধ্যে থেকে কাউকে নেয়া যাক...

আমাদের সবচেয়ে বুদ্ধিমান ছাত্র হলে কেমন হয়?

জাইসন।

এদিকে আসো।

এদিকে আসো?

কবিতাটা জোরে পড়ো তো।

তারপর সবাইকে বলবে এর থেকে কি বুঝতে পারলে।

আমি ছাত্র হিসেবে তোমার সিটে বসে পরি।

জাইসন আজকে আমাদের শিক্ষক।

চার্মাম(চামড়া) না চারামাম(মৃত্যু) বুঝিয়েছে।

আজকে আমাদের মান ইজ্জত সব ডুবাবে শালা।

শালারে মেরে ফেলবো নাকি।

জাইসন...

আচ্ছা চলে আসো।

এখন বুঝতে পারলা মাঠে নেমে খেলা আর

আর গ্যালারিতে বসে তালি দেয়া এক কাজ না।

যাও বসে পরো জাইসন।

"Mother Earth, Still alive...

"in the imminenceof your death...

"may your soul rest in peace.

this song I inscribe in
my heart today

is a requiem for you and me.

this song I inscribe in my heart today.

যখন বুঝতে পারলেন আমাদের
মাতৃভূমি ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে...

ও.এন.বি স্যার মনের জমানো ক্ষোভ
থেকে কবিতাটা লিখেছেন।

কবিতার কথাগুলো এখনো জীবন্ত।

ধরিত্রি মাতার জন্য শেষ প্রার্থনা ছিলো।

মা, আমিই কেন?

ভাই আমার ঘুম আসছে না।

দিনে ঘুমিয়েছিলি নাকি?

আরে না রে ভাই

আমার চোখের সামনে সে ভাসছে।

অনেকের ক্ষেত্রেই এরকম লক্ষণ দেখা যায়।

মেয়েরা শুরুতেই হ্যাঁ বলে না।
হ্যাঁ বলাতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়।

প্রথম চেষ্টায় আমি নিজেই তো পুড়ে গেছি।

আমি আর পারবো না।

আমি ভাবতেই পারিনি সে এতো সহজে না বলে দিবে।

ঝুলিয়ে তো রাখতে পারতো,

বলতে পারতো জাইসান আমরা বন্ধু হিসেবে থাকি।

ভাই এসব কথা ভুলে গেলে কি হয়?

পারবো না বলেই তো এতোক্ষণ
ধরে একই কথা বলতেছি।

দিনকে দিন ও সুন্দর হচ্ছে।

আমরা কি করতে পারি?

আমারে কোন না কোন উপায় বলবি তো।

ফোন রাখ তুই।

দূরে গিয়ে মর।

কিসের শব্দ হচ্ছে?

মনে হচ্ছে কাঠ কাটার মিলে আসছি।

সম্পূর্ণ স্কুলটাই একটা ল্যাব বানিয়ে ফেলেছে।

ক্যামেস্ট্রি কোন সাধারণ মুখস্থ বিদ্যা না।

হাতে কলমে শিক্ষা।

এভাবে করে না। আমার কাছে দাও।

জাইসব, লবনটা এদিকে দাও।

ভাই দিয়ে দে তো।

পরের ক্লাস ম্যাথ।

রাভি স্যার আসবে না?

রাভি স্যার ছুটিতে আছে।

ম্যাথ ক্লাস বিরক্তিকর।

রাভি স্যাররে ছাড়া কোন মজাই হয় না।

তুই চুপ করবি এবার?

তোর উপরে লবন ঢেলে দিবো কিন্তু।

সোজাসুজি কথাটা ওরে বললে কি হয়?

কেউ যদি এটা ভেঙে....

ভেঙে ফেলেছো?

জানতাম তোমার দ্বারা এমন কিছু হবে...

আথিসায়েন সিনেমার জ্যাকি শ্রফের মতো
দাড়িয়ে থাকতে দেখেই বুঝেছি।.

স্যার এক মিনিট।

মাম্রা স্কুলের সাথের সেমি ফাইনাল ম্যাচ পরশু দিন।

তাই কালকে দলের সবাই এসে অনুশীলন করবে।

এর জন্য তোমাকে জরিমানা দিতে হবে।

স্যার এটা তো একটা টেস্ট টিউব।

ভিপিন...

গ্লাবস, প্যাড সহ সব কিছু নিয়েছিস?

গান গাওয়া যাক, কি বলো?

গিতা ম্যাম কোথায় রে?

উনার শ্বশুর হাসপাতালে।

ভালোই তো হয়েছে, স্যার মাতিয়ে রেখেছে সবাইকে।

ঘোড়ার ডিম মাতিয়ে রেখেছে!

ম্যাচ নিয়ে টেনশনে আছি।

স্যারের গান শুন আর দুঃচিন্তা ঝেড়ে ফেলে দে।

গিতা ম্যাম থাকলে গাড়িটারে
লাশের গাড়ির মতো মনে হতো।

লাশের গাড়িই ভালো।

পানি খেতে হবে কারো বা টয়লেটের বিরতি লাগবে?

শুরু হইছে।

আমি খেলবো, লড়বো আর জিতেও আসবো।

হটাৎ করে একটা ইয়োর্কা আসলে কি করবে?

তাকে একটা চেয়ার এনে দিবো।

বেশ ভালো।

খ্রিস্টান?

পিচ দেখে নিলাম।

আজব রে?

ভাই মার।

অসাধারণ ব্যাটিং করেছো,
ক্রিজ মাতিয়ে রেখেছো।

এখন আমাদের বলিং ভালো হলেই হলো।

স্যার ওরা জিততে পারবে না।

এতো নিশ্চিতভাবে কিভাবে বলছো?

প্রতি ওভারে ১৩ রানের মতো লাগে।

আমাদের বোলাররা এতো রান দিবে না।

তোমাদের আত্নবিশ্বাস দেখে আমার ভালো লেগেছে।

তুমি কি জানো কিভাবে বল করে?

তোমাকে কি বোলিং করে দেখাতে হবে?

এক ওভার বাকি মাত্র।

মাম্ব্রা স্কুলের ১৫ রানের প্রয়োজন মাত্র।

মনে হয় না নিতে পারবে।

কে বোলিং করবে?

জাইসন বলিং করুক স্যার।

ও করবে?

জাইসনই একমাত্র বাকি আছে।

আন্থুর তো এক ওভার বাকি আছে।

ওরা অন্থুর টেকনিক জেনে গেছে।

ওর বল মেরে খেলবে।

ভিপিন তুমি বোলিং করছো না কেন?

শেষ ওভারে স্পিন বল...

রিস্ক হয়ে যাবে।

তাহলে জাইসনই বল করুক।

আমাদের কাছে তো আর জাইসনরে ছাড়া কেউ নেই?

টেনশন হচ্ছে?

না স্যার।

দেখে তো মনে হচ্ছে।

আমি ঠিক আছি।

কিন্তু চেহারা তো অন্য কিছু বলছে।

ভিতর থেকে লম্বা শ্বাস নাও।

আমি বোলিং করতে পারবো।

লম্বা শ্বাস কিভাবে নিতে হয় জানো না?
আমি দেখাচ্ছি।

কি হচ্ছে?
কোথায় বল করছিস দেখেছিস।

জাইসন স্টাম্প দিয়ে তোর মাথায় মারবো।

কোথায় বল করতে চাচ্ছিস?

এভাবে কেউ বল করে?

কিচ্ছু করার দরকার নেই, এমনেই রান পেয়ে যাবো।

মাম্ব্রা সেন্ট এন্টোনিস স্কুল ৭ উইকেটে বিজয়ী।

ধুর!

গিতা ম্যাডামরে কি বলবো আমি?

গিতা ম্যাডাম আসায় ম্যাচ জিতছে।

আমি আসলাম আর ম্যাচ হারলো।

সবাই তো একই কথা বলবে।

বাচ্চারা সমস্যা নেই।

তোমরা সবাই ভালো খেলেছো।

কিন্তু হারা তো হারাই হলো।

ওরা যদি ব্যাট করে জিততে পারতো তাহলে কথা ছিলো,

ব্যাপারটা তো হয়েছে আমরা বোলিং করে
তাদের জিতিয়ে দিয়েছি।

কিছু মানুষের বেশি আত্নবিশ্বাসী হওয়ার জন্য...

বাকি সবার আশাহত হতে হলো।

কেউ কেউ কথা না শুনে নিজের বুদ্ধিতে চলে

.. বাকি সবাইরে ধ্বংসের দিয়ে ঠেলে দেয়।

আচ্ছা ব্যাপার না।

এরকম আর করা যাবে না।

তোমরা সবাই ভালো খেলেছো।

মালবিন, ডেনিস।

তোমরা ভালো খেলেছো।

কিন্তু হারা ম্যাচতো হারাই হয়।

কি হয়েছে জানতে চাও?

একটা কথাও বলবি না।

তুই আর তোর জঘন্য বোলিং।

সব কিছুর পিছনে তুই দায়ী।

সে সব দোষ রাভি স্যাররে দিতে চাচ্ছে।
আগেই বলেছিলাম।

সবাইকে স্বাভাবিক রাখার জন্য অনেক চেষ্টা করেছে।

আমার এসব ভালো লাগে না।

গিতা ম্যাডাম তোকে ছেড়ে দিবে না।

কারো বকা শুনার ভয় আমি করি না।

শুনলি না আমাকে কিভাবে কথা শুনালো?

সোজা ভাবে কিছুই বললো না।

শেষ ওভার সহ হিসাব করলে সবচেয়ে কম রান আমি দিয়েছি।

আমি উইকেটও পেয়েছি।
কই সেসব তো কেউ দেখলো না?

তার উপরে লাস্ট ওভারে এসে উনি কি বললো।

"জাইসনের বল করার দরকার নাই"

এখন তো প্রমাণ হয়েই গেছে স্যারই ঠিক বলেছিলো।

লম্বা শ্বাস নেয়ার ব্যাপারটা দেখেছিস?

তোরও একই কাজ করা উচিত ছিলো।

তুই জানিস বিপক্ষ দলের অজিথ কি বলেছে?

স্যারকে ওদের সাথে নেয়া যাবে?

ওনাকে দিয়ে দেয়া উচিৎ ছিলো।

তুই তো জানিস কিভাবে খেলা ঘুরাতে হয়।

একজন বোলার এর কাজই তো সেটা।

উনি নিজেই খেলাটা উল্টে দিছে,
খেয়াল করেছিস একবারো?

তুই তো উইকেট কিপার ছিলি?
তোর ড্রাইভ দেয়া উচিত ছিলো।

আমি কি সুপার হিরো যে উড়ে যেয়ে ক্যাচ ধরবো!

এক কিলো দূরে দিয়ে বল গেছে।

লিখে রাখ, শালা একটা ভন্ড।

জাইসন তোর হিংসে হচ্ছে।

কির্তি ওরে ফিরিয়ে দেবার পর থেকে ওর মাথা গেছে...

আর সেই রাগ বেচারা রাভি স্যারের উপরে দেখাচ্ছে।

তুই কি?
সাধু নাকি?

