All language subtitles for Jallikattu.(2019)

মুভিপ্রেমী হলে ভিজিট করতে পারেন আমাদের ফেসবুক গ্রুপঃ
"Worldwide Blockbuster Movie Freak"

Worldwide Blockbuster Movie Freak
➡ https://www.facebook.com/groups/Worldmlbd/

অনুবাদে সাহায্যের জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানাই "নূরুল্লাহ মাশহুর" ভাইকে।

কোন প্রকার মজা না,
তুমি আমার আগে হাঁটো।

দড়িটা শক্ত করে ধরো।

আবার নাস্তায় ভাপা পিঠা?

প্রত্যেকদিন এক জিনিস!

নকশাল উগ্রবাদীদের সাথে মজা হচ্ছে?

এটি ব্যাংকের কার্যক্রম,
দয়া করে সহযোগীতা করুণ।

আপনার জন্য কলিজা বাড়িয়ে দিয়েছি।

জানিস, আমি ভার্কি থেকে মাংস কেন কিনি?
কেননা সে তাজা মাংস বিক্রি করে।

- ভার্কি, আমার কুকুরের জন্য কিছু ঝড়া মাংস দে।
- এই তাড়াতাড়ি কর না!

স্যুপ করার জন্য কিছু হাড় দে।

বলদ কোথাকার, কি করছিস এসব!
মশকারা করতে এসেছিস এখানে?

- ঠিক আছে, আমি যাচ্ছি।
- আচ্ছা ঠিকাছে।

রানের মাংস এনেছি, ফাদার।

অসংখ্য ধন্যবাদ।

- এই, এখানে কি?
- ঐদিকে দিয়ে আয়।

সুভদ্রা, আজ মাংসের কোরমা বানাও।

- ভাইয়া, মাংসের বড় টুকরো, না ছোট?
- বড় টুকরো ।

ভাই বোন দুটোরই তার ছেঁড়া।

আমরাও কিন্তু মাছ খাই।

- কিন্তু এটা তো ছোট মাছ।
- আগে আমায় টেস্ট করতে দাও।

যা এখান থেকে, শালা বলদ!

আমার ভাই জানতে পারলে তোর চোয়াল ভাঙ্গবে।

টর্চ টা নিয়ে যাও ।
নয়তো অন্ধকারে পা পিছলে হাড় ভাঙ্গো।

এইটা ধর ।

বার থেকে থমাস কল দিয়েছিল।
তাদের তাড়াতাড়ি মাংস লাগবে।

বারের টা পরে দেখা যাবে, প্রথমে কুরিয়াচানের বাড়িতে ৭ কেজি হাড় ছাড়া মাংস পাঠাতে হবে,

তার মেয়ের বিবাহের বাগ্দানের অনুষ্ঠানের জন্য।

ঐ শালার ব্যাটা জীবনে কাউকে দাওয়াত দেয়নি।

বলদ! এভাবে কেউ গাঁটছড়া বাঁধে?

তুই কি তোর শাশুড়ির গাঁটছড়া বাঁধার অনুশীলন করছিস?

পা গুলো একসাথে চেপে ধর।

ধরেছি, মাস্টারজ্বী।

এটার মাথা নীচে করে ধর,

শক্ত করে ধর!

আরো ভালো করে ধর, হ্যাঁ।

- এই পালালো রে!
- এই ধর কেউ!

যেতে দিস না।

ধর তাড়াতাড়ি।

মুভির নামঃ জাল্লিকাট্টু (২০১৯)

অনুবাদ ও সম্পাদনায়ঃ
নিয়ামুল হক আবেগ।

এই আগুন লেগেছে!
আগুন লেগেছে!
সবাই তাড়াতাড়ি পানি নিয়ে আয়!

সবাই তাড়াতাড়ি যাও,
আগুন লেগেছে, আগুন লেগেছে।

- এই চল চল তাড়াতাড়ি যাই!
- হ্যাঁ হ্যাঁ সবাই তাড়াতাড়ি করো!

সবাই তাড়াতাড়ি করো, গুরুতর আগুন লেগেছে।
সবাই তাড়াতাড়ি যাও পানি নিয়ে।

সবাই সাথে করে পানি নাও!
গুরুতর আগুন লেগেছে।

ভাই, ওখানে আগুন লেগেছে।

সবাই, তাড়াতাড়ি চলো!

দেখ দেখ ওখানে আগুন লেগেছে!
দোয়া করো যাতে ছড়িয়ে না পড়ে।

চুল বেঁধে নাও।

ভাই এখানে কি হয়েছে?

- এতো শোরগোল কেন ওখানে?
- একটা পাগলা মহিষ ছুটে গেছে।

কিন্তু এটা খড় কেন পোড়াবে?

মহিষ তো খড় খায়, তাইনা!

ধ্যাত!

গরীব মানুষের কি এখানে শান্তিতে বাঁচার কোন অধিকার নেই?

প্রভাকর!

দরজা খোল!

কে রে?

আমি, ভার্কি ।

ভার্কি?

কি ব্যাপার?

আমার সাথে আয়!

চিন্তা করিসনা, ভার্কি!

তারা সমভূমির অভিবাসী,

সকাল হওয়ার আগেই তারা ওটাকে ধরে দিবে।
তারপর কেটে বেচতে পারবি।

তোর বাবা মাথান এইরকম একটা মহিষকে ধরতে গিয়ে কূপের ভেতরে পড়ে মরেছিল..

তাইনা?

ভার্কি, আমি নিশ্চিত সে এদিকে গিয়েছে।

প্রতিদিন মদ খেয়ে মাতাল থাকতে পারিস,

কিন্তু একটা মহিষকে সামলে রখতে পারিস না!

এই, আগে আমার থেকে গতবারের মাংস কেনার টাকা টা দে!

ওটা আমাদের প্রায় মেরেই ফেলেছিল।

আমি জানি ওটাকে কিভাবে ধরতে হবে।
যা এখান থেকে!

তোর কারণে আমার ৫০লিটার গরুর দুধের লোকসান হয়েছে। এটার জন্য তোকেই জবাবদিহি করতে হবে।

যা, গিয়ে পুলিশকে ডাক দে।

যা এখান থেকে ।

আলো জ্বালা ভালো করে।

এন্টোনি কোথায়?

এই, এই, এই,
এতো সকালে যাচ্ছিস কোথায়?

মহিষ তো গেলো!

এখানে বেচে থাকা অসম্ভব!

এই ***!
মহিষ কোথায়?

বাগানের দিকে দেখেছিলাম।

দৌঁড়ে এটা যেদিকে যাচ্ছে সেদিকেই তছনছ করে দিয়ে

জঙ্গলের দিকে পালালো।

দাঁড়া সবাই!

