All language subtitles for Yevade Subramanyam BSub by Fihad

সিগারেট, মদ এবং অন্যান্য সকল মাদকদ্রব্য স্বাস্থ্যের জন্য হানিকারক

প্রথমেই ধন্যবাদ আকাশ আহমেদ ভাইয়াকে
(facebook.com/TollyAkash)

সাবটাইটেলটি করতে প্রত্যক্ষভাবে প্রচুর সাহায্যের জন্য

অবশ্যই ধন্যবাদ এই ফেসবুক গ্রুপটিকে
"ব্লকবাস্টার সাউথ ইন্ডিয়ান মুভি লাভারস বাংলাদেশ গ্রুপ"

যোগ দিন গ্রুপটিতে
পরিচিত হন ৩০,০০০+ সাউথ ইন্ডিয়ান মুভি লাভারের সাথে

সাবটাইটেল অনুবাদ ও সম্পাদনায়
ফিহাদ আর-রহমান

Facebook.com/fihad.shiech
shiech.fihad@gmail.com

দেখার পর মুভি এবং সাবটাইটেল সম্পর্কে
আপনাদের মতামত অবশ্যকাম্য

আমার নাম সুব্রামানিয়াম।
লাইফের টপে থাকতে চেয়েছিলাম সবসময়।

ভাবিনি এরকমভাবে টপে থাকবো!

এখান থেকে পড়ে গেলেই
শেষ।

কেউ আমার মৃতদেহও চিনতে পারবেনা।
- হেল্প!

সিংহ কিংবা বাঘের হাতে মরলে,
অন্তত একটা গ্রান্ড গল্প হয়।

হয়তো আমিই একমাত্র ব্যক্তি
যে একটা ছাগলের হাতে মরবো!

আমার ওজন ৭০ কেজি।

একহাতে সমস্ত ভর দিলে
আধা ঘন্টা ম্যানেজ করতে পারবো।

দুই হাত বদলা-বদলি করলে
সর্বোচ্চ ১ ঘন্টা।

কিন্তু মনে তো হচ্ছে না
এই ছাগলটা ১ ঘন্টার জন্য আমাকে বাঁচতে দেবে।

কী এইসব? এখানে কী করে এলাম?
কে আমি?

"কে সুব্রামানিয়াম?"

আমার বাবা ব্যাংক ইমপ্লোয়ি।

প্রতিদিন ব্যাংকে লাখ লাখ টাকা গুণলেও...

...বাড়িতে আমাদের
আঁটিয়ে চলতে হয়।

আমাকে বলে যেটা আছে সেটা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকাই সুখ।
আম্বানি হয়না সবাই।

এই লজিক আমার মাথায় ঢোকে না।

পৃথিবী শুধু তোমাকে
তোমার ব্যাংক ব্যালেন্স দিয়েই চিনবে।

সেটা চেনাতে
আমি যেকোনোকিছু করতে রেডি।

স্কুলে টাইম-ওয়েস্ট ছাড়া কিচ্ছু হচ্ছিলনা।

যতো তাড়াতাড়ি বেরোতে পারি
ততোই ভালো।

যখন আমার বয়সী বাচ্চারা ক্লাস এইটে,
আমি টেনে পৌছে গেলাম।

জলদিই সব শিক্ষক আর
প্যারেন্টস আমার ভক্ত হয়ে গেল।

প্রতিদিন ৪ টার সময় উঠে
ঠান্ডা পানিতে স্নান করি।

এটা আমার মনযোগের জন্য খুব ভালো।

আসলে আমি সমসময়
আমার টাইম-টেবিল ফলো করি।

চকলেট আর আইসক্রিম নিষিদ্ধ।

যদি খুব মন চায়
তো হয়তো পাবলিক ডেতে...

...কিংবা সানডেতে একটা করে খাই।
- ও তো সেই ভাব নিচ্ছে।

- ধর ওকে।
- থাম।

থাম!

- ছাড়ো আমাকে।
- কোথায় যাবি তুই?

- আইস-ক্রিম খাওয়া খারাপ, তাই না?
- আইস-ক্রিম তো খুব ভালো, তোকে বেস্ট আইস-ক্রিমটা এনে দিব।

তাহলে কাল আমার মা-বাবার সামনে
ভাব নিচ্ছিলি কেন?

এ! ছাতা...

এ! থাম...

ফার্স্ট টাইম ওকে দেখি।

জানতাম না,
আমার লাইফে বিশাল পরিবর্তন হতে যাচ্ছে।

- কে তুই?
- রিশি। টেন-বি।

এটা টেন-এ'য়ের ব্যাপার।
নাক গলাস না।

সেকশন এখানে কোনো ব্যাপার না।

তুইও ভাব নিচ্ছিস?

ব্যাপারটা হলো কে আগে মারে।

হেয় সুব্বু! এটা আমার বাড়ি।

ভেতরে রাখো।

- ও আমার বেস্ট ফ্রেন্ড সুব্বু।

রিশির বন্ধু?

কোন ক্লাসে পড়ো?
- টেনে আন্টি।

বুস্ট এভাবে খাচ্ছিস কেন?

এভাবেই আমার ভালো লাগে মা।

রিশির বাবা বিশাল বিজনেসম্যান।

রিশি তার কাছে বিশাল ডিজাপয়েনমেন্ট।

রিশি বেস্ট ফ্রেন্ড হলে সব শেষ।

তারা জীবনের অংশ হয়ে যায়
যেন তা সবসময়ই ছিল।

অনেককিছু করলাম ফার্স্ট টাইম।
- থাম।

ফার্স্ট টাইম চুরি করে ধাওয়া খেলাম।
- থাম বলছি।

ফার্স্ট টাইম সিটে বসে সিনেমা দেখলাম।

ফার্স্ট টাইম সাইকেল চালালাম।

ফার্স্ট টাইম পড়ে গেলাম।

ফার্স্ট টাইম অলমোস্ট ডুবেও গিয়েছিলাম।

রিশি যেখানে খুশি সেখানে যেতো।

লাইফ ছিল বলিউড সিনেমার মতো।

এ, বেরিয়ে যা।

বসো! বসো, এই...

রিশি ক্লাসের ভেতরের চেয়ে
বাহিরেই বেশি সময় কাটাতো।

তেলুগু ক্লাসটা ছাড়া।
...প্রভাকর স্যার।

প্রভাকর স্যারকে রিশির খুব পছন্দ।

তিনি পড়ানোর চেয়ে গল্পই বেশি বলতেন।

♪দুনিয়াটা মায়া♪

♪জীবনটা মায়া♪

♪বেদের সারমর্ম এটাই♪

কী মহান কবিতা...!

এই পরিবার,
চাকরি, সামাজিক রীতিনীতি...

...এগুলো তোমাকে বেঁধে রাখে।
সত্যের থেকে দূরে নিয়ে যায়।

বসো।

আপনি কে?
প্রভাকর স্যার কোথায়?

বসো আগে।
আমি তোমাদের নতুন তেলুগু টিচার।

প্রভাকর স্যার কাজ ছেড়ে দিয়েছেন।

সুব্বু! সুব্বু!

কেন এই টাইমে?
আমার টাইমটেবিল...

তুই কীভাবে জানলি?

আমি জানবো না?
আয়, তোর জন্য সারপ্রাইজ আছে।

- চোখ খুলে দ্যাখ।
- না, থ্যাঙ্ক ইউ।

- এ, কোথায়?
- পিছে পিছে আয়।

বার্থডেতে কাউকে সিনেমা কিংবা
হোটেলে নিয়ে যায়, কিন্তু...

...তুই আমাকে কবরস্থানে আনলি কেন রে?

আয়, বলেছি না সারপ্রাইজ।

সারপ্রাইজ অনেক হয়েছে।
চল, ফিরে যাই।

- এ, না!
- এরা অঘোর।

- এরা নাকি নরমাংস খায়।
- আমাকে কেন এসব বলছিস?

হ্যাঁ...

আয়...

- কীভাবে খুঁজে পেলে?
- আপনার বাড়ির দারোয়ান বলল স্যার।

ও কে? সুব্বু না?

হ্যাঁ স্যার। আজ ওর জন্মদিন।

হেয়, হ্যাপি বার্থডে।
গুরুজিকে প্রণাম করো।

- যাও।
- না স্যার।

প্রণাম কর।

- লাগবে না।

- কর।
- না!

যা।

কর।

স্যার, আপনার গুরুর আশ্রম নেই?

এভাবে শ্মশানে কেন বসে আছে?

শ্মশান হোক কিংবা মন্দির,

হীরে হোক, পাথর হোক,
তুমি হও, আমি হই... সব একই।

এটাই অঘোরদের প্রথম নীতি।

দারুণ স্যার।
কিন্তু আপনি ক্লাসে কবে আসবেন?

নতুন টিচার বোর করে ছাড়ে।

আমি সংসারের মায়া ত্যাগ করেছি।

আমি বাবার সাথে দুধকাশি যাচ্ছি।

- তিনি ওখানে সমাহিত হতে চান।
- কোথায় সেটা?

হিমালয়ের উচুঁ পাহাড়ের ছায়ায়
নাকি একটা রহস্যময় দীঘি আছে।

আমাদের পৌরাণিকরা একে বলেছেন
আকাশ গঙ্গা।

আবার কখন দেখব আপনাকে?
আমরাও ওখানে যেতে পারি না?

দুধকাশি দেখা ভাগ্যে থাকতে হয়।
সবাই খুঁজে পায়না।

আমরা ওখানে যে করে হোক যাবোই।
আপনার গুরুজিকে জিজ্ঞেস করুন...

আমার ভাগ্যে আছে কি?
আমি যাবো তো?

সুব্বুকেও সঙ্গে নিয়ে যাবো?

কাকে, কোথায় নিয়ে আমরা যাবো...

শিবই একমাত্র জানে।

হিমালয়! রহস্যময় দীঘি!

আমাদের ওখানে যেতেই হবে।

আগে আমাকে বাড়িতে যেতে হবে।

আমার টাইমটেবিল তোর জন্য
নষ্ট হয়ে গেল।

- এখন ডবল রিভাইস দিতে হবে।
- ভুলে যা রে...

যাই হোক...
আমাদের দুধকাশিতে যেতেই হবে।

- এ, সামনে দেখ!
- !!!

সুব্বুর থেকে ভালো কিছু শিখবি ভেবেছিলাম...

... কিন্তু ওকেও নষ্ট করছিস।

মধ্যরাতে কোথায় ঘুরছিলি?

কোথায় যাচ্ছিলি?

দুধকাশি!

সরি, কথা দিচ্ছি
এরকম আর হবেনা।

এক্সিডেন্টটার জন্য
রিশির বাবা ভীষণ রেগে গেল।

হায়দ্রাবাদ ছেড়ে শিফট হয়ে গেল।

তখন থেকে রিশির সাথে দেখা বন্ধ হলো।

আমি আবার আমার প্লানে ফিরে এলাম।

১০ বছর পর...

উন্নতি কি শুধু টাকা দিয়েই হয়?

মাটিতে বাস করা কৃষকদের ভবিষ্যৎ...

...কি আকাশচুম্বীরা নির্ধারণ করবে?

রামাইয়া বীজ কোম্পানি।

৫০ বছর ধরে, তারা লাভের চেয়ে বেশি
কৃষকদের উন্নয়নের কথা ভেবেছে...

...আর হাজার হাজার কৃষককে পরিবারের মতো দেখছেন...

...কোম্পানির এমডি রামাইয়াবাবু।

অন্যদিকে
পশুপতি ইন্ডাস্ট্রিজ...

...অনেক হাই-টেক শিল্প নির্মাণ করেছে
এই কোম্পানি।

এখন তাদের নজর রামাইয়া কোম্পানির ভূমিতে।

আমরা এই কোম্পানি তৈরি করেছি
একসাথে, অনেক কষ্টে।

শুধু টাকাই নয়,
জীবনকেও পূঁজি রেখেছি।

আমরা আমাদের জীবনকে বিক্রি করব না
যত দামেই হোক।

রামাইয়া কোম্পানিতে
আমার শেয়ার কেনার জন্য...

পশুপতি দিয়েছে
এই অফার লেটার।

এটাই আমার উত্তর।

কী এসব, মানি?

আমি ওই শেয়ারসের ১০ পার্সেন্ট
মূল্য দিতে চেয়েছি।

- ভাবিনি উনি এরকম করবেন।

বলেছিলাম অফারটা গোপনে দিতে।

এখন উনি টিভিতে এসে
আমার নাক কাটাচ্ছেন।

পিআর ডিপার্টমেন্টকে কল করে
এটা এখনই ঠিক করতে বলো।

ওকে স্যার।

সুব্বু কোথায়?

হেয় সুব্বু, টিভি দেখছো?

বাবা খুবই আপসেট।

জানোই তো সে রামাইয়া কোম্পানিকে
কিনতে কত ট্রাই করেছে।

জলদি আসো।
ঝামেলা মেটাতে হবে।

- এসে গেছি।

সুব্বু...

ভুল আমারই।

এ কয়েক বছরে অনেক কোম্পানি কিনেছি।

শুধুমাত্র এটাতেই ব্যার্থ।

A jewel in my crown.

- এটা আমার আশা।
- আশা করা ভুল নয় স্যার।

- রামাইয়া কোম্পানি আপনারই।
- এ, ফালতু বোকো না।

৫০ বছর থেকে
রামাইয়া তার কোম্পানিকে ধরে আছে।

কোনো মূল্যেই সে এটা বেচবে না।
আমি চেষ্টা করে দেখেছি।

আপনার চেষ্টায় কী হয় দেখলাম তো।

- এখন আমার পালা।
- পশুপতি... দেখো পশুপতি।

সিনিয়রকে কোনো রিসপেক্ট
না দিয়েই ও কথা বলছে।

সুব্বু, এটা সহজ নয়।

ব্লাংক চেক না দেখালে
শেয়ারহোল্ডাররা শেয়ার বিক্রি করছে না।

তারা টাকা দেখতে চায় না।

চায় দায় আর বাধ্যকতা।

তুমি আমাকে শেখাচ্ছো?
মনে করেছো সে তোমার কাছে আসবে?

- স্যার! স্যার! থামুন, প্লিজ স্যার।
- সুব্রামানিয়াম কে এখানে?

একবার বললে বোঝো না?

ন্যাচেরাল স্টার
Nani

মিডিয়ার সামনে ছিঁড়ে ফেলেছি।

তুমি আবার পাঠিয়েছো?
ভালো! তোমার সামনেই ছিঁড়বো।

ছিঁড়ুন। ছিঁড়ুন।
আমার শুধু ৫০ টাকা যাবে ওটা ছিঁড়লে।

কিন্তু ওটা সাইন করলে
আপনি পাবেন ৫০ লক্ষ।

আপনার শেয়ার ভেল্যুর ডবল ভেল্যু।

- ঘুষ?
- না, না। আপনার সততা আমি জানি স্যার।

কিন্তু পারবেন আপনার ছেলেকে আমেরিকা পাঠাতে
সততা আর ৩০ হাজার টাকা বেতন দিয়ে?

বড় মেয়ের বিয়ে দিতে পারবেন?

তুমি কীভাবে এসব জানো?

যাই হোক, এসবের কোনো সম্পর্ক নেই।

আমরা রামাইয়া স্যারের দয়াতেই বেঁচে আছি।

যাই বলো না কেন,
তাঁকে আমরা ধোঁকা দেব না।

এই ডায়লগ টাই।
হ্যাঁ, রঙ্গনাথবাবু।

১০% শেয়ার লিখে দেওয়ার আগে।

ভাস্করবাবুও।

আপনারা একইরকম কথা বলেন।

- ভাস্করবাবুও?
- কিরিটি!

রামাইয়াবাবুর কোম্পানি
চারবছর ধরে লস খাচ্ছে।

বিক্রি কমে গেছে।
বেতন দিতে পারেনা।

এরকমই চলতে থাকলে
এক বছরেই কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাবে।

হাজার হাজার কর্মী
চাকরি হারাবে। এটাই...