তোরা থাক আমি বাড়ি গেলাম।

বাড়ি যা নাহলে মেরে বসবো।

তুই খালি ওয়াইড বল মারতে পারাভি।

আগামীকালকের ক্লাসে আরো লজ্জাজনক অবস্থা অপেক্ষা করতেছে আমাদের জন্য।

আচ্ছা, বড়দিনের বন্ধু হিসেবে উপহার কাকে দিবি?

আমার মনে হয় আমার সব শেষ।

আমার কম্পিউটার টা ফরমেট মেরে দিতে পারাভি?

তোর ক্রিসমাস বন্ধু কে?

মটু লিজো।

আমারটা কে জানিস?

কির্তি।

ওরে কি দেয়া যায় বলতো?

তুই তো ওরে ভালো করেই চিনিস?

ওরে এক মটকা গরুর গোবর দে?

এখনো শেষ হয় নাই?

বাহ! এই পোষাক কি মনে করে, স্যার?

কেন ভালো লাগতেছে না?

আপনাকে খুব মানিয়েছে স্যার।

প্রতিদিন এভাবে আসেন না কেন স্যার?

আচ্ছা দেখবো ব্যাপারটা।

রাভি স্যার আপনাকে তো খুব সুন্দর লাগছে।

স্যার, কেক।

আমার পছন্দের জিনিস।

খুব ভালো হয়েছে।

ধন্যবাদ।

কোথায় থেকে এনেছেন?

আমি তৈরি করেছি।

তাই নাকি?

অশ্বথী ম্যাডামকে যে বিয়ে করবে সে খুব ভাগ্যবান হবে।

প্রতিদিন সুস্বাদু খাবার খেতে পারবে।

আপনি তো বিয়ে করেন নি, চেষ্টা করে দেখেন?

স্যার...

-আমাদের চুক্তির ব্যাপারে কি হলো?
- আপনি এখনো ছুটি যান নি।

আগামী মাস পর্যন্ত স্থগিত করেছি।

স্টোর তো? আমরা দেখে নিবো।
এখন কেক খান তো।

কিরে মন খারাপ কেন?

রাভি স্যার কালো শার্ট পরে ভাব নিতেছে।

উনারে দেখলেই আমার মন মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।

ওরে দেখলাম দাড়িয়ে দাড়িয়ে প্রশংসা করতেছে।

বিড়িটা দে তো।

বিড়ি খেলে কি হবে আমার?

মুখে ক্যান্সার হয়ে মারা যাবি।

ক্যান্সার হয়েই মরতে দে আমারে।

সিগারেট খাচ্ছো তোমরা?

এই জন্য স্কুলে আসো?

প্রিন্সিপালের কাছে চলো।

তোমাদের বাবা মা এই ব্যাপারে জানুক।

স্যার আমাদের বাসা থেকে বের করে দিবে।

এরা লুকিয়ে লুকিয়ে সিগারেট খাচ্ছিলো।

হাতে নাতে ধরেছি এদের।

প্রিন্সিপালের এই ব্যাপারে জানা উচিৎ।

আহা, এই নিয়ে এতো চিন্তার কিছু নেই।

উৎসবের দিনে এসব করার দরকার নেই।

ব্যাপারটা আমার উপরে ছেড়ে দেন,
আমি দেখছি।

আমার মনে হয় না আপনি বুঝতে পারতেছেন কত বড় সমস্যা।

বাচ্চা মানুষ সবাই।

আমরাও তো এই বয়সে এসব করেছি?
কি বলেন।

ঝামেলা করার দরকার নেই।

ক্লাবের অনুষ্ঠানের দিকটা একটু দেখে আসেন?

আমি আসছি সেখানে।

আমি আপনাকে ব্যাপারটা বললাম।
বাকিটা আপনার উপর।

এখন থেকে আর কখনো সিগারেট খাবে না।

সিগারেট খাওয়া অবৈধ আর
এটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

আর এমন করবো না স্যার।

বেশ ভালো।

এটা আমিই নিয়ে গেলাম।

জাইসসা।

মরেই যাচ্ছিলাম রে ভাই।

মনে হচ্ছিলো পড়ালেখা বোধহয় এখানেই শেষ।

ধুর বাল!

প্রিন্সিপালও এর বেশি কিছুই করতো না।

দেখলি উনি যাবার আগে কি করে গেলো?

আমারে জাইসসা বলে ক্ষেপিয়ে গেলো।

ব্যাটা নির্বোধ
উনি আমাদের জন্য ব্যাপারটা মিটমাট করে গেলেন...

তারপরেও উনাকে দোষ দিচ্ছিস।

আমি আমার মত কখনই বদলাবো না।
উনি একটা প্রতারক।

ওর সাথে কথা বলে লাভ নেই।
স্যাররে একটা ধন্যবাদ দিয়ে আসি।

ঐদিকে না। এদিকে।

ওখানে।

এখানে ভালো লাগবে।

ভালো লাগবে তাই তো?

আমাদের তো জয়ফল গাছের কোন দরকার নেই।

-দেবদারু গাছ খুজে পেলে না?
- খুজে পেলাম না তো।

খুজে পাওয়া দরকার ছিলো

এখন সব ঠিক আছে।

-হ্যাপি ক্রিসমাস।
- ধন্যবাদ।

-রাভি স্যারকে দিয়েছো?
- হ্যাঁ।

আমার ক্রিসমাস বন্ধু হলো লিজো।

লিজো এই বেলুনটা তোমার জন্য।

মাআর বন্ধু ডেনিস।

আমার বন্ধু কির্তি।

আমার বন্ধু শরত।

-ধন্যবাদ।
- হ্যাপি ক্রিসমাস।

আমার বন্ধু জাইসন।

তোমাদের জন্য স্পেশাল উপহার।

-হ্যাপি....
- ক্রিসমাস।

- হ্যাপি....
- ক্রিসমাস।

আঙ্কেল ধরেন তো।

ঠিক মতো ধরেন।

সাজু এই বুড়ো মানুষের হাত কাটাবি নাকি?

এসব ছেড়ে এবার গোছল দিয়ে আসো।

ওরেও তোর সাথে নিয়ে যা।

সাজু ভাই কখন আসছো?

এইতো কিছুক্ষণ হলো,
তোর পরিক্ষা কেমন হলো?

খারাপ না।

তাই নাকি?

জয়সন।

আমরা নদীতে গেলাম।

আয়।

-ওরে লাগবে না।

তুই থাক তাহলে।

রাম কিনতে হবে, সকালে যেনো ঝিমুনি না ধরে।

দশ টাকা? অন্তর একশ টাকা তো দিবে।

উৎসব মিছিলে গেলি না কেন?

মন চায় নাই।

সারাদিন তোর মুড অফ কেন?
কি হইছে বল।

সাজু ভাই আমার শরীর ভালো না।

আমার জীবনে দুঃখ দুইটা।

দুইটা?

দ্বিতীয় টা আগে বল?

প্রথমটা আগে বলবো।

বল তাহলে।

প্রথম সমস্যা আমার স্যার রে নিয়ে।

রাভি পদ্মাভান।

উনি আমার জীবনের তেরোটা বাজায়া দিচ্ছে।

রাভি পদ্মাভান? স্যার?

মনে হয় না এই ব্যাপারে সাহায্য করতে পারবো।

পরের সমস্যার কথা বল।

পরেরটা হলো।

পরেরটা হলো মেয়ে ঘটিত সমস্যা।
কির্তি।

কির্তি?

তোর প্রস্তাব ফিরিয়ে দিছে।

হ্যাঁ, তুমি জানলে কিভাবে?

তুই জানিস আমার গাড়ির নাম সোলেমন কেন?

না।

তুই জানিস না?

না।

- তুই জানিস না?
- না।

তাহলে তোর জানারই দরকার নাই।

মেয়েরা হলো লোহার মতো...

আর ছেলেরা হলো চুম্বুকের মতো...

মেয়েরা সবসময় আমাদের আকর্ষন করে।

কিন্তু আমাদের সেই আকর্ষন কাটিয়ে উঠতে হবে।

আমার মনে হয় না আমি পারবো সাজু ভাই।

ও না অনেক সুন্দর।

সাজু ভাই...

আমারো একটা গল্প বলার আছে...

তোর গল্প শোনার জন্য পরের ক্রিসমাস
পর্যন্ত সময় আছে, আগে ওর গল্প শুনে নেই।

এই দুইটা সমস্যা আমার জীবনে না থাকলে
আমার থেকে সুখি জীবন কারোই হতো না।

তুই আমার কথা শুন,

এক কাজ কর।

সিম কার্ডটা খুলে ফেল।

ভাই এটার সিম নেই।

এর মধ্যে সিম নেই, আমার কাছে দে।

তাহলে এটার সিম কার্ড খুলে ফেল, রাখ তোর কাছে।

এটায় কি ৪জি সাপোর্ট করে?

তোরে একটা থাপ্পর দিবো।

আমরা তারে অপহরণ করে মাইর দিতে পারি না?

সাজু ভাই, এর দরকার আছে।

হয়তো দরকার আছে।

আমি কাজ করে টাকা উপার্জন করতে চাই না।

শিক্ষার নাম করে ছাত্রদের উপরে হাত তুলতে পারি না।

সিসিক্সেইচসিক্স।

বেঞ্জেনি।

ও ঈশ্বর!

I am so cursed!

I am being robbed.

It is a backstab.

It's dark everywhere

I'm sitting inside it.

Even in the scorching sun,
I can see nothing.

সব কিন্তু হাতের বাহিরে চলে যাচ্ছে,

I pray to you my lord...

ভাই এটা পাওয়া যাবে?

The flex? Take it.

তাহলে দুই কেজি সারডিন দেন।

I have given up on my dreams.

কি হইছে জাইসন?
ম্যাডাম রেগে আছে?

কথা বলবো আমি?

জাইসন...

নারিকেলের খোসাটা সড়াও তো।

ভারতে তিন ধরনের মশা পাওয়া যায়...

এটা কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ মূহুর্ত।

সে যদি তোর পিঠা গ্রহন করে...

তাহলে ঠিক আছে।

আর যদি না করে...

তাইলে আর বলার কিছু নেই।

অপেক্ষায় আছি।

কির্তি, পিঠা খাবা?

সর্যি, আমি না তেল জাতীয় পিঠা খাই না।

মনে হয় অভিশাপ দিয়েছে।

সবাই খাওয়া শুরু করো।

আপনি কি করতেছেন আন্টি?

দেখতে পাচ্ছো না দাড়িয়ে আছি?

দেখলি কি ভাবটাই না ধরলো।

আরে না রে তৈলাক্ত পিঠা তো তাই।

আমি খাবো না, তুই খেয়ে নে।

একাই খাবা, লোভি একটা?

Oh my god!

Is there no end to this suffering?

Is there no end to this darkness?

কি হইছে?

রাভি?

কোন রাভি?

যেয়ে আব্বু আম্মুর সাথে ঘুমা।

ঐদিকে ফিরে ঘুমা,
আমার উপরে চলে আসছিস।

একবার দেখেও নি।

ঐ যে, কথা বলে আয়।

কি বলবো?