তোরা সবাই যাচ্ছিস কোথায়?

তোরা তিনজন ঐদিকে যা।

আর তোরা কয়েকজন এদিকে আয়।

ধ্যাত শালা! এইটা কি বাগান না পোকামাকড়ের আড্ডাখানা!

এটাই প্রকৃতি, বন্ধু ।
এটাই প্রকৃতি ।

এই, এতো তাড়াহুড়ো কিসের?
জন্তুটা তোকে একা পেলে শিক কাবাব করবে।

কোথায়? কোথায়?

আয় ।
তাড়াতাড়ি আয় ।

পিছু নে শালার!
যেতে দিসনা একদম।

এইযে, ওটা এদিকেই এসেছিল।

এইতো, এইতো মহিষটা।
তাড়াতাড়ি আয় সবাই।

ওটা ওদিকে গেলো।

আরে আরে আরে, গাছপালা নষ্ট করিস না!
এগুলো সব ঔষধি গাছপালা।

কি হয়েছে?

ভার্কি যে মহিষটার মাংস আজ বেচতো ওটা পালিয়েছে।

আমরা ওটা ধরতে এসেছি।

ঐ পবিত্র আত্মাকে বাঁচতে দে।

এই দুনিয়াটা প্রত্যেকটা জীবজন্তুর, শুধুমাত্র মানুষের না।

ওটাকে ছেড়ে দিয়ে শান্তিতে বাঁচতে দে।

আমরা মানুষরা এখানে জীবন বাজি রেখে মরছি,
আর এই বা** আসছে বয়ান দিতে!

আরে সাঙ্গু! বাজে শব্দ ব্যবহার করিস না।
এতে করে পরিবেশে শব্দ দূষণ ঘটে।

সাঙ্গু, তাড়াতাড়ি আয়!
ওটা এদিকেই আছে।

আরে গাছপালা দেখে হাঁটাচলা কর!

মহিষটাকে খুঁজে বের কর আর বেধে ফেল!

পওল, শান্ত হও!

পওল, খারাপ শব্দ ব্যবহারে পরিবেশে শব্দ দূষণ ঘটে।

প্রত্যেকটা ছোট ছোট কারণে বাবাকে কল দেওয়ার কি আছে?

একশো বার দিবো,
আমার যখন ইচ্ছে বাপের বাড়ি যাবো।

সে নিজেকে ইন্সপেক্টর বলে, কিন্তু নিজের বউয়ের আবদার পূরণ করতে পারেনা।

আমার কথা মেনে চলতে পারলে এখানে থাক,
নয়তো তোর অগা বাপের কাছে চলে যা ।
- অসহ্য লাগছে এসব!

- বাপ মেয়ে দুইটাই পাগল
- আমার বাবাকে অপমান করার সাহস হয় কি করে?

- করবো একশোবার!
- চলে যাবো আমি এখনই!
- গেলে চলে যা না!

যখন থেকে এই ঘরে এসেছিস একটার পর একটা অশান্তি লাগিয়েই রেখেছিস!

কোথাও গিয়ে মরো!
তুই গিয়ে তোর বাপের বাড়ি মর!

- বিয়ের এক সাপ্তাহ যেতে না যেতেই এসব শুরু হয়েছিল।
- আমি শুরু করেছি!

আসো আসো, মেরে ফেলো আমায়!

হ্যাঁ, হ্যাঁ, তোকেও মারবো তোর বাপকেও মারবো।

মেরে দেখাওনা!

স্যার!

সাব ইন্সপেক্টর, স্যার...
- আমি পরওয়া করিনা...

নিজে খুলে নাও দরজা!

স্যার, বাগানটা অনেক পরিশ্রম আর আদরযত্নে গড়েছিলাম।

ঐ মহিষ এসে আমার সবকিছু ধ্বংস করে দিলো।

যদি আপনার কাছে লাইসেন্স করা বন্দুক থাকে,
তবে গুলি করে মহিষটাকে মেরে ফেলুন।

আর শুনেন!

আমি কিছু শুনিনি, কিছু দেখিনি ।

- তোর কিছু হয়নি তো! ঠিক আছিস?
- টেনে টেনে থ্যাতলে দিলো একদম!

ফাদার!

- কি হয়ে গেলো দেখ!
- এমনকি একটি বুনো শুয়োর ও
এই জাতীয় তাণ্ডব সৃষ্টি করতে পারবেনা।

ভার্গেস, পুলিশ স্টেশনে কল দে।

নেমে আয়!

নীচে নেমে আয়!

এখন কোন ভেজাল পাকিওনা।
পরবর্তীতে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

চার্চের জমি কি তোর বাপের?

আমার কথা শোন!

এই সমস্ত জমি ঘন বন ছিল।

আমার বাবা এটি দখল করে আর পরবর্তীতে চার্চকে দান করে দেয়।

আর এই শালা এখানে এনে মহিষ ছেড়ে দিলো।
শালা ***** কোথাকার!!

আমিও দেখবো তোর মাংসের দোকান কিভাবে খুলিস আর!

এই, পুলিশকে কল দিয়েছিস?

মাস্টার, পুলিশের গাড়ি আসছে।

এখনই এর একটা ব্যবস্থা করবো।

আমি একটা জরুরী কাজে চার্চে এসেছি।
পরে কল দিবো তোমায়।

সরে দাঁড়ান সবাই!

বললাম না আমরা দেখছি!

স্যার ওটাকে গুলি করার কোন আইন নেই মানলাম,

কিন্তু দেখুন শস্যাদির কি পরিমাণ ক্ষতি করেছে এটি।

ফাদার, এখানে সবকিছু পর্যায়ক্রমে নিয়মানুসারে চলে।

ভূমি অফিসারকে অর্ডার দিতে হবে,
ভেটেরিনারি সার্জনকে আসতে হবে।

তার মানে এর সমাধানে আরো এক সাপ্তাহ লাগবে।

তার চাইতে ভালো আমরা নিজেরাই এটাকে ধরে ফেলি!

এই, তোমায় বলেছিনা পরে কল দিবো আমি!

আমাকে যখন তখন কল দিয়ে বিরক্ত করবেনা!

আপনারা যা ইচ্ছে করতে পারেন।
কিন্তু বন্যপ্রাণী হত্যা করলে,

আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আমরা দেখছি ঘর থেকেও বেরুতে পারবোনা!

সম্মানিত গ্রামবাসী, একটি পাগলা মহিষ চারদিকে ছুটে বেড়াচ্ছে....