এটাই আসল ধোঁকা।

রামাইয়াবাবু এটা দেখবে।

কীভাবে?

রামাইয়াবাবুর মতো লোক
আজকাল ব্যবসা করতে পারেনা।

ব্যবসায় আমার মতো লোক লাগে।
না হলে কোম্পানি ক্লোজ হবেই।

- হয়েছে তো, না?
- কী?

ডায়বেটিকস। হয়েছে?

দেখুন, আপনার চেয়ে আপনার ব্যাপারে
আমিই বেশি ভাবছি।

দেখুন গোপাল রাওবাবু,
আপনার ১০% শেয়ার।

আপনি হয়তো এখন ভাবছেন সেগুলো ঠিক রেখে
রামাইয়াবাবুকে ধোঁকা না দেওয়াটাই ভালো।

কিন্তু কোম্পানি যখন ধসে যাবে ছয় মাস পর,
শেয়ারগুলোর যখন আর দাম থাকবেনা...

...ছেলের লেখাপড়া
আর মেয়ের বিয়ে যখন ভেঙে যাবে...

সেসময় এটা ঠিক নাও মনে হতে পারে।

বর্তমানে চা খান...

... শান্তিতে।

ভবিষ্যতের জন্য সাইন করুন।

গোপাল রাওবাবুর জন্য...

আর হ্যাঁ, ভুলেই গেছি।

মানির জন্যও।
সেও চেষ্টা করেছিল।

এ, মানি!
আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না।

সুব্বু...
কখন তুমি...

ডিলটা আপনার কাছে অনেক ইমপর্টেন্ট স্যার।
কয়েকমাস এই কাজই করছিলাম।

৫১% শেয়ার লাগবে স্যার,
কন্ট্রোল পাওয়ার জন্য।

ভাবছিলাম কেন কিছু বলছেননা।

চিন্তা নেই স্যার। রামাইয়ার ভাগ্নেকে...
তারা লাই দিয়ে মাথায় তুলেছে।

সে ঋণের দায়ে ডুবে আছে।

যেটা চেয়েছিলাম সেই ভুলটাই করেছে।
শেয়ারগুলো তার নামে আছে।

আমি সেগুলো কিনব।
- তুমি শিওর?

পুরোপুরি স্যার।
শেয়ারগুলো দু'দিনে আমাদের নামে হবে।

অসাধারণ। অসাধারণ, সুব্বু!

যেটা আমি এতো বছরে করতে পারিনি।
মানি, প্রেস মিটিং ডাকো এই মুহূর্তে।

আমরা ঘোষণা করব
রামাইয়া কোম্পানি আমাদের।

ওকে।

আমার চা বানানোর সময়েই
আপনি মানিয়ে ফেললেন স্যার।

আপনি সত্যিই সুপার, স্যার।

- বাই দা ওয়ে, আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে স্যার।
- কার সাথে?

আত্মীয়ই... আমাদের গ্রামে থাকে।
ছোট থেকে জানি।

লাইফে কী করতে চাও কিরিটি?

আমি... আপনার মতো হতে চাই স্যার।
আপনি আমার রোল মডেল।

যদি আমি গ্রামের আত্মীয় কাউকে বিয়ে করি...

...আমার পজিশন ভুলে যাও।
তোমার পজিশনে চলে আসবো।

মানে স্যার?

কিরিটি, তুমি যদি চাচার মেয়েকে বিয়ে করো...

...গ্রামের মেলা থেকে শুধু আচারই পাবে।

হ্যাঁ, আমের আচার পেয়েছি স্যার।

- ভালো?

ভালো স্যার। ঝাল একটু বেশি ছিল।
আমার রশুনের আচার বেশি ভালো লাগে স্যার।

- কিরিটি...

জাম্প...

- হাই সুব্বু...
- হাই রিয়া, এসো।

২০ বছর ধরেও আমার বাবা যে কোম্পানি কিনতে পারেনি
সেটা এখন আমাদের।

আর সেটা তোমার জন্য।
জানো আমি কোনোকিছু সহজে পছন্দ করিনা?

সবকিছুতে সর্বোচ্চটা চাই।

- আমিও।
- কিন্তু তোমাকে পছন্দ করি।

তোমার বাবাও যদি পছন্দ করে...
আমি রেডি।

হাই।
রিয়ার বিয়ের জন্য...

...বড় বিজনেস ফ্যামিলি
ঠিক করবে ভেবেছিলাম।

ব্যাকগ্রাউন্ড ছাড়া একটা ছেলের জন্য
কীভাবে রাজি হলো কে জানে!

মিসেস আগারওয়াসের নেকলেস দেখেছো?
একদম ইমিটেশন।

ইনকাম ট্যাক্স রেইডের পরে
সবকিছু বিক্রি করতে হয়েছে।

খারাপ না,
চাকচিক্য তবুও ভালোই দেখাচ্ছে।

- Hello
- Hello, I love your necklace.

- Thank you, dear
- Congratulations.

Congratulations!
I was just telling my husband...

...how lucky Riya is.

What a perfect couple!

Hello everybody!

Thank you very much for coming today.
Thank you.

যখন সুব্বুকে প্রথম দেখেছিলাম,
মনে হয়েছিল ওকে আগে কোথাও দেখেছি।

আর তারপর বুঝলাম...

...এটা আমিই।

বিজনেসের জন্য দরকার
ক্ষিধে।

পুরো পৃথিবী খেয়ে নিতে পারে
এমন ক্ষিধে।

এই পজিশনে আসতে আমার
ত্রিশ বছর লেগেছে।

কিন্তু সুব্বু...
মাত্র... মাত্র পাঁচ বছরেই এখানে।

এক কথায় বলতে...

সুব্বুই হলো ভবিষ্যৎ।

And I think my daughter has made
the smartest decision in her life.

Riya my darling, come.

I love you very much today.
You know why?

একটা ছেলে না থাকায় খুব ফাঁকা লাগতো।
আজ আমার ইচ্ছে পূরণ হলো।

Welcome to the family my boy.
Subbu... here.

I got something for you.

এখন চাবি নাও। দশদিনের মধ্যে তুমি
স্পেশাল ডিজাইন করা একটা গাড়ি পাবে।

Thank you so much, sir.

হেয় প্রবীণ!

♪Who is Subramaniyam!♪

♪Who is Subramaniyam!♪

♪Who is Subramaniyam!♪

নবাগত
Vijay Deverakonda

রিয়া, তুমি ইনভাইট করেছো?

- No, dad.
- Then who the hell is he!

এই সুব্বু!

শালা, কল করলিনা কেন?

যাই হোক, ছাড়তে পারি কীভাবে?

এটা তোর টাইপের না।
পরে কথা হবে।

আরে, ভাবী।
জেকপট পেয়ে গেছিস। ভাবী সেই।

মানে... বিউটিফুল।
বিয়েতে এখনও টাইম আছে।

যদি ওর উপর কোনো ডাউট থাকে,
শুধু মনে রেখো...

আমি সিঙ্গেল।
- ও আমার ফ্রেন্ড রিশি।

ফ্রেন্ড রে?
বেস্ট ফ্রেন্ড।

We are best friends!

আরে, আঙ্কেল... শ্বশুর না?
আমরা বেস্ট ফ্রেন্ডস।

- আন্টি... নমস্কার আন্টি।
- এই, এই!

I don't... I don't like this.
Get him out of here.

হেয়, তুমি সুব্বুকে এই গানে
ড্যান্স করতে দেখোনি না?

Hey, Subbu! Let's show them.
Ready! One! Two! Three! Go!

তা এখন তুমিও আমাদের গ্যাঙের ভেতর,
তাই না?

- Come..
- Subbu.

আজ কাসা প্যারাডাইজে
অ্যাপয়েন্টমেন্ট আছে।

দেরি করা যাবে না সুব্বু।
দেরি করলে আরেকমাস ওয়েট করতে হবে।

এখনই যাচ্ছি।

তাড়াতাড়ি এসো সুব্বু।

- হ্যালো... কী হচ্ছে?
- এটা কী সাউন্ড?

রিয়া, এখনই ফোন করছি।

ইয়ালাম্মা...

Yellamma! Back straight, Yellamma.

- দশ মিনিট ধরে করুন।
- এভাবে, এভাবে।

নাভী থেকে।

এই, কী এসব?

সুব্বু, উঠলি তাহলে!
আয়, জয়েন কর।

ইয়ালাম্মা, থামলে কেন?
বাবা কী বলল? রোজ ১০ মিনিট।

ইয়ালাম্মা, অনেক হয়েছে।
গিয়ে রান্না করো।

- এই বাবু যেতে দিচ্ছে না।
- এই, থাকতে দে না।

ইয়ালাম্মা, আজ তোমার ছুটি।
স্যারের জন্য আমি রাঁধবো।

কী খাবি বল।
Baked beans, pan cakes, hash-browns...

- অমলেট...
- রাঁধে কীভাবে জানিস?

কীভাবে?... গোয়াতে আমার রান্না
কত দূর থেকে লোক এসে খেতো জানিস?

গোয়াতে কখন গেলি?

হাম্পির পরে।
ট্যুরিস্ট গাইডের কাজ করতাম।

পোস্টকার্ড পাঠিয়েছিলাম না? পাসনি?
- তো এখন কী?

ভালো হয়েছে জিজ্ঞেস করলি।
আয়, তোকে দেখাই।

- কোথায়?
- সারপ্রাইজ!

দাদা!

- বেঁচেই আছে?
- দাদা চিরজীবনের রে।

তাই না দাদা?

আয়, ঘুরতে যাই।
- না থাক। সেবারের চোট এখনও মনে আছে।

দাদা নিয়ে ফার্স্ট রাইড
তোর সাথেই করেছিলাম।

লাস্ট রাইডও তোকে নিয়েই
করতে চাই।

লাস্ট রাইড কীসের?
যাবনা।

এ, থাম।

দাদা আমাকে কোথায় কোথায়
নিয়ে গেছে জানিস?

প্রোফেশনাল বাইকাররাও যায়না
এমন জায়গায় নিয়ে গেছে।

মিস করব ওকে রে।

মিস কেন করবি?

- বিক্রি করছি ওকে।
- বিক্রি করছিস?

কে কিনবে এটা?

দুধকাশির জন্য টাকা দরকার।
তাই বিক্রি করছি।

- দুধকাশি কী রে?
- দুধকাশি কী?

এ, ছোটবেলায়, স্বামীজি, শ্মশান...
ভুলে গেছিস?

- তুই ভুলিস নি? তো কী? ওখানে যাবি এখন?
- আমি যাচ্ছি। তুইও আসবি।

ওখানে খুব ঠান্ডা।
সোয়েটার, মাঙ্কি ক্যাপ প্যাক করে চল যাই সুব্বু।

থাম রে। লাইফে সেট হবিনা?
সবসময় এভাবে ঘুরে বেড়াবি?

এ, যা ইচ্ছা বল।
দুধকাশির কথা আমি প্রথম তোর সাথেই শুনেছি।

তোর সাথেই আমি যেতে চাই।
এটা ফাইনাল, এটা অলৌকিক জায়গা।

এই, শ্মশানে একজনের আজাইরা
কথায় তুই কীভাবে বিশ্বাস করিস?

সুব্বু, বাবা বলেছে ওখানে যেতে হলে
ভাগ্যে থাকতে হয়।

দাদা কী বলতো জানিস??
ব্যাঙ্গমা-ব্যাঙ্গমী নাকি ভাগ্যের পাইরেসি করে!

- এটাও সত্যি, ওটাও সত্যি।
- কিন্তু এটা সত্যিকারের সত্যি।

দুধকাশি ডাকছে আমাদের।

যখন এমনিই ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম,
এভারেস্টে চড়েছে একজনের সাথে দেখা হয় আমার।

তার গাইড পেম্বা, একটা গল্প বলেছে। দুধকাশির গল্প।
তার গল্প আর আমাদের ছোটবেলার গল্প ম্যাচ করে কীভাবে?

তার কন্টাক্ট আছে। কল করে
সব সেট করে রেখেছি। মানে...

...আমাকে তোকে ডাকছে এটা।
- আমাকে কখন ডাকলো?

আমাকে কেন জড়াচ্ছিস?
তোকে ডাকলে তুই যা।

- হাই রিয়া।
- ফোন কাটলে কেন?

- ঘুমেই ছিলাম...
- তাড়াতাড়ি এসো সুব্বু।

রাস্তাতেই আছে। ভীষণ জ্যাম। কেউ সিগন্যাল মানছে না।
পাঁচ মিনিটে পৌছাচ্ছি। বাই।

ভাবী? ডেট? কোথায়?

- কাসা প্যারাডাইজ।
- এটা কী? হোটেল?

বাড়ি। কিনছি। সুরক্ষিত কমিউনিটি।
ইনভিটিশন ছাড়া যেতে পারব না।

আমাকে কেউ ইনভাইট করবে না।

দাওয়াত না পেলে ঢুকতে দেয়না
এমন প্রোপার্টি আমিও দেখতে চাই। যাবো?

ইয়েস!
- এ, বস।

- রিশি, কী করো তুমি?
- সবকিছু।

সবকিছু মানে?
জব নেই?

অবশ্যই আছে।
ফুল টাইম জব।

২৪/৭ ৩৬৫ দিন
একটা দিনও আমি ছুটি দেইনা।

- কী সেটা?
- জীবন।

এর চেয়ে কী
ইম্পর্ট্যান্ট জব আছে? বল।

সবাইকে এই গল্প বলে
লাইফ থেকে পালিয়ে বেড়াস।

লাইফকে আমার থেকে
পালিয়ে যেতে দেইনা।

কেউ যদি শেষবার ইনজয় কোথায় করেছো
প্রশ্ন করে তুই কী বলবি?

বলবি রমেশের বিয়েতে...
এনজয় করেছিলাম।

অথবা... ফ্যামিলি নিয়ে
নর্থ ইন্ডিয়া ট্যুরে এনজয় করেছিলাম।

ইনজয়কে হাতের আঙুলে গুণতে পারব
এমন লাইফ আমি চাইনা রে।

I want to live life. Fully,
every second.

- টাকার কী হবে?
- টাকার আর কী?

- টাকা কামানোর কোটি উপায় আছে।

Hello. Welcome Casa Paradise.

I am Naina, your hostess.

- Hello, Naina
- Today I will be showing the property...

...and before entering
into the property...

...please wear your shoe covers.
- Sure.

জুতো খুলে ঢুকতে পারিনা?
প্লাস্টিক নষ্ট হচ্ছে না?

সরি। খালি পায়ে যাওয়া ম্যানেজমেন্টের নিষেধ।

আগে বললেই হতো।
নিজেদের কভার নিয়ে আসতাম।

ঠিক না?

- চল।
- প্লিজ।

This villa has a private swimming pool
with automatic temperature control.

And it also has a special
water cleaning system...

ইস!

কী হয়েছে এটার?

এটা জাপান থেকে আনা
ইক্যুবেনা ট্রি।

জাপান? জাপানি মনে হয় না,
অসুস্থ মনে হয়।

Please come in.

একটা গাছকে গাছের মতো বাঁচতে দেয়না
ছিঃ সমাজ।

Also we have a 24 hours
concierge service...

...and the entire marble floor
is directly imported from Italy.

All these wall furnishing
designs are from England.

This furniture is from Paris.
State of the art security is from Germany.

স্টেট অব দ্যা আর্থ মানে?

- এটা?
- এই, আয়।

এই ডিজাইনার ঝাড়বাতিগুলোও
স্পেশালি বেলজিয়াম থেকে অর্ডার করা।

তো মানুষগুলো ছাড়া এই বাড়িতে
ইন্ডিয়া সম্পর্কিত আর কিচ্ছু নেই, না?

জ্বী স্যার।
বিদেশে আছে এরকম ফীল হবে।

- Very good
- And toilets, fittings...

সব ইতালি থেকে।

- আর ডিজাইনার টয়লেট পেপারও এসেছে...
- এটা একটু বেশিই।

ডিজাইনার টয়লেট পেপার কী?
ব্যবহারের পরেও রেখে দেবে?