আরে স্কুল ছুটি হয়ে যাচ্ছে, অনেকদিন দেখা হবে না।

কি জিজ্ঞাসা করবো?

আরব ছুটিতে কি করবে এইসব জিজ্ঞাসা কর।

আমার মনে হয় জিজ্ঞাসা করা উচিত

যা তো ভাই।

কির্তি, এই ছুটিতে কি করবে?

তেমন কিছু না।

-শুনলাম তুমি নাকি চেন্নাই যাচ্ছো!
- হ্যাঁ সামনের সপ্তাহে।

আমি ফোন দিবো।

এখন খুশি?
খুব খুশি!

আমি চললাম।

ভাই দাড়া।

- চল ছবি দেখে আসি।
- ধুর ভাই।

আরে টিকেটের টাকা আমার, চল তো

-ডেনিস?
- হ্যাঁ?

আমি কি দেখতে শুনতে ভালো?

খারাপ না।

আমার ধারে কাছে কেউই নেই।

মেয়েরা কি আমাকে পছন্দ করবে?

ওদেরকেই জিজ্ঞাসা করে দেখ?

পাশে থেকে তোরে দেখতে ভিজয় আন্নার মতো লাগে।

তাহলে কির্তি আমারে পছন্দ করে না কেন?

তোর ভিতরে থাকা অহংকার হয়তো
তার পছন্দ না করার কারণ হতে পারে।

এমনকি আমাদেরও ভালো লাগে না।

কিন্তু আমি জোক্স বললে তো সে হাসে।

আমার জোক্স শুনলে তুই কি হাসিস না?

সবাই জোক্স শুনলে হাসে।

বাদ দে তো।

যথেষ্ট হয়েছে এই ব্যাপারে

এই ব্যাপারে ভাবা ছেড়ে দিচ্ছি।

আর কোন কথা হবে না এই ব্যাপারে।

তার নামও আমি কখনো উচ্চারণ করবো না।

সত্যি নাকি?

এই না হলে আমার দোস্ত।

নমস্কার।

সেন্ট সেবিস্টিয়ান স্কুলের নতুন শিক্ষাবর্ষে...

আগত সকল নতুন শিক্ষার্থীদের
আমি স্বাগতম জানাচ্ছি...

বক্তৃতা আসলে একমুখী যোগা যোগ ব্যাবস্থা।

পরিচিত কথা মনে হচ্ছে?

রাভি স্যার।

এই ব্যাপারে একটু আলোচনা করা যাক।

একটু খোলামেলা ভাবেই বলি।

আমরা কি এই ধরনের অংশগ্রহণের খোঁজ করছিলাম?

আগেই শুনেছি?

রভি স্যারের ছোঁয়া লাগছে।

শুধু ছোঁয়া না সাথে তার প্রভাবও পড়েছে।

নতুন বাচ্চাগুলারে দেখ।

সবগুলারে ভালো মনে হচ্ছে।

সত্যি বলতে কার্মেল থেকে অনেক এসেছে...

আমাদের ব্যাচের থেকেও খারাপ অবস্থা।

জানিস নাকি লিন্টাপ্পান প্রেম করতেছে।

তাই নাকি? কেমনে সম্ভব?

কার সাথে?

মনিশার কথা মনে আছে?

মেসেজ করে পটিয়ে ফেলছে।

সন্দিপ চুপ কর।

ওর সামনে কোন প্রেমের কথা হবে না।

- ওর মন খারাপ হতে পারে।
- সর্যি ভাই।

আমার এবং রাভি স্যারের হাত ধরে,

আমাদের বিদ্যালয়...

শতভাগ পাশের কৃতিত্বের দিকে এগুচ্ছে।

একই ধারাবাহিকতা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে।

অব্যাহত থাকতেই হবে।

আপনারা সেটা করে দিবেন।

আমাদের প্রয়োজন।

দূর্ভাগ্যক্রমে...

রাভি স্যার রাস্তায় আছেন এখনো.....

নাহলে,

উনি এখন এখানে

আমার সাথে উপস্থিত থাকতেন।

আরো একবার আপনাদের ধন্যবাদ
জানানোর মধ্য দিয়ে...

আমি আমার বক্তব্য এখানেই শেষ করছি।

মালটা কই রে?

কে? কির্তি?

রাভি পদ্মাভান।

কোথায় আছে রে?

উনার অনুপস্থিতিতেও...

উনার কথা বাতাসে উড়ে বেড়ায়।

অস্থির বাইক তো।

তাই নাকি?

- আপনার নাকি?
- হ্যাঁ।

আলাফুজু গিয়েছিলাম বাইক প্রদর্শনী দেখতে।

সেখানে এটাকে দেখলাম।

বন্ধুর প্রদর্শনীতে ছিলো...

কিন্তু আমি নিয়ে এসেছি।

১.১০ লাখ টাকা।

১৯৭৪ সালের মডেল।

নতুনই তো কিনতে পারতেন।

নতুনে তো আর এর মতো মজা পাবো না।

চালাতে থাকেন তাহলে।

টাট্টু ঘোড়া একটা।

স্টাফ রুমের দিকে যাচ্ছি আমি।

পুরাতন মুলা নতুন প্যাকেটে প্রদর্শন করতেছে।

কোন পরিবর্তন নেই।

সত্যি?

পরে দিচ্ছি।

প্রথম স্থানে আছে শোকার্পেট ...

এই বিশ্বের অবস্থা বেশি ভালো না।

লেলিন আর স্টেলিন কোথায় আছেন?
ঈশ্বর আমাদের সহায় হোন।

ইলুমিনাতির ব্যাপারে লিখো।

ই...

প্রানীবিদ্যার নোটবই আছে?

নেই।

এক বন্ধুকে দিয়েছি।

অন্যকারো কাছে হয়তো আছে?

জিজ্ঞাসা করে দেখতে হবে।

পরিক্ষা সামনে তো,
খুজে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

তুমি কি গান গাও?

গান?

একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে এসেছিলে মনে আছে।

সেবিন কারিপ্পিয়ালির সাথে লেলিন চার্চে?

আমার মামাতো ভাই, কিভাবে চিনো?

সেভিন ভাই আমাদের সাথে টুর্নামেন্ট খেলেছিলো।

এক ওভারে পাঁচ ছয় মেরেছিলো।

অন্য কোথাও...

- আমি আসি তাহলে?
- অবশ্যই।

বই পেলেই আমি তোমাকে জানাবো।

-কি হচ্ছে ভাই?
- কিছুনা।

তোমাদের পড়ালেখা শেষ হবার আগে
আমার টাকা শোধ করে দাও।

তোমাদের বড় ভাইয়েরা আমারে
২০০০ টাকা ধরা খাওয়া গেছে।

ভাই আমি এদের এখানে নিয়ে এসেছি না।

ওরা যদি টাকা না দেয়।

তুমিতো জানোই আমার বাবা কত বড়লোক?

আগে তুমি তোমার নাম ঠিকানা আমারে দাও।

তুমি আমাদের বিশ্বাস করো না?

আমি কাউরেই বিশ্বাস করি না।

লিন্টাপান, সন্দিপ আর লেলিন প্রাইভেট পড়তে যায়।

আমরাও কি যাবো নাকি?

ভিকাশের কাছে?
আমার ইচ্ছে নেই।

এমনেই খেলার সময় কম পাই...

সেই সময়টা হারাতে চাই না আমি।

সেদিন তোর সাথে কথা বলছিলো মেয়েটা কে রে?

কারাপ্পাদাম থেকে এসেছে...

বই চাচ্ছিলো আমার কাছে।

আমার মনে হলো ভালো আছে মেয়েটা।

খারাপ না, হাসিটা সুন্দর।

চেষ্টা করবো নাকি?

হয়তো ঈশ্বর তোর জন্যই ওকে এখানে পাঠিয়েছে।

হয়তো।

তোদের দুইজনের কি মাথাটা গেছে নাকি?
খালি মেয়েদের পিছনে ঘুরাভি...

ধুর!

প্রানীবিদ্যা বইটা আমি তোমাকে দিতে পারবো।

তুমি না বললে কাকে জানি দিয়েছো।

ওর সেটা লাগবে না।

তোমার লাগলে আমি নিয়ে আসবো।

না না কষ্ট করার দরকার নেই।

অন্য কারো থেকে নিয়ে নিবো।

- তোমার নাম স্টেফি না?
- হুম।

- আমি জাইসন।
- হুম।

তোমার ইন্সট্রাগ্রাম ছবিতে
একটা মেয়ে তীর ছূড়তেছে ঐটা না?

আমি রিকুয়েষ্ট পাঠিয়েছি।

এক্সেপ্ট করো।

ফলোও কইরো।

স্টেফি তোমার মোবাইল নেই?

নাম্বারটা দিবে?

কিসের জন্য?

পড়ার ব্যপারে হোয়াটসঅ্যাপ করা যাবে।

তোমার নাম্বার বলো, আমি কল দিবো।

-তুমি দিবে?
- আচ্ছা।

তাহলে লিখে নাও।

তুমি বলো আমার মনে থাকে....

১১ টা নাম্বার হলো যে।

কই ১০ টাই তো।

তোমার পছন্দের রং পিংক না?

আমার গাঢ়ো সবুজ।

মনে রেখো।

স্কুলে তোমার প্রিয় শিক্ষক কে?

ভিজিল স্যার৷ না না।

রভি পাদ্মাভান স্যার।

জাইসাপ্পা...

কে রে এই মাকাল ফল?

আমাদের সাথে কথা বলার সময় তো খুব ভাব ধরে।

কোনদিন জানি শালারে মেরে বসি।

- বিন্দু ম্যাডাম।
- হ্যাঁ?

কিছু লাগবে?

ফিজিক্স পেপার ঠিক করতে হবে?

মিস, রাভি স্যারের ব্যাপারে...

হ্যাঁ, রাভি স্যার?

উনারে আমার ভালো লাগে।

সত্যি?

হ্যাঁ।

আমি কি বাসায় জানাবো?
আপনার কি মনে হয়?

ভালো উদ্যোগ বলেই তো মনে হচ্ছে।

একই সাথে চতুর, সুন্দর আবার
বুদ্ধিমান লোক খুজে পাওয়া দুস্কর।

উনার সাথে এই ব্যাপারে কথা বলেছ?

একটু আকটু আচ দিয়েছিলাম।

হা বোধক জবাব পেয়েছিলাম।

তাই নাকি?

অনেক ভালো সম্বন্ধ হতে যাচ্ছে।

ঠিক বলেছি না?

এই ব্যাপারে আপাতত কাউকে জানানোর দরকার নেই।

কাউকে বলবো না।

অনেকদিন ধরেই তো তার পিছনে ঘুরতেছিস।

কদ্দুর কি হলো?

প্রায় পটে গেছে।

এখন খালি প্রকাশ করা বাকি।

তার মানে এখনো বলিস নি তাকে?

না, কিন্তু আমাদের প্রতিদিন কথা হয়।

বাহ, কির্তি এসব দেখে হয়তো জ্বলতেছে।

কেন? আমার সাথে কি খারাপ কিছু করছে নাকি?