আর গ্রামের সম্পদ ও শান্তি নষ্ট করছে।

চারদিকে এর ভয় বিরাজমান।

এটি ইতিমধ্যে অনেক ফসল ও সম্পদ নষ্ট করে ফেলেছে।

ভয় পেওনা বাবা,
তুমি কাঁদছ কেন?

একটা পাগলা মহিষ ছুটে বেড়াচ্ছে।
বাচ্চা ভয় পাবে।

দরজা টা বন্ধ করে দেই।

আমি জানি কেন!

মহিলা এবং বাচ্চাদের জন্য ঘরের ভেতরে থাকার উপদেশ রইলো।

বয়স্কদের বাহিরে ঘোরাফেরা না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।

এই তোমরা সবাই নিজ নিজ বাসায় যাও।

সকল শ্রমিক ভাইদের কাজে না যাওয়ার অনুরোধ রইলো।

সকল কাজ আপনারা পরেও করতে পারবেন।

কিন্তু প্রথমে নিজের প্রাণ রক্ষা করুণ।

মালিকরা জোর করলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ করবেন।

কেননা তারা আপনার জীবন আর সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব নিবে না।

তুই তোর সারাজীবন তার পেছনে ঘুরঘুর করে কাটিয়ে দিলি।

গ্রামবাসী যখন গভীর নিদ্রায় থাকে,

তখন সে এক যুবতী মেয়ে বাসায় একা এক রুমে থাকে।

সে যখন ক্লাস নাইনে ছিল, তার সাথে পিটি টিচারের চক্কর ছিল।

শালি লুইচ্চা নাম্বার ওয়ান!

- সমস্যা কি রে তোর?
- ছাড় ওসব!

দেখেছি তার সামনে তোর কতটা চলে,
যা যা করে বেড়ায়।

এসব আজাইরা কথা বাদ দিয়ে,
যেটা করতে যাচ্ছি সেটায় মনোযোগ দে।

বুঝতে পেরেছিস?

এটি যানবাহন ভাঙ্গাচুর করছে।

আমাদের সম্ভবত কুট্টাচানকে ডাকানো উচিৎ।

ঐ বা*টার নাম একদম নিবিনা!

এসব কি করছিস! ছাড়!
কেন ঝগড়া করছিস? ঝগড়া করিসনা!

সকাল সকাল এতো চেঁচামেচি কিসের?

আরে এটা সকাল সকাল শুরু হয়েছে।

কালান ভার্কির মহিষ পাগলা হয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে।

ভার্কির মহিষ?
আশ্চর্যের কিছু নেই!

সে তো বিয়ে করলোনা,
বাসায় ঢুকে চোরের মতো গভীর রাতে।

তার বোনটাও ঠিক নেই।

মাংসের দোকানে তার বোনকে দেখার জন্য লোকজন কুকুরের মতন ভিড় জমায়।

যৌবনে বেশি সাড়া দিলে যা হয় আরকি!

ঘোষণা শুনতে পাচ্ছো না তোমরা?

এখনো বাহিরে রান্না করছো?

যা এখান থেকে, বলদ কোথাকার!

এটা কি সেদ্ধ হয়ে গেছে?

আরেকটু বাকি ।

আরেকটু লবন দিবো?
হ্যাঁ দাও।

তুমি এখনো চা বানাওনি?

করছি তো।

আমাকে একটু নিমকি ও দিও।

সকাল সকাল শুরু হয়ে গেলে?

আমি যা বলছি করো।

কাল ভাত একটু বাড়িয়ে রান্না করবে।

ফ্রিতে পেলে মানুষ যা পায় খেয়ে নেয়।

তারমানে আপনি গ্রামবাসীকে দাওয়াত দিবেন না?

না! আমি আমার মেয়ের বাগদান অনুষ্ঠান নষ্ট করতে চাইনা।

যখন আমি এখানে প্রথম রাবার গাছ নিয়ে এসেছিলাম....

এই হারামিরা বলেছিল রাবারের রস(বা কষ) কি কেউ খেতে পারবে নাকি!!

তুই আমার পেছনে পেছনে কি?
ঐদিকে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা কর।

বিয়েতে আমাদের আত্মীয়স্বজনদের সবাইকে দাওয়াত দেওয়া হবে।

আচ্ছা ঠিকাছে, তাই হবে।

তো আমাদের প্ল্যান কি?

ব্র্যান্ডি অর্ডার দেওয়া হয়েছে আজই আসবে।

আর তালের পিঠা ৬০টার অর্ডার দিয়েছিলাম,

ওটা ৭০ টা...

- ৮০টা করে দিচ্ছি।
- আচ্ছা তাই করো।

আপ্পাম বানানোর সময় একটু সেদ্ধ চাল মিক্স করে দিও।

এতে করে আপ্পাম তুলতুলে আর সুস্বাদু হবে।

অনেক তুলতুলে।

এইতো চা এসে গেছে।

পান করে নাও

এক মিনিট!

আমার নিমকি?

হ্যাঁ, আমাদের আপ্পাম মাংসের ঝোলের সাথে পরিবেশন করতে হবে।

সারাক্ষণ মোবাইলে তুই কার সাথে কথা বলছিস?

আমার বন্ধু।

কোন বন্ধু?

বন্ধ কর এসব আর ভেতরে যা।
মেহমান আসতে শুরু করেছে।

লুকাচা, মাছের তরকারিটা দেখিও।

ঢাকনা খুললেই যাতে তেঁতুল আর মশলার সুঘ্রাণ পাওয়া যায়।

আমরা কাঠাল দিয়ে মিষ্টান্ন বানাতে পারি।

কাঠাল দিয়ে?
কাঠাল দিয়ে কিছু বানাতে যেও না।

চলো মিষ্টি আলু দিয়ে একটা মিষ্টান্ন বানানো যাক।

খাওয়ার জন্য কচি মিষ্টি আলুর বড় বড় টুকরো থাকবে,

আর সাথে গলা ভেজানোর জন্য থাকবে মিষ্টি আলুর রস।

কাঁচামরিচ দিয়ে আঁচার বানাও।
বেশি করে ঝাল দিও।

এত ঝাল, যাতে তাদের মাথার উকুন পর্যন্ত পাগল হয়ে যায়।

এবার আমাদের স্পেশাল মহিষের মাংসের রোস্ট।
এটা আমাদের সিগনেচ্যার ডিশ।

আমার মহিষের চর্বিতে ডোবানো নারিকেলের টুকরা লাগবে।

তারপর ঘি আর মাংস...

এই চর্বি তরকারিতে আলাদা স্বাদ যোগ করবে

বুঝেছ?
- হ্যাঁ!

এতো শব্দ কিসের?
ঘোষণা?

বুঝলামনা কিছুই। মানুষ পালাচ্ছে...
ব্যাপারটা কি?

কি হচ্ছে এসব?