Sir, you may not be
aware of these comforts...

...but nowadays people
are expecting all this.

My phone. Excuse me.

হ্যালো? যে আচার পাঠিয়েছি
সেগুলো কেমন?

তুই খাচ্ছিস নাকি না?

পাশের বাড়িতে তোর ছবি দেখে বলছে
অনেক শুকিয়ে গেছিস।

- প্লিজ স্যার, ফোনটা দিন। প্লিজ...
- এটাই তো...

- বলুন না স্যার, প্লিজ।
- কী?

- My phone!
- Hello?

মা, তোমার সাথে পরে কথা বলব।
রাখো।

কী দিদি?

আসল ব্যাকগ্রাউন্ড এটাই না?

এই নায়না কী?
মিলছেনা তো।

নাইভেদ্যালা নাগামণি।
ছোট করে নায়না।

নাগামনি? কী সুন্দর নাম!

এই নায়না-টায়না দরকার কেন?

চালিয়ে যাই?

- এখানে এই বস্তি কেন?
- এটা বড় কোনো সমস্যা না ম্যাডাম।

এই বস্তি, কুঁড়েঘর, লোকজন
কিছুদিন পর তুলে দেওয়া হবে।

কমিশনারের সাথে অলরেডি কথা বলেছি।

- তাহলে তারা কোথায় যাবে?
- কে জানে?

- এরকমই করা হয়।
- হ্যাঁ।

গরীবদের শেষই তো
বড়লোকদের শুরু।

- Sir
- Do you like the propefly, madam?

- Sure. I like it.
- What?!

না, স্যার।

কিন্তু স্যার, আমি...

কিন্তু...

আসছি স্যার।

- কী হয়েছে?
- ফোন ধরছে না স্যার।

- দুদিন আগেই ঠিক...
- সুব্বু!

প্রজেক্টটা ছিল তোমার দায়িত্ব।

সবাই মানা করলেও
তোমাকে ভরসা করেছিলাম।

খালি হাতে যত খুশি ততো টাকা দিয়েছি।

তোমাকে ফিউচার ভেবে
মেয়ের হাতও দিয়েছি।

টাকার কথা ছাড়ো।

আমার কোম্পানির সম্মান,

আমার নাম...
সব নষ্ট করলে।

স্যার, অলরেডি আমি তার ব্যাংক একাউন্ট দেখেছি।
সব ঠিকমতোই ছিল...

সুব্বু!

তুমি রামাইয়াকে ছোট মনে করেছো।

তোমার আগেই সে এই শেয়ারস কিনেছে।

নো প্রবলেম... নো প্রবলেম...
ভুল সবাই করে।

তোমার ব্যাপারেও আমি ভুল করেছি।
আরেকবার ভেবে নেব।

স্যার, রামাইয়ার সাথে কথা বলব।
ঠিক হয়ে যাবে।

নইলে শুধু...

...তোমার ক্যারিয়ার না...

...সব শেষ হয়ে যাবে।

স্যার, জরুরি দরকার।
আমার চাচী অসুস্থ।

কিরিটি!

এক্সকিউজ মি,
রামাইয়ার সাথে দেখা করব।

রামাইয়া না।

রামাইয়াবাবু বলুন।

ও, আচ্ছা।
রামাইয়াবাবুর সাথে দেখা করব।

আসুন।

- বাবু, একজন দেখা করতে এসেছে।
- হ্যালো স্যার।

আমার নাম সুব্রামানিয়াম।

আমার নাম শুনেছেন বোধহয়।

ভাবিনি আপনি এতো সাধারণ।
বরঞ্চ আপনার সাথে আগেই দেখা করলে অনেক সময় বেঁচে যেতো।

তো এই হলো আমার অফার,
আপনি এই প্লান ফিরিয়ে দিতে পারবেননা।

প্লান তো সব ঈশ্বর করেন...

আমরা না।

স্যার, আপনার কোম্পানি
চার বছর ধরে কোনো লাভ করেনি।

এই ডিল আমার চেয়ে আপনারই বেশি দরকার।

আমার দাদা বলতেন...

...প্রকৃতি তাই দেয় যা আমাদের প্রয়োজন,
যাকে প্রয়োজন বলে ভাবি তা দেয়না।

ভালো করে বুঝবে,
ইংলিশ দিয়ে বলি।

Nature gives us enough for our need,
not for our greed.

আমরা সবসময়ই অসন্তুষ্ট।

একটা গাড়ি থাকলে
আরেকটা চাই।

একটা সেলফোন থাকলে
আরেকটা চাই।

যা আছে
তার চেয়েও বেশি টাকা চাই।

ভালো বলেছেন স্যার।
উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধিও প্রয়োজন।

গরুর গাড়ি বানালাম
যেন হাঁটার চেয়ে জোরে যেতে পারি।

তাতে হলো না,
তো গাড়ি আবিষ্কার করলাম।

তারপর প্লেন-ট্লেন আরও কত কী...

কিন্তু মনে রেখো, যেখানেই উড়ে যাওনা কেন,
নামতে হবে মাটিতেই।

নিজের পায়েই হাঁটতে হবে।

ভালো বলেছেন স্যার।
আপনার বীজ কোম্পানি।

বীজ যদি বলে আমার লোভ নেই,
জন্মাতে চাইনা, তাহলে স্যার?

ওরা নিজের জন্য জন্মায় না।

আমাদের জন্য জন্মায়।

অন্যের জন্য জন্মাও...
তোমার নিজের জন্য নয়।

বুঝাতে পারলাম না স্যার।

কারণ তুমিই এখনও বোঝোনি।

বাবু, সমস্ত বীজ
তুলে ফেলেছি...

ওকে স্যার,
ডাইরেক্ট পয়েন্টে আসছি।

যত চান ততো দাম দেব।

এমডি যতদিন চান
থাকতে পারেন।

আপনার কোম্পানির নাম
রামাইয়াই রাখতে বলব।

শুধু কাগজে-কলমে বদলাবে।

- নমস্কার বাবু।
- নমস্কার বাবু।

- নমস্কার বাবু।
- নমস্কার।

স্যার, এই বয়সে এই বিজনেস-কৃষক
এদের টেনশন নেওয়া কি জরুরি?

ছেলেমেয়ে সেটল হয়ে গেছে,
কোম্পানি বেচে দিলে প্রচুর টাকা পাবেন।

প্রতিদিন সকালবেলা উঠে
শান্তিতে পেপার পড়তে পারবেন...

...সন্ধ্যাবেলায় নাতি-নাতনির
সাথে খেলবেন...

... রাতে বারান্দায় বসে
বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে সুখে-শান্তিতে থাকবেন।

তুমি যত টাকা চাও
ততই দিলে এই জব করবে?

চাওয়া মতো টাকা পেলে
জব কেন করবো স্যার?

আমি করব।

এমনকি দুনিয়ার সমস্ত টাকা পেলেও
এই কাজ করব।

আমি টাকা পাওয়ার জন্য
কাজ করিনা।

আমি কাজ করার জন্য
টাকা পাই।

এটা নয় স্যার...

এখন আমি বলি, শোনো!

হাজার হাজার মানুষ
আমাকে বিশ্বাস করে কাজ করে।

লক্ষ লোক এই কাজেই বাঁচে।

যাই বলো না কেন,
এই কোম্পানি বিক্রির জন্য নয়।

Subbu! Subbu! Subbu! Good news!

- শুনে শক খেয়ে যাবি।
- কী?

কাল আমরা দুধকাশি যাচ্ছি!

সরি রে, কাল না হলে পরশু।

পাগল হচ্ছি আমি।
দুধকাশি ছাড়া কিছু ভাবতে পারিস না?

লাইফ আমার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

এতো বছরের কাজ,
প্লানিং, সব নষ্ট।

রিয়াও ফোন ধরছে না।

এতো কাছে... এতো কাছে ছিলাম
কোম্পানির পার্টনার হওয়ায়।

সব...

চাকরি গেছে?

মানে কাল থেকে তুই ফ্রি।
তাহলে দুধকাশি যেতে পারব।

ব্যাপার না। ওকে।
চিয়ার আপ।

তুই সুব্বু রে। হারবি না।
হাল ছাড়বিনা। আমি হেল্প করব। আয়।

- এটা...
- এই সব ওয়েস্ট রে।

- ৫০, ১০০, ছোট্ট শেয়ারস।
- এগুলো ওয়েস্ট?

Rangarao, 35 shares... waste.

সুনিতা... বয়স ৫৩,
ছিঃ সত্যিই ওয়েস্ট।

Krishnamurthy,
100 class A shares, waste.

Sorry, A class waste.

এখন কী বললি?

- দুধকাশি যাব বললাম।
- এটা নয়, কেবলই।

Krishnamurthy, 100 class A shares.

ক্লাস এ শেয়ারস মানে
১ গুণ হাজার।

মোট ১ লক্ষ শেয়ারস।
দে এটা।

দুধকাশি যাব বললে দিব।

যদি সত্যিই ক্লাস এ শেয়ার হয়
দুধকাশিসহ যেকোনো জায়গায় যাব।

শুধু বন্ধু ভাবি তোকে।

কৃষ্ণমূর্তি, এইতো ঠিকানা।
চল যাই।

এখন গেলে চোর ভাববে রে।

কাল সকালে যাব?
পার্টি দিব।

- তাজে যাই।
- তাজে না, অন্য কোথায় নিয়ে যাই। আয়।

দুধকাশি...
অন্তত এটার কাছাকাছিই।

খুবই স্ট্রং রে। চাঙ্গা করে দিল!

- এটা শুধু কোয়ার্টার।
- মদটা?

এই মদ আর আমাদের জীবন দুটোই।

- ইন্টারেস্টিং টপিক কিছু বল।
- ইন্টারেস্টিং?

- রিয়া সম্পর্কে বল।
- রিয়া? আচ্ছা।

রিয়া বান্জারা হিলসে জন্মেসে,
অস্ট্রেলিয়ায় ফ্যাশন পড়েছে...

...প্যারিসে মডেলিং করেছে...

পশুপতি ইন্ড্রাস্ট্রির একমাত্র উত্তরাধিকারি...
ও পারফেক্ট।

পার্ফেক্ট পুরো।

লাভস্টোরি শুনতে চেয়েছি রে,
বায়ো-ডাটা না।

- ভালোবাসা আছে? ভালোবাসা?
- ভালোবাসা?

ভালোবাসা মানে রিয়া...
রিয়া মানে জীবন।

- জীবন একটা মই, মইয়ে যেভাবে চড়ে সেটাই জীবন!
- এ, থাম।

কোন ভালোবাসা নেই কীভাবে?

তোরা বিয়ে করবি না?
তারপর তোর বাসর রাত।

কি মনে করিস তোর বাসর রাত একটা বোর্ড মিটিং,
যে শুরু করি বললেই শুরু হয়ে যাবে?

কীভাবে বুঝাই...
ধর এটা তুই।

এটা রিয়া...
তোরা দুজন... কই?

এ, ও তোরটা খাচ্ছে রে!

- Who?

- Who she?
- She! She!

আমার একটাই বোতল আছে...

ও কেন খাবে?
- চুন্নি!

ও নিয়েছে...

বোতলটা আমার।
এটা কি ঠিক? বল।

প্রথমবার... আমি মদ খাচ্ছি।

আগে কোল্ড ড্রিংকও কখনও খাইনি।

বার্থডে দেখে খাচ্ছি না...

আমার বার্থডে কেউ জানেই না,
তাই খাচ্ছি।

পার্টির জন্য জ্বালাতন করতে
কোনো ফ্রেন্ড নেই।

রাতে দেরি করে ফিরলে বকাঝকা করতে
কোনো ফ্যামিলি নেই।

আমার জীবন এরকমই...
একা থাকতে হবে... সবসময়।

নবাগতা
Malavika Nair

এ, কী করছো?

- চুলের পিছনে কী আছে দেখছি।
- একটা মেয়েকে একা পেয়েছো তো...

...তাই ভাব নিচ্ছো?

হ্যালো, আমি অলরেডি এ্যাংগেজ।
ওর নাম রিয়া।

রিয়া আমার ফিউচার,
রিয়া আমার লাইফ।

- জীবন একটা মই, মইয়ে যেভাবে চড়বে...
- এ, থাম রে।

- তাতে কী?

তো ফ্রেন্ডস?

ফ্রেন্ডস হওয়ার জন্য আগে
নিজেদেরকে জানতে তো হবে, না?

জানার জন্যই তো
ফ্রেন্ড হতে হবে, না?

সব ঘোড়ার ডিম।

আমি জানি,
দুদিন পরেই ছেড়ে চলে যাবে।

একদম না... একবার হাত দিয়ে দিলে
লাইফ টাইম গ্যারান্টি।

এ, আমরা এখানে শুধু দুইজন।

তুমিও আসো। তাহলে তিন হবো।
Three musketeers.

আর সবসময় একসাথে থাকব,
সবসময় সুখে থাকবো।

সবসময় বন্ধু থাকবো।

- আমার নাম নন্দি।
- নন্দি!

নন্দি,
সুব্বু আর আমাকে দুধকাশি যেতেই হবে।

কানে কানে কী বললি?

ওরা বলেছে নন্দির কানে যাই বলব,
সব সত্যি হবে।

- আমার ব্যাপারটাও বল।
- বলেছি!

- দুধকাশি কী?
- দুধকাশি!

হিমালয়ের মস্ত বড় পাহাড়ের কাছে
একটা ম্যাজিকাল প্লেস।

ছোটবেলা থেকে ওখানে
যাওয়ার স্বপ্ন আমার।

জীবনে যদি শুধু একটা কাজই করতে পারি,
তবুও ওখানেই যাব।

ওখানে গেলে বুঝবি তুই কে,
আর আমি বুঝব আমি কে।

তুই চাইলে তুই যা।
আমি ভালো করেই জানি আমি কে।

তো বল তো তুই কে।

- সুব্রামানিয়াম।
- নাম নয় রে। তুই কে?

পশুপতি গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রির
জেনারেল ম্যানেজার।

চাকরি নয় রে।
তুই কে?

আমি?
সুব্রামানিয়াম আইআইএম, আমেদাবাদ...

তোর কোয়ালিফিকেশন নয় রে।

- তুই কে?
- কে?

কে সুব্রামানিয়াম?

"Nuvvu Nuvvu Kadhu"
গায়কঃ Ramy
কথাঃ Ramajogayya Sastry Ranjith
কম্পোজঃ Radhan

- এ, কোথায় যাচ্ছিস?
- দুধকাশি।

- দুধকাশি কী?
- আপনিও জানেন না?

যদি জানতে চান আপনি কে
তো আমাদের সাথে দুধকাশি চলুন।

তুই কে রে?

বল আমি কে রে...

আমিও ওকে প্রশ্ন করছি
আগে থেকেই, স্যার।

- কে সুব্রামানিয়াম?
- চুপ কর।

কে বল।

- দেখুন সাই কুমার!
- আমি সাই কুমার নই।

সাই কুমার হোক, রাজশেখর হোক...

আমরা দুজনই মদ খাচ্ছিলাম তখন মেয়েটা এসে
আমার বোতল নিয়ে নিল। - মেয়ে? কোন মেয়ে?

ওখানে?

- কোথায়?
- কোথায়?

- ওইদিকে গেছে।
- আয়!

সুব্বু, দুধকাশিতে কাল রওনা দেই?

প্রথমে আমার ব্যাপারটা দেখতে দে।

পেম্বাকে কল করেছিলাম।
সব সেট করে রেখেছে।

- আমার প্যাকিং হয়ে গেছে।
- বাড়ি তো...

- তোর প্যাকিং?
- তালা দেওয়া কেন?

তারাও বোধহয় ট্যুরে গেছে।

বাবু, এই বাড়ি...

হ্যাঁ, এটা বাড়িই।

- কৃষ্ণমূর্তিবাবু?
- কৃষ্ণমূর্তিবাবুর বাড়িই বাবু।

বাড়িতে নেই?