আমারে ফিরিয়ে দিয়েছে।

এই জন্য তার উপরে আমার কোন ক্ষোভ নেই।

ভাই আয়নায় নিজেরে দেখেছিস।

দুধে ধোয়া তুলসি পাতার মতো ভাব নিচ্ছিস,
বাদ দে এবার।

তুই এমন কেন রে ভাই?

বলেছিলি আমার সাদা মনে কাদা আছে।

এখন তো দেখছি তোর সাদা মন কাদায় ভরে আছে।

তাই নাকি?

সত্যিই তো।

আমি বুঝিনা কানের পাশে লোমওয়ালা
মেয়েরা তোর সাথে কিভাবে প্রেম করে।

কি জানি নাম মেয়েটার?

আম্বিকা।

এটা ঠিক বলেছিস

আচ্ছা লোমের ব্যাপারটা বুঝলাম না?

লোমের কথা বাদ দে।

তোর মনই বিষাক্ত।

তাহলে এখন সব দোষ আমার?

ভাই একটা সমুচা।

আমারে কি দেউলিয়া বানাবি নাকি ?

রাভিবার চেহরি বিচে যাবো, কি বলিস?

এই গরমে, না ভাই।

তুমি কি সিংগাড়া হাতে নিয়েই ছিলে?

তোর বাবা না বড়লোক?

চেহেরি বিচে কে যাবি?

এই রাভিবার আমাদের চার্চে অনুষ্ঠান আছে।

তোদের ফকিন্নি মার্কা চার্চে

খালি তেলের পিঠা দিতে পারবে।

-তেলের পিঠা?
- হ্যাঁ।

কাচ কলা দিয়ে খাসি সাথে ভাতও দিবে।

আসতে চাইলে আসিস।

যাবি নাকি?

আমি আসছি না

- তুই আসবি?
- ভাবতে দে।

জয়সনরে নিয়ে আসবো তাহলে।

- তোর ইচ্ছা।
- সত্যি নাকি?

হ্যাঁ। মন চাইলে আসিস।

পরে তো চিতই পিঠা দিবে না?

একবার বললাম না খাসি।

সিজু স্যার এক চক্কর দিয়ে পড়ে গেলো।

আমি আর জয়সন হাসতে হাসতে মরেই যাচ্ছিলাম।

জোক্সস ছিলো, বুঝছো?

হুম।

তারপর বলো?

তুমি কি চার্চে যাও?

এই হুম হুম বন্ধ করে

কিছু বলবে?

তুমিই বলো।

কি লাগবে তোমার?

সর তো।

কি হইছে?

আরে সর তো।

এখানে কি খুজতেছো?

আরে সর তো এখান থেকে।

আমার হেলমেট দেখসস?

এখানে নাই।

এখানে আছে মনে হয়।

ভাই একটু একা থাকতে দে?

বাবার হাফপ্যান্ট আবার পড়েছিস তুই?

ফেরত দিয়ে দিস।

ভাই আসছিলো।

জাইসন।

গান গেয়ো না।

খাবারের পরে গাইবো।

কি?

গান?

তার কি কোন দরকার আছে?

তাহলে রেখে দাও।

I am weakened parrot unable to leave the home.

মনে হয় না এবারও কিছু হবে।

কি হবে?

আরে স্টেফির সাথে।

কি হইছে?

আমার কেমন জানি লাগতেছে।

আমি আরেকটু গোস্ত নিয়ে আসি।

নিয়ে আয়। আগে এগুলো শেষ করি।

তার মধ্যে না কোন রকম আবেগ নেই।

যেটাই বলিস না কেন তার উত্তর হবে হু বা হা।

আমি ভাই আর পারতেছি না।

ভাবছিলাম তোর দ্বিতীয় কষ্ট দূর হয়ে গেছে।

এখন আবার আমাকে একই গান আবার শুনতে হবে।

মেয়েটা কি কির্তির থেকে ভালো না?

না কির্তিই ভালো।

ঈশ এখন যদি একবার তারে দেখতে পারতাম।

ধুর ভাই...

ফোন দিয়ে বলে দে সব কিছু এখানেই শেষ।

আমার মনে হয় কাজটা এখনি করা উচিৎ।

-এখনই?
- হ্যাঁ।

তাহলে ফোন দে।

হ্যালো।

হ্যালো স্টেফি।

হুম।

আমি আমাদের ব্যাপারটা নিয়ে ভাবলাম।

আমরা কি ততটাও কাছের ছিলাম নাকি?

দুনিয়ায় সব ক্ষেত্রেই ভালো খারাপ আছে।

তুমি কিছু বলছো না কেন?

বলো।

আমি আর তোমাকে ফোন দিবো না, ওকে?

তোমার কিছু বলার আছে?

খাবার খাইছো?

তোমার কি কোন কিছু অনুভব হচ্ছে না?

কি অনুভব হবে?

আমি আর কখনো তোমাকে ফোন দিবো না।
রাখো ফোন।

শুধু শুধু সময় নষ্ট হলো।

তারাতাড়ি আয়।

একটু গোস্ত আছে আর।

শুনলাম রাভি স্যার আর অশ্বথি ম্যাডাম বিয়ে করছেন।

এসব গুজব ছড়ানো বন্ধ করবি?

আমি ছড়াচ্ছি না।

কমার্সের ছেলেরা ছড়াচ্ছে।

আমার দোষ দিবি না।

এখানে দোষের কি আছে?

আমি যদি অশ্বথি ম্যামের জায়গায় থাকতাম

আমি তারে সাথে সাথে প্রপোজ করে দিতাম।

তোর খাওয়া শেষ?

কি সমস্যা ভাই?

আমার সাথে ঝামেলা করবি না।

আমি কি করলাম?

ওর আবার কি হলো।?

এই।

ছাড় আমারে।

ও আমারে মারছে স্যার।

ও শুরু করছে।

তোমার ক্লাসে যাও।

জাইসন কি সমস্যা?

সব ঝামেলার মধ্যে তুমি আছো।

সবসময় আমি তোমাকে বাঁচাতে পারবো না।

আমার অনেক কাজ বাকি আছে।

সে তোমারে মেরেই ফেলতো।

এরকম হতে দেয়া যাবে না।

কিন্তু আমি তো।

তোমার ক্লাসে যাও।

কি হলো তোর?

- বাসিল মারছে আমারে।
- কোন বাসিল?

কই ছিলি তোরা?

ঘটনা কি হইছে খুলে বল।

আমি ওরে সরিয়ে আমার প্লেট ধুতে নিয়েছি,
আর ও আমাকে মেরেছে।

জাইসন তোর শার্টে মাছের কাটা লেগে আছে।

ধুর বাল।
উনি ওখানে দাড়িয়ে দাড়িয়ে সব দেখছিলো।

কে?

রাভি স্যার।

তোরা কিছু করবি?

আমরা কি করবো?

তোদের কিছু করতে হবে না।
আমি জানি কি করতে হবে।

বাসিল কে রে?

আরে সাইন্সের স্বাস্থ্যবান ছেলেটা।

বডিবিল্ডার টাইপ ছেলেটা।

তাহলে এখন তোর আমাদের দরকার পড়ছে?

মনে আছে কিভাবে স্টাম্প নিয়ে চলে গেছিলি?

থাম তো অনিশ।

কি করছিলো ভূলে গেছিস?

কে রে?

সাইন্সের বাসিল।

কই থাকে?

মুরিক্কুম্পাডাম।.

বাইক নিয়ে আয়।

তুই এখানেই থাক।

বাসিল মাইর দেয়ার পরে,
ও তোরে ফোন দিয়ে বলে দিবে।

তুই ওর কান্নার শব্দ শুনতে পাবি।

তোদের মধ্যে বাসিল কে?

ভাই কি হইছে?

বলটাতো দেখতে ভালোই।

বৃষ্টি থামলে নিয়ে নিস।

বাসিল কে রে?

তুই নাকি?

বাসিল ...

জাইসানের ভাইয়েরা চলে এসেছে।

ওর গায়ে যে হাত দিয়েছে,
আজকে তাকে কাঁদিয়ে ছাড়বো।

এটা তো পাক্কা নিয়ত করেছি।

বাসিল কে রে?

আমি বাসিল।

জাইসন কে রে?

ভাই জাইসন না বাসিল।

হ্যাঁ বাসিল।

আমিই বাসিল।

আপনি হয়তো আপনার বাচ্চাদের
গুন্ডা মাস্তান বানানোর ইচ্ছা পোষন করেছেন।

কিন্তু এখানে আমরা তার প্রশ্রয় দিচ্ছি না।

এটা একটা সনামধন্য স্কুল।

কি সাংঘাতিক ব্যাপার।

বাচ্চাদের স্কুলে মারামারি করতে দেখেছি।

কিন্তু বাহিরের লোকজন ডেকে এনে মারামারি?

প্রথমবারের মতো এই স্কুলে এমন কিছু হইছে।

স্যার, ও খুব ভালো ছেলে।

জানি না ইদানীং কি হইছে ওর।

এবারের মতো মাফ করে দিন স্যার।

আসলে সে ঐ লোকেদের আনে নি।

তারা গায়ে বেধে ঝগড়া করতে এসেছিলো।

আচ্ছা আপনি কে?

আমি ওর বড় ভাই।

ওর বাবা মা কই?

ওর আম্মা খুবই অসুস্থ...

আর বাবা কোয়েম্বাটুরে আছে।

এই জন্য আমি এসেছি।

তোমার উপরে আমার নজর থাকলো।

আর যদি এরকম কোন কিছু ঘটে...

তাহলে স্কুল থেকে বের করে দিবো।

বুঝতে পেরেছো?

আজকে থেকে ক্রিকেট খেলা আর আড্ডাবাজি বন্ধ।

এখন থেকে শুধু পড়াশুনা।

এরকম ঘটনা আবার ঘটলে বাসা থেকে বের করে দিবো।

স্যার দয়া করে ওর উপরেও একটু নজর রাখবেন।

কিছু হইলে আমারে জানাবেন।

আমি সাথে সাথে চলে আসবো।

আচ্ছা।

- ধন্যবাদ স্যার।
- দূর হও এখান থেকে।

তুই সর।

ছেলেটা কই থাকে?

কে?

বাসিল।.

কি জন্য?

তোর গায়ে হাত তুলছে না।

শালারে মারবো।

আমারে স্কুল থেকে বের করে দিবে।

প্রিন্সিপালের সামনে তো মাসার তেরেসার ভাব নিলে।

হয়তো মাদার তেরেসার ভাব নিয়েছি,
কিন্তু এখন আমি চে গুয়েভারা হয়ে গেছি।

সব তোর জন্য,
কই থাকে সেটা বল।

ভাই, তোমার কিছু করার দরকার নেই

আর কোন ঝামেলা করতে চাই না।

ওরে শিক্ষা না দিয়ে আমি থামছি না।

আগে পরিস্থিতি ঠান্ডা হতে দাও,
পরে দেখে নিবো ওরে।

সামনে একটা শিক্ষা সফর আছে,
আমাদের সেটার থেকে বঞ্চিত করো না।

বাসায় তারাতাড়ি চলে আসিস,
আমি সব রেডি করেই রাখবো।

আমাদের ডুবাবে রে ভাই।

কই থেকে এনেছিস উনাকে?