এইযে বুড়ো, কার মহিষ?

কালান ভার্কির

মহিষের মাংসের জন্য আমি কী করবো এখন?

কি করবো এখন?

মহিষের মাংসের তরকারি ছাড়া কি কোন অনুষ্ঠান কে অনুষ্ঠানের মতো লাগে? যা করার এবার নিজে করে নেন।

এই বলদটা এইসময় গাড়ি নিয়ে কোথায় যাচ্ছে?

সে এমনভাবে বেল বাজাচ্ছে যেন তার মায়ের শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠানে হচ্ছে।

আবালটা আবার ঐদিকে কেন ঘুরছে!

তাকে সরতে বল, নয়তো আজ সে শহীদ হয়ে যাবে মহিষের কাছে।

তুই আমার থেকে অনেক টাকা ধার নিয়েছিস অন্তত আমায় সুদের টাকাটা হলেও ফেরত দে?

একটা পাগলা মহিষ ছুটে বেড়াচ্ছে আর তুই আছিস সুদ নিয়ে?

ঐদিকে দেখ, মহিষটা এখনই আসবে।

সাঙ্কু, শালাকে টেনে নিয়ে আয়।

সরে দারা শালা আবাল,
নয়তো মরবি শালা তুই।

মহিষটা পালালো কোথায়?

মহিষটা কোথায় গেল?

ওটা ব্যাংকের ভেতরে ঢুকে পড়েছে।

আমার বাড়ির বন্ধক তুলে নিতে পারবেন?

কারণ একমাত্র আমিই এখন আপনাদের বাঁচাতে পারবো।

তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিন।

যা হাট!

ওটাকে তাড়িয়ে দে।
আমরা ওটাকে ধরতে গেইট বন্ধ করে দিয়েছি।

যাও, ধর!

সম্মানিত জেলা কালেক্টরের কাছে আরজিনামা পেশ করা হচ্ছে,

মেপ্পারা গ্রামের কুন্নুমপুরম বাড়ির,

ওউদের পুত্র পলের পক্ষ হতে,
পেশা - কৃষি।

ওটা মৃত ওউদ হবে।

তারা 'মহিষা' (মহিষ) নিয়ে এসেছিল অবৈধভাবে জবাইয়ের জন্য।

'মহিষা' (ঈশ্বর)

তো! মহিষ কার রূপ?

মহিষ তো মহিষই!
সাধারণভাবে লিখলেই হয়।

তাহলে আপনিই লিখে নিন।

আচ্ছা, আপনিই লিখুন।

আমি বিনীতভাবে অনুরোধ করছি যাতে ব্যাপারটা খতিয়ে দেখা হয়,

এবং এই অপরাধের বিরুদ্ধে যাতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

দেখ দেখ!
ওটা আমাদের দলের পতাকা ভেঙ্গে দিয়েছে।

আমাদের এই ব্যাপারে কিছু করা দরকার।

ভার্কি, চল হাসপাতালে যাই।

এটা তেমন কিছুই না।
বাসায় গিয়ে গোসল করতে হবে।

সন্ধ্যের আগেই ওটাকে আমাদের ধরতে হবে।

এই, এখানে কি হচ্ছে?

একটা মহিষ পাগল হয়ে দৌড়ে বেড়াচ্ছে।

মহিষ?
তাড়াতাড়ি উঠেন, ভাই।

সরেন, সরেন, সরেন!

এই পোমালার লোকেরা এসে গেছে ভেজাল করার জন্য।

(folk song)

আরে ভাই, আমি ইডুক্কিতে ছিলাম

যেইমাত্র আমি এই খবরটা পেলাম,
ছুটে চলে এলাম এখানে।

স্যার, এটাকে আপনি হালকাভাবে নিতে পারেন না!

চুপচাপ আছি দেখে তো সে ঘাড়ে চেপে বসেছে।

আমাদের এখন কিছু একটা করতে হবে!

শান্ত হও বন্ধু!
মাথা গরম করে কখনো কিছুর সমাধান বের করা যায়না।

তারপরে অন্য পক্ষের মতো আমরাও বিনীত ও মেরুদণ্ডহীন হয়ে উঠবো...

প্রথমত, কাজটা সে ইচ্ছাকৃতভাবে করেনি!

দ্বিতীয়ত, আমাদের যখনই সাহায্য প্রয়োজন হয়েছে ভার্কি পাশে দাঁড়িয়েছে।

সত্যি বলেছেন!
আমাকে কখনো তার দোকানে গিয়ে লাইনে দাঁড়াতে হয়নি।

তৃতীয়ত, সন্ধ্যা নাগাদ আমরা সবাই ...

কি শুরু করেছিস তোরা?

আমরা ঐ মহিষটাকে ধরে ফেলবো...

আমরা জঙ্গলি মহিষ ধরে ফেলি এসব সাধারণ মহিষ আমাদের কাছে কিছুই না!

যা এখান থেকে নয়তো কেটে ফেলবো!

মার শালাগুলোকে...

জ্বী, স্যার...
আমি ব্যাপারটা শুনেছি, স্যার।

কিন্তু স্যর, এই বিষয়ে আমাদের কি করার আছে বলুন?

স্যার...

স্যার

স্যার...

সকাল থেকে এই বলদগুলো নাটকীয়তা করেই যাচ্ছে।

দোকানের পাশ করে দাঁড়িয়ে এক প্যাকেট নিমকি কিনো।

তারা মহিষটা কাটুক, মারুক বা বলি দিক,

কিন্তু এসবের ভুক্তভোগী আমরা কেন হতে যাবো?

আপনি জানেন, আমার কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে?

ভাই, এক কাপ চা হবে?

চা টা হবেনা! যান এখান থেকে!

এটা বেশি হয়ে গেলো।

প্রজন্মের পর প্রজন্ম ভার্কি আমাদের মাংস সরবরাহকারী হয়ে আছে..

কিন্তু এমনটা প্রথম ঘটেছে

তুই তোর বা** ঐতিহ্য এবং প্রজন্ম নিয়েই থাক।

তোর পূর্বপুরুষরা তাদের জায়গাজমি বেচে এখানে এসে বসতি গেড়েছিল...

তাদের দারিদ্র্যতা আর অবৈধ কাজকর্মের জন্য।

ভার্কির পরিবার অনেক প্রাচীন একটি বংশ থেকে এসেছে।

বা* একটা!

ভার্কির বাবা তার শয্যাশায়ী শ্যালিকাকে প্রলুব্ধ করার পর পালিয়ে গিয়েছিলো।

তাইনাকি?
আগে তো জানতাম না!