- বাড়িতে নেই বাবু।
- দেখতেই পাচ্ছি।

- তার কী হয়েছে?
- তিনি মারা গেছেন।

মারা গেছেন?
তা কীভাবে হয়?

কোনোভাবে তো হয়েইছে।

- হ্যালো, ওইযে কাপড়।
- হ্যাঁ, কাপড় বাবু।

- তো বাড়িতে কেউ থাকে?
- বাড়ি যখন, কেউ তো থাকবেই বাবু।

মানে কে?

অন্যদের বিরক্ত করা ঠিক না বাবু।

একে ধরে রাখ তো।

আসুন, আসুন।

- তাহলে দুধকাশি যাবি?
- যাব, আগে একে ধর।

ধরুন বাবু, ধরুন।

এ, কী আপনার প্রবলেমটা?

থামেন।

আপনার সমস্যা বুঝেছি। কৃষ্ণমূর্তিবাবুর মেয়ে থাকে এখানে।
নাম আনন্দি।

কোথায় এখন ও?

এই সময় ছাদেই থাকবে।

- আপনি যান বাবু।
- রিশি আয়।

মেয়েটার কিছু হচ্ছে!

আমার শেয়ারস!

কেউ তো নেই।

এতোজনের মধ্যে
কৃষ্ণমূর্তির মেয়েকে বের করতে হবে।

ওই একজনকেই তার মেয়ে মনে হচ্ছে,
বাকিরা কৃষ্ণমূর্তির সহপাঠী লাগছে!

এখন যে মুভটা দেখাবো
সেটা টাইগার ক্ল, ওকে?

ক্যারাটের বেস্ট সেলফ ডিফেন্স।
করুন।

এখন পা উপরে, হ্যাঁ...
কিক।

Kick... kick.

Aunty!

কিছু হয়নি...
চিন্তার কিছু নেই।

Just ten minutes rest.

বাড়িতে বসে থাকার বদলে
এইসব করার কোনো দরকার আছে?

আপনিও জয়েন করুন আঙ্কেল।

সেলফ ডিফেন্স আজকাল
সবার দরকার।

আমাদের কী দরকার?

আমরা পুরুষ।

- ও! তাই?
- ইয়েস।

রমা আন্টি, আসুন।

- আঙ্কেল, আপনিও আসেন।
- কেন?

আসেন বলছি।

যদি বুকের পাঁটা থাকে
আপনার স্ত্রীকে ছুঁয়ে দেখান।

সবার সামনে ঠিক হবেনা।

শুধু ছুঁয়ে দেখুন।
বুঝবেন তার ক্ষমতা।

তার সাথে ত্রিশ বছর আছি।
জানিই ক্ষমতা।

আঙ্কেল, শুধু ছোঁন, ওকে!
আন্টি, এ্যাটাক পজিশন নিন।

আন্টি, কী?

সে তো আমার স্বামী না?

আনন্দি ও?

Hey! Nandi!

ভায়লেন্ট মেয়ে!

হেয়, তোমরা এখানে?

ফ্রেন্ড থাকবো বলেছিলাম।
ছাড়বো না এখন।

তা কাল বললে নাম নন্দি,
আনন্দি শুনলাম এখন।

কী এটা?

আনন্দি বললে গাঁধাগুলো
টিভি সিরিয়ালের আনন্দি মনে করে।

এজন্যই নন্দি বলি।

আসলে...

এটা চন্দ্রমুখী...

এটা অরুন্ধতী... বড়টা।

এটা 'Sitaramaiah gari Manavaralu.'

She is looking at you.

হেয় সুব্বু, এখন, এটা হলো বাড়ি।

ওকে, কিন্তু বসবো কোথায়?

আমি দেখাচ্ছি।

Hey... hey. Wait! Wait!

- Here.
- Trunk sofa?

Superb!

- তোমার বাবা কৃষ্ণমূর্তি, ঠিক?
- হ্যাঁ।

- শুনেছি তিনি মারা গেছেন...
- হ্যাঁ, বাবা-মা দুজনই মারা গেছেন।

বাজার থেকে আসার সময়
একটা লরি ধাক্কা দেয়... ওন দ্যা স্পট।

তখন থেকে আমি একা।

হেয়, চা নাকি কফি?

- আমার জন্য কফি।
- চা ওকে।

হেয়, আমারও চা।
কফি একদমই পছন্দ করিনা।

আচ্ছা, আমার জন্যও চা।

বসে আছে কেন?
আমরাই বানাবো?

আমাদের দুজনের জন্যই চা।

আসলে বাড়িতে কিছু নেই।
ফরমালিটির জন্য বললাম।

হেয়, পানিপুরি (ফুচকা) খাবে?

নিচতলার বুড়োলোকটা দারুণ বানায়।

এ, কী হলো?

- এটাও ফরমালিটি বোধহয়।
- আয় রে।

আমার ব্যবসায় সম্বন্ধে... ছোট্ট প্রবলেম...

- হাই শ্রীজা...
- হাই!

- তোকে সবজায়গায় খুঁজলাম।
- কী? আজকাল শাটল খেলতে আসিস না?

২৩ তারিখ আমার বিয়ে।
তোকে আসতেই হবে।

তোর বিয়ে?

কী হলো?

সবাই বিয়ে করছে।

আমি একাই থাকছি।

কিন্তু তোর বিয়ের এতো তাড়া কীসের?

তাহলে তোর বিয়ের এতো তাড়া কীসের?

মা, আসছি!

বসে আছো কেন?
পানিপুরি খাবে না?

ধরো।

তোমার...

পানি লাগবে না, পুরি হলেই হবে।

কে রে এটা?

পানি ছাড়া পানিপুরি কীভাবে খাবে?

এরকমই। বাবু সেজে থাকে।

ওর চালচলন বলতে গেলে
বহু টাইম লাগবে। পরে বলল।

হেয়, কেমন লাগলো?

সুপার।

ভালো। কিন্তু পানিপুরি মানেই কলকাতা।

ওয়াও! কলকাতা?

গিরিজার বিয়েতে তিরুপতি...
তাছাড়া আর কোথাও যাইনি।

স্টেটের বাইরেই যাইনি জানো?

বলব কিছু?

তোমার লাইফ...
যেভাবে চাও সেভাবে বাঁচো।

ঠিক।

মাঝেমাঝে ভয় হয়
পৃথিবী কত বড় আর লাইফ কত ছোট!

হেয়, তুমি আমার টাইপের!

একটা বুদ্ধি। কলকাতায় চলো আমার সাথে
তোমাকে বেস্ট পানিপুরি খাওয়াবো।

- Deal?
- Deal!

কখন?

দুধকাশি যাব কলকাতা হয়ে।

আমার প্যারেন্টসও ওখানে।
মায়ের সাথে দেখা হবে।

আসলে আমার ফ্রেন্ড পেম্বা...

এই, আসলে আমি বিজনেস নিয়ে
কিছু বলতে এসেছি।

ও! আমার সাথে দেখা করতে নয়?

তোমার বাবার কাছে এসেছি।
রামাইয়াবাবুর কোম্পানিতে কাজ করতো না?

হ্যাঁ।

তার নামে কিছু শেয়ারস...

ও শেয়ারস...!

কী হলো?

ও! শেয়ারগুলো এখন আমার নামে।

রামাইয়া কোম্পানি থেকে ফোন এসেছিল।

কী ভাগ্য!

পুরো ভুলে গেছি।

যদি মনে করে না দিতে,
আমি শেষ!

- না!
- কী?

শেয়ারগুলো আমার দরকার। আমি কিনব।

প্রথমে ওরা বলেছে।

আমি বেশি টাকা দিব।

- টাকাও দিবে?
- অনেক বেশি।

ছিঃ! আমি টাকার জন্য কিছু করিনা।

ভালো লাগলে করি।

পুরনো সিনেমার ভিলেনদের মতো
ঘুষ দিতে চাচ্ছো, আমার ভালো লাগেনি।

তোর জন্য কারেক্ট ও।

আনন্দিদেবী, আনন্দিদেবী...!

আসলে সরি।
আমি ওরকম বুঝাইনি।

শেয়ারগুলো খুবই ইম্পোর্টেন্ট।
আমি তোমার উপর ডিপেন্ড করছি। প্লিজ ভেবে দেখো।

আচ্ছা, কালকে ভেবে দেখব।

- কাল?
- আজ শুক্রবার।

শনির প্রভাব বেশি।

কোনো শুভ কাজ করা যাবেনা।

- কাল? - যেতে হবে। রমা আন্টি
আমার জন্য মেহেদি বেটে রেখেছে।

হেয়, তুমিও মেহেদি দিবে?

আমার শেয়ারস...

আচ্ছা, কালকে এসো।

রাখে হরি, মারে কে?

এখানে কেন এলাম?

- শেয়ারস...
- ওরা আজ বাইরে আসবে।

কারা বাইরে আসবে?

বাটারফ্লাই আঙ্কেল বলবে।

Welcome to butterfly park.

আঙ্কেল! আঙ্কেল! আঙ্কেল!
এসেছে ওরা?

সরি মা। সকালে আমি আসার আগেই
ওরা বেরিয়ে পড়েছে।

আবার মিস করলাম!

অনেকদিন থেকে ট্রাই করছি
প্রজাপতির বের হওয়া দেখতে।

Bad luck!

ওগুলোর কী খবর?

কোথায়?

ওদের জন্য আরও সময় লাগবে।

প্রজাপতির বের হওয়া দেখা
খুবই দুর্লভ।

এই ৫০ বছরে
আমি নিজেই দেখিনি।

এই ক্যাটারপিলারগুলো ননস্টপ
শুধু খায় আর খায়।

দেহের ওজনের চেয়েও এরা
হাজারগুণ বেশি খায়।

যে পোকারা এই গাছগুলো খেয়ে
নষ্ট করছে...

... প্রজাপতি হয়ে তারাই আবার
পরাগায়ন করে গাছগুলোকে বাঁচিয়ে তুলবে।

মানুষ পোকার মতো সব খেয়ে ফেলে
পৃথিবীটাকে নষ্ট করছে।

তার মধ্যেও একটা লুকানো প্রজাপতি আছে
সেটা ভুলেই গেছে।

মানুষ পৃথিবীতে সবকিছুই শিখতে পারে...

...একটা প্রজাপতির কাছ থেকে।
- প্রজাপতির মতো স্বাধীন...!

সব্বাই পাগল!

আনন্দিদেবী...

তো কী ভাবলে?

এ, মাছিকে মেরোনা।
পূণর্জন্ম নিয়ে প্রতিশোধ নিবে।

Eega (মাছি)?

সেটা নয়... আমার শেয়ারস?

ও, সেটা?

এরকম ডিসিশন সহজে নিতে পারিনা।

টাকার প্রবলেম না...

কিন্তু এটা কারেক্ট
এরকম ফিলিং আসতে হবে।

মানে কখন নাগাদ
এই ফিলিং পাবে?

- কালকে!
- কালকে?

হ্যাঁ, কালকে, দেখা করো।

ফিলিংয়ের জন্য ফলো করতে করতে...

প্রতিদিন নতুন নতুন জায়গায় আনছে।
কার বাড়ি?

আমার ফ্রেন্ডের বাড়ি।

দুমিনিট এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকলে পা...

নানী...

ইনি আমার শুশিলা নানী।

বয়সের সাথে সাথে গ্লেমারও বাড়ছে।

হয়েছে! মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকিস না এখানে।

- ভেতরে যা।
- ওকে।

তোমাদের দুজনকে স্পেশাল দাওয়াত দেব?

আগে পা নামাও।

দাড়ি কীসের? ফ্যাশন?

না নানী।
এমনিই বেড়ে গেছে।

তোমার চেহারা!

ওর চেহারাটা দেখো তো, তোমার বন্ধু।

এরকম হওনা কেন? ভদ্র...

কী করো তুমি?
সরকারি চাকরি?

নাকি কম্পিউটারের সামনে বসে
বাটন টেপাটেপির চাকরি?

না না! আমি ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার।
আনন্দির সাথে শেয়ারস নিয়ে কথা বলতে এসেছি...

...আর ও এখানে নিয়ে এলো...
- এগুলো পোশাক-আশাক?

এতো ফাঁটাছেঁড়া কেন?

তোমাকে দেখে কেউ চাকরি দিবে ভেবেছো?

কেউ চাকরি না দিলে কী আর হবে নানী?

তোমার কাছে এসে থাকবো
বেতন ছাড়াই।

ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খেতে হবেনা।
আগে গিয়ে দাড়ি কেটে আয়।

ভালো বলেছেন নানী।

তুমি চুপ করো। চুপ করো!

কী এসব?
ওষুধ সেরকমই আছে।

ডাক্তার টাইম মতো খেতে বলেনি?

তোমার ব্লাড প্রেসার।

লাস টাইম বলতেছি,
নাও।

- তোর জ্বালাতন সহ্য করা যাচ্ছেনা।
- নানী!

- জেমস?
- নিবে?

আগে ট্যাবলেট।

দে।

দুইটা? আরও দে।

ওদের সাথে
দুধকাশি নামে একটা জায়গায় যাচ্ছি।

কে উনি?
তোমার দাদী নাকি নানী?

না, সেরকম সম্পর্ক নেই।
অন্তত সপ্তাহে একবার করে দেখে যাই।

বাড়ির সব কাজ করে দেই।

ও! বৃদ্ধাশ্রমে হেল্পারের মতো।

ভগবান আমাকে নানী দেয়নি।

এজন্য নিজেই নিয়ে নিয়েছি।

সবকিছু এরকমই করো?

সবকিছুই না।
যেটা ভালো মনে হয় করি।

আজ কিছু করেই ছাড়বে...

- এই পাগলিকে আজ সাইন করাবোই।
- রোজ শেয়ারের জন্য ঝোলাঝুলি করলে একদিন গাছে চড়ে বসে থাকবে।

অলরেডি চড়েছে।

- মনে করেছেন বলার মতো কেউ নেই?
- দেন ওটা আম্মা। গাছ কাটতে লাগবে। নাহলে চাকরি থাকবেনা।

গাছ কেন কাটবেন?
অন্যায় না?

- বর্ষায় সবাই গাছ কাটে। অন্যায় কীসের?
- কেউ যদি আপনার বাড়ির দেয়াল ভেঙে ফেলে তাহলে ওকে?

- আজ না। মনে হয় ওর মুড ঠিক নেই।
- না, আজকেই।

- ওর হাতে কুঠার আছে।
- কালকে আসি। - আয়।

মুড হয়তোবা ভালোই ছিল...

কোথায় ছিলে?

- সব শেষ।
- হেয়, কী হয়েছে?

আমাকে না বলেই ছেড়ে চলে গেছে।

- কোনোকিছু না বলেই ও সব্বাইকে ছেড়ে চলে গেছে।
- কে?

চন্দ্রমুখী...

চন্দ্রমুখী...
ভাবিনি যে তুইও আমাকে ছেড়ে চলে যাবি।

Such a talented fish!

I miss her.

চন্দ্রমুখী।

তাকে ভালোভাবে চিনি না, কিন্তু...

...তাকে দেখেই
বুঝেছিলাম সে দারুণ সাঁতারু।

খুবই ভালো মাছ।

এ!

চন্দ্রমুখী...

চন্দ্রমুখী।

It is a gold fish.
It is also called Carassius auratus...

...which is a fresh water
fish from the family Cyprinidae of order Cypriniformes.

It is one ofthe earliest
to be domesticated...

...and one of the most commonly
kept aquarium fish.

It relatively belongs to
the small member of the carp family--

- গুগল আ?
- উইকিপিডিয়া।

- হয়েছে এখন।
- ওকে।

বহুদিন পর রিয়া কল করেছে।

সব সেট!

শিওর?

- কী?
- রিয়া?

Of course sure, 100 percent sure.

অলরেডি আনন্দির সাথে কথা বলেছি, যেকোনো সময় শেয়ারস...
- ওকে... ওকে... লক?

কম্পিউটারজি, অপশন এ, রিয়া লক করা হোক।

কোনো এ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে মনে হয়।

অটো উল্টে গেছে।

এ থাম,
থাম!