এর জায়গায় বাবারে নিয়ে আসলেও পারতাম।

স্যার...

এই বছর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে
নিভিন পাউলিরে আনলে কেমন হয়।

আপনার কি মনে হয়?

নিভিন পাউলি আসলে আজু ভার্গেসও আসবে।

এই কথাটাই বলছিলাম।

স্যার...

আমাদের স্কুলে নিভিন পাউলির দরকার নেই।

আমাদের স্কুলের প্রয়োজন উন্নতির।

খোলাসা করেই বলি।

গত পাঁচ বিছরে...

আমাদের স্কুলের পাশের হার ৭১% এর বেশি ছিলই না।

কিন্তু এবার...

শতভাগ ছাড়া কিছু ভাবতেই পারছি না।

তার পরে আমরা নিভিন পাউলির সাথে কথা বলবো।

আচ্ছা...

এই আজু ভার্গেস আবার কে?

মনে হয় কোন পরিচালক?

জাইসসা বল কি সমস্যা...

কই গেলা তুমি?

আমি মুন্নুরে আছি, কেন কি হইছে?

কিন্তু তুমি তো বললা বাসিলরে মারবা।

আমি তো ভুলে গেছি রে।

বাহ!

আমি আগামী সপ্তাহে এসে দেখতেছি ব্যাপারটা।

তার আর দরকার নেই।

তুমি তোমার ইচ্ছে মতো সময় নাও।

আমাদের উপরেই ছেড়ে দাও।

তাইলে ফোন রাখ, পরে কল দিস।

আমি একটু ব্যস্ত আছি।

আচ্ছা।

জানতি না বাসিল স্টেফিরে পছন্দ করে?

ভাই স্টেফি নিজেই জানে না।

আমি তাহলে কিভাবে জানবো,
তার উপরে ওরে ধাক্কা দিছি।

আমরা শিক্ষা সফরে কোথায় যাচ্ছি?

আবার আগের জায়গায়...

অটি, মাইসর এসব জায়গায়ই।

ওয়ান্ডারলা যাবে না?

সেটাই তো, ওয়ান্ডারলা গেলে কি হয়?

মনে হয় তারা ভুলেই গেছে।

কখন যাচ্ছে?

তোরা আসলে আমরা যাবো।

আমরা আসলে কমার্স যাবে।

রাভি স্যারতো একজনই।

উনার দিকটাও ভাবতে হবে।

উনি আমাদের সাথে থাকুক এটা চাই না আমি।

তার উপরে কির্তিও আছে।

আমার মনে হয় ওরে একটা থাপ্পর মারি।

সারাক্ষন ...

"রাভি স্যার, রাভি স্যার, রাভি স্যার"

ভাই এভাবে টানিস না।

আর জুতা নাই আমার।

প্রিন্সিপাল তো বলেই দিয়েছে...

রাভি স্যাররে ছাড়া কোন ট্যুর হবে না।

উনিই নাকি একমাত্র আমাদের সামলে রাখতে পারেন।

তার মানে তো আমাদের সাথে অশ্বথী ম্যামও থাকবে।

এটা আর বলতে।

অনেকক্ষন ধরে দেখতেছি খালি চুলকাচ্ছিস।

সকালে দেখলাম হাতে একটা ফুসকুড়ি উঠছে।

আমি উঠিয়ে ফেলেছি...

এখন দেখি ঘাড়েও হইছে একটা....

কোথায় যাচ্ছিস?

রেশনের দোকানে।

কোন হাতে রে?

ডান হাতে।

খাইছে আমারে।

-কোথায় যাচ্ছিস?
- আসছি এখনই।

তোর চিকেন পক্স হইছে।

চিকেন পক্স?

কি খবর বল?

জাইসাপ্পা...

আমার মনে হয় শিক্ষা সফরটায় আর যাওয়া হলো না।

চিকেন পক্স হইছে আমার।

ডাক্তার বলছে ১৫ দিন ঘরে বিশ্রাম নিতে।

আমার তো শুরু থেকেই সন্দেহ ছিলো।

এখন রেস্ট কর তাইলে।

তুই সুস্থ হইলে আমরা মুন্নুর যাবো।

কি মেডিসিন নিচ্ছিস?

হোমিওপ্যাথি।

খুবই ভালো।

ভালো থাকিস তাহলে।

ঘুরে আয় মজা মাস্তি কর।

কি বলে জানি ডাকলি?

জাইসাপ্পা না?

শালা চিকেন পক্স আমারে আরেকবার এই নামে...

ডাকলে তোর গালে একটা বসায়া দিবো।

মনে হয়না এতে কাজ হবে।

মা...

দেখো তো আমার শরিরে কোন ফুসকুড়ি উঠছে নাকি?

নাহ কিছু নাই।

নাই তো?

কি হইছে?

সাতিশ আমি আসছি এখুনি।

তুমি কিন্তু স্টোর বুঝিয়ে দাওনি এখনো।

প্রথমে তো আমার থেকে নিতেই চাও নি...

আর এখন দিতে চাচ্ছো না?

তুমি কি তাহলে দিবা না?

দোকানে কিছু জিনিস উঠিয়েছি।

সেসব বিক্রি হোক আগে।

দোকান বুঝিয়ে দেয়ার জন্য তোমার হাতে সময় নেই।

আমাকে নিয়ে চিন্তা করো না।

তুমি বরং ফটোকপি মেশিনের দিকে দেখো?

আমি আনিয়েছি।

তোমার কি মনে হয় আমি এসব তোমাকে দিয়ে দিবো?

তাই নাকি?

সতিশ আমার কথা কান খুলে শুনে রাখো...

তোমাকে এক সপ্তাহ সময় দিচ্ছি...

দোকান খালি করে দিবে। নাহলে...

ব্যাপারটা খারাপ হবে।

দেখাই যাক।

সাসপেনশন বেশি ভালো না।

মুড়ির টিন একটা।

মাথা জেট গাড়িটা ভালো হতো।

এন্টোনি ভাই আমার ভাইয়ের বন্ধু ছিলো।

চুপ কর, চাপা মারিস না।

এন্টোনি ভাই তোর ভাইয়ের বন্ধু?

সম্ভবই না।

সবাই প্রস্তুত?

প্রস্তুত।

এখন আমি ...

ডলবি সাউন্ড,

এখন আমি.....

এখন আমি কবি এজহুথাচান এর
একটা কবিতা শুনাবো তোমাদের।

স্যার বিয়োজ্ঞাম হবে ন্যায়োজ্ঞাম না।

বুদ্ধিমতি, আসলে ভূল আমারো হয়।

লোকটা মনে হয় প্যাচালের উপরে ডিগ্রি নিয়েছে।

জাইসন চুপ কর তো।

আমরা একেকজন একেক জায়গায় থেকে এসেছি।

সবাই একসাথে হয়েছি।

জীবন তো একটাই, আর এরকম মূহুর্তে
আমাদের কি করা উচিত?

উপভোগ করা উচিত।

রেডি?

রেডি।

পোন্নাপেট্টান তুমি রেডি তো?

বাস ড্রাইভারও তার পরিচিত।

ভাই তুই বাস থেকে নেমে যাচ্ছিস না কেন?

ভাই শিক্ষা সফরটা নষ্ট করিস না।

আমরা তাহলে যাত্রা শুরু করছি?

আশা করি সবাই সবার মোবাইল,

চার্জার, পাওয়ার ব্যাংক আর ওষুধ নিয়েছো।

সবাই আছে তো এখানে?

জাইসন স্যার।

ও অসুস্থ, বাসে বিশ্রাম নিচ্ছে।
নিয়ে আসবো এখানে?

না ওখানেই থাক।

জাইসন আমাদের ক্লাসের সবচেয়ে দূর্বল ছাত্র।

আমাদের স্কুলের শতভাগ পাশের সুযোগটা

হয়তো ও নষ্ট করে ফেলবে।

আমি তারে চিনতে ভুল করেছি।

আসলে সে খারাপ ছাত্র না...

তার থেকেও জঘন্য।

আচ্ছা, সবাই এভাবে বসে আছো কেন?

পরিবেশটা একটু চাঙ্গা করা যাক,

কির্তি...

গান গাও তো একটা।

আমি গাইতে পারি না।

মনিসা আর রেখা নাচ করবে।

চল চল।

জাইসন ক্যাম্প ফায়ারে আসলে না কেন?

দেখতে পাচ্ছো না আমি অসুস্থ?

বমি বন্ধ করার জন্য ওষুধ লাগবে তোমার?

আমার লাগবে না, তোমার রাভি স্যাররে দাও।

উনার সাথে তোমার কি সমস্যা?

আর সবসময় তুমি আমারে এড়িয়ে চলো কেন?

তোমার মনে হয় আমি বুঝি না?

আমার কোন সমস্যা নেই।

আমি জানি না কে বলছিলো ...

মেয়েদের মন খুব নরম...

বাস্তবে বরফের মতো শক্ত মন মেয়েদের।

কেউই বুঝতেছে না, আমি কি
পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি।

কি নিয়ে মন খারাপ তোমার?

আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।

তুমি কি সেটা বুঝো না?

আগেই তো বলেছি।

শোন শয়তান মেয়ে,

তোমার কথা শুনে তোমাকে খুব মারতে মন চাচ্ছে ...

আবার তোমাকে একটা চুমু খেতেও মন চাচ্ছে।

তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারবো না।

রাভি স্যারের পিছে ঘুরা বন্ধ করো।

আর তোমার স্টেফির?

স্টেফি?

তুমি কিভাবে জানলে?

একই স্কুলে পড়ি তো আমরা, তাই না?

ওর সাথে কোন ভাব ভালোবাসা নেই আমার।

অনেক লম্বা কাহিনী।

বাসে আর কেউ নেই?

আমি আসছি।

পাওয়ার ব্যাংক নিতে এসেছি, পরে কথা বলছি।

তোমার পাওয়ার ব্যাংক মনে হয়,

লিন্টাপ্পানের ব্যাগ।

ভাই দেখে গাড়ি চালাও।

আর ঠিকমতো না চালাতে পারলে আমারে দাও,
আমি গাড়ি চালাবো।

তুমি এখানে কি করতেছো?

কি রে ভাই?

এখান থেকে চলে গেলি কেন?

ধুর শালা।

তুই কি আমারে ভালোবাসিস নাকি ওরে?

তাহলে আমার পাশে বসবে না?

আমার মনের খবর কে জানতে চায়?

আমি এতোকিছু বুঝি না।

বুদ্ধু, এবার ভাব ধরা কমাও।

ক্যাম্প ফায়ারের সময়...

সত্যিই খুব মিস করছিলাম তোমাকে।

শুনতেছো?

কে মিস করছিলো আমাকে?

আমি।

কেউ তো আমাকে একবারও আসতে বলে নি।

বাচ্চাদের মতো করো না!