সে যখন এখানে বসতি গড়তে পারেনি তখন থেকে সে শুরু করলো অবৈধভাবে মহিষ ধরে তার মাংস বেচার ব্যবসা।

এখন অতীতের মতো কিছুই নেই।

মানুষের কাছে প্রতিদিন মাংস কেনার মতো টাকা থাকেনা।

মাসে একবার মহিষের মাংস কিনলেই হলেই যথেষ্ট হয়।

আরে আরে আরে!

যা খাওয়ার খেতে পারিস কিন্তু টাকাটা দিয়ে তারপর যাবি, বুঝলি!

একবার, ইস্টার এর সন্ধ্যায় একটা মহিষ দড়ি ছিড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলো।

লোকজন সেটাকে ধরে জবাই করে তার মাংস খেয়ে ফেলে।

কিন্তু তার দুই দিন পর ম্যাপিলাকে পাওয়া যায়।

সে একটা কূপের মধ্যে মরে পড়ে ছিলো।

সে মহিষের পিছুপিছু দৌড়াচ্ছিলো।
- হ্যাঁ, সেটাই তো তার জম হয়েছে।

পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে,
আমাদের এখন কুট্টাচানকে ডাকানো উচিৎ।

দেখ তার দিকে!
মদ খেয়ে একদম টাল হয়ে আছে।

কি অবস্থা ভার্কি?

দেখতেই তো পাচ্ছিস খুব শান্তিতে আছি!

মাতাল হয়ে, কোনো হিতাহিৎ না করে বেড়া ডিঙ্গিয়ে মহিষগুলোর জন্য তুই দৌড়ে গিয়েছিলি।

এরকম যে হয়েছে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।

তোর হাসপাতালে যাওয়া উচিৎ।

পুমালার গুন্ডারা ঝামেলা করছে

দ্রুত কিছু করো তা নাহলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে।

কুট্টাচানকে ডাকিয়ে ওটাকে গুলি মেরে দিলে কাহিনী এখানেই খতম হয়ে যাবে।

এখন তাকে ডাকলে ঝামেলা আরো দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
তার চাইতে সে না আসাই ভালো।

ভার্কি, কুট্টাচানকে ডাকাতে দে।
সে নিশ্চয় কোন উপায় খুঁজে বের করবে।

তুই তো তাকে নিজের শত্রু ভাবিস,
তাইতো তুই তাকে আনতে মানা করছিস।

কি বললি তুই?

আমাকে একটা সুযোগ তো দিতে হবে যাতে দেখাতে পারি যে আমি তাকে ছাড়া মহিষটা ধরতে পারবো।

তাহলে গিয়ে ধরে নিয়ে আয় না!

তুই চুপ করে বসে আছিস কেন?

বকবক বন্ধ কর তুই!

নিজে তো মহিষের লেজটা অব্দি ধরতে পারবিনা।

তুই যতটা সহজ ভাবছিস এটা অতটা সহজ নয়।

সানি, কুট্টাচানকে ডেকে নিয়ে আয়।

সর এখান থেকে!

ওমানা, আমি এসেছি!

আরে, কুট্টাচান?
কবে আসলি রে তুই?

এইমাত্র

আমার জন্য মুরগি রান্না করে রাখ,
আমি সন্ধ্যায় আসবো।

ভার্কি! কি হয়েছে?

দেখ, কুট্টাচা!

শুধু কুট্টাচান না,
গাঞ্জা কুট্টাচান!

সেই গাঞ্জা কুট্টাচান যাকে তোরা বের করে দিয়েছিলি।

তুই তো দেখছি দাঁড়ি ও রেখেছিস?

কুট্টাচা, ভেতরে আয়।

ছাড় আমায় ভার্কি,
আমি এখানে কোন সাধারণ খেলা খেলতে আসিনি।

আমি যার জন্য এখানে এসেছি আমায় সেটা করতে দে।

আয়, তোমাকে আমার গাড়িতে করে নিয়ে যাই।

কোন প্রয়োজন নেই।

বিদেশে বড় কথা নয়!

চলুন প্রথমে সরকারের কাছে শিকারের অনুমতি চেয়ে এপ্লাই করি।

রবিবারের পরে,
আমরা আমাদের বন্দুক সাথে নিয়ে যাবো।

সেখানে যথেষ্ট হরিণ আর বন্য শূকর আছে।

বেশি বড় শিকারে যেওনা যেন।

যদি তোমার বউ বিদেশ থেকে তোমাকে ফেরত পাঠিয়ে দেয়,

তাহলে এখানে তোমায় শিকারের পেছনে ঘুরঘুর করতে দেখা যাবে।

কফি নাও!

আজ রাতের খাবারের জন্য কোন মাংস নেই!

আচ্ছা আমি দেখছি।

জনসন বলছি।

তুমিও খবর পেয়েছ?

এটি সবকিছু ভাঙ্গচুর করছে।
গির্জার চারপাশে বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে।

আচ্ছা শুনো, যদি টাটকা মাংস থাকে তাহলে আমার জন্য ৩কেজি পাঠিয়ে দাও।

যদি শূকরের মাংস থাকে তবে ২কেজি পাঠাও।

এই সবাই আয়,
কুট্টাচান এসে গেছে।

কুট্টাচান এসেছে।
এখন, খেলা মজা হবে।

আয়

হায় ঈশ্বর!

ভয় পেয়েছিস?

ওখানে রাখ।

এখন এদিকে আয়!

একটু জায়গা দাও।

বাপরে!
লোকটা তো খুব ভয়ঙ্কর, মাস্টার!

চুপ কর, শালা বলদ!

বাইরের মানুষের জন্য কিছু নেই!
নিজেই সব একা খাবে?

এই নাও চা ।

হাসছিস কেন?

নিজে ঢেলে নিতে পারিস না?

কুট্টাচান কাল আমারের ইল্লাপারা যেতে হবে।

ভাই, আমার মাংস?

এক মিনিট দাঁড়া না ভাই!

তারা বলেছে অনেক বড় মহিষ।
চল কাল গিয়ে দেখে আসি!

না, আমি যেতে পারবোনা।

একটা কাঠের ব্যাবসার কাজ আছে।

কাল আমার পক্ষে সম্ভব বলে মনে হয়না।

একটি অসাধারণ সুযোগ।

আমার দিকে বন্দুক তাক করেছিস!
আজ তোকে মেরেই ফেলবো শালা ***!!

সরে বলছি!

করছিস কি তুই?
গিয়ে মহিষটাকে শিকার কর!

মহিষটাকে ধরতে পেরেছিস?

ভেতরে যাও,
নয়তো সে তোমার ঘরে এসে তাণ্ডব করবে।

কোথায়?

ঐযে দেখ ঐদিকে।

চল চল!