এ, ওখানে লোকজন আছে,
ওরা দেখবে।

এই!

অ্যাম্বুলেন্স ডেকেছেন?

অ্যাম্বুলেন্স ডেকেছেন কেউ?

- কে ডেকেছে?
- জানিনা স্যার।

সবাই মাথা নাড়াচ্ছেন কেন?
সুব্বু, হসপিটালে নিতে হবে।

অ্যাম্বুলেন্সে ফোন করলেই নিয়ে যাবে।

সবাই এরকমই ভাবলে
কিছুই হবেনা!

সুব্বু, মনে হয় মাথায় লেগেছে।

প্রচুর রক্ত!

- দরজা! দরজা!
- এক মিনিট।

কী করছিস?

Let's go.

সুব্বু, ছাড়! ছাড়!

- চল, তাড়াতাড়ি।
- ওকে।

- সুব্বু, জলদি।
- যাচ্ছিই তো। আর কত ফাস্ট যাব?

অভারটেক কর ওগুলো।

- সুব্বু, ফাস্ট রে।
- এই সরেন, ওদিকে সরেন।

আম্মা, শক্ত করে ধরুন
রক্ত যেন না পড়ে।

সুব্বু, অনেক রক্ত রে।

সরেন, সরেন!

- চালা রে।
- চালাচ্ছি তো।

চালা তাড়াতাড়ি।

খুকি, ওঠো খুকি!

হাসপাতাল এখানেই কোথাও আছে।

হ্যালো? রিয়া...

কিছু না... আসছি।

কী এইসব.. সক্কাল থেইকা বইসা আছি।

আর এরা মাইয়াটারে ডালের উপর বসাইয়া রাখছে।
বেচারি, কত্ত ফর্সা। কিছু খাইতেও দেয়নাই তারে।

You are looking amazing, Riya.

কেন তোমাকে বেছেছি, জানো সুব্বু?

কারণ তুমি বেস্ট।

ভেবেছিলাম আমি হবো ভগ ম্যাগাজিনের কভার
আর তুমি হবে ফোর্বস ম্যাগাজিনের কভার।

আমরা হবো ড্রীম কাপল।

সবাই আমাদের ব্যাপারে বলবে।

সবাই আমাদের মতো হতে চাইবে।

শান্ত হও রিয়া।
আমি দেখছি।

শেয়ারের ব্যাপারটা অলমোস্ট সলভ।

এটা খুবই সিম্পল সুব্বু।

দু সপ্তাহের জন্য আমি আমেরিকাতে ফিরছি।

তার আগেই যদি রামাইয়ার ডিলটা ক্রাক হয়,
তো ভালো।

Your shot is ready, mam.

নাহলে...

কী রে? ভেতরে...

খুব লেট হয়ে গিয়েছিল রে।

কী হয়েছে?

ওই মেয়েটা...

...মারা গেছে।

ছোট্ট মেয়ে রে।

দশ বছর বয়স...
কী দেখেছে লাইফের?

আমার হাতে...

এই..

আমরা কী করতে পারি?
যা করতে পারতাম, ইটস ওকে।

No! It is not okay!

How the fuck is it ok!

ডাক্তার কী বলল জানিস?

দশ মিনিট আগে আনলে
বাঁচানো যেতো।

ওখানে কতো লোক ছিল!

মেয়েটা রাস্তায় পড়ে ছিল...

...ভেড়ার মতো দেখছিল সবাই।

ভেড়া হলেও কিছু করতো।

লাশ...
লাশের মতো দাঁড়িয়ে ছিল সবাই!

তুই ভাবিছিলি তারা দেখবে,
তারা ভাবছিল অন্যরা দেখবে... দশ মিনিট রে।

- হেয়, ওভার-রিএক্ট করিস না।
- রিএক্ট করতে হবে।

জীবিত তো আমি।

সবাইকে রিএক্ট করতে হবে।

সবাই মিলে ওকে মেরে ফেলেছি আমরা।

এরকম না... না।

- আয়... এটা ঠিক না।
- রিশি!

শোন। এখানে থাক।

তোকে জব খুঁজে দেব।
এখানেই সেটেল হ।

- দুধকাশি-টাশি ভুলে যা।
- এটা লাইফ নয়।

এটা লাইফ নয়!

এই মানুষ... এই স্বার্থ।

জানিনা কীভাবে বোঝাবো তোকে।

এটা লাইফ না রে!

লাইফ মানে টাকা কামানো নয় রে।

লাইফ আরও অনেক কিছু।

- আমার সাথে আয়, আয়।
- এই!

হাজার হাজার মানুষ মরে রোজ।
তার জন্য বসে বসে কাঁদলে লাইফ এগোবে না।

এখন কি এগোচ্ছে?

এটাই এগোনো?...

- কোনো দায়িত্বজ্ঞান যাতে নেই?
- দায়িত্বজ্ঞান নিয়ে তুই কীভাবে বলিস?

- একটা চাকরিও করেছিস ভালোমতো?
- আমার লাইফ রে... আমার ইচ্ছা।

অন্তত বেঁচে থাকছি।

তোর মতো নয়, প্রমোশন, স্ট্যাটাস।

বসের মেয়েকে বিয়ে করে নিজের
জীবন বিকিয়ে দিচ্ছিনা।

এটা প্রমোশন নয়।

- Prostitution! (দেহব্যবসা)
- এই!

আর একটা কথাও বলবি না।
কে তুই?

আমার লাইফ নিয়ে বলার তুই কে?

তুই ছোটবেলার বন্ধু দেখে
সহ্য করছি।

মা-বাবাকে ফেলে
ভিক্ষা করে ঘুরে বেড়াচ্ছিস।

ওখানে যাবিনা।

যেকোনো জায়গায় যাব।
আমার বাড়ি, আমার ইচ্ছা।

আমি ভিক্ষুকের মতো
অন্যের বাড়িতে থাকিনা।

তাছাড়া তুই আমাকে বলার কে?

তোকে আবার বলছি...

...প্রয়াস, প্রতিপত্তি, পয়সা!
এটাই পৃথিবী!

এটাই যদি পৃথিবী হয়...

এটাই যদি পৃথিবী হয়...

...দরকার নেই এই বালের পৃথিবীর।

চলে যা।

রিশি! এখানে কী করিস রে?

তোকে সারা স্কুলে খুঁজলাম।

সুব্বু, দ্যাখ।

বৃষ্টির জন্য পড়ে গিয়েছিল।
এখন নিরাপদ।

আচ্ছা, শুনলাম তুই তোর
সায়েন্স প্রজেক্ট সাবমিট করিসনি।

টিচার বলল।
আজকে লাস্ট ডেট সাবমিট করার জন্য।

তোর প্রজেক্টটা কী?

কি? তুই প্রজেক্ট ছিড়ে ফেলেছিস
পাখির বাসাটার জন্য?

এ, ২০ মার্ক রে।

এ, ঘাবড়াস না।
আমি আবার লিখবো।

কী যে করিস বুঝিনা।

তোর এটা?

হ্যাঁ।

তোরটা দ্যাখ...
কত দামি আর অসাম এটা!

আমারটা দ্যাখ...
বোরিং, ডাব্বা!

পছন্দ? নিয়ে নে।

এ, এটার কমপক্ষে ২০০ টাকা দাম রে।

আমারটা মাত্র ২০ টাকা।

একদমই ভালো ডিল নয় রে।

ফ্রেন্ডশিপে ডিল নেই রে।

শিওর?
একবার দিয়ে দিলে কিন্তু ফেরত নেই।

তুই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড রে!

মাতলামো শেষ?
চুপ করে ঘরে আয় এখন।

হ্যালো, আমি ইন্সপেক্টর রমাকান্ত বলছি।

সাদনগরে একটা অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে।

স্পট ডেড! সারা রাত বডিটা পড়ে ছিল।
কেউ মাথা ঘামায়নি।

ফোন থেকে এটাই লাস্ট ডায়ালড নাম্বার।

বডি জেজে হসপিটালে আছে।

কোনো ডিটেইলস লাগলে কল ব্যাক করবেন।

কোনো ফটোতেই ওকে পাবেনা।

শুধু ওর ব্যাগ, ওর বাইক।
এগুলোই।

চার বছর ধরে...

...এই মুহুর্তগুলো দিয়েই
ওর জীবনটা দেখি।

চার বছর?

ছোটবেলা থেকেই ও কেমন জেদী
তা তো তুমি জানোই।

যা খুশি তাই করতো।

ওর বাবার সাথে বড়সরো ঝগড়া হয়েছিল।

বাবা রেগে গিয়ে...

...বলল আর তার মুখ না দেখাতে।
এটাই।

আমাকে মুখ না দেখিয়েই
ও চলে যাবে ভাবিনি।

আর একটাবার ওকে দেখতে চাই।

শুধু একটাবার ওর হাসি শুনতে চাই।

আমার বাবু...

ওর বড় একটা হৃদয় ছিল।

যদি কেউ সমস্যায় পড়তো...

...ওই সবার আগে পৌছাতো।

পুণ্যাত্মা আমার রিশি!

সবসময় ভয় হতো।

কোথায় আছে ও? কী করছে?

অন্তত তুমি ছিলে ওর সাথে।

লাস্ট কল...

...শেষ ডাকটা ও তোমাকেই ডেকেছিল।

কাঁদবেন না মাজী।

নিজেকে সামলান।

চলুন।

হ্যালো, হ্যাঁ রিয়া...

সব সংস্কার শেষ।
কাল আসছি।

Aunty, so sorry!

রিশির সাথে এটা উচিত হয়নি!

I was shocked to hear the news.

রিয়া, আমি পরে কল করব।

সুব্বু, কী এটা?

বিশ্বাসই করতে পারছি না।

তুমি কীভাবে এলে?

- কী এটা?
- রিশি এটা আমার কাছে ফেলে এসেছিল।

মানে?

রিশির সাথে আমার দেখা কেন হয় সুব্বু?

ও আমাকে দুধকাশির কথা কেন বলে?

ও আমার কাছে জীবনের সবচেয়ে ইমপর্টেন্ট
জিনিসটা ফেলে এসেছিল...

এর মানে কী?

এটা ডেসটিনি।
ও আমাদেরকে ওর জার্নিটা ফিনিশ করতে বলছে।

উল্টাপাল্টা বলোনা।
এসব কিচ্ছু নেই।

ডেসটিনি নেই, জার্নি নেই,
দুধকাশি নেই, রিশি...

রিশি এখানে নেই।

Hi, uncle. I am so sorry.

It is okay. Who are you?

আমার নাম নন্দি।
রিশির বেস্ট ফ্রেন্ড।

আসলে আমরা তিনজনই বেস্ট ফ্রেন্ডস।
সুব্বু, এসো।

সুব্বু, তোমার ফ্রেন্ড?

আপনি একদমই রিশির মতো না আঙ্কেল।

ও মনে হয় আন্টির মতো হয়েছে।

আঙ্কেল, আপনাকে কিছু বলব।

আপনি দুধকাশির ব্যাপারে জানেন?

মানে আঙ্কেল,
রিশি বলেছে আপনাকে হয়তো।

হিমালয়ে দীঘি...
রিশি রাস্তাটা পেয়েছিল।

এখন আমি আর সুব্বু ওর সাথে যাচ্ছি।

কী বলতেছো তুমি?

আমরা রিশির অস্থি চাই আঙ্কেল।

আমরা ওটা দুধকাশি নিয়ে যাব।

- গেট আউট!
- আঙ্কেল, শুনুন...

Get out!!!

সারা জীবন এই পাগলামো করেছে।

ওকে মেরে ফেলেছে এটাই।
এখন তোমরা আবার সেটা শুরু কোরোনা।

আঙ্কেল প্লিজ, প্লিজ...
শুনুন আমার কথা...

আর একটা কথাও না।

সিকিউরিটিকে ডাকার আগেই বেরিয়ে যাও।

- সরি আঙ্কেল।
- আউট!

সেটা নয় আঙ্কেল।

- এভাবে চেঁচালো কেন?
- তোমার মাথাটা গেছে?

অস্থি এমনভাবে চাইছো
যেন কোনো অ্যাড্রেস জানতে চাইছো।

তোমাকে শেয়ারস না দিয়ে
কালকে কালকে বলে কেন ঘুরিয়েছি জানো?

কেউ আমার সাথে থাকেনা।

সবাই ছেড়ে চলে যায়।

কিন্তু সেদিন বারে, তোমরা আমাকে দেখলে
যেন আমাকেই খুঁজছিলে।

ফ্রেন্ডস বললে,
আমাকে তোমাদের গ্রুপে নিলে।

কত ভালো লেগেছিল জানো?

শেয়ারগুলো দিয়ে দিলে
তোমরাও ছেড়ে যাবে ভেবেছিলাম।

রিশি যাই হোক ছেড়েই গেল।

ওই শেয়ারগুলো দিয়ে দেব।
পরোয়া নেই।

কিন্তু রিশির অস্থি দুধকাশি
নিয়ে যেতেই হবে।

ওর হাজার ইচ্ছা ছিল।
আমরা অন্ধের মতো সব ছেড়ে...

এটা একটা ইঙ্গিত সুব্বু।

রিশি চেয়েছিল আমরা এটা করি।

শুধু তুমিই আমাকে হেল্প করতে পারো।

- এই বুস্ট বোতলটা কী?
- টেবিলের নিচেই থাকবে।

এইসব কী?

হেয়, এখানেই থাকবে।

এখানে নেই, চলো।

ওখানেই আছে। ভালো করে দেখো।

তোমরা আসবে আমি জানতাম।

ও তোমাকে বন্ধুর চেয়ে বেশি
ভাইয়ের মতো দেখেছে।

তোমরা ওর জন্য এগুলো করছো দেখে...

...তোমাদের মতো বন্ধু পেয়ে ও ধন্য।

ও-ও নিশ্চই এটাই চাইতো।

আন্টি...

কী ওটা?

বুস্ট... অস্থি...
আনন্দি... দুধকাশি...

এটাই ঠিক।

ওর ফেভারিট।

নাও।

রিশিকে দুধকাশি নিয়ে যাও।

তিল গঙ্গা।

- এয়ারপোর্ট মনে হচ্ছে।
- এয়ারপোর্ট?

কোন এ্যাঙ্গেল থেকে এয়ারপোর্ট? কোনো কটকটিওয়ালাকে যদি প্লেনগুলো দেইনা
সেও ঘুরে আমাদের থেকেই টাকা চাইবে।

পেম্বা!

পেম্বা!

হয়েছে? খুশি? যাই এখন?

রিশির প্লান সব এরকমই।

রিশি?

- আনন্দি!
- সুব্বু!

সুব্বু?

- পেম্বা!
- পেম্বা!

- হ্যাঁ।
- পেম্বা! পেম্বা! পেম্বা!

থ্যাঙ্ক গড তোমাকে পেয়েছি।

থ্যাঙ্ক গড, কিন্তু তুমি কে?

আমার বন্ধু রিশি
তোমার নাম দুধকাশির ম্যাপে লিখে রেখেছে।

- ও, রিশি? হ্যালো।
- থামেন...

শুনেন পুরোটা।

- এই হলো রিশি।
- রিশি?

এটা বুস্ট।

ওর অস্থি... ও মারা গেছে।

ও ভগবান!

I am so sorry.

সুব্বু?
আনন্দি?

- এখন আমাদেরকে ওকে দুধকাশি নিয়ে যেতে হবে।
- আমাদেরকে কেন বলছো? আমার গাড়ি বাইরেই আছে।

আমি বলছি।

- থ্যাঙ্ক ইউ।
- এটা আমার বন্ধুর প্লেন আর আমিই একমাত্র পাইলট।

পাইলট? দেখে গরুরগাড়ির চালক মনে হয়।

কিন্তু টাকা দিতে হবে।

- আর কী কী চাও বলো।
- কিছু না।

সুব্বু, রাজি হও।

আমার সমস্যা বোঝোনা কেন? সিটিতে রামাইয়ার কোম্পানি না কিনলে
আমার বিয়ে, ক্যারিয়ার, সব নষ্ট হবে।

কাগজগুলো এখনও তোমার কাছে নেই,
আছে?