মাঝে মাঝে না তুমি বোকার মতো আচরণ করো।

জানো ক্যাম্প ফায়ারের পুরোটা সময়...

তোমার বলা কথাগুলা মাথায় আসছিলো।

কোন কথা?

তোমার আমাকে মারতে মনে চাচ্ছিলো...

আবার...

তোমার ...

আমি ভাবতেছিলাম এই ব্যাপারে...

আমার মনের মধ্যে কিছু চলতেছিলো...

কি চলতেছিলো?

মনে হচ্ছিলো পেটের মধ্যে প্রজাপতি উড়তেছিলো।

লিন্টাপ্পান আছিস?

কি?

ধুর বুদ্ধু।

না দেখছিলাম স্বপ্ন দেখছি কিনা...

দেখলাম স্বপ্ন দেখছি না।

আমাদের সফর প্রায় শেষের দিকে।

আমাদের গাড়ি স্কুলের কাছেই চলে এসেছে প্রায়।

শেষবারের মতো পার্টি করতে মন চাচ্ছে না তোমাদের?

ঈশ্বর, ধুর।

ইচ্ছে করে করেছে।

আমি তোমাকে ভালোবাসি।

কিচ্ছু হয়নি, গ্লাস ভেঙে গেছে।

পিচ্চি বদমাশ, কি হইছে তোর?

মরতে চাস নাকি?

হাসছিস কেন?

এটা আমার স্টোর !

কিভাবে তোর স্টোর হয়?

শালা খবিশ এটা আমার স্টোর।

শালা হারামখোর,
ফটোকপি মেশিন আমি এনেছি, আমার স্টোর।

ফটোকপি মেশিন চুল্লোয় যাক!

ব্যাটা নির্বোধ, গরিব।

তোকে আমি মেরেই ফেলবো।

কি হচ্ছে এখানে?

স্যার মারামারি হচ্ছে।

বাচ্চাদের নিয়ে আর পারলাম?

স্যার এবার বাচ্চারা না বুড়োরা মারামারি করতেছে।

কি?

বাচ্চারা সরে দাড়াও।

মর তুই।

কি হচ্ছে এখানে?

আমাকে আমার স্টোর ফিরিয়ে দিচ্ছে না।

তোমার স্টোর?

আমি স্টোরে উন্নতি করেছি আর
এটা এখন তোমার হয়ে গেছে?

ফটোকপি মেশিন তোমার উন্নতির নমুনা?

শালা মর তুই।

রাখো তোমাদের দোকান।

স্কুলের একটা সুনাম আছে?

জোক্স বললো নাকি!

আমার স্টোরেরও সুনাম আছে।

আমি করেছি সেই সুনাম।

বাদ দাও এসব এখন।

পালের গোদার এই অবস্থা হলে...

বাকিরা আর ভালো হবে কিভাবে?

দুইজনই আমার অফিসে এসো।

কি হইছে ওখানে?

সতিশ স্যার আর ভিজিল স্যার মারামারি করছে।

এই শোনো...

-দুপুরে জয়ফল বাগানে এসো।
- না।

আসতেই হবে,
ভবিষ্যত পরিকল্পনা করতে হবে আমাদের।

আমি আসছি না।

আসতেই হবে।

এসো কিন্তু?

এখানে বসা কি ঠিক হবে?

আমার ভয় লাগতেছে।

অল্প কিছুক্ষনই তো।

আমাদের ক্লাসের বন্ধুদের থেকে একটু দূরে।

ভালো..

সতিশ স্যার কি খুব মার খেয়েছে?

হ্যাঁ, আমি তো কিছু করতে পারছিলাম না
কিন্তু খুব হাসছিলাম।

তুমি এমন কেন?

উনি আমাদের শিক্ষক।

তো কি হইছে?

উনারাইতো মারামারি করছিলেন।

আমি বুঝতে পারলাম না...

হটাৎ করে আমাকে ভালোবাসলে কেন?

হটাৎ করে কই থেকে আসলো!

তোমার প্রতি সবসময়ই একটা টান ছিলো।

তুমি তো সম্পর্ক তৈরি করার মতো কিছু করোনি।

সতিশ এর মতো আমাকে পটাতেও চাও নি।

এই ব্যাপারে আমি ভাবতাম।

এসব ভেবে দেখলাম তুমি আসলেই ভালো ছেলে...

তখন তোমাকে স্টেফির সাথে দেখলাম।

আবার...

আমার মনে হলো..

তুমি আমাকে ভুলে গেছো।

তারপরে.. সেদিন..

বাসে তোমার কথা শুনে...

আমি বুঝলাম।

কি বুঝলে?

তুমি এখনো আমাকে ভালোবাসো...

শরথের কি হলো?

ও একটা আপদ।

আমি যখন...

চেন্নাই ছিলাম...

আমাদের রেজাল্ট দিলো...

শরথ গনিতে ফেল করলো...

আমি ওকে সান্তনা দেয়ার জন্য মেসেজ করলাম.....

আর সে বললো সে নাকি
আমার কোলে মাথা রাখতে চায়।

সেদিন থেকে আমি তার সাথে আমার সব সম্পর্ক শেষ।

কাউকে বলো না আবার?

জীবনে অনেক মজার ব্যাপার ঘটে

কিন্তু পরিক্ষার পরে তোমার সাথে কথা...

বলতে চাইলাম আর তুমি আমাকে পাত্তাই দিলে না।

কখন?

আমার তো এমন কিছু মনে পড়ছে না?

করেছিলে।

জাইসন পুরোনো কথা ভুলে যাও।

এখন তো তোমার সাথেই আছি।

চুমো খেয়ো না, দুপুরে সার্ডিন মাছ দিয়ে খেয়েছি।

ধুর শয়তান।

আরে নাহ।

আবার করবে?

কি করবে না?

এই জয়ফলের বাগান...

আর তোমার ঐ চাহনি...

♪হয়ে গেছে কিছু আমার...♪

♪ দেখে তোমার ঐ দুষ্টু চাহনি...♪

♪আর তোমার ঐ চাহনি...♪

♪"কান পেতে আছে মোবাইলের পিছে♪

♪ পরিক্ষায় হবে ফেল এবার।♪

♪যাচ্ছে দিন রাত এভাবেই।♪

♪ দেখেছি তোমার হাসি যেদিন,♪

♪ হারিয়েছি হৃদয় আমার,♪

কথা বলে তোমার সাথে,

♪ দিয়েছি মন তোমাকে।♪

যখন বলেছো নও তুমি আমার,

তবুও লিখেছি আমার নাম তোমারই সাথে।

ভাই আমাকে হ্যাঁ বলেছে।

- কে?
- কির্তি?

ওহ।

তুই খুশি হস নি?

খুশিতে লাফ দিবো নাকি?
বল কর ভাই।

তুমি এমন কেন করো, জাইসন?

এমন করলে আমরা একসাথে কিভাবে থাকবো?

আমি এমনই, আমার সাথে মানিয়ে
নিতে না পারলে ফোন রেখে দাও।

আমাকে একটু একটা থাকতে দাও?

আমার মোবাইলটা আরেকটু লাগবে।

আমি মনে করছিলাম গুইসাপ।

হ্যালো।

হ্যালো।

সর্যি।

আর এরকম কখনো বলবো না।

আমার কথা আমি ফিরিয়ে নিচ্ছি।

সর্যি।

সর্যি, সর্যি, সর্যি, সর্যি।

আর তোমার ঐ চাহনি...

দেখে তোমার ঐ দুষ্টু চাহনি...

সিনেমার টিকেট আনবে কবে?

কালকে আমরা মন্দিরে যাবো।

আমি আসতে পারবো না।

এক কামড় খাবে?

শার্ট নষ্ট হবে।

তোমার ব্যাপারে মানুষ ঠিকই বলে।

আচ্ছা দাও।

"Mother earth, still not dead

in you imminent death,
rest in piece."

সাবধানে?

কি হচ্ছে এখানে বাচ্চারা?

প্রেমের স্বর্গ?

তোমার সাথে আমি একান্তে কিছু কথা বলতে চাই।

এখানে না।

এই জায়গা তার জন্য উপযুক্ত না।

লাইব্রেরিতে আসো।

বইয়ের সমুদ্রে বসে কথা বলা যাক।

আমাকে দেখেই চলে গেলো।

স্বাগতম জাইসন।

বসো।

অনেকদিন ধরে তোমার সাথে কথা বলতে চাচ্ছিলাম।

এখানে প্রায় ৩০০ ছাত্র ছাত্রী আছে।

যথেষ্ট শিক্ষকও আছেন।

সবাই আমাকে পছন্দ করে

শুধু পছন্দই করে না

আমাকে শ্রদ্ধাও করে।

সেটার প্রাপ্যও আমি।

তাহলে তুমি এরকম কুকুরের মতো
আচরণ কেন করো আমার সাথে?

আমি কিছু করি নি তো।

আমি তোমাকে শুরু থেকেই লক্ষ্য করছি।

আমি তোমাকে ঘৃণা করি।

তোমার বন্ধুদের আমার ব্যাপারে কি বলেছো?

আমি কিছু বলিনি স্যার।

বলোনি আমি একটা ধোকাবাজ?

তোমার কথামতো আমি যদি ধোকাবাজও হই,

তুই আমার কিচ্ছু করতে পারাভি না।

আমি চাইলে তোর সাথে ঝামেলা করতে পারি...

আমি তোর সবই জানি।

কতোজন মেয়েকে প্রপোজ করেছিস...

ভিনুর দোকানে কতো টাকা বাকি আছে...

ব্যাটা অকালমন্ডু তোর সবই জানি।

তোকে আমি শান্তিতে পড়ালেখা করতে দিবো না।

তুই জানিস আমার এই রাগ কই থেকে এসেছে?

গাড়ির গ্লাস কি তুই ভেঙেছিস?

এটাও তোর ঘাড়ে চাপাচ্ছি,
সিন্ধু ম্যাডাম তোর বাসায় কল দিবে আজকে।

জয়ফলের বাগানে তোর কি কাজ?

প্রেম ভালোবাসা?

শুধু দেখে যা আমি দুইজনের বাসায় ফোন করবো।

পুরানো ছবির ডায়লগের মতো..

অনেক নিচু কাজের পদ্ধতি।

কিন্তু তোর মতো লোকের জন্য এটাই উচিত।

স্যার দয়া করে আমার জীবনের ক্ষতি করবেন না।

ক্ষতি হতে দাও বাচ্চা।

আপনার কাছে অনুরোধ করছি।

হ্যাঁ তোমার করা উচিৎ?

আমি যা বলেছি সব ফিরিয়ে নিবো।

সেটাই করা উচিত তোমার?

আমার জন্য সবকিছু করা উচিত তোমার?

রাভি স্যার?

প্রিন্সিপাল আপনাকে দেখা করতে বলেছেন।

প্রিন্সিপাল।

আমি আসার পরে বাকিটা বলছি।

আমি শেষ রে বন্ধু।

আমারে আজকে হুমকি দিছে।

- কে?
- রাভি স্যার।

সে আমার জীবন শেষ করে ছাড়বে।

উনি গাড়ির গ্লাস ভাঙ্গার দায় আমার উপরে চাপিয়ে দিচ্ছে।

কিন্তু কেন ?