তাড়াতাড়ি চল সবাই!

আমাকে ছুড়িটা দে।

এটা হলো রাবারের বাগান।
ওটা ঐদিকে যাবেনা।

ঐদিকে পাশে আছে বড় খালটা।

দুইজনকে ঐদিকে নজরদারি করতে হবে।
দুইজন, আচ্ছা?

এটি হলো পাথরের খাদ

ওটার পেছনে?

কাল্লাদন্তির পারিবারিক জায়গা।

আমি ওখানেই থাকবো।

খাদের কাছে?
- হ্যাঁ ।

কিরে, সবাই কি লুডু খেলছিস?

তোর তাতে সমস্যা কি?

সমস্যা থাকলে কি করবি?

এই, চল যাই!

চল!

- কুট্টান ভাই! - হুম?
- কুট্টান ভাই! - আরে বলনা!

চন্দন পাচারের জন্য পুলিশ আপনাকে কেন ধরেছিল?

হ্যাঁ, আমার সাথে ঐ **টা বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল।

কুট্টাচা, আপনার একবারে গির্জার দিকে যাওয়া উচিত

আমি এমনকি দীক্ষা দান উৎসবেও সেখানে যাইনি।

তবে এর কিছু সুবিধা রয়েছে...

আমার কথা বুঝতে পারছেন?

খেয়ে নিন

আচার লাগবে?
আমি নিয়ে খাবো।

তাদের এতটাই সাহস এসে গেছে যে,

এখন গীর্জার আশেপাশের গাছগুলোও কাটবে?

কি করেছে দেখুন একবার!

গীর্জার পাশে আবার চন্দনের কি প্রয়োজন?

মন্দির হলে বুঝতাম পূজায় লাগে।

তোর মতন বলদ'রা এসব বুঝবে কি করে?

এই গ্রামে একটাই চন্দন পাচারকারী আছে।

গীর্জা থেকে চন্দন চুরি করিস?

সে গাঁজার চাষ ও করে।

এই জাভি, বউয়ের আচল ছেড়ে নীচে নেমে আয় তাড়াতাড়ি।

এইতো

এদিকে গেলো

কোথায় গেল ওটা?

কিরে ** তোরা আমার পিছুপিছু কি?

ধ্যাত!
এখন ওটাকে ধরেই ফেলছিলাম!

যা এখান থেকে।
আমার কাউকে প্রয়োজন নেই।

আমি একাই যথেষ্ট

কি সমস্যা?
- কিছুনা

কুট্টি ভাই, ওটা ঐদিকে গেলো।

তুই কি জানিস পৃথিবীতে সবচাইতে মজার মাংস কিসের?

কিসের?

মানুষের মাংস

ভয় পেয়েছিস?

এইতো মহিষটা!
Here comes the buffalo!

সরেন ভাই!

একটা মহিষ মরলো!

মনে হচ্ছে ওটার পেছনে লেগেছে।

ওটা ঐদিকে গেলো।

কোন দিকে?

ঐদিকে

কোথায়?

আমার মনে হয়েছিল গুলিটা ওটার পেছনে লেগেছে।

শুধুশুধু বুলেট একটা নষ্ট হয়ে গেলো।

শোন, কুট্টাচানের জন্য একটা বুলেটই যথেষ্ট ওটাকে মারতে।

এখন চল!

আমি বললাম না জেলা কালেক্টর আগামীকাল সকালে আসবে।

এখানে বসে থাকার কোন মানে হয়না।

ভাই, আমি অনেক দূরের থেকে এসেছি, রাতটা এখানে বসে কাটানো ছাড়া উপায় নেই।
- আচ্ছা আচ্ছা বসেন।

এইতো এইতো, ওটা ঐদিকে গেলো।
ধর ওটাকে!

মাষ্টারজ্বী, আপনি ঠিকাছেন?

আপনার কিছু হয়নি তো?

পালিয়ে গেছে ওটা, চল গিয়ে জঙ্গলের দিকে আরেকটু দেখি।

চলো চলো চলো

তাড়াতাড়ি চলো

প্রভাকর দা, তাড়াতাড়ি আসো।
আমি ওটাকে ধরে ফেলেছি।

দেখ..
কিভাবে আমি এটাকে ফাঁসালাম?

ভাগ্য আমাদের সহায় হয়েছে।

কোন ভাগ্য না, শুধু এন্টোনি।

বোঝাতে পেরেছি?

তুমি ঘুমোতে যাও।

তারপর তুমি আমার লাশের নাকে তুলো গুঁজে দিও।

চিন্তা করোনা, আমরা মহিষের মাংস ছাড়াই চালিয়ে নিবো নয়তো কোন হোটেল থেকে অর্ডার করে নিবো।

আর এমনিতেও মেহমান তো মাত্র ৩০জন

ভালো আইডিয়া দিয়েছ! মাংস ছাড়া অন্য খাবার দিয়ে চালিয়ে দিবো, তারপর মেহমানরা আমার নিন্দা করবে!

যা ইচ্ছে করো!

কী আজব! অসময়ে মোরগ ডাকতে শুরু করেছে!

হ্যাঁ!
- মুরগির মাংস ফ্রাই করলে কেমন হয়?

তারা নাহয় মহিষের মাংসের বদলে মুরগির মাংস খেয়ে নিবে।

শুধু মহিষ নয়, একটা ষাড় ও ধরা পড়েছে!

কি?

আসো, দেখ একটা ষাড় এখানে আটকা পড়েছে..

তাড়াতাড়ি বাইকে উঠো!

এটায় উঠতে কিছু একটা লাগবে আমার!
ঝাটার বাইক!

কে যেন আসছে!
চলো যাই!

আমার কথা শোন বাবা!

আমি এখানে শুধুমাত্র মুরগি কিনতে এসেছি!
- মুখ খুলবিনা একদম!

তুই বাহিরে আয়।
এখন!

আমি এখানে কিছু মুরগির জন্য এসেছি।

বাহিরে আয়, আমরাও দেখি!

আমরা উনাকে একটা কাজে সাথে করে নিয়ে যাচ্ছি।

সবাই চুপ কর!

এই মোরগটা এডাপাল্লির গীর্জার জন্য উৎসর্গ করা হলো।

আর এটা আমার ঘরের জন্য উৎসর্গ করা হলো।

এই ব্যাটার কাপড় খুলে শালাকে মোরগ বানিয়ে দে।

দয়া করে আমায় ছেড়ে দাও!
তোমরা যা চাও আমি দিবো।

কাল আমার মেয়ের বাগদান অনুষ্ঠান।

কে রে ওখানে?

কে ওখানে?

কে যেন আসছে চলো এখান থেকে পালাই!