- আছে.. তুমি এখনও সাইন করতে পারো। আসলে ২০% প্রিমিয়াম দিব বলেছিলাম
কিন্তু তোমার আজকাল দরকার নেই। - সুব্বু!

- এক মিনিট...
- সুব্বু!

রিশি অনেক জায়গায় ট্রাভেল করেছে।

দুধকাশিতেও যেতে পারতো।

কিন্তু তোমার সাথে ও যেতে চেয়েছিল সুব্বু।

কতবার ও আমাকে বলেছে জানো?

তুমি আসলেই ট্রিপটা পূর্ণ হবে সুব্বু।

রিশির আত্মা হ্যাপি হবে।

তোমার লাস্ট উইস যদি কোনো স্টক এক্সচেঞ্জ করা হতো
রিশি তাহলে ওটা পূরণ করতোই।

আমার টাকা চাইনা সুব্বু। তুমি এসো।

আমি... আমি শেয়ারস ফ্রিতে দিয়ে দিব।

- Deal?
- Yes.

- কত চাও তুমি?
- মাত্র ১০০ ডলার প্রতিদিন।

কী হলো?

- পার্স...
- টাকা নেই?

- What?
- Subbu, show me.

Nice watch.

ঘড়িটা বেচলে
লন্ডনের বিজনেস ক্লাস টিকিট কিনতে পারবে জানো?

তাহলে লন্ডনেই যাও।

হেয়... থামো...

I love your decision. Come on.

Push!

পুশ কি?
এটা শেয়ার-অটো নাকি?

স্টার্ট হতে এ্যাকচুয়ালি প্রবলেম আছে।
তাই ধাক্কা দিতে হবে।

Push! More push! Anandi, push!

তোমার আরকি!
ভেড়ার মতো বসে আছো তো।

- Yes! Started!
- Come on!

- Come! Come! Sit! Sit!
- Come fast!

Come inside!

Give it! Get in! Get it!

এ, আস্তে।

Are you okay?

মরেই যেতাম!

অনেক এক্সাইটিং না?

নিজেদের সিট বেল্ট বেঁধে নাও।

এ, সিট বেল্ট নেই।

শুধু ফরমালিটি।

এখানে কেন এলাম? এটার ভেতর কীভাবে এলাম?
আমি মরতে চলেছি! আমি নামবো। থামো।

Fly high!

Like a diamond in the sky!

সাবটাইটেল অনুবাদ ও সম্পাদনায়
ফিহাদ আর-রহমান

Doodh Kashi is very holy lake.

আগে এখানে পৌছাতেই বহুবছর লাগতো...

...কিন্তু তোমরা খুব লাকি
আমার প্লেন পেয়ে।

লাকি??

আমি প্লেনে চড়েছি
এই ফার্স্ট টাইম।

মনে হয় আমার লাস্ট টাইম এটা।

Get ready for landing.

ল্যান্ডিং?
আমি এয়ারপোর্ট তো দেখছিনা।

এয়ারপোর্ট?

এই ল্যান্ডিংকে ল্যান্ডিং বলেনা।
ক্রাস বলে!

শেষ!

সব শেষ!

হিমালয়ে স্বাগতম

Now get out!

Take care... take care... both of you.

Come on!

বোধহয় সার্কাসে কাজ করতো আগে।

আনন্দি!

দাঁড়াও ওখানে...
বোতলটা উপরে ধরো।

- Nice pose...
- Very good. Fantastic!

ওকে ভালো।
সুন্দর জায়গা দুধকাশি। চলো যাই।

কি?

মানে দুধকাশি খুব সুন্দর।
একটু ঠান্ডা...

...ব্যাপার না। চলো যাই।

এটা দুধকাশি না।

দুধকাশি আরও দূরে।

- ওখানে না গিয়ে এখানে নামালে?
- প্লেন ওখানে যাবেনা। হাঁটতে হবে।

কতদূরে এখান থেকে?

ঘড়ি ফেরত দাও।

Okay. Relax.

আমি তোমাদের ওখানে নিয়ে যাব...

... কিন্তু টাকা দিতে হবে।
১০০ ডলার প্রতিদিন।

কোনো দরকার নেই।

সঙ্গে জিপিএস আছে।
নিজেই চলে যাব।

- হেয় নাইস মোবাইল!
- সরো।

- তোমার কাছে ম্যাপ আছে?
- আছে।

তার চেয়ে গুগলকে বিশ্বাস করাই ভালো।
এসো, আমি নিয়ে যাচ্ছি।

কিন্তু আমরা কী জানি সুব্বু?

- এসো।
- ওই দিকে নয়।

- এই দিকে।
- আমরা জানি।

Welcome to Google maps.

সোজা যেতে থাকুন।

দু'শো মিটার পর...

বন্ধ হলো কেন?

Hello?

- ডানদিকে যান।
- এইতো।

সোজা চলুন।

চলতে থাকুন।
- আরও দূরে?

- তারপর?
- ডানে যান।

ডানে যান।

ডানে যান।

চড়তে থাকুন
সমতলে পৌছানো পর্যন্ত।

আরও কতদূর সুব্বু?

- পেম্বাকে আনলেই ভালো হতো।
- কোনো দরকার নেই।

এখন সোজা চলুন
১০০ মিটার পর্যন্ত।

নিচে না উপরে যাব? দেখো।

মেরে ফেলতে চাও? বলো।

এখন সোজা চলুন।

খিদে লেগেছে।

তোমার ব্যাগে কিছু আছে?

খিদে লেগেছে?

আমাকে খাও!
আমাকে খাও!

- সব তোমার জন্য।
- আমার কী দোষ?

পেম্বা তো বললই নিয়ে যাবে।

তুমিই গুগল ম্যাপ ইত্যাদি ইত্যাদি
বলে এখানে নিয়ে এলে।

- কী হলো?
- ব্যাটারির আয়ু গেল!

তুমি ভুতে ভয় পাও সুব্বু?

শুনেছি ওঁরা পাহাড়ে থাকে।

Mountain spirits!

এই টপিক জরুরি এখন?

ভয় পেয়োনা সুব্বু।

সব ভুত এক নয়।

- কিছু কিছু ভালোও আছে।
- তোমাকে কে বলল?

- নানী বলেছে।
- তাই না?

দেখো, মনে হয় ওই একটা।

ভালো না খারাপ?

Come! Come!

Head down! Head down!

Too much cold outside.

Thank you.

Good night.

- Bye.
- Okay.

ইয়েলাম্মা, কফি!

♪ "The beautiful sky."♪

"Which poet's imagination is this..."

"Which poet's imagination
is this miracle?"

"Who is the painter?"

All is good.

ভালো ঘুম হয়েছে?

ভালোর মাথা!

সুব্বু, দেখো।

রিশির পার্স, তাতে কী?

'দাদা' বিক্রি করে এই টাকা পেয়েছিল।
সব রিশির প্লানমতো হচ্ছে।

রিশিই আমাদের দুধকাশি নিয়ে যাচ্ছে।

এখন পেম্বাকে দেওয়ার জন্য টাকা আছে।

Now Pemba will take
you to Doodh Kashi.

Okay'?

Wow! Looking so pretty.

- Come. Come. Sit here.
- Thank you.

সুব্বু কোথায়?

- ভেতরেই আছে।
- ভেতরে?

- ওকে।
- আমি রেডি।

তোমরা রেডি?

So funny!

এখন সুব্বু, আনন্দি।

এখন আমরা দুধকাশির জন্য যাত্রা শুরু করছি।

What a wonderful view!

Look, Anandi.

হ্যালো, রিয়া!

হ্যালো, সুব্বু।

সিগনাল পাচ্ছেনা।

সুব্বু, এখন শুনতে পাচ্ছো?

হ্যাঁ, সিগনাল আছে।
থামো।

আমি আসছি। শুনতে পাচ্ছো?

শেয়ারসের কী হলো?

দুই-তিনদিন শুধু।
- এটাই না? - এটাই রে বাবা...

কেটে গেল কেন?

What a funny fellow!

Welcome to the mountain luxury hotel.

মাউনটেন আছে, লাক্সারি কই?

Come inside.

- সো কিউট!
- কিউট?

- ভেরি বিউটিফুল।
- বিউটিফুল?

তাও ভালো আর গরুর সঙ্গে শুতে হবেনা।

This is your room. Get in.

রুম বললে?
স্টোর রুম লাগছে। ওরা কে?

তোমার রুমমেটস।

রুমে নাহলে কমপ্রমাইজ করব
কিন্তু টয়লেট সাফ-সুতরো হওয়া চাই।

দেখাও।

Welcome to the mountain toilet!

এটা টয়লেট কীভাবে?
টিস্যু পেপারও নেই।

পাতা ইউস করো।

কক্ষণো না।

- এক মাস হয়েছে আমি এসেছি।
- ওহ!

এসব আমার কাছে নতুন অভিজ্ঞতা।

ওনার নাম রবার্ট।
বলছেন এই এলাকায় একমাস ধরে আছেন।

তোমার বন্ধু রিশির কথা শুনে
খুবই দুঃখ হলো।

সত্যিই গ্রেট,
তোমরা ওর জন্য যা করছো।

আসলে ওনার কোনো প্লানই ছিলনা।

উনি এটাও জানেননা
কখন নিজের দেশে ফিরে যাবেন!

Just one day at a time.

রিশির মতো, না?

হ্যাঁ, রিশির মতো।

লাইফে কী করতে হয় জানেনা...

...শহরে থাকার জন্য টাকা নাই,
তাই পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

সুব্বু!

কিছু ভুল বলে ফেললাম?

- I am sorry.
- Yes, you should be sorry!

কিছু দায়িত্ববোধ থাকতে হয়।
ওয়ার্ক, এ্যাম্বিশন।

পৃথিবীকে কে এগিয়ে নিয়ে যাবে?

সবাই এমন অকম্মের ঢেঁকি হলে পৃথিবী কীভাবে চলবে?
আপনি শুধু আপনার জীবনটা নষ্ট করছেন।

It was a pleasure meeting both of you.

তোমাদের জার্নির জন্য অল দ্যা বেস্ট।

আর তোমার ফ্রেন্ডকে দুঃখ দিয়ে থাকলে,
আমি দুঃখিত।

Take care.

তোমার প্রবলেম কী?

রবার্টের সাথে ওমনভাবে
কথা বললে কেন?

রবার্টটা কে? আমরা এখানে কেন?
যে জায়গায় আছি সেটার নামও আমি উচ্চারণ করতে পারিনা।

এক সপ্তাহ আগে আমার লাইফ পার্ফেক্ট ছিল।

কোম্পানির ছিও হচ্ছিলাম,
রিয়ার সাথে এঙ্গেজমেন্ট হয়েছিল...

...আমার গাড়ি,
বাড়ি সব ছিল।

এখন আছে শুধু ওই পেম্বা,
পেম্বার ঘোড়া, ঘোড়ার গোবর, গোবরের দুর্গন্ধ।

আর প্রত্যেকদিন ফালতু 'মমো' গিলতে হচ্ছে।

পেম্বার কথা শুনে এমন একটা জায়গায় যাচ্ছি
যেটা সত্যি আছেই কিনা জানিনা।

যেকেউ ভাববে আমরা পাগল।
ভাববে কেন, আমরা আসলেই পাগল।

Breathe.

Breathe out.

ওকে, বলো... সুব্বু ছোটবেলায় কেমন ছিল?

ওইসময়ে অনেক বিজনেস প্রবলেম ছিল, না?

ক্লাস নাইনেই সফটওয়্যারের কোনো ফিউচার নেই
ডিসাইড করেছিলাম।

এমবিএ করলে কাজ হবে বুঝলাম।

তাই সবার থেকে একধাপ এগিয়ে থেকে
আমি আজ এই পজিশনে।

ক্লাস নাইনেই এতো বেশি!

সেই বয়সী বাচ্চারা যেসব করে
সেসব করতে না?

ক্রিকেট, ফুটবল...

স্পোর্টস ট্যালেন্ট
দশ বছর বয়স থাকতে দেখাতাম।

সেগুলো শুধু আনন্দের জন্য,
কোনো প্রাক্টিকাল ব্যবহার নেই। তাই বাদ দিলাম।

হায় রাম!

অন্তত মেয়ে...
ক্রাশ... লাভস্টোরি...

হ্যাঁ, অনেক আছে।

Hey, thank God. Tell me.

কিন্তু বুঝলাম সেগুলো
হরমোন থেকে আসা ক্যামিকেলওয়ালা ফিলিংস।

হেয়, তো রিয়ার প্রতি ফিলিংস?

সেটাও হরমোন থেকে আসেনি?

না, রিয়া আমার ফিউচার।
ভীষণ প্রাকটিক্যাল চয়েস।

এমবিএতে SWOT নামে একটা ফর্মুলা আছে।

Strength, Weakness, Opportunity, Threat.

যে ডিসিশনই আমি নেই
এই পদ্ধতিতে স্কোর চেক করি।

রিয়ার সাথে আমার স্কোর কত জানো?

- কত?
- ৯৮%!

সুপার না?

- ওয়াও! কী রোমান্টিক!
- থ্যাঙ্ক ইউ।

SWOT Analysis!

পাগলি, স্যার।

See that mountain.

- এটা দুধকাশি?
- নো! নো!

পাহাড়টার পেছনে।

- আরও দূরে।
- ওখানে দুধকাশি?

নো! নো! ওখানে একটা দীঘি।

এ কি কিছু জানে?
ওকে বিশ্বাস করেছি!

No! No! You don't know.

গত বছর...

...সাউথ ইন্ডিয়া থেকে একটা লোককে...

...আমি নিয়ে গিয়েছিলাম বাবাজির কাছে।

দেখতে চাও
তার ফটোগ্রাপ?

রজনীকান্ত?

Show me! Show me!

বলেছিলাম না ও মিথ্যা বলতেছে।
এটা ফটোশপ।

মনে করেছো আমি বেকুব?

- থামলে কেন?
- তুমি যাও, আমি আসছি।

- এসো।
- এখানে সিগনাল নেই...

সত্যি বলো।
জলে ভয় পাও, না?

তুমি নিজের চরকায় তেল দাও। আসছি।

আমার ফোন! ফোন পড়ে গেল!

Subbu! Subbu, chill.

- ঝাঁপ দিয়ে নেও না কেন?
- কীসের ঝাঁপ? আমি জলকে ভয় পাই।

আমার ফোন... গেল!

I-phone... 5S... 64 GB.

চলে গেল... গেল!

আসলে সুব্বু, ভালোই হয়েছে।

ফোন না থাকলে আমরা কত সময় পাই জানো?

সময় কী করতে?

এইতো... দেখো।

কত সুন্দর জায়গা আমাদের চারপাশে!

কী এটা?

- সুব্বু, মমো* তো...
- লাগবে না।

আমাকে ছাড়ো।

এরকমই থাকো।

*মমোঃ দক্ষিণ এশিয়ার পুডিংবিশেষ খাবার।
তিব্বত, নেপাল, ভুটান এবং ভারতের সিকিমে প্রচলিত।

টয়লেট কোথায়?

Outside.

Your place is very peaceful, calm.

I like it.

Oh, yes. Thank you.

Yesterday one tiger attacked.

And killed a small yak.

ও! টয়লেটে যাবে বলে?

এখন লাগবেনা।

তোমার তাতে প্রবলেম?

হেয়, টাইগারটার নাম কী?

বাঘে ষাঁড় খেয়েছে।

যেন মমো খেয়েছে এমনভাবে বলল!

সুব্বু, বাহিরে এসো।

আমার মাথার তার ছিঁড়ে গেল।
এরকম আর করবেনা।

বাইরে কত বিউটিফুল জানো?
এসো!

বাইরে বাঘও আছে জানো?
আমি যাবোনা।

বাঘ কাল একটা ইয়াক খেয়েছে না?