আমি জানি না।

উনি উনার চুপচাপ স্বভাব বদলে
রঘু ডাকাতের মতো আচরণ করছেন।

আবার বলেছে আমাদের বাসায় ফোন দিবে।

উনি কিভাবে জানে?

উনি আমাদের জয়ফলের বাগানে দেখেছে।

তোরা সেখানে ছিলি কে বলেছে?

আমাদের দোষ দিচ্ছিস?

বাসায় যদি ফোন দেয়, ব্যাপারটা খারাপ হবে রে।

ভাবতে দে, দেখি কি করা যায়।
ভয় পাস নে।

আমি জানি না শিক্ষা সফরের
সময় উনি তোদের কি বলছে।

আমার মনে হয় আমার সব শেষ হয়ে যাবে।

ওখানেই দাড়ান।

আমার কাছে আসবে না।

কাছে আসবে না।

কি হইছে বল তো...

মনে হয় জালি শিক্ষক।

ফেলে দে।

ফেলবো না।

- ফেলে দে বলছি।
- ফেলবো না।

সুহেলি, বললাম না আমার পিছনে আসবেন না।

সরে দাড়ান।

কোথাও যদি একটু উন্নতি করি সেখানেই এসে হানা দেন।

আমি এসব দেখতে পারবো না,
চললাম আমি।

এখানে নতুন এসেছে নাকি?

কিরে বাবা, হাতকড়া নেই?

ধুর, জায়গাটা ভালো ছিলো।

স্যার আপনারা না একই জায়গা থেকে এসেছেন।

হাতি পাকে পড়লে চামচিকায় ও লাথি মারে?

এই বিদ্যালয়ে এই প্রথম...

কিছু অনাকাংখিত ঘটনা ঘটায়...

আজকের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী...

এখানেই সমাপ্ত ঘোষণা করা হলো

পড় এটা।

তুইও পড়।

জালি শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।

লোকটা সেন্ট সেবিস্টিয়ান
স্কুলে শিক্ষকতার কাজ করতেন।

সোমবারে আমরা এক নাটকীয়
অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলাম

মন্ত্রি সুহেলির নেতৃত্বে একটি দল তাকে ধরে....পড়।

থাম ভাই, পড়তেছি তো।

পারবো না। কি করবি?

তোরা তো উনাকে মাথায় তুলে রেখেছিলি।

আমি তো এখন ভাব নিবই।

জাইসন ভাই তুই আসলেই একটা জিনিস।

জিনিসতো হতেই হবে।

তোর পা টা একটু দে সালাম করি।

কোনটা এইটা না এইটা?

মজা কইরা বলছিলাম।

দুনিয়ার সব মানুষরে কি তুই দেখেই চিনতে পারাভি?

আমি মানুষ চিনতে পারি।

এক চোর আরেক চোররে চিনবে এটাই তো স্বাভাবিক।

ফাহাদ ফাসিলের চুলের মতো
তোর জোক্সও পুরাতন হয়ে গেছে।

এরকম বাটপার লোক একবার
দেখলেই আমি চিনে ফেলি।

তোরা তো তার ভক্তি করা শুরু করেছিলি?

আমিই তো খারাপ ছিলাম।

আমারতো শুরু থেকেই সন্দেহ হতো,

এখন কি বলবি?

আরে অশ্বথী ম্যামের সাথে বিয়ের কথা চলতেছিলো।

এই জন্যই ধরা খাইছে।

ম্যাডামের বাবা পুলিশে আছেন।

উনি আগের ফাইল নিয়ে ঘাটাঘাটি করছিলো।

জাইসন ভাব ধরতেছিস।

- সাজু ভাই ফোন দিছে।
- স্পিকার মুডে দে।

হ্যালো।

জাইসাপ্পি...

শুনলার একটা আপদ বিদায় হইছে।

পড়েছো তুমি? অস্থির হইছে।

আমি পড়ছি।

আমার এখন খুব ভালো লাগতেছে।

সামনে থেকে দেখা দরকার ছিলো তোমার...

একবার দেয়ালে উঠ লাফ দেয়...

সুহেল সাহেব তাকে দৌড়ে ধরেছে।

কখন আসছো তুমি?

চলে আসবো শীঘ্রই...

এসে তোর ৩য় সমস্যার সমাধান করবো।

তোমার আসার দরকার নেই...

আমাদের উপরে ছেড়ে দাও।

- কে রে?
- ডেনিস।

তোমারে পরে ফোন দিচ্ছি!
আমারে একটু ভাব ধরতে দাও এখন।

থ্রিভান্দুমে তার টিভি চ্যানেলের ব্যাবসা ছিলো।

কই পেপারে তো দেখলাম না।

দারা দেখাচ্ছি।

দেখ...

আবার আর্টের ব্যাবসাও ছিলো।

উনার বুলেট আলুভা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ
বাজেয়াপ্ত করেছে।

কেন ঐটা উনার ছিলো না?

না।

কেমন ছিলো?

আমার খুব মজা লাগতেছে।

বিকাশের কাছে কোচিং করতে যাবি?

না বাসিল পড়ে সেখানে।

কোন বাসিল?

ভুলে গেলি, তোরে পানির কলের সামনে মাইর দিছিলো?

মনে হয় ভুলে গেছে।

এই শালার মামলাটার দফারফা করতে হবে।

বহু কাল আগের কথা,

শামুক,

বুদ্ধু গুরু।

বুলেট

আর তার সাথে শেষ...

হলো রাভি পদ্মাবানের শাসনামল।

বিশ্বাসই হচ্ছে না।

বিশ্বাস করার দরকার নেই তো।

- হ্যালো।।।.
- বেবি...

কি করতেছো?

খেলা দেখতে এসেছি।

তুমি কি একটু পড়ালেখা করতে পারো না?

কালকের দিনের পরে তো পরিক্ষা।

কিছুক্ষন পড়তে বসছিলাম।

তারপর ভালো লাগতেছিলো না।

তোমারে না কোন কলেজে ভর্তি নিবে না...

আরে আমার স্পোর্টস কোটা আছে।

তার জন্য তো আগে পরিক্ষায় পাশ করতে হবে।

বাসায় যেয়ে কল দিয়ো।

আমার পেটে ব্যাথা করতেছে।

কি হইছে তোমার? কি খাইছিলা?

আরে এই ব্যাথা না।

প্রতি মাসে হয় এটা।

ওহ! বুঝতে পারছি।

তোমারে খুব মিস করতেছি...

কি?

আপাতত এটাই নাও।

কি হইছে?

কে রে তুই?

মা, না।

ওরে কেন কল দিয়েছিস?

কথা বল...

কথা আটকে গেছে?

এই নাম্বারে আর কল দিবি না...

বুঝেছিস?

কেটে দিলো কেন?

তোর বাবারে আসতে দে, দেখাচ্ছি মজা।

মনে হয় ওর মা ধরে ফেলেছে।

কিভাবে ?

আমি জানি না। ভয় লাগতেছে আমার।।

চিন্তার কিছু নেই।

সে তোকে পরে ফোন দিবে।

এখন আমি কল দেই?

ওরে কল দেয়ার দরকার নেই,
ওর মায়ের কাছে কল দিয়ে ওর সাথে কথা বল।

বেটা বেকুব।

একটা উপায় তো বলবি।

কি বলছিলো তোকে?

ধুর বাল।

কি হইছে ভাই?

ভাই ফোন ডুকতেছে না।

সারাদিন ফোন বন্ধ ছিলো।

ইন্সট্রাগ্রাম একাউন্ট দেখেছিস?

এক সপ্তাহ আগে লগিন দিয়েছিলো।

ভাই আমার মাথায় কাজ করতেছে না।

ফেসবুকে?

ধুর বাল।

আপাতত চুপ থাক।

কালকে তো পরিক্ষা দিতে আসবে?

যদি পরিক্ষা দিতে না আনে?

ভাই ফোন রাখ, আমার আরো কাজ আছে।

আসবে না নাকি?

আমারো তাই মনে হয়,
চল হলে ডুকতে হবে?

মনে হয় ঝামেলা হইছে।

ঐদেকে দেখ।

ওর সাথে ওর বাবা এসেছে।

আমি চললাম, আমার হল ঐপাশে।

আমিও আসি।

এখানে কিছুই করা যাবে না।

আমি জানি না কি করব।

আমার দিকে একবার তাকালোও না।

মনে হয় ভয় পেয়ে আছে।

হ্যালো।

- হ্যালো আমি বলছি।
- কির্তি!

এই নাম্বারে ফোন দিয়ো না,
এটা বাবার নাম্বার।

বাবা গাড়ি থামিয়ে দোকানে গেছেন,
আমি গাড়িতে বসে আছি।

তোমার সাথে আমার কথা বলতে হবে।

আমরা দেখা করবো কবে?

আমার হাতে কোন কিচ্ছু নেই।

বাবা মা আমার মোবাইল নিয়ে গেছে।

ডিগ্রির জন্য আমাকে চেন্নাই পাঠাবে, ভাইয়া বলছে।

আমাকে ওখানে পাঠিয়ে দিবে কিছুদিনের মধ্যে।

আমি তোমাকে দেখতে চাই।

কালকে মা আসবে বাবার বদলে।

আমি ওয়াশরুমের কাছে থাকবো।

আমরা সেখানে কথা বলবো।

আচ্ছা, কালকে যেকোন ভাবে তোমাকে দেখতে চাই।

বাবা চলে আসছে,
আমি সুযোগ পেলে তোমাকে ফোন দিবো।

এভাবে কি দেখছিস?

খেলায় নাকি আমাকে হারাতে চাস?

মনে আছে কিভাবে তোরে মেরেছিলাম?

আবার খাবি?

পরিক্ষাটা শেষ হতে দে...

তোকে আমি আবার ধোলাই দিবো।

বুঝেছিস?

বিকাশে আসিস, আমি সেখানেই থাকবো।

বাসিল শালায় আমারে এখন আবার খোচায়া গেলো।

বাসিলের একটা দফারফা করতে হবে এখনই।

বহুদিন ধরে আমাদের সাথে ঝামেলা করতেছে।

জুস খা।

সবাই আয়।

শালায় বিকাসে আছে,
শালার ভাবের একটা...

দফারফা করে আসি।

কোথায় যাচ্ছিস তোরা?

স্যার কোথায় রে?

আমাদের বললো ৪.৩০ এ আসতে।

এখন তাহলে কি করবো?

কেউই তো নেই এখানে?

দেখ ওরা আসতেছে।

মনে হয় ঝামেলা হবে।

আমি গেলাম।

বলেছিলাম বিকাসে আসতে...

ভাবিনি ওরা এতোটা সিরিয়াসলি নিবে ব্যাপারটা।

কই গেলো রে?

- কে জানে?
- আমরা ফেসে গেছি।

দৌড়ক! দৌড়া!

ঐতো ওরা!

আপনার মেয়ে কোন ক্লাসে পড়ে?