বাহ্ রে বাহ্!

বিয়ের আগেই এসব করে বেড়াচ্ছিস,
বিয়ের পরে....!!

যা, বাসায় যা!
তোর বাপকে আমি সব বলবো!

বাইক চালাতে জানেনা, এসেছে মেয়ে ভাগাতে।
যা এখান থেকে বলদ!

বাইক নিয়ে ভাগ এখান থেকে!

কি হচ্ছে এখানে?

সর দেখি!

জায়গা দে!

এটা তো সাধারণ বিষয়।
হয়তো কোনভাবে পড়ে গেছে।

কিন্তু, এটা নিজে নিজে পড়েনি।

সর এখান থেকে, শালা!
- আমিই এটাকে পাকড়াও করেছি।

ভার্কি, আমি কি এটাকে মেরে ফেলবো?

ঠিকাছে ।

আমি যেহেতু এই জন্তুটাকে ধরেছি,
আমি জানি কিভাবে এটাকে মারতে হয়।

এটাকে এখনই শেষ করে ফেলা উচিৎ।

এটাকে কখন মারবো তা ঠিক করার তুই কে?

আমার কি কোন ইচ্ছে নেই নাকি?
দেখ, এটা কাদায় ডুবে যাবে।

তোর সমস্যা টা কি?
আমরা এটাকে এখন মেরে উপরে তুলে আনতে পারি তো!

আমিই একমাত্র এটার পেছনে সকাল থেকে ছুটে বেড়াচ্ছি।

এখানে উপস্থিত সবাই জানে যে এটাকে আমিই ধরেছি।

এখন, কেউ যদি এটাকে মারতে বা কাটতে চায়...

তোরা সবাই এখানে কেন?
ভাগ চাইতে এসেছিস?

যখনই তারা শুনলো মহিষ পালিয়েছে,

তখন থেকে তারা মশলাপাতি সাথে নিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে!

এইযে পুমালার লোকেরা,
তোরা ও কি ভাগ চাইতে এসেছিস?

সে কি সত্যিই ওটাকে ধরেছে?

এবার গরম পানিতে ঢাল।

অত্যন্ত ঠাণ্ডা!
জঙ্গলের মতো।

এটাও এক সময় ঘন জঙ্গল ছিল।

মশকারা করছেন?
এটা ঘন জঙ্গল ছিল!

তোর জন্ম কবে হয়েছে রে?

তোরা কখন শার্ট এবং ট্রাউজার পরা শুরু করেছিস?

যখন আমার বাবা প্রথম এখানে এসেছিল,

এমনকি ষাঁড়ের গাড়িও তখন কেবল পেট্টা পর্যন্তই আসতো।

তারপর সেখান থেকে তাদের হাটতে হতো, পাহাড়ে উঠতে হতো আর অনেক জীবজন্তুর কোলাহল ছিল...

আর তারপর যখন তারা পৌছে যেতো,

সেখানে হাতি আর শজারুতে পরিপূর্ণ ছিল,

ভাল্লুকের ভয়ে তারা বাসা থেকে বের হওয়ার সাহস পেতো না।

আমার বাবা একটা বড় ক্রস চিহ্ন বানিয়েছিল,

আর সেটা ছিল পাহাড়ের একদম উপরে।

তারপর তিনি সেখানে লোকজনদের নিয়ে বসতি গড়লো,

তারপর খোদাই, বীজ বপন আর কৃষিকাজ শুরু করলো।

এমনকি এখনো, এখানে আমরা যে জায়গাটায় বসে আছি এটা প্রাণীদের আবাসস্থল আর তাদের অধীকার।

ঐযে মানুষগুলোকে দেখ,

তারা হয়তো দুই পায়ে হাটছে,
কিন্তু তারা কোন জানোয়ার থেকে কম না।

দম লাগিয়ে, হেইশ্যা!

সে কোথায়?

ঐ পাগল, কুট্টাচান?

আমি তাকে দেখিনি এখানে।

সোফি বাসায় একা,
সে নিশ্চয় তার কাছে বন্দুক নিয়ে গেছে।

কি?

ছাড় আমায়!

ছাড় আমায়, কুত্তা!

বাসায় ঢুকে ভালো করে দরজা লাগিয়ে নে।
আমি ঐ জন্তুটাকে ধরে ফেলেছি।

এন্টোনি!

কি?

ওটার পাঁজরের থেকে দুটি বড় বড় মাংস কেটে নিস,
আমি ওটা দিয়ে কোরমা বানাবো।

আরো মরিচ দে!

সর দেখি!

সবাই কোথায় ছুটে যাচ্ছে?
যেকোন একজনকে নীচে নামতে হবে।

সবকিছু ঠিকাছে কিন্তু নীচে যাবে কে?

তুই গিয়ে একবার দেখ!

কেউ একজনকে নামতে হবে তো।

প্রভাকার, যদি সে না পারে আমি যাবো।

দেখতে পাচ্ছিস না একজন নামছে?

দয়া করে সবাই চুপ কর!

কাঠের দণ্ডটা ধর!

দড়িটা আমায় দে!

এন্টোনি, সাবধানে যাস!

সবাই জায়গা খালি করো।

দড়িটা ধর!

লাইট নীচের দিকে তাক কর!

এতটা টাইট কি যথেষ্ট?
- আরো বেশি টাইট করবো?

না

ধীরেধীরে

এখন শক্ত করে ধর আর ধীরেধীরে ছাড়বি।

দড়িটা দুইপাশ থেকেই আলগা কর!

নামতে দে।

ধীরেধীরে ছাড়!

ধীরেধীরে!

এই দিকে টান!

হয়েছে!
থাম!

ধ্যাত!
কি করছিস?

আমাকে আরেকটা দড়ি দে!

কেউ কি দেখতে পাচ্ছিস না সে ফেঁসে আছে?
তাড়াতাড়ি নিয়ে আয়!

দড়িটা দ্রুত বেধে তাকে দে।

তাড়াতাড়ি কর!
আমি বেশিক্ষণ ঝুলে থাকতে পারবোনা!

এখন উপরের দিকে তোল!

সবাই একসাথে!

দম লাগিয়ে, হেইশ্যা!
সবাই একসাথে, হেইশ্যা!

ভার্কি, তারা তোর মহিষটি তুলছে!

গিয়ে তাদের সাহায্য কর!

ওখানে যথেষ্ট মানুষ আছে ওটাকে তোলার জন্য!

দেখ, ওটা উঠে আসামাত্র ওটাকে সোজা গুলি করে মেরে ফেলবি।

ঠিকাছে ।

দম লাগিয়ে, হেইশ্যা!
আরো জোরে হেইশ্যা!
জোরসে বলো, হেইশ্যা!