তো আজ আর ওর খিদে নাই।

ও তোমাকে বলেছে?

সত্যি। গ্রামের লোকগুলো ওটাকে তাড়িয়েছে।
এসো।

ওরা বলে
মৃত মানুষ নাকি আকাশের তারা হয়ে যায়।

- কে বলল?
- নানী বলেছে।

রিশিও স্টার হয়ে গেছে নাকি?

দেখো! দেখো! ওখানে।

ভগবান রিশির মতো লোককে
এতো তাড়াতাড়ি নিয়ে নেয় কেন?

এটা তুমি?

বহু আগে।

তো এটা কে?

দিব্যা।

ওর ফার্ট লাভ।

ক্লাসে ঢুকে ডিডিএলজে গান গাইতো।

Bollywood romance. Full drama.

ও, তারপর কী হলো?

আর কী?

ফার্স্ট লাভ, স্কুল প্রেম...
কখনও সাক্সেস হয়না।

They don't mean anything.

শেষ পর্যন্ত ওর ফটো ওর ওয়ালেটে ছিল...

...l am sure it meant something.

বললে তো ওটার খিদে নেই।

হেয়, নানীকে কোনটা পাঠাবো?

কে জানে?

তোমার কেউ নেই পাঠানোর?

একটা দামী কার্ড দাও।

সব একই রেট।

আসলে নানী এটা পছন্দ করবে।

Hi, Riya.

Can't wait to be back.

Riya my future.

- কোথা থেকে আসছো?
- হায়দ্রাবাদ। তেলুগু! তেলুগু!

ও, পাওয়ার স্টার! পবন কল্যাণ!!

- Trekking on road.
- Yes, trekking.

হেলিকপ্টার আছে না? ফ্লাই।

হেলিকপ্টার?

আছে?

- নন্দি! নন্দি!
- তুমিও এসো। ফটো তুলব।

Good news! Good news!

তাই নাকি? কয় মাসের?

ছিঃ! সেটা না।
এভারেস্টে হেলিকপ্টার আছে।

ব্যাগ বওয়ার আর ওর পেনপেনানি আর শুনতে হবেনা।
চলো যাই।

No helicopter.

টাকার কথা ভেবোনা।

- আমি ম্যানেজ করবো।
- আনন্দি!

- নন্দি!

- Where are you going?
- Nandi! Nandi!

বলছিনা যে ফিরে যাব।
বলছি এই পাহাড়-টাহাড় না চড়ে সোজা চলে যাব।

অনেক সময় বেঁচে যাবে।

তুমি এটার অর্থ বোঝোনি। তাইনা?

যদি রিশি হতো
ও শর্টকাট নিতো না।

তিরুমালা* যেতে সিঁড়ি বেয়ে ওঠা জরুরি নয়।
গাড়িতে করেও যাওয়া যায়।

কিন্তু সন্তুষ্টি তখনই হয়
যখন তিরুমালা সিঁড়ি দিয়ে যাই।

আচ্ছা... তোমার ইচ্ছা।

এটা দেখি।

- এখন বলো। আসবে নাকি আসবে না?
- সুব্বু, দাও ওটা।

- দিয়ে দাও প্লিজ।
- তুমি বললে যাব বলেছো তো এপর্যন্ত এসেছি।

প্লিজ, ফাজলামো কোরোনা।
সুব্বু, এটা...

তুমি সবকিছুতে শর্ত কেন জুড়ে দিবে?

না, সুব্বু! দাও।

দাও বলছি, প্লিজ।

- আমি দিব?
- দাও আমাকে।

কক্ষণো দিবনা।
হেলিকপ্টারে যেতে চাইলে তবেই দেব।

সুব্বু, প্লিজ দাও।

ফাইজলামো কোরোনা।

সুব্বু, থামো।

*তিরুমালাঃ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের চিরুত্তি জেলায় অবস্থিত পার্বত্য শহর।
এখানে ভগবান বিষ্ণুর অন্যতম প্রধান উপসনালয় ভেঙ্কাটেশ্বর মন্দির অবস্থিত।

থামবো না!

থামবো না!

আনন্দি!

মরে গেছি!

গেল! ২২ হাজার টাকা!

গেল!

বাঁচাও ভগবান।

যদি তুমি বাঁচাও...

...তো গৃহমন্দিরে পঞ্চাশ লোককে খাওয়াবো।

একশ লোক?

খুশি?

দুধকাশিতে গেলে
আমি কে জানতে পারব?

আসছি তোর কাছে, থাম।

ওখানে অপেক্ষা কর।

Hey, come on.

Who am I?

The teachings of
Bhagwan Ramana Maharshi.

*ভগবান শ্রী রমণ মহর্ষি (১৮৭৯-১৯৫০) তামিলনাডুর একজন হিন্দু আধ্যাত্মিক।
আত্মউদঘাটন বিষয়ক দর্শনের জন্য বিখ্যাত।
'Who am I' এই বিষয়ে তাঁর একমাত্র লিখিত বই। বইটির প্রকৃত (তেলুগু) নাম 'নান ইয়াড়'।

...ইনি আপনার স্ত্রী?

ও মেরি।

আমার ওয়াইফ।

আমার বিজনেস পার্টনার। আমার সবকিছু।

বিজনেস পার্টনার... ভালো...

তো আপনারা কী করেন?

ব্লুটুথ টেকনলজিস।

ব্লুটুথ টেকনলজিস...
ওহ, হ্যাঁ, ওখানে কাজ করেন?

না... না... ওটা আমার কোম্পানি।

কি?
মাল্টি-মিলিয়ন ডলার কোম্পানি!

ওয়াল স্ট্রিট লিস্টেও আছে।

মানে আপনারা এখানে কী করছেন?

যুবকবয়সে কোম্পানিটা স্টার্ট করেছিলাম।

বিজনেসের দৌড়ে ফার্স্ট হওয়ার খিদে ছিল খুব।

ওই সময় মেরিকে বলেছিলাম
৪০ বছর বয়সে রিটায়ার করব...

...ওকে পুরো পৃথিবীটা দেখাবো...

...লাইফ ইনজয় করব।

আমাদের ৪০ বছর হয়ে গেল।

তখনও অনেক ক্লায়েন্টস ছিল
আরও টাকা আয়ের সোর্চ ছিল।

অফকোর্স, থামতে পারলাম না।

৫০ বছর হলো।

রিটায়ারমেন্ট ৫ বছর বাড়িয়ে নিব ভাবলাম।

আসলে আমিও সহজে সন্তুষ্ট হইনা।

তো আপনি আর আপনার স্ত্রী...

...রিটায়ারমেন্টের পর
পৃথিবীটা ঘুরে দেখার প্লান করেছেন।

তো আপনারা একটা ট্রিপে আছেন একসাথে।

মেরি গত বছরে মারা গেছে।

আমার বহুবছর পড়ে ছিল...

...ওর সাথে যেকোনো জায়গায় যাওয়ার জন্য।

কিন্তু আমি দেরি করেছি।

ফানি জিনিস হলো...

...যে কাজের জন্য আমি আমার
মেরিকে স্থগিত রেখেছিলাম...

...মনেই নেই সেটা কী...

... মেরিকেই মনে আছে।

- কাল সন্ধ্যা থেকে ও নেই।
- ভয় পেয়োনা আনন্দি।

হেয়, তোমার ফ্রেন্ড।

জানো একটা জিনিস?
যে তোমাকে ভালোবাসে এমন একজনকে খুঁজে পাওয়াই সত্যিকারের সাক্সেস।

Don't panic.

- People are searching. Don't worry.
- Just go.

এতো কেন টেনশন করছিলে?

ভয় পেয়েছিলাম।

আমার জন্য?

রিশির জন্য!

গানঃ"Challa Gaali Thakuthunna"
সিংগারঃ Senthil, Rihitha
কথাঃ Ananth Sriram
কম্পোজঃ Ilayaraja

হেয়, তোমার চশমা কী হয়েছে?

হারিয়ে গেছে।

তুমি দেখতে পাচ্ছো?

আমার চোখে সমস্যা নেই।

কি?

এটা... হিসেব করে দেখেছি...

...চশমা পরলে ৮% মানুষ তোমাকে
বেশি সিরিয়াসলি নেবে, তাই পরা শুরু করি।

Oh my God!

এখানে... এখানে?

হারিয়ে গেছি!

Come.

- Oh... yes.
- This is the way!

- Okay.
- This way?

আহাম্মক!

কোথায় যেতে?

ম্যাপ দেখো।

Nice map!

- এখান থেকে কোথায় যেতে?
- একটা গাছ আছে।

ওখান থেকে ডানে।

গাছটা গেল কই!

একটা গাছ??

Oh, yes. I got an idea.
Near my village.

There is a Baba, who know the path.

- Come along with me. Come on.
- Okay.

This is last village
before Doodh Kashi?

My mamma is great.

She is the best cook
in the whole village.

ভগবান!

আজ তাও কিছু স্পেশাল খাবো।
রোজ মমো খেতে খেতে পচানি ধরে গিয়েছে।

- গু!
- খাও, খাও, খুব ভালো।

বেস্ট মমো সারা দুনিয়ার।

গাছের ভেতর কে বসে আছেন ইনি?
গাছের বাহিরে কি জায়গা নেই?

- আমরা এখান থেকে কোথায় যাবো?
- বাবা বলবেন।

জিজ্ঞেস করো...

বাবা কথা বলেন না।

বোবা বাবা কীভাবে ডাইরেকশন দেখাবে?

বাবা!

আমরা অনেক দূর থেকে এসেছি।

আমাদের বন্ধু রিশির শেষ ইচ্ছা...

...দুধকাশি যেতে চেয়েছিল।

আপনাকে রাস্তা দেখাতেই হবে, প্লিজ।

Take... take.

মলম পার্টির নতুন সংস্করণ নাকি?

হলি বাবার প্রসাদ।

Eat... eat...
it will give all the answer, 1, 2, 3.

এটা শুধুই প্রসাদ নয়।

I love my mother.

I will never leave her again.

সুব্বু, ওকে না?

আসলে সুপার ওকে!

রামাইয়া কোম্পানির ডিলটার জন্য...

...এখানে আসা থেকে পালানোর অনেক চেষ্টা করেছিলাম।

আসলে আমি তোমাকে কিছু বলতে চাই।

থ্যাঙ্ক ইউ...

... আমাকে এখানে আনার জন্য।

আসলে থ্যাঙ্কস আমাকে না...
তোমার রিশিকে দেয়া উচিত।

থ্যাঙ্ক ইউ রিশি...

সুব্বু, সাবধানে।

সুব্বু!

তুমি মরে যাওনি?

মরে গেছে?

আমি পড়ে গেলেও ও ঝাঁপ দিতোনা।
এখন দেখো, বোতলটার জন্য দিয়েছে।

ছোটবেলা থেকেই খুব প্রাক্টিকাল ছিল।

এখন কী হলো?

আমার রক্তের যেন দাগ না ভরে
তাই গাড়িতে তোয়ালে বিছিয়েছিল।

- খুবই প্রাক্টিকাল।
- এই সুব্বু।

তোকে বিদায় জানাইনি না?

মেয়েটা!... আমার ভুল কীভাবে?

- আমরা কী করেছি?
- সত্যিই।

আমরা কিছু করিনি।

কিছু করতেই তো বলছি।

বুঝলাম না।

হ্যালো।

আমি বুঝেছি।

নমস্তে!

হাত কেমন আছে?

কাল রাতে আপনাকে নদীর তীরে পেয়েছি।

আপনি খুবই লাকি।

এটা আমার বাগানের বাঁধাকপি।

কী করবো?

কিচেনে রেখে দিন।
আমি এসে স্যুপ বানাবো।

হেল্প!

আসুন।

আসুন।

কেউ আছেন?

বাঁচান, একটা মেয়ে ওখানে...

No! No! I don't know.

হেল্প!

হেল্প!

একটা মেয়ে...

You go outside.

How is she?

কিছু...

কী হলো?

সত্যিই।

আমরা কিছু করিনি।

কিছু করতেই তো বলছি।

সরি রে রিশি।

আমি ভুল।

তুই-ই ঠিক।

গানঃ "Idhera"
কথাঃ Ramajogayya Sastry
গায়কঃ Mohit Chauhan
কম্পোজারঃ Radhan

Subbu! Thank God.

মা, এই নাও ওষুধ।

খাও।

তোমার জ্বর চলে যাবে।

এই টাকাটা রাখো।
তোমার কাজে লাগবে।

- আমরা এখন যেতে পারব।
- না! না!

আমার প্রাপ্য নয় এ টাকা।

আমি সরি,
তোমাদেরকে দুধকাশি নিয়ে যেতে পারিনি।

তুমি মায়ের কাছে থাকো।
আমরা কোনোভাবে ম্যানেজ করে নেব।

অনেক দূরে নিয়ে এসেছো আমাদের।
থ্যাঙ্ক ইউ।

ওখানে আবাহাওয়া খুব খারাপ।
তোমরা জানোনা।

ভাগ্যে থাকলে যাবোই।
ব্যাপার না।

তুমি টাকাটা রাখো।

You are good funny fellow!

Shake now!

Funny fellow.

All the best. Come... come, Anandi!

- পেম্বা...
- মনে রেখো ডাইরেকশনগুলো...

...যেগুলো দেখিয়েছি তোমাকে।

Amma, bless them.
They are going to very dangerous area.

ফিরে যাই, চলো।

আমার ভাগ্যই এরকম সুব্বু।
দেখতে পাও না?

আমার ঘনিষ্ঠদের সাথে সবসময়ই খারাপ কিছু ঘটে।
আমি ব্যাড লাক। অপয়া।

তোমার কিছু হলে
সহ্য করতে পারব না সুব্বু।

ঝুঁকি নিতে পারিনা। চলো, চলো।

- ফিরে যাই চলো...
- রিশি এখনও...

... দুধকাশি পৌছায়নি।

কীভাবে ফিরে যাব?

রিশির জন্য এই দ্বিতীয়বার হাত ভাঙলাম।

এসো।

আর অল্প একটু।

নন্দি!

কী হয়েছে?

সুব্বু, হাত অবশ হয়ে গেছে।

ওঠো।

এসো।

বসো।

এই!

সরি সুব্বু,
এসব আমার জন্য।

চুপ! তোমার জন্য না হলে আমি রিশি...
আমার বেস্ট ফ্রেন্ড রিশির জন্য এতোদূর আসতাম না।

তোমার ঋণ কীভাবে শোধ করবো জানিনা।

না... আমি পাগলি মেয়ে।

এটাও ঠিক।

আসলে তুমি কতো
কুল সেটা তুমিও জানোনা।

তুমি স্পেশাল, নন্দি।

ঘুমিয়ে পড়েছো?

সত্যিই ঘুমিয়ে পড়েছো।

Hello, Subramaniyam.

দেখো কী পেয়েছি।

কখন উঠেছো?

অনেক আগে...
উপরে বেডরুম, নিচে ডাইনিং রুম।

কতো সুন্দর এটা!

তাই নাকি?
থামো, বাইরে কী অবস্থা দেখে আসি।

- কী অবস্থা?
- এখনও ঠান্ডা খুব।

আমি কখনও আমার ড্রিম হাউজ নিয়ে ভাবিনি।

কিন্তু সত্যিই এতো পার্ফেক্ট হাউজ
আর কোথায় পাব সুব্বু?

আর ফুড?

দাঁড়াও এক সেকেন্ড।

বস্তাভর্তি আলু।

See no problem.

জীবনে আমাদের কী দরকার?
খাদ্য, বস্ত্র আর বাসস্থান।

- সবই আছে সুব্বু।
- পটেটো!

কার যে বাড়ি...

... কতদিনের এই আলু!
খাওয়া যাবে কিনা...

নানী সবসময় কী বলে জানো?

খাবারের প্রতি দানায়
যে খাবে তার নাম লেখা থাকে।

না জানি কতদিন
এই আলুগুলো আমাদের অপেক্ষায় ছিল।

আর অপেক্ষায় রাখবনা।

Now, chef's special.