কি?

আপনার মেয়ে কোন ক্লাসে পড়ে?

প্লাস টু।

স্যার।

জাইসন, সন্দিপ, লিপ্টো ...

ডেনিস, জাস্টিন, মালভিক।

তোমরা পরিক্ষা শেষে প্রিন্সিপালের সাথে দেখা করবে।

ঝামেলায় পড়ে গেলাম আমরা?

থাম তো।

যাবি নাকি?

আমার একটু ওয়াশরুম থেকে আসি।

তারাতাড়ি আসবি।

স্বাগতম।

তোদের মধ্যে জাইসন কে?

আমি।

আমার ছেলের কি হাল করেছিস?

এই ছেলেটা এখনো কিভাবে পরিক্ষা দিচ্ছে?

ছাড়ুন আপনি।

স্যার আপনি কি ব্যাবস্থা নিলেন?

শান্ত হোন, আমাকে ভাবতে দিন।

চিন্তা করার তো কিছু নেই।

তার পরিক্ষার ফলাফল বাতিল করে দেন।

করতে পারবেন?

পরিক্ষা সরকার নিচ্ছে, স্কুল কর্তৃপক্ষ না।

অসদাচরণ সনদ দিতে পারবো শুধু...

আর কিছুই করতে পারবো না।

তাহলে আপনাদের কিছুই করতে হবে না।

আমি জানি কিভাবে কি করতে হবে।

আমি পুলিশ নিয়ে আসবো।

ওরা সন্ত্রাসী।

আমাদেরো তো মেরেছে।

এই আপনাদের নমুনা?

কি হচ্ছে এখানে?

উনি হলেন ফ্রান্সিস, বাসিলের বাবা।

তোমরা সবাই রুমের বাহিরে যাও।

বাচ্চারা তোমরাও, আপনিও বাহিরে যান।

আপনাকে ভিতরে ডাকবো।

আমি বাহিরেই আছি।

এর সমাধান না করে ছাড়ছি না।

কি হচ্ছে?

বাবা, তোমার এসবে আসতে হবে না?

তোর মুখটা বন্ধ কর।

হাত ভাংলো কিভাবে রে?

মনে হয় না মারামারি করার সময় ভেঙ্গেছে।

- হইছে তোমার?
- হ্যাঁ।

এখানে দাড়িয়ে আছো কেন তাহলে?

আয়।

কি লাগবে তোমার?

স্যার আমাকে একটু যেতে হবে।

এতো জরুরি কিসের?
বাহিরে অপেক্ষা করো

স্যার আমাকে একজনের সাথে দেখা করতে হবে।

কার সাথে?

আপনি বুঝবেন না।
আমি দেখা করেই চলে আসবো।

তখন আপনার যা ইচ্ছা করবেন।

কোথায় যাচ্ছিস?

ছাড়েন আমারে।

বাসিল তুই কিন্তু জানিস কি হয়েছিলো,
ব্যাপারটা উনাকে বুঝা।

তোর ঘরে এসে তোকে...

যেটা মনে চায় করিস..

থামো তো বাবা, ওকে যেতে দাও।

আমার জায়গায় ওর হাত ভাংলে কি হতো?

আমি ওর জায়গায় থাকলে কি হতো।

তুমি এখন ওর হয়ে কথা বলছো?

তোমাকে বহুবার বলেছিলাম এখানে এসে...

আমাকে অপমানিত না করার জন্য।

- কির্তিকে দেখেছিস?
- মাথা জেট বাসে করে চলে গেলো।

মারামারির বিচারে কি হলো?

আমাকে একটু লিফট দিবেন?

আমি এই পর্যন্তই পারবো।

আরেকটু সামনে চলেন না।

আমাকে মাথা জেট বাসটা ধরতেই হবে।

আমি এই পর্যন্তই পারবো,
একটা রিক্সা নিয়ে নাও।

-জয়সন.....
- কি হইছে?

তারাতাড়ি আসো, মাথা জেট বাস ধরতে হবে।

কিসের জন্য?

জীবন মরণ সমস্যা।

কি সমস্যা বল তো?

মাথা জেট তো চলে যাচ্ছে।

আগে বল কি হইছে।

জয়সন ভাই চলো তো।

তোমার জীবনে এই একবার আমার একটা কথা রাখো।

কিছু তো ঝামেলা মনে হচ্ছে।

ঈশ্বরের দোহাই লাগে চলো।

তাড়াতাড়ি চালাতে হবে তো,
নাহলে তো বাস ধরতে পারবে না।

হাসটা ধর।

ব্যাপারটা কিন্তু বললি না এখনো।

কি হইছে?

আরে চলো তো।

আমি।

- ঐতো মাথা জেট।
- দেখেছি আমি।

ধরো ধরো।

- ঘটনাতো বলবি!
- আগে ধরো তো।

থামাও থামাও।

কোন উল্লুক রে?

জয়সন?

কি হইছে রে জয়সন?

গাড়ি সরা তোর।

কি জানি ভুলে গেছে গাড়িতে।

কি ভুলে গেছে?

কির্তি এদিকে আসো, কথা আছে তোমার সাথে।

তাহলে তুই ছিলি?

সবাই আমার বন্ধুকে তার হারানো
জিনিস খুঁজতে সাহায্য করেন।

আন্টি দয়া করে ওর সাথে
আমাকে একটু কথা বলতে দিন।

ওর সাথে আমার কথা বলা দরকার।

এটাই তাহলে হারিয়ে যাওয়া সেই জিনিস!
বাহ!

বাস থেকে নাম বলছি।

কি হচ্ছে এখানে?

বাস থেকে নাম জাইসন।

কি সমস্যা তোমার?

বাস ছাড়ো বলতেছি।

গাড়ি সড়াও এখান থেকে।

মা মেয়ে আমাকে দোষ দিচ্ছেন?
গাড়ি থেকে নামিয়ে দে তো উনাদের।

বাসের ভাড়া দিছি না আমরা।
নামবো কেন আমরা।

উনাকে উনার ভাড়া ফেরত দিয়ে নামিয়ে দে।

আপনি কি থামবেন?

পুলিশ ডাকো।

কি সমস্যা আপনার?

কির্তি নেমে আসো! কথা আছে তোমার সাথে।

তোর ভাইরে নিয়ে যা রে ভাই।

জাইসন না?

জয়সন কি হচ্ছে এখানে?

আমিও সেটাই জিজ্ঞেসা করছি।

কি হইছে ভাই?

দেখলাম ছেলেটা মেয়েরে নিয়ে পালিয়ে গেলো।

কোথায় নিয়ে যাচ্ছো আমাকে?

চলো কোথাও পালিয়ে যেয়ে
আমরা আমাদের মতো করে শুরু করবো।

সাজু ভাইকে আমাদের ব্যাপারে বলেছি।

জাইসন তুমি শান্ত হও।
আমার ভয় লাগতেছে।

আমার সাথে কিছু টাকা আছে,
সাজু ভাই বলেছেন উনি সাহায্য করবে।

জাইসন থামো, এভাবে কিছু হবে না।

আমরা এখনো বড় হইনি।

কির্তি!

থামো, কোথায় পালাবো।

আমার কথা একবার শোন জাইসন।

চলো ফিরে যাই

আমি বাড়ি ফিরছি না।

দেখ, আমি এসেছিলাম হাসের মাংস কিনতে।

আমারে কিছুই বলেনি।

দাড়া ওখানে।

দাড়াও বলছি।

থামো জাইসন।

তুমি কি আমাকে বিশ্বাস করো না?

আমি বিশ্বাস করি তো।

তুমি আমার সব।

আমাকে দেখো জাইসন।

আমার কথাটা শোনো।

আমি কখনই তোমাকে ছেড়ে দিবো না।

কথা দিচ্ছি।

কথা দিচ্ছি আর কখনো হাস কিনবো না।

চেন্নাই থেকে প্রতিদিন ফোন দিবো তোমাকে।

তুমি চেন্নাই গেলে আমাকে ভুলে যাবে তো।

কেউ আমাকে আর ফোন দিবে না।

জাইসন তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারবো না।

কি হচ্ছে এখানে?

আয় আমার সাথে।

মা থামো।

আমি কোথাও যাচ্ছি না, খুশি?

জাইসন আমি আসছি?

শান্ত হও তুমি।

আমি তোমাকে কল দিবো।

আসি।

ভালোবাসি তোমাকে।

কান্না করতেছিস কেন?
কেউ কি মরে গেছে নাকি?

স্যার এবার মৌনতা ছেড়ে কিছু বলেন আমাদের।

থাম তো ভাই।

*কয়েক মাস পর*

দেখ তো ওকে!

কালকে কির্তি আসবে,
এই খুশিতে সে কথা বলতে পারতেছে না।

জয়সন ভাই, তোমার চোখের সমস্যা ঠিক হয়ে গেছে?

তুই নিজে...

ট্রিট কোথায়?

কিসের জন্য?

কাজ পেয়েছো তাই।

আরে ভাই বেতন তো পেয়ে নেই।

কির্তির ব্যাপারে কথা হচ্ছিলো।

কি নিয়ে হচ্ছিলো...

এই ব্যাপারে তোরা একটা কথা বল তো

কি বলবো?

মাঝ রাস্তায় কি কান্নাটাই না করলি, মনে আছে?

সে কি অবস্থা রে!

কান্না করেছিলো?

ও তো অন্য কথা বলেছিলো।

"কান্না করেছিলো নাকি?"

যদি ওরে বিয়ে না করিস, তোরে আমি...

কি? কি করবে?

করবো না কেন?

লোকেদের হাতে প্রায় মার খেতে বসেছিলাম।

আমাদের পড়ালেখা শেষ হলেই.....

আমরা একসাথে সব সিদ্ধান্ত নিবো।

ভাই কির্তি ওর চুল স্ট্রিট করেছে।

ইন্সট্রাগ্রাম থেকে দেখেছিস?

বাদ দে তো....

একটা কথা এখনো মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে...

কির্তির পাওয়ার ব্যাংক কে নিয়েছে?

লিন্টাপ্পান তুই নিলে দিয়ে দে?

ভাই বিশ্বাস করলে কর নাহলে নাই,
আমি নেই নাই ঈশ্বরের দিব্যি।

তাহলে কেমনে কি?

পাওয়ার ব্যাংক কে নিলো?

অনুবাদ এবং সম্পাদনায় : নাঈম সরকার

একদা এক জৈন গুরু...

ধ্যানে মগ্ন ছিলেন...

যখন তিনি ধ্যানে মগ্ন ছিলেন....

একটা শামুক তার সামনে দিয়ে যাচ্ছিলো।

সেই শব্দ শুনে তার ধ্যান ভেঙে গেলো।

গুরুদের সেই শামুককে বললেন...

হে শামুক! আমাকে আমার ধ্যান থেকে কেন উঠালে?

আমার করা ১৬ তম বাংলা সাবটাইটেল অনুবাদ এটি।

বাংলা সাবটাইটেল সম্পর্কিত আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না।

বাংলা সাবটাইটেল দিয়ে মুভিটি দেখার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।