ধীরেধীরে

তুই তাকে মেরেই ফেললি!

সে আমাদের মায়ের খেয়াল রাখতো!

একটা বুলেটে ঘটনা ওখানেই শেষ হয়ে যেতো।
আজ এটা তোর জন্যই ঘটেছে।

করছেন কি এসব?

এখানে মানুষ মারা গেছে,
কোনপ্রকার কোলাহল করবেন না!

তুই বাসায় যা!

এখনই যা!

আমি কসম করছি...
ওটা পরের দিন ভোর দেখবে না ..

কেউ কোন ভাগ পাবেনা!
আমি ওটার মাংস কুকুরকে খাওয়াবো।

চল রে!

কেউ যদি ওই মহিষটাকে মারতে পারে...

ওটা একটা পাগলে মহিষ,
কোন গরু বা ছাগল না!

শিংয়ের গুঁতো দিয়ে দুই ভাগ করে দিবে।

তোরা কোন কাজের না।
কোন কাজই ঠিক মতন করতে পারিস না।

ভোর হওয়ার আগে আমরা ওটাকে মেরে বাড়ি নিয়ে যাবো।

আমরা পুমালার লোকেরা এখন এসে গেছি।

শুধু তাই নয়, ওটাকে আমরা সাথে করে নিয়েও যাবো।

আমরা ওটাকে তেলে ভাজবো;
আর তরকারির সাথে রান্না করে খাবো।

মহিষটার জন্য যে আগুন তোরা লাগিয়েছিস,
সেটা জল ঢেলে নেভাতে চাইছিস!

তোরা আমার *** করবি!

যদি স্বপ্নেও মহিষটার কথা ভাবিস তো তোর মাথা কেটে আলাদা করে দেবো।

এই ঝগড়া থামাতে হবে!

নয়তো সবকটা মরবে এখানেই!

থাম সবাই!

থাম বলছি!

সর এখান থেকে!

বিষয়টা ঠাণ্ডা মাথায় নিষ্পত্তি করুন।
এখানে ঠাণ্ডা মাথায় কিছুই হবেনা।

এখানে হবে না হবে সব তুই ঠিক করবি?

নেমে আয়!

স্যার, আপনার গুন্ডামি এখানে কাজ করবে না।

আমরা যখন কথা বলবো, তখন দয়া করে বামহাত ঢুকাতে আসবেন না। আইনে এসব নেই।

আমাকে আইন শেখাচ্ছিস?

যা এখান থেকে!

সকাল বেলা একটা ব্যাগ এনে কিছু লাশ তুলে নিয়ে যাইয়েন।

লাশ নিবো না কি নিবো ওটা আমি ঠিক করবো।

আমাদের কিছু মানুষ হাসপাতালে।

তাদের মধ্যে একজন মরে গেছে,
আর আপনারা এই বিষয়ে কি করছেন?

এই ঘটনার নিষ্পত্তি না করে আপনারা কোথাও যেতে পারবেন না।

উনাদের জীপগাড়ি জ্বালিয়ে দে!

তুই জীপ জ্বালাবি?

সর এখান থেকে!

স্যার, তারা আমাদের জীপগাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে।

আমার কথা শুনুন,
আমায় যেতে দিন!

প্লীজ...

সবাই সরে দাঁড়ান!
জ্বলতে দে ওটাকে!

পারলে তাকেও ওখানে জ্বালিয়ে দে!

তুই তোর বাপের বাড়ি গিয়ে মর, শালি!

সর বলছি এখান থেকে!

কি হলো তোমার আবার?

তুমি বরং বাসায় থাকো।

ভাইজান...

মহিষ আর বুনো শূকর তো দৌড়াবেই।
এখানে আমার কি করার আছে?

পুলিশ বলে কি যা ইচ্ছে করবি!
- কেরে তুই?

তোরা গিয়ে ঐদিকে দেখ।
আমি কেস ফাইল করার ব্যবস্থা করছি।

আমি তো কেস ফাইল করবোই তারপর যা করার আপনি করিয়েন।

গিয়ে কাগজপত্র নিয়ে আয়।

তোরা এতো বড় গ্রুপ বেঁধে করছিস টা কি?

একদল এলাচ বাগানের দিকে যা,

অন্য দল ঝুলন্ত ব্রিজের দিকে যা,

প্রায় ভোর হয়ে এসেছে।

যদি তোরা এভাবে খেলতে থাকিস তবে ঐ মহিষটা পালিয়ে যাবে।

বলদগুলো মহিষ ধরতে এই জাল বেধেছে!

এটাকে কি আরেকটু উপর করে বাঁধবো?

আমরা ওটাকে এর মধ্য দিয়ে যেতে দিতে পারি না।
এটিকে কিছুটা উঁচু করে বেঁধে দে।

এটির একটি কোণে ধরে রাখ।
- চুপ করে এক পাশে দাঁড়িয়ে থাক!

চুপ কর, শালা!
আয়!

পালাও!

পালাও!

সর তোরা, বেকুবের দল!

তাড়াতাড়ি কর!

তাড়াতাড়ি কেউ গাড়ি নিয়ে আয়!

আরে, সাবধানে ধর তাকে!

গাড়ি স্টার্ট দে!

শালা ফকিন্নির বাচ্চা,
তুই আমাকে পেছনে ফেলতে চাস?

তুই কি ভেবেছিস আমি এখানে মহিষ মারতে এসেছি?

আমি এখানে তোকে শেষ করতে এসেছি, শালা **!!

শালা, ওখানে দাঁড়িয়ে না থেকে এটার পা গুলো বেধে ফেল!

কি হয়েছে?

কুট্টাচান?

তার পেট ছিদ্র হয়ে গেছে।

দেখে মনে হচ্ছেনা এটা মহিষের শিংয়ের।

কুট্টাচান, উঠ!

কি হয়েছে?

আমাকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল

ঐ মহিষটা...

ধর তাকে।
এখনই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

- সবাই তাড়াতাড়ি কর।
- ওটা আসছে।

সব আলো নিভিয়ে দে!

শক্ত করে বাঁধ!

আলো নিভিয়ে দে।
ওটা এদিকেই আসছে।

পালাতে দিসনা ওটাকে।

মেরে ফেল জন্তুটাকে!

আমি এটাকে ধরেছি।

এটায় কেউ কোন ভাগ পাবেনা।

আমরা এখানে অনেকেই আছি!
আমরা এটাকে নিয়ে যাবো।

আমি এটা শিকার করেছি এটা শুধুই আমার।

মেরে ফেল শালাকে!

মেরে ফেল!

মেরে ফেল!

বাংলা সাবটাইটেল দিয়ে মুভিটি উপভোগ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।