- কী এটা?
- সুব্বু, রিশি, আনন্দি।

এক মিনিট।

এখানে বস রিশি।

খা এটা।
আমার কই?

এখন আলুর তৈরি স্যুপ।

জানতামইনা আলু দিয়ে এতোকিছু হয়।

- হেয়, চিপস বানাতে পারো?
- সসও লাগবে সঙ্গে?

খাও আগে।

- কী এটা?
- ঘোড়া।

কুকুরের মতো লাগছে!

হ্যাপি দিপাবলি।

এগুলো বানিয়েছো আলু দিয়ে...
সুপার আইডিয়া!

গানঃ "O Kala"
কথাঃ Ananth Sriram
সিংগারঃ Harini
কম্পোজারঃ Radhan

ঘুমাচ্ছো?

ঘুমালে হ্যাঁ বলো।

এই কদিন আমি
কত হ্যাপি ছিলাম জানো?

প্রথমবার মনে হয়েছে
আমার জন্য কেউ আছে পৃথিবীতে।

সুব্বু, শোনো।

আই লাভ ইউ।

হেয়, আই লাভ ইউ মানে লাইক ইউ নয় কিন্তু,
লাভ ইউ মানে লাভ ইউ।

নন্দি!

নন্দি, ব্যাগ কীসের?

এখানে কতদিন থাকবো?

বাহিরে পরিস্কার হয়ে গেছে।

- কী এসব?
- তোমার শেয়ারস!

- এখন কেন...
- তো কখন?

বলেছিলাম তুমি আসলে দিব।
এটাই ছিল ডিল।

- এখন ডিলের কথা কেন তুলছো?
- সুব্বু, তোমার লাইফ আলাদা আমি জানি।

তোমার এঙ্গেজমেন্ট হয়ে গেছে সেটাও জানি।

শুধু কখনও কখনও
ভেবে দেখিনা।

পাগলি আমি।

- সেটা আমি বলিনি...
- সুব্বু, এটা ব্যাপার না...

আমরা এসেছি রিশির জন্য।
এসো, এখনও দুধকাশি যাইনি।

মনে হয় কাছে এসে গেছি।

সুব্বু, পাথরগুলো ওরকমই
যেমনটা ওই গাছের বাবা সাজিয়েছিল।

এখানে এসো।

সুব্বু!

সুব্বু, কোথায় তুমি?

আনন্দি!

এখানে।

এসো, এসো।

কী এটা?

রিশি... দুধকাশি।

ও এসে গেছে।

ফাইনালি পেরেছে ও।

- সো বিউটিফুল!
- এসো।

এসে গেছি।

মনে যতো চিন্তা-ভাবনা আসে, তার মধ্যে প্রথম ভাবনা হলো "কে আমি?"
পূণর্জন্মের চিন্তা অজ্ঞতা ছাড়া কিছু নয়, জীবন একটাই। সকলের বাঁচার সুযোগও এই একটাই।
- ভগবান রমণ মহর্ষি

- Congrats, sir.
- Thank you.

জানতাম আপনি করবেন, আমি জানতাম।

You did it, sir.

এই চেয়ারে বসার অধিকার
তোমারই পাওয়া উচিত।

আজ সুব্বু এটা করে দেখিয়েছে।

তুমি জিতবে জানতাম সুব্বু।
সবসময়ই আশ্বাস রাখতাম তোমার উপর।

Come on, boy. Come, sit.

সুব্বু আমাদের কোম্পানির ভবিষ্যত।

আমার চেয়েও ও
একে উঁচুতে নিয়ে যাবে।

Congrats, sir.
So good to have you, sir.

স্যার, রামাইয়া কোম্পানির টেকঅভারের দায়িত্ব
পশুপতিবাবু আমাকে নিতে বলল।

আপনার শেয়ার পেপারগুলো
আমাকে ফরোয়ার্ড করে দিলে...

...ওই বুড়ো তল্পিতল্পা গুটিয়ে
চলে যেতে বাধ্য হবে পরশুদিনের মধ্যেই।

কোয়ালিটি ভালো।
আরেকটু ছাঁটো।

- আচ্ছা।
- বিক্রির জন্য নয় বলে?

শেষ।
হয়ে গেছে।

আপনার ওপর ওদের সম্মান, ভরসা,
সব...

সব শেষ।

দুদিন পর এই কোম্পানি
আর আপনার নামে থাকবেনা।

যদি আমার কথা শুনতেন
অন্তত কিছু টিকে থাকতো।

এসো, বসে কথা বলি।

সেসময় কী বলেছিলেন?

যাই হোক না কেন
আপনি এই কাজ করবেন?

আর দুই দিনে
এই কোম্পানি বন্ধ হবে।

এখনও এখানে কেন স্যার?
বাড়িতে গিয়ে রেস্ট নিন।

বসো।

বসো!

তুমি চশমা পরতে না?

চশমা তো দুধ...

এখন এটা আপনার প্রবলেম?
কত কষ্ট করে দাঁড় করিয়েছেন এই কোম্পানি।

লড়াই করে টিকিয়ে রেখেছেন এটা,
আর অন্যকেউ কেড়ে নিচ্ছে...

... আপনার কষ্ট হচ্ছে না?
আমার উপর রাগ উঠছে না?

ভগবত-গীতা জানো?

আমার প্রিয় শ্লোকটা বলি।

"কর্মণ্যেবাধিকারস্তে মা ফলেষু কদাচন।
মা কর্মফলহেতুর্ভূর্মা তে সঙ্গোঽস্ত্বকর্মণি॥"
ভগবত-গীতা অধ্যায়-২ শ্লোক-৪৭

এটার অর্থ কী জানো?

কর্মে তোমার অধিকার আছে কিন্তু কর্মফলে নেই,
তুমি ধর্ম ও কর্ম করতে থাকো।

যা হওয়ার তা হবে।

লাইফের কাজ-কর্ম সব ধুলায় মিশে যাচ্ছে
আর আপনি গীতার লাইন ঝারছেন?

আপনি বলেছিলেন আমরা স্বার্থপর।

এখন, সুব্রামানিয়াম আর পশুপতির মতো
স্বার্থপরেরাই জিতল।

তাহলে জিতে যাওয়া সুব্রামানিয়াম...

... হেরে যাওয়া রামাইয়ার কাছে এলো।

কেন এলো তার কাছে?

তাই না?

কারেক্ট। আমি কেন এলাম?

আমার কী?
আপনি আর আপনার কর্মচারীদের কী হচ্ছে হোক।

ও কি এখনও ওই কোম্পানিতে কাজ করে?

- কে?
- যে আগেরবার এসেছিল।

সেই সুব্রামানিয়াম!

যদি দেখা হয় একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস কোরো।

তার বিবেককে জিজ্ঞেস কোরো।

কে সুব্রামানিয়াম?

Okay, so nowadays this theme is popular...

...but I would suggest to you is...

sounds good...

...so I will get a designer...

...who will recreate the atmosphere
ofthe pantheon...

...and it is amazing.

And the water sewed at the wedding...

...will be exclusively
imported from the Himalayas--

Wow! Did you hear that, Subbu?

Isn't that a wonderful idea?

সরি।

সরি রিয়া।

তোমার জন্য আমি কারেক্ট নই।

বিয়েটা হচ্ছে না। ক্যানসেল।
আপনি যেতে পারেন।

সুব্বু, ঠাট্টা করছো?

না রিয়া, ঠাট্টা করছিনা।

আমি খুবই সিরিয়াস।

কিছুদিন আগেই পেন্টহাউজে থাকতাম।
কাসা প্যারাডাইজের লেভেলে আসতে চেয়েছিলাম...

...এসে গেছি।
এখন নিউ ইয়র্ক। তারপর?

রবার্ট নামে একজনের সাথে আমার দেখা হয়।

তার কথাগুলো মনে করে
যখন লাইফের দিকে একবার ঘুরে তাকাই...

এই বিল্ডিং, গাড়ি, টাকা-পয়সা
এসব দেখতে পাইনা।

কী দেখতে পাই জানো?
এই হিমালয়ে...

...একটা নবজাতক মেয়ের মুখ
যাকে আমি কোলে তুলে নিয়েছিলাম।

আর কী চাই?

কী সুব্বু, হিমালয়ে গিয়ে
বোধোদয় হয়েছে নাকি?

একদিক দিয়ে হ্যাঁ।

সেপর্যন্ত যেতেই হয়েছে।

কিন্তু যাওয়া আবশ্যক না।

সত্য সর্বত্রই সত্য।

কাল...
কাল আমাকে কী বলেছিলে?

হ্যাঁ, জিজ্ঞেস করেছিলাম আমাকে বিয়ে কেন করছো।
বলেছিলে আমি বিজয়ী, বুদ্ধিমান তাই।

কিন্তু বলোনি আমাকে ভালোবাসো।

কীভাবে বলবে?
ভালোবাসাটা আছে কোথায়? ভালোবাসা নেই।

রিশি একবার বলেছিল
আমার লাভস্টোরি বলতে।

বলতে পারিনি।
ছিলই না, না?

এতে তোমার ভুল নেই,
কারণ আমিও অমনই ছিলাম।

সেজন্য তখন ছিলাম আমরা পার্ফেক্ট জুটি।

এখন না।

কারণ যে সুব্রামানিয়ামকে তুমি পছন্দ করতে...

... তাকে আমি দুধকাশিতে রিশির সাথেই রেখে এসেছি।

সে আর আমি আলাদা।

Subbu, don't talk rubbish.

রাবিশ?

তুমি বুঝলেনা? দেখো।

দেখো তুমি বিউটিফুল।
আই লাইক ইউ।

আই লাইক ইউ মানে আই লাইক ইউ।
আই লাভ ইউ না...

হেয়, আই লাভ ইউ মানে লাইক ইউ নয় কিন্তু...

...লাভ ইউ মানে লাভ ইউ।

আসলে, আমাকে যেতে হবে।

কার্ডটা তোমার জন্য পাঠিয়েছিলাম,
দেরি করে পৌছেছে।

দরজা বন্ধ করলেই শেষ।

আমি সিরিয়াস।
সেকেন্ড চান্স পাবেনা।

এটাই আমার সেকেন্ড চান্স!

Say hi to your dad.

Actually say bye.

কাউকে বিশ্বাস কোরোনা।

ফ্রেন্ডসকে না, স্ট্রেঞ্জারসকে না,
প্যারেন্টসকে তো আরও না।

What is this?

কেউই স্থায়ী না।

এই দুনিয়াতে
সবাই নিজেদের জন্য বেঁচে থাকে।

আমরা সবাই একা।

কাকের মতো।

এই মেয়ে, বাচ্চাদেরকে ক্যারাটে শেখাবে ভেবেছিলাম।
কাক-টাক কী এসব?

শেখাচ্ছিই তো ওদের।

হেয়, শোনো, আমাদের সবকিছুর জন্য
রেডি থাকতে হবে, ওকে?

Attention! Come on!

জোড়া বানাও। পার্টনারের সামনে দাঁড়াও।

আমি যা করছি তাই করো, ওকে?

ফলো মি! আমার একজন ভলেন্টিয়ার দরকার
দেখানোর জন্য। আঙ্কেল, আপনি?

সরি, আমি ফোনে আছি।

কেউ তো আসুন।
মাত্র পাঁচ মিনিট। প্লিজ আসুন।

Great! Great! Come.

বিয়ের দাওয়াত যদি দিতে আসো
আরেকটা হাতও ভেঙে দেবো।

- সেটার জন্য আসিনি।
- তাহলে কেন এসেছো?

আমার কাছে আর শেয়ারস নেই যে তোমাকে দিব।

তোমার লাইফে শেয়ার দিলেই হবে।

- হাত... হাত...
- তো রিয়ার কী হলো?

তোমার এমবিএ ফর্মুলা ভুলে গেলে?

বল, দুর্বল ইত্যাদি ইত্যাদি।

আমাদের স্কোর জিরো হবে সুব্বু।

তোমার জন্য রিয়াই কারেক্ট।

সেটা তখন, এখন নয়।

বিয়ে করে রিয়ার লাইফ নষ্ট করা ঠিক না।

তো আমার লাইফ নষ্ট করতে এসেছো?

সেটা বলিনাই।

দশ কোটি টাকার বাড়িতে থেকেও আমি
তোমার সাথে কুঁড়েঘরে কাটানো দিনগুলোই ভাবছি।

ফাইভস্টার হোটেল থেকে আলুই
অর্ডার করছি।

- এর থেকে কী বুঝলে?
- তুমি আলু পছন্দ করো!

তোমার মাথা!
মানে তোমাকে পছন্দ করি।

আগে আমি সবকিছু
হিসেব করে নিতাম।

এখন মনে হচ্ছে তোমাকে পেলেই যথেষ্ট।

I really... really...

থামো।

আই লাভ ইউ।

আই লাভ ইউ মানে আই লাভ ইউ,
আই লাইক ইউ না।

- I really...really...
- Teacher.

থামো।

- I really...really...
- Teacher!

ধরে থাকো রে।
জীবন-মৃত্যুর ব্যাপার এটা।

আমরা কোথায় ছিলাম?

রিশি একবার আমাকে
আমার লাভস্টোরি বলতে বলেছিল।

সেসময় লাভস্টোরি ছিলনা।

এখন লাভস্টোরি আছে,
কিন্তু রিশি নেই।

তুমিই আমার সব এখন।
এই লাইফ তোমার।

- যদি আমার থেকে ভালো মেয়ে পেয়ে যাও?
- তোমার পাগলামো সামলাতেই সারা জীবন লাগবে।

অন্য মেয়ের দিকে তাকানোর টাইমই পাবোনা।

যদি তাকাও, চোখ উপড়ে নেব।

Done! Done!

সুব্বু!

- তুমি ভুতে ভয় পাও, না?
- হ্যাঁ, এখন কেন সেটা?

তোমাকে একটা সিক্রেট বলতে হবে।

- আমার বাবা কৃষ্ণমূর্তি...
- তিনি আর নেই না?

প্রতিদিন মাঝরাতে আমাকে দেখতে আসে।

সাদা, উড়ে বেড়ায়।

- এক মিনিট, ওঠো।
- কী?

- কাকে করছো ফোন?
- রিয়া, ও বোধহয় বিয়ে ভেঙে ফেলেছে।

- ওকে থামাতে হবে।
- থামাও, থামাও।

হাত থাকলে তো থামাবে।

- আরে ঠাট্টা করছিলাম।
- এ, দাঁড়াও।

বাবু!

আমরা শেয়ারগুলো পেয়ে গেছি।

এটা কী?

একটা জব এপলিকেশন।
"সুব্রামানিয়াম"

দাদাকে কই পেলে?

তাকে গাড়ি দিলাম, আমাকে দাদা দিল।
অদলবদল।

সেও হ্যাপি, আমিও হ্যাপি।

"Jantar Mantar!
Should I perform all magic tricks..."

"...on you?"

"Sorrow, grief."

“Should I convert them into zeros?“

"Sunday, Monday... have fun any day."

“Life is full of wonders.
Enjoy everything I say.“

গানঃ "Beautiful Zindagi"
কথাঃ Vasishta Sharma
গায়িকাঃ Nikhita Gandhi
কম্পোজারঃ Radhan

"Lot of twists and
turns in small life."

"Why? Why?"

"Small wishes...
you jump to catch them."

“There are no tensions
before taking birth.“

“Everything is cool
if you take it easily.“

"lf you share each
and every moment..."

"...every day will
be a colourful day."

"Beautiful! Beautiful! You have just one life.
This moment belongs to you."

"Beautiful! Beautiful!
You have just one life."

"Don't think and enjoy it."

"lf you behave as you want..."

"...the world around you..."

"...will appreciate you."

"It follows you!"

"lf you help then..."

“...friendship will remain intact.“

"It will remain with you..."

"...and it will never leave you."

"One, two, three, four...
there are very few moments."

"Life is too shod
so think with your head."

"Work with love, live your life."

"Don't keep any unfulfilled wishes."

"Beautiful! Beautiful! Life is one.
This moment belongs to